লৌকিক না অলৌকিক
#স্বপ্নে বা প্রকট হয়ে পীর/ফকির বা দেব/দেবীর আদেশ!
প্রতিটা মানুষের এই সুপ্ত বাসনা কাজ করে যে, তার চিন্তাধারা বা তার আদেশ বা সে যা করতে চায় তা সবাই মেনে চলুক। এবং কবি ও লেখকদের ক্ষেত্রে এটা আরো প্রবল আকারের চাহিদা!
পূর্বের কবি বা লেখকগন তাদের (হিন্দু বা মুসলিম) রচনার মধ্যে একধরনের অতি-মানবীয় কাহিনীর অবতারনা করে গ্রন্থ বা কবিতা লিখতে আরম্ভ করতেন। (অবশ্য বর্তমানে কেউ তা করে না!! কেন করে না??)
অমুক পীর/ফকির বা সাধু/সন্ন্যাসী আমাকে স্বপ্নে এসে এই কবিতাটি রচনার আদেশ দিয়েছেন, এই কাজটি করতে বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষ কথাটি শুনে আগ্রহ নিয়ে এটা শুনবে তাতে ঐ মহাত্মা খুশি হোক বা না হোক কবি/লেখক ঠিকই খুশি হবেন!
প্রায় সব হিন্দু আখ্যানের মধ্যেই লেখকদের এই ধরনের মানসিকতা দেখা যায়। (মুসলিমদের মধ্যেও কমবেশি আছে)
মহাত্মাদের নাম জুড়ে দিয়ে অনেকেই নিজেদের নামকে সুপ্রসিদ্ধ করেছেন। অনেকেই বা নিজেকে তুচ্ছ ভেবে তাঁদের নামে উৎসর্গ করছেন নিজের লেখা। আমার তো মনে হয়, তখনকার সময়ে এই বিষয়টা এতটাই হচ্ছিল যে, এটা একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছিল। বিষয়টা এমন যে কোন লেখা, লেখা হলেই তা দেবদেবীর নামে ইস্যু করতেই হবে। (তার যথেষ্ট কারনও ছিল বটে!)
সাধারন মানুষ এগুলো শুনলে ভক্তিতে গদগদ হয়ে নমঃ নমঃ করতে থাকেন, ফলে ঘটনা আসলেই কতটুকু সত্য তা যাচাইয়ের কথাটিই আসে না।
এরকম অতিমানবীয় কাহিনী স্থান, কাল বা পাত্র নিয়ে অহরহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আসলে সেগুলো কতটা বাস্তবিক সেটাই বিবেচ্য বিষয়!
আমরা এই লৌকিক সমাজে বাস করে ঐ অলৌকিকতাকে কতটুকু মানতে পারি(?) অনেকেই বর্তমানে এগুলোকে কুসংস্কারের পর্যায়ে ফেলে সেগুলো মানতে নারাজ! কিন্তু তারপরও অলৌকিক নানা বিশ্বাস মানুষ অন্তরে পুষে রেখে সমাজ সভ্যতার পক্ষে ক্ষতি করছে। আমাদের এটা ভাববার সময় এসেছে যে, লৌকিকে বাস করে অলৌকিকতা আদৌ সম্ভব কিনা!
প্রতিটা মানুষের এই সুপ্ত বাসনা কাজ করে যে, তার চিন্তাধারা বা তার আদেশ বা সে যা করতে চায় তা সবাই মেনে চলুক। এবং কবি ও লেখকদের ক্ষেত্রে এটা আরো প্রবল আকারের চাহিদা!
পূর্বের কবি বা লেখকগন তাদের (হিন্দু বা মুসলিম) রচনার মধ্যে একধরনের অতি-মানবীয় কাহিনীর অবতারনা করে গ্রন্থ বা কবিতা লিখতে আরম্ভ করতেন। (অবশ্য বর্তমানে কেউ তা করে না!! কেন করে না??)
অমুক পীর/ফকির বা সাধু/সন্ন্যাসী আমাকে স্বপ্নে এসে এই কবিতাটি রচনার আদেশ দিয়েছেন, এই কাজটি করতে বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষ কথাটি শুনে আগ্রহ নিয়ে এটা শুনবে তাতে ঐ মহাত্মা খুশি হোক বা না হোক কবি/লেখক ঠিকই খুশি হবেন!
প্রায় সব হিন্দু আখ্যানের মধ্যেই লেখকদের এই ধরনের মানসিকতা দেখা যায়। (মুসলিমদের মধ্যেও কমবেশি আছে)
মহাত্মাদের নাম জুড়ে দিয়ে অনেকেই নিজেদের নামকে সুপ্রসিদ্ধ করেছেন। অনেকেই বা নিজেকে তুচ্ছ ভেবে তাঁদের নামে উৎসর্গ করছেন নিজের লেখা। আমার তো মনে হয়, তখনকার সময়ে এই বিষয়টা এতটাই হচ্ছিল যে, এটা একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছিল। বিষয়টা এমন যে কোন লেখা, লেখা হলেই তা দেবদেবীর নামে ইস্যু করতেই হবে। (তার যথেষ্ট কারনও ছিল বটে!)
সাধারন মানুষ এগুলো শুনলে ভক্তিতে গদগদ হয়ে নমঃ নমঃ করতে থাকেন, ফলে ঘটনা আসলেই কতটুকু সত্য তা যাচাইয়ের কথাটিই আসে না।
এরকম অতিমানবীয় কাহিনী স্থান, কাল বা পাত্র নিয়ে অহরহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আসলে সেগুলো কতটা বাস্তবিক সেটাই বিবেচ্য বিষয়!
আমরা এই লৌকিক সমাজে বাস করে ঐ অলৌকিকতাকে কতটুকু মানতে পারি(?) অনেকেই বর্তমানে এগুলোকে কুসংস্কারের পর্যায়ে ফেলে সেগুলো মানতে নারাজ! কিন্তু তারপরও অলৌকিক নানা বিশ্বাস মানুষ অন্তরে পুষে রেখে সমাজ সভ্যতার পক্ষে ক্ষতি করছে। আমাদের এটা ভাববার সময় এসেছে যে, লৌকিকে বাস করে অলৌকিকতা আদৌ সম্ভব কিনা!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০৫/১২/২০১৯ভাল লাগল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/১২/২০১৯একটা সময় হিন্দু-মুসলমান উভয়ই করতো।
-
নুর হোসেন ০৪/১২/২০১৯কুসংস্কার আমাদের শিরায়-উপশিরায়,
তাইতো ভন্ড ওঝা পীর সূফীরা আজ বহুতল ভবনে ঘুমায়।