www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কত আর ভণ্ডামি করবা তোমরা আমি যে দেশ প্রেমিক হতে পারলাম না

কত আর ভণ্ডামি করবা তোমরা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি যে দেশ প্রেমিক হতে পারলাম না????????????????
-------------------------------------------------
আমরা আমাদের জাতীয় দিবস, ভাষা দিবস, সহ অন্যান্য যে কোন দিবস গুলি খুব ঘটা করে পালন করি। এই সব দিবসে আমরা যখন যা প্রয়োজন তা সাজতে বা ভাঁড়ামি করতে একেবারে ওস্তাদ। যেমন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার গুন গান স্তুতি আর মুক্তিযোদ্ধা দের গুন গান গেয়ে , ব্লগে, ফেসবুকে ছবি ও স্ট্যাটাস দিয়ে এবং  টকশো বা অনুষ্ঠানে  মুখে ফেনা তোলার মত অবস্থা হয় আমাদের। দেশ প্রেমিক প্রমানে সে কি আকুতি।
ভাষা দিবসে ভাষা সৈনিক দের গুন গান গেয়ে অস্থির। কপালে গায়ে মুখে চোখে বর্ণ মালা এঁকে শহীদ বেদীতে সকাল বেলা ফুল দিতে যাওয়া সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতৃভাষার গুন গান গাওয়ার ভাঁড়ামি বেশ ভালয় চালায় আমরা। সে সময় আমাদের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কেহ নাই ভাই।
সে রকম ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিজয়ের গান, ফাকিস্তানি হানাদার, রাজাকার, আলবদর সহ বিভিন্ন দেশ বিদ্রোহীদের তুলা ধুনা সহ দেশ প্রেমের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে আমাদের মত আর কারও জুড়ি নেই। পহেলা বৈশাখে বাঙ্গালি সাজার কি নিদারুণ চেষ্টায় আমরা কত কিছুই না করলাম।
আহ সব জায়গায় সব অনুষ্ঠানের,সব দিবসের একটায় দাবি...... এবং একটায় প্রকাশ ভঙ্গি.................. “ আমরা দেশকে ভালবাসি” ।
কিন্তু আমরা সত্যিয় কি দেশ কে ভাল বাসি ? আমার তা মনে হয় না। আমরা  ১০০% ভণ্ড। প্রতি অনুষ্ঠানে , দিবসে আমরা শপথ নিই ... আমরা দেশকে ভাল বাসব, দেশের ক্ষতি করব না।
>>কি তাই নয় কি?
কিন্তু কি করছি আমরা, ২৬ শে মার্চ, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ১৬ই ডিসেম্বর বা পহেলা বৈশাখে এ নেয়া শপথ গুলি আমরা এই দিবস গুলির পরের দিন হতেই ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নামছি । আমরা দেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোন কাজ অনায়েসে করছি। ডাকছি হরতাল , ভাংছি গাড়ি, নষ্ট করছি দেশের সম্পদ।  পুকুর চুরি করছি  জনগণের সম্পদ। কাল বিড়াল, শাদা বিড়াল আর দুর্নীতির মারধ্যমে জনগণের সম্পদ মেরে দিচ্ছি।ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য সুদ ঘুষ সহ হরেক রকম দেশ বিদ্রোহি কাজে লিপ্ত হচ্ছি।  ঠিক যেন কবিতার এই ছত্রের মত------------




মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি
প্রত্যেক মানুষের কাছেই না কি প্রিয়!
কথাটা বলেছেন আমাদের প্রিয়
ভাষাবিদ ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ।

মাতার কথাটা ঠিক আছে
ভালবাসি আমরা প্রত্যেকে মা কে।

মাতৃভূমিকে এখন আর কেও ভালবাসিনা
আছি সকলে মহা ধান্দায়
লুটতরাজের মহা মহতী পেশায়।

প্রতিদিন করছি
     কিংবা
করছে মহা সমারোহে
বার বার ধর্ষিতা।

১৬ই ডিসেম্বর বা ২৫শে মার্চ
এলেই কেবল উথলে উঠে প্রেম,
জানিয়ে দিতে চাই  
প্রিয় মাতৃভূমি কত ভালবাসি তোমায়।

মাতৃভাষা বাংলার প্রেমে
হয়ে উঠি প্রেয়সী কিংবা প্রেমিকের মত
২১শে ফেব্রুয়ারির একুশের প্রিয় গানের
সুরেলা কণ্ঠের...... আমরা কি ভুলিতে পারি......।

 ১৬, ২৫ বা ২১ গেলেই লাথি মেরে
তাড়িয়ে দিই এসব আবেগ ভালবাসা
প্রেমের কাহিনী গত আর গাথা।

