মুর্শিদাবাদ সে আর আমি
বরাতের খেল । পায়ে সস্তার হাওয়াই চপ্পল , সাদা ঢলা জামা , সাদা প্যান্ট পড়া রোগা , মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাঁড়ি ভদ্রলোকটা যখন সরু লোমশ হাতটা বাড়িয়ে দিলেন ,
তখন তাঁকে দেখে আমার এই কথাই মনে হল । সব গেছে সব গেছে । শুধু অতীত আঁকড়ে পড়ে আছে , বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ । এখনে হাওয়ায় নবাবী
আমলের ছেঁড়া ছেঁড়া অতীত উড়ে বেড়ায় । মনে হয় , যেন টাইম মেশিনের যাত্রী আমি , একবার সে আমায় নিয়ে যাচ্ছে অতীতে , আবার ফিরিয়ে আনছে । এও যেন এক খেলা ।
এই খেলায় বিচার হারায় , চোখে কল্পনা ছাপিয়ে ওঠে । ঠিক পরে পরেই ভাঙ্গে ভুল । তাই যিনি হাত বাড়িয়েছেন করমর্দনের জন্য , তাঁকে আমার মনে হয় , বাংলার নবাব ।
"লোকে ট্রেনে বাসে আমাকে দেখে বলে মীরজাফরের বংশ , মীরজাফরের বংশ , খুব খারাপ লাগে তখন । " চমকে উঠি ভদ্রলোকের কথায় ।
"আমার ছোটবেলায় দেখেছি , ওই যে বাঁ দিকে দেখছেন , ওই আস্তাবল ভর্তি ছিল আরবী ঘোড়া । আমরা থাকতাম নয়া প্যালেসে । এটা এখন ছিনিয়ে নিতে চাইছে সরকার ।
মামলা লড়ছি , ছাড়ব না । " দোতলার ছাদে যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি , তার ডান দিক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে গঙ্গার পানি । একগাদা গোবর ঝুরি করে এনে , দেওযালে ঘুঁটে
দিতে সরু গলিপথ ধরে এগিয়ে যায় নবাব বংশের রাজকন্যা । কাল সারা রাত , হোটেলে জেগে কাটিয়েছি । সব সময় মনে হয়েছে , এই বোধ হয় বেগম রানীর দল সহচরীদের সাথে
অভিসারে বের হবে । তাদের একবার শুধু দেখব বলে জেগে কাটিয়েছি , ঘুম আসেনি । "আপনি এখন কি করেন ? " অনুতাপ দগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ।
"আমার বিস নেজ আছে " ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ফাঁক দিয়ে কথা বাড়িয়ে এল । বার হল ভিজিটিং কার্ড । আমার পকেটে চালান হল । "আজকে রাতে আমার এই প্যালেসে থাকবেন " ।
আবার আমার চমকে ওঠার পালা । নয়া পযালাসের পাশে , যে বিশাল ঘণ্টার মিনার আছে , তার ঠিক পেছনে নবাবের নবাব গড় । প্যালেসের মাঝে থেমে যাওয়া ঝরনা , তার মধ্যে
বিদেশী ভাস্কর্য । বিশাল বিশাল দরজার ওপাশে একরাশ প্রশ্ন ওত পেতে আছে । চারদিক ঘিরে ফেলছে অতীত । মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুজন , আমি আর নবাব নিজেদের ভাসিয়ে দিলাম সেই বিরহিণী অতীতে ।
তখন তাঁকে দেখে আমার এই কথাই মনে হল । সব গেছে সব গেছে । শুধু অতীত আঁকড়ে পড়ে আছে , বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ । এখনে হাওয়ায় নবাবী
আমলের ছেঁড়া ছেঁড়া অতীত উড়ে বেড়ায় । মনে হয় , যেন টাইম মেশিনের যাত্রী আমি , একবার সে আমায় নিয়ে যাচ্ছে অতীতে , আবার ফিরিয়ে আনছে । এও যেন এক খেলা ।
এই খেলায় বিচার হারায় , চোখে কল্পনা ছাপিয়ে ওঠে । ঠিক পরে পরেই ভাঙ্গে ভুল । তাই যিনি হাত বাড়িয়েছেন করমর্দনের জন্য , তাঁকে আমার মনে হয় , বাংলার নবাব ।
"লোকে ট্রেনে বাসে আমাকে দেখে বলে মীরজাফরের বংশ , মীরজাফরের বংশ , খুব খারাপ লাগে তখন । " চমকে উঠি ভদ্রলোকের কথায় ।
"আমার ছোটবেলায় দেখেছি , ওই যে বাঁ দিকে দেখছেন , ওই আস্তাবল ভর্তি ছিল আরবী ঘোড়া । আমরা থাকতাম নয়া প্যালেসে । এটা এখন ছিনিয়ে নিতে চাইছে সরকার ।
মামলা লড়ছি , ছাড়ব না । " দোতলার ছাদে যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি , তার ডান দিক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে গঙ্গার পানি । একগাদা গোবর ঝুরি করে এনে , দেওযালে ঘুঁটে
দিতে সরু গলিপথ ধরে এগিয়ে যায় নবাব বংশের রাজকন্যা । কাল সারা রাত , হোটেলে জেগে কাটিয়েছি । সব সময় মনে হয়েছে , এই বোধ হয় বেগম রানীর দল সহচরীদের সাথে
অভিসারে বের হবে । তাদের একবার শুধু দেখব বলে জেগে কাটিয়েছি , ঘুম আসেনি । "আপনি এখন কি করেন ? " অনুতাপ দগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ।
"আমার বিস নেজ আছে " ভেঙ্গে যাওয়া দাঁতের ফাঁক দিয়ে কথা বাড়িয়ে এল । বার হল ভিজিটিং কার্ড । আমার পকেটে চালান হল । "আজকে রাতে আমার এই প্যালেসে থাকবেন " ।
আবার আমার চমকে ওঠার পালা । নয়া পযালাসের পাশে , যে বিশাল ঘণ্টার মিনার আছে , তার ঠিক পেছনে নবাবের নবাব গড় । প্যালেসের মাঝে থেমে যাওয়া ঝরনা , তার মধ্যে
বিদেশী ভাস্কর্য । বিশাল বিশাল দরজার ওপাশে একরাশ প্রশ্ন ওত পেতে আছে । চারদিক ঘিরে ফেলছে অতীত । মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুজন , আমি আর নবাব নিজেদের ভাসিয়ে দিলাম সেই বিরহিণী অতীতে ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহাদাত হোসেন রাতুল ১১/০৬/২০১৫ভালো লাগলো !!
-
T s J ০৯/০৬/২০১৫Good
-
অগ্নিপক্ষ ০৬/০৬/২০১৫মালদা গিসলুম ছোটবেলায়!