www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বাংলাদেশে সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা

শিক্ষা সভ্যতার ধারক বাহক। যেখানে শিক্ষা যতটা উন্নত সেখানে সভ্যতা সংস্কৃতি ঠিক ততটাই উন্নত।
কওমি মাদরাসায় অল্প বিস্তর পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাই কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা আমার আছে। কথাগুলো সেখান থেকেই বলব।
কওমি মাদরাসার পক্ষে এবং বিপক্ষে কথা বলার মানুষের অভাব বাংলাদেশে নাই! কিন্তু উভয় পক্ষ-ই, পক্ষ-বিপক্ষ খেলা খেলার জন্যই আজাইরা বিরোধিতা করেন।
#কওমি মাদরাসার বিরোধিতা যারা করেন তাদের জন্য বলছি,
১) কওমির মত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে শিক্ষার হার বাংলাদেশে অনেক কম থাকত। কারন শিক্ষা অর্জনের জন্য যে পরিমান টাকা প্রয়োজন তা অনেকেরই নেই। বিকল্প কোন ব্যবস্থাও বাংলাতে নেই। তাই তো #গালিবয় রানার মুখ থেকে শুনতে হয়, "শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জ্বলবে, আমাদের ঘর নাই সেকথা কে বলবে।"
২) যদি বাংলাদেশে কওমি মাদরাসা না থাকত তাহলে যে পরিমান টুকাই রাস্তায় দেখছেন তার থেকে অধিক দেখতেন।
৩) নৈতিকতার প্রশ্নে তারা কম যায় না। (ব্যতিক্রম থাকবেই)
৪) দারিদ্র্যের হার বেড়ে যেত। কারন শিক্ষাই যদি অর্জন করতে না পারত তাহলে তারা দেশের বোঝা হত। দেশকে তারা চোখে পড়ার মত কিছু না দিলেও এখন বোঝা নয় অন্তত।
এরকম করে অনেক ভাল দিক বলা যাবে লেখা সংক্ষিপ্তকরণে বাদ দিলাম...(উপরের সুত্র ধরে ভাবলে অনেক গুড সাইড পাবেন)
#যারা পক্ষে বলেন তাদের বলছি,
১) যথাযথ শিক্ষা একটি জাতির উন্নতির জন্য খুব প্রয়োজন। যদি যথাযথ শিক্ষা নাগরিকগণ না পায় তাহলে তারা বৃহৎ অর্থে দেশের বোঝাতে পরিণত হয়। আপনাদের
এটা মাথায় রেখে কওমি সাপোর্ট করতে হবে যে, তারা যুগোপযোগী শিক্ষাটা পাচ্ছে কিনা।
২) বিজ্ঞান শিক্ষা হারাম এটা বলার কোন সুযোগ নেই কারন আল্লাহ কোরানে স্বয়ং বলেছেন -কোরান বিজ্ঞানময় -আল্লাহ স্বয়ং বিজ্ঞানময়। মুসলিম মনিষীগণ বিজ্ঞান চর্চা করেছেন। আপনারা যদি এটা সিলেবাসভুক্ত করেন তো সেটা যুগোপযোগী হয়।(গোড়ামি করে তবুও আদ্দিকালের ধারনা নিয়ে পড়ে থাকেন)
৩) শুধু নৈতিকতার কথা বলে যদি আপনি কওমি সাপোর্ট করেন তাহলে বলি, কওমিতে জীবনেও যায়নি এমন মানুষকে কওমিদের থেকে বেশী নৈতিক দেখেছি।
৪) কওমিতে ইসলামের ইতিহাস এবং কিছু মৌলিক জিনিস পড়ানো হয় না যাতে করে তারা পক্ষপাতী হয়ে পড়ে। যা পড়ানো হয় তাতেই দৃঢ়বিশ্বাস এনে বসে থাকে অন্যটা মানা বা শোনা কোনটাই করে না। ফলে একটা গোষ্ঠী তাদের ব্যবহার করতে পারে সহজেই। এটি একটি চরম বাজে দিক।
৫) নৈতিকতার শিক্ষা দিলেও সমকামিতার মত অনৈতিক কাজ অহরহ হচ্ছে। তাছাড়া, শিশু বেলায় এখানে বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাচ্চাদের পড়তে দেয়। এই শিশুদের শারিরীক ও মানসিক যে নির্যাতন চলে সেটাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই!...
#দেশ আমাদের, আমরাই গড়ব দেশকে। অন্যকেউ আমাদের সাজিয়ে দিবে না। আমাদের নিজেদের ভুলগুলো শুধরে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই তাহলে কেউ বাধা হয়ে দাড়াতেও পারবে না। মাদরাসা বা জেনারেল সবাই আমাদের ভাই, বোন, আত্মীয়-স্বজন সর্বপরি দেশের মানুষ। তাই একে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে দেশ।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৬১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/১২/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • চমৎকার আলোচনা
  • নুর হোসেন ০৪/১২/২০১৯
    কওমী নেতা শফি সাহেবের উচিত ছিলো, কোরআন চর্চার পাশাপাশি কওমী ছাত্রদের বাংলা ইংলিশ ও গণিত শিক্ষা চর্চার জন্য সরকারের সাহায্য নেওয়া!
    দুর্ভাগ্য, উনি মুল বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে চাকুরীর দিকে সাফল্য আনলেন;
    সরকারী লোকজনের কাছে কওমি শিক্ষার্থীরা সেই চর্তুমূখী জ্ঞানে পিছিয়েই রইলেন।
    • ঠিক বলেছেন। আমি কওমীতে পড়েছি তাই জানি ওদের মধ্যে কি পরিমাণ অজ্ঞতা রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসও ঠিকঠাক জানে না কেউ! ইভেন ওদের সিলেবাসেই নেই নবী রাসুলদের ইতিহাস। ইতিহাস না জানলে বিবেচনা করার শক্তি কোথায় পাবে? ফলে বিবেচনাহীন একটা সমাজ তৈরি হচ্ছে। আর একটা মহল তাদের ইচ্ছানুসারে তাদের ব্যবহার করছে।
      ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
 
Quantcast