আবার হয়ে উঠি বর্বর
ধর্ষণ করি মাতৃভূমি  ও মাতৃভাষাকে
প্রতিনিয়ত প্রতিবার।  






১৬ ডিসেম্বর  বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।দীর্ঘ নয় মাস প্রসব বেদনা সহ্য করার পর আজকের এই দিনে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে ভূমিষ্ট হয়।এর স্বাক্ষী হয়ে ছিলেন সাড়ে-সাত কোটি বাঙালী।
তখন রক্ত মাখা নবজাতক বাংলাদেশকে নিয়ে সকলে চেয়েছিলো বিশ্বের বুকে যখন এই নবজাতকের আগমন ঘটেছে তখন মাথা উচু করেই বাচবে।
আজ ৪২তম জন্মদিনে----------  
মাথার উপর 42 কেজি ওজনের একটা বস্তা থাকে।সেই বস্তার মধ্যে আছে ওষুধের অভাবে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অভিশাপ, চিকিৎসা পাবার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সাটেফিকেট বিক্রি করতে চাওয়া মুক্তি যোদ্ধা, আছে সেই রিক্সা চালক মুক্তিযোদ্ধার সেই ছবিগুলি,আছে ট্রাফিক সিগনালে ঘুরে বেড়ানো হাতে বানানো হুইল-চেয়ারে বসা মুক্তিযোদ্ধার সেই আলোক-চিত্র গুলি।এই বোঝা আমার একার না।এই বোঝা বর্তমান সবার।ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্ম যারাই আসবে তাদেরো বহন করতে হবে এই বোঝা, যারা সকালে হয়ত কেউ লাল-সবুজ রঙের পাঞ্জাবী, কেউ সেলোয়ার-কামিজ-ওড়না, কেউ লাল-সবুজ রঙের শাড়ী পরে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছেন, দল বেঁধে মিছিল করেছেন। কিন্তু যে স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল শোষন-বঞ্চনা মুক্ত, ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সেটির জন্য কি করেছেন? সকালে শহীদ মিনারে যাওয়ার সময় রাস্তার ফুটপাতে শীতে কাঁপতে থাকা বস্ত্রহীন পথ শিশুদের সকালে একমুঠো খাবার জুটেছে কিনা একবারও কি খোঁজ নিয়েছেন? আগের রাত্রে তো হাজার হাজার টাকার ফুল কিনে পুস্পার্ঘ তৈরী করেছেন, কিন্তু ঘুমানোর আগে কি একবারও কি খোঁজ নিয়েছিলেন আপনার বাড়ীর পাশে বস্তিতে কতগুলো মানুষ অভুক্ত আছে?

সারা বছর মুন্নি বদনাম, চিকনি চামেলি আর লুঙ্গি ড্যান্স মার্কা হিন্দি গান শুনবেন আর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারী আর ১লা বৈশাখ এলেই বাংলা গান, এ কি রকম দেশপ্রেম ভাই?
বাংলা কি তবে শুধু এই দিনগুলোর জন্যই?

সারাদিন মহল্লার মোড়ে বসে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মাইকে মুজিব/জিয়ার  ভাষন বাজিয়ে এলাকার মানুষে কান ঝালাপালা করে দিয়ে, বসে বসে সিগারেট ফুঁকিয়ে, রাস্তাদিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েগুলোর দিকে হা করে তাকিয়ে থেকে মুখথেকে লালা ঝরিয়ে আর দেশাত্নবোধক গান শুনলেই দেশপ্রেম হয় না ভাই। লাল-সবুজ রঙের কাপড় পরে শহীদ মিনারে ফুল দিলেই দেশপ্রেম হয় না। পদ্মা সেতু, রেলওয়ে, হলমার্ক, ডেষ্টিনির টাকা চুরি করে দেশপ্রেম হয় না। নিরন্ন মানুষকে অভুক্ত রেখে শহীদ মিনারে লাখ লাখ টাকার ফুল দিয়ে দেশপ্রেম হয় না।

ফুল কেনার টাকা গুলো দিয়ে অভুক্ত মানুষের জন্য কিছু খাবার কিনে তাদের খাওয়ালে আর সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের জন্য একটা স্যালুট দিলেও কিন্তু চলত। কিন্তু না, দেশের অভুক্ত মানুষগুলো খেতে পাক বা না পাক, একদিনে জন্য লাল-সবুজ রঙের কাপড় কিনে, শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে নিজের মুখ খানা না দেখালে কি আর কেউ জানবে যে, আমি কত বড় দেশপ্রেমিক!
কিন্তু এইসব কাজ চোখে দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও আল্টিমেটলি এইসবের কোন রেজাল্টই নাই। এইসব ভংচংকে দেশপ্রেমের কাজ হিসেবে প্রচার করলেও এগুলো আদৌ দেশপ্রেমের কাজ তো নয়ই বরং দেশপ্রেমের নামে দেশেরই সাথে এক অদ্ভুদ মশকরা করা।

পতাকা প্রদর্শন, একযোগে জাতীয় সংগীত গাওয়া, বেলুন ওড়ানো  দেশপ্রেমের নামে এইসব ভংচং করে লুটেরা বহুজাতিক কোম্পানি গুলি কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করছে, এর কয় টাকা দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করছে?
বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মত জাতীয় চেতনার দিবসগুলোকেও কেন লুটেরা বহুজাতিক কোম্পানির বিজ্ঞাপনের হাতিয়ার বানানোর সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের?

‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে পতাকা উৎসবকে স্বাগত,
কিন্তু তার স্পন্সর কেন মোবাইল অপারেটর রবিকে দেয়া হবে? এই কোম্পানির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ৭৪০ কোটি টাকা লুণ্ঠনের অভিযোগও আছে, এদের কাজই হচ্ছে দুর্নীতি, লুটপাট আর শোষণের অগ্নিতে বাংলাদেশকে দগ্ধ করা । শুধু রবি না, গ্রামীণ ফোন এর বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠনের অভিযোগ আছে। এরাই আবার বাহারি আর আবেগি বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেমিকের গান গায়, স্বাধীনতা, একুশ এখন এদের বিজ্ঞাপনে জ্বলজ্বল করে উঠে পুঁজিবাদের দানবীয় শক্তিতে!

এইসব মোবাইল কোম্পানি বিজ্ঞাপনে একুশ, স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা এই বিষয়গুলো ব্যাবহার করে গণমানুষের আবেগ অনুভূতিকে পুঁজি করে নিজেদের ব্যবসায়িক ইমেজ বৃদ্ধি করে কেননা জনগণের গভীর অনুভূতি আর আবেগ যেসব বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় তাকে সহজেই ব্যাবহার করে কোম্পানির প্রতি এক ধরনের সহনশীল মনোভাব সৃষ্টি সম্ভব। দেশের কোটি কোটি টাকা লুণ্ঠন করার কাজে যারা নিয়োজিত সেই বহুজাতিক কোম্পানির শোষণ আর লুণ্ঠনের বিজ্ঞাপনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা আর বিজয় দিবস, আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে দেশাত্মবোধক গানে আর প্রতীকে তাই দেখে এসেছি।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে রবির বিরুদ্ধে অবৈধ রেয়াতের মাধ্যমে ৮৩ কোটি ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। http://www.bonikbarta.com/last-page/2013/11/20/22860
এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১১ সালের জুলাই পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২১৭টি সিম প্রতিস্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে এয়ারটেল রাজস্ব ফাকি দিয়েছে ৫২ কোটি ৭৪ লাখ।
পতাকা উৎসবে এসব কি মনে ছিল না। তাহলে আমাদের দেশপ্রেম কি খালি পোশাক আশাকে আর ফাঁকা বুলি।
যদি তাই না হবে তবে আজ আমরা কেমনে ভুলে থাকি-------

*স্বাধীনতার ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বাক স্বাধীনতা মেলেনি। হিসেব করে কথা বলতে হয়।

*সত্য প্রকাশের কারণে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের জেল খাটতে হয়।

*৪২ বছরের স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এখনও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দুই নেত্রী যেমন চাইছেন তেমনই নির্বাচন হচ্ছে।

*গত ২৩ বছরে রাজনৈতিক হত্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। এদের পারিবারের বেদনা কি একাত্তরে মারা যাওয়া নিরিহ লোকদের পরিবারের বেদনার চেয়ে আলাদা?


*যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা গদি ছাড়তে চায়না। এক দল অন্য দলের সাথে রক্ত খেলায় মেতে ওঠে। জনগণের দাবী কোথায়?

*লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে তাদের রাজপথে ব্যবহার করা হচ্ছে।

*স্কুল কলেজে লেখাপড়ার চেয়ে আজকাল রাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।

*যুবতী মেয়েরা রাস্তার বেরুলে ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে।

*বাচ্চারা ভুল বিভ্রান্তিকর ইতিহাস শিখছে। শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমান ছাড়া আর কারও নামই উল্লেখ করা হয়না। ভাসানী, এম এ জি ওসমানী, বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তমেরা কি ঘোড়ার ঘাস কেটেছিলেন?

*বাংলাদেশে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হওয়া স্বত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশের পররাষ্ট্র সচিব এসে বাংলাদেশের নির্বাচনী আলোচনায় অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে এবং একটি নির্দিষ্ট দলের রিপ্রেজেনটেটিভ হয়ে কথা বলছে। কোথায় স্বাধীনতা?

*ফেলানিদের লাশ কাটাতারে ঝুলে থাকা সত্ত্বেও আমাদের জারজ নেতারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখান না। উল্টো বলেন, এমনটি আগেও হয়েছে, আরও হবে। মানবতার কবর খুঁড়ছেন তারা।

*৪২ বছর পর হওয়া বিচারকার্য নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল হাজারটা প্রশ্ন তুলছে অথচ যা হওয়ার কথা ছিল নিঁখুত।

*জনগণের কথা এদেশের নেতাদের কানে পৌছানোর কোনও ব্যবস্থা নেই।

*রাষ্ট্রীয় খরচে এদেশের রাজনৈতিক নেতারা বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছে।

*রাজনৈতিক দাঙ্গার শিকার সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে।

*আমদানিকৃত দ্রব্যের কথা নাহয় বাদই দিলাম, দেশীয় দ্রব্যের মূল্যও আকাশচুম্বী।

*এখন পর্যন্ত ৫ টি মৌলিক অধিকার - অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষার পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি অথচ মন্ত্রী এমপিরা সিংগাপুর ছাড়া চিকিৎসা করান না।

*মুক্তিযোদ্ধারা ঠেলা আর রিক্সা চালিয়ে সংসার চালায় অথচ রাজাকারেরা পতাকা লাগিয়ে সরকারী গাড়ি চড়ে।

*আজ কোটি টাকা খরচ করে বিজয় দিবসের মঞ্চ বানানো হলো, লক্ষ টাকা খরচ করে পতাকা বানানো হলো। কিন্তু সামান্য টাকা দিয়ে কয়জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সাহায্য করা হলো? কয়জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয়া হলো?

*মামা কাকা অথবা বড় আকারের ঘুষ ছাড়া চাকুরী হয়না, পেনশনের টাকা টা পর্যন্ত বের হয়না।

*কৌটা নিয়া বিবাদ বাঁধে যোগ্য অযোগ্যদের মাঝে।

*বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলনকৃত শিক্ষকদের উপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং গরম পানি ছুড়া হয়। অথচ চ্যাতনা ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে মোবাইল টয়লেট পর্যন্ত সাপ্লাই দেয়া হয়। ছিঃ মানবতা।

*আগে চোর ডাকাত দেখলে মানুষ ভয় পেতো অথচ এখন লোকজন পুলিশ দেখলে ভয়ে কাঁপে। যে পুলিশ দেশের শান্তি রক্ষার জন্য নিয়োজিত, সেই পুলিশই আজ ব্যবহৃত হচ্ছে অন্যায় ভাবে মানুষ মারার জন্য।

*দিনে দুপুরে বিশ্বজিতদের কুপিয়ে হত্যা করা হয় আমাদের দেশে।

*আপনি যেকোনও সময় গুম অথবা খুন হয়ে যেতে পারেন। কোনও বিচার হবেনা, ফলোআপও হবেনা।

*আপনি রানা প্লাজার নিচে পিষ্ট হয়ে অথবা তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়ে মারা যাবেন। সেই বিচার কেউ করবেনা। বরং রাজনৈতিক নেতারা তাদের পাছা বাচাঁনোর জন্য সংসদে আপনারই বিরুদ্ধে কথা বলবে।

*জোরে ঘর বাড়ি দখল করা হয় গরীবদের।

*পুনর্বাসন ছাড়াই হাজারো মানুষের বস্তি উচ্ছেদ করা হয়।

*ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় প্রাণ বাজি রেখে ট্রেন অথবা স্টিমারে চড়তে হয়।

*আজো রাস্তার পাশে রাত কাটায় হাজারো বাঙ্গালী।

*আজো ডাস্টবিনের ময়লা খাবার খেয়ে জীবন বাঁচায় সহস্র বাঙ্গালী।

*আজো স্কুলের ফিস না দিতে পেরে অকালেই ঝরে যায় হাজারো মেধাবী।

*বিশ্বের সবচেয়ে নিম্ন মজুরীর শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

এরকম আরও হাজারটা কারণ লেখা যাবে যা প্রতিদিন আমাদের চোখের সামনে ঘটছে, যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে, আমাদের বিবেক কে বাধা দেয় স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্য।
তবুও আমরা সিজনাল চেতনাময়ী জাতি সিজনালি বিজয় দিবস পালন করি। কারণ আমাদের চেতনা আমাদের স্বাধীনতার চেয়েও বড়। স্বাধীনতা যাক জাহান্নামে, চেতনার চাদর যেন গায়ে থাকে।
বাহ বাহ আমরা কি দেশপ্রেমিক ??????

সাহায্যঃ ব্লগ ও ফেসবুকের কয়েকজনের স্ট্যাটাস।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৮৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/১২/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast