গুলতি
>> গুলতির একি ব্যবহারঃ কাল একটা ছবি দেখলাম। এক পিকেটার গুলতি দিয়ে পুলিশের দিকে গোলা ছুড়ছে। আর ছবিটা রাজশাহীর কোট ষ্টেশনের চারখুটা মোড়ে। আর এটি দেখে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
গুলতি
>>উচ্চারণঃ গুল্তি । শব্দের অর্থঃ গুলিনিক্ষেপের ধনুবিশেষ; বাঁটুল। এটি একটি সরল যন্ত্র বিশেষ।
>>গুলতি [gulati] catapult.
>>গুলতি [gulati] বাঁটুল, ছোট পাথর, মাটির গুলি ইত্যাদি ছোড়ার প্রাচীন ও দেশীয় অস্ত্রবিশেষ।
>>A catapult is a device used to throw or hurl a projectile a great distance without the aid of explosive devices—particularly various types of ancient and medieval siege engines. Although the catapult has been used since ancient times, it has proven to be one of the most effective mechanisms during warfare. The word 'catapult' comes from the Latin 'catapulta', which in turn comes from the Greek καταπέλτης (katapeltēs), itself from (kata), "downwards" + πάλλω (pallō), "to toss, to hurl".Catapults were invented by the ancient Greeks. (Wikipedia)
>>ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাংলাদেশে হারিয়ে যাচ্ছে গুলতি<<
>>গুলতিঃ অঞ্চলভেদে “গুলতি”, “গুলই”, “ছটকা”, ”বাটুল” ইত্যাদি নামে পরিচিত। গ্রাম্য কিশোরদের গুলতি হাতে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো আর পাখি শিকারের নেশার কথা বর্ণনা আছে সাহিত্যের নানা জায়গায়। আবহমান বাংলায় কিশোর জীবনের বিভিন্ন ক্রীড়াসামগ্রী, অন্য অর্থে সম্পদের তালিকায় লাটিম-নাটাইয়ের পাশাপাশি গুলতির গুরুত্বও কম ছিল না। এখন তা বিলুপ্তির পথে। কেননা শহরের শিশুরা এখন গুলতির অভাবে বেছে নিয়েছে খেলনা পিস্তল-বন্দুক। এসব খেলনা নিয়েই তারা খেলতে বেশি পছন্দ করে। এখনকার অনেক শিশুই ঐতিহ্যবাহী গুলতি চেনে না।তা এখন কেবল মাত্র উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ও গ্রামের কিছু ছেলে পেলের মাঝে অত্যান্ত অবহেলায় টিকে আছে।
>>তৈরির প্রক্রিয়াঃ গাঁয়ের শিশু-কিশোররা কী অনায়াসে এই খেলনাটি তৈরি করতে পারে। পেয়ারা, জাম, বেল ইত্যাদি শক্ত গাছের চিকন এক টুকরা ডাল দিয়ে হাতল বা দোডালা তৈরি করা হয়।
ইংরেজি 'ওয়াই' (Y) অক্ষরের মতো দোডালার টুকরাটিকে ডালা বা বাট বা হাতল বলে। এর বাকল তুলে রোদে শুকিয়ে এই হাতলের Y এর দুই বাহুর সঙ্গে রাবারের ফিতা বা সাইকেলের টিউব বা ভয়েল টিউব সুতা দিয়ে বেঁধে গুলতি তৈরি করা হয়। নিচের প্রান্তটি ব্যবহার করা হয় হাতলের মতো, ধরার জন্য। রাবারের ফিতাকে বলা হয় ব্লক। ব্লক ২ টা করে ৪ টা পাট বা আরও বেশি ও কম করা হয় প্রয়োজন মত।
ব্লকের ঠিক মাঝখানে চামড়া বা রেক্সিন জাতীয় বস্তুর একটু চওড়া টুকরা রাবারের নলের সঙ্গে সুতা দিয়ে গিট দেওয়া হয়। এটা গুলির আধার বা রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
>> গোলাবারুদ/ গোলাঃ এই গুলতির প্রধান গোলাবারুদ হল পোড়া মাটির গোল মার্বেল। অতীতে মাটি কাদা করে মার্বেলের মতো গোল গোল করে পাকিয়ে রোদে শুকিয়ে উনুনে পুড়িয়ে গুলতির গুলি বানানো হতো। এর পরিবর্তে এখন কাঁচের মার্বেল নুড়িপাথর বা ইটের ছোট টুকরাও ব্যবহার করা হয়। গুলতির গুলি তৈরিও একসময় ছিল গ্রাম্য কিশোরদের নিত্য কাজ। সেসব গুলি প্যান্টের পকেটে পুরে তারা বেরিয়ে পড়ত মাঠে বা বনবাদাড়ে। শক্তির পরীক্ষা হতো দীঘি বা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে। যে সবচেয়ে বেশি দূরে গুলতির গুলি ছুড়তে পারত, সে-ই বিজয়ী হতো। পাখিসই খেলাটাও ছিল গুলতির আরেক খেলা। লক্ষ্য বা তাক করে গুলতি থেকে গুলি ছোড়াই হলো খেলোয়াড়ের মূল পারদর্শিতা। যেকোনো সংখ্যক প্রতিযোগী গুলতি খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এখনকার শ্যুটিং খেলার মতো কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে তাক করেও গুলতির গুলি ছোড়া হয়। প্রত্যেকে পরপর পাঁচবার করে গুলতি থেকে গুলি ছুড়তে পারে। যে খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি বার গুলি লক্ষ্যবস্তুতে লাগাতে পারে, সে-ই খেলায় বিজয়ী হয়। চোখ ও হাতের নিশানা ঠিক রেখে গুলতি থেকে গুলি চালানোই এ খেলায় সাফল্যের মূল কৌশল। এ ছাড়া দড়ি দিয়েও একটা গুলতি বানানো যার নিরীখটা ঠিক হতনা তবে তিন ডবল দূরে ছোঁড়া যায় ৷ তবে শিশু-কিশোররা প্রতিযোগিতার চেয়ে গাছের পাকা ফল পাড়তে বা পাখি শিকার করতেই গুলতি বেশি ব্যবহার করে থাকে। গ্রামের মুদি দোকানগুলোতে এখনো গুলতি কিনতে পাওয়া যায়।
>> ব্যবহারঃ সেই প্রাচীন কাল হতে এটির অন্য একটি বড় রুপ যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে। এই যন্ত্র প্রথম আবিষ্কার করে গ্রিকরা। পড়ে বিভিন্ন যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী কোন দুর্গের মাঝে বড় বড় পাথর ও আগুনের গোলা ছুড়ে মারার জন্য ব্যবহার করত। নিচে ছবি গুলি একটু দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক, সাইট।
@@@@ এগুলি ফাওঃ যারা আরও একটু জানতে চান তারা যাবেন নিচে @@@
>>মগধ: মগধ প্রাচীণ ভারতে ষোলটি মহাজনপদ বা অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। ষোলটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই রাজ্য বর্তমানের বিহারের পাটনা, গয়া আর বাংলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। রাজগৃহ ছিল মগধের রাজধানী।রাজা বিম্বসার ছিলেন মগধ প্রথম ঐতিহাসিক রাজা। তিনি অঙ্গ দখল করেন।
রাজা বিম্বসারের পুত্র অজাতশত্রু হাতে মারা যান। অজাতশত্রু রাজা হলে কোশলের রাজা প্রসেনজিতের সংগে তার যুদ্ধ বেধে যায়। যুদ্ধে হেরে গিয়ে প্রসেনজিত মৈত্রী চুক্তি করে ও নিজের মেয়ে সংগে অজাতশত্রুর বিয়ে হয়। অজাতশত গঙ্গা ওপারে রাজ্য বিস্তার করার জন্য পাটলিপুত্রে রাজধানী স্থানারিত করেন। পাটলিপুত্রে তার নতুন দুর্গের সাহায্যে সহজেই লিছ্ছবি প্রজাতন্ত্র দখল করে ফেলেন। শোনা যায় অজাতশত্রু তার দুধরনের নতুন অস্ত্রের (গুলতি ও আচ্ছাদনযুক্ত রথ) সাথে সহজেই সব যুদ্ধে জিতে যান।
পঞ্চম এবং চতুর্থ খ্রীষ্টাব্দে মগধ শাসন করে নন্দ বংশ। শিশুনাংগ বংশের শেষ রাজা মহান্দীনের অবৈধ সন্তান মহাপদ্ম নন্দ নন্দ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সমস্ত ক্ষত্রিয় রাজাদের পরাজিত করে বিন্ধ্য পর্বত পর্যন্ত সামাজ্য বিস্তার করেন। তাঁকে ভারতের প্রথম সামাজ্য প্র্রতিষ্ঠাতাও বলা যায়। সামাজ্য বিস্তারের জন্য তিনি ২,০০,০০০ পদাতিক, ২০,০০০ অশ্বারোহী, ২,০০০ রথ ও ৩,০০০ হস্তীবিশিষ্ট সুবিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন। প্লুটার্কের মতে তাঁর বাহিনী আরো বড় ছিল। এই বংশের শেষ রাজা ছিলেন ধননন্দ।
>>তিসিবিওস: তিসিবিওস গ্রিক ভাষায়: Κτησίβιος, ইংরেজি ভাষায়: Ctesibius বা টেসিবিয়াস, অন্য উচ্চারন ক্তিসিবিওস) (২৮৫-২২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সক্রিয়) ছিলেন প্রাচীন মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বসবাসকারী একজন গ্রিক পদার্থবিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক। তাকে আলেকজান্দ্রিয়ার তিসিবিওস নামেও ডাকা হয়। তিনি প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত প্রকৌশল যুগের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন নাপিতের সন্তান। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম বাতাসের স্থিতিস্থাপকতা আবিষ্কার করেন। এছাড়া তিনি ঘনীভূত বাতাস ব্যবহার করে বেশ কিছু যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। ঘনীভূত বাতাসের শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরের বিদ্যাকে Pneumatics বা বায়ুবিদ্যা বলা হয়। এজন্য অনেকে তাকে বায়ুবিদ্যার জনক বলেন। বাতাসের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি ফোর্স পাম্প এবং এক ধরণের গুলতি বানিয়েছিলেন।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ জলঘড়ির উন্নতি সাধন। জলঘড়ি তিসিবিওসের অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। সবচেয়ে সাধারণ জলঘড়ি দুটি পাত্রের মাধ্যমে কাজ করে। একটি পানিপূর্ণ পাত্র আরেকটি শূন্য পাত্রের একটু উপরে রাখা হয়, পানিপূর্ণ পাত্রের নিচের দিকে একটি ছিদ্র থাকে যা দিয়ে নিচের পাত্রে পানি পড়ে। নিচের পাত্রে পানির স্তর কতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মাধ্যমে সময় গণনা করা হয়। কিন্তু সমস্যা ছিল, এটি কোন ধ্রুব সময় গণক নয়। কারণ উপরের পাত্রে পানি বেশি থাকলে চাপ বেশি হবে এবং সে কারণে পানির বেগও বেশি হবে। কিন্তু উপরের পাত্রের পানির স্তর যত কমতে থাকবে পানির বেগও তত কমতে থাকবে। এ কারণে জলঘড়ির পানিকে সময়ের পরিমাপক হিসেবে ব্যবহার করলে বলতে হবে, সময় শুরুর দিকে বেশি দ্রুত চলে। এখান থেকেই বোধহয় "সময় গড়িয়ে যাচ্ছে" বা "সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে" (running out of time) বাগধারার উদ্ভব। তো পানির মাধ্যমে ধ্রুব সময় পরিমাপের জন্য ক্তিসিবিওস উপরের পাত্রে পানির স্তর সর্বদা সমান রাখার কৌশল উদ্ভাবন করেন এবং এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর জলঘড়ি নির্মাণ করেন। নিচের পাত্রের গায়ে পানির স্তর নির্দেশক কাঁটা জুড়ে দিয়ে তিনি সময় (ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর) প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করেন।
তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে, হাইড্রলিস বা জল-অর্গ্যান (জলবাদ্যযন্ত্র)। এই বাদ্যযন্ত্রে অনেকগুলো অর্গ্যান নল থাকে যার ভেতর পানির ওজনের উপর ভিত্তি করে বাতাস প্রবাহিত করা হয়। ক্তিসিবিওসের কোন রচনা আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তার কাজ সম্পর্কে জানা যায় কেবল অন্যদের, বিশেষ করে রোমান লেখক ভিত্রুভিয়ুস এবং আলেকজান্দ্রিয়ার হেরোনের লেখা পড়ে। কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তিনি প্রকৌশলের এমন একটি ধারার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন পরবর্তীতে যার চূড়ান্ত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে আলেকজান্দ্রিয়ার হেরোন এবং বিজান্তিওনের (বাইজান্টিয়াম বা বর্তমান ইস্তাম্বুল) ফিলোর মাধ্যমে।
>>কৌতুক
এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা ভাঙ্গার । তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল । এক বছর চিকিৎসার পর ডাক্তারের ধারনা হল রোগ মুক্তি হয়েছে, তাকে ছেড়ে দেয়া যায় । ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে তাকে ডাকা হল ।
ডাক্তার : স্যার , আমাদের ধারনা আপনি সম্পূর্ন আরোগ্য হয়েছেন । তাই আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে । এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি করবেন ?
পাগল : আমি ! সত্যি বলব ?
ডাক্তার : বলুন ।
পাগল : প্রথমে ভালো একটা স্যুট কিনব । তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে ।
ডাক্তার : গুড, নর্মাল ব্যাপার, তারপর ?
পাগল : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব যে, মে আই হ্যাভ এ ড্যান্স উইথ ইউ ?
ডাক্তার : গুড, নর্মাল, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াবো । মদ খাওয়াবো ।
ডাক্তার : ঠিক আছে, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে হোটেলের একটা রুমে নিয়ে আসব । নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো । স্লো মিউজিক চালিয়ে দেব ।
ডাক্তার : নর্মাল সবকিছু, তারপর ?
পাগল : তারপর ধীরে ধীরে শাড়ী খুলব, ব্লাউজ খুলব , ব্রা খুলব, পেটিকোটটা খুলে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে ।
ডাক্তার : নাথিং রং, তারপর ?
পাগল : এবার মেয়েটির শরীরে বাকী আছে তার আন্ডারওয়ার । এখন ধীরে ধীরে সেই আন্ডারওয়ারটি খুলে নেব আমি ।
ডাক্তার : তারপর ?
পাগল : তারপর আন্ডারওয়ার থেকে ইলাস্টিকের দড়িটা খুলে নেব আমি । এই ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি বানাবো । আর সেই গুলতি দিয়ে শহরের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙ্গ চুরমার করে দিব আমি ।
ডাক্তার : নিয়ে যাও পেসেন্টকে । বন্ধ করে রাখ ওকে । হি ইজ এজ সিক এজ বিফোর । নো ইমপ্রুভমেন্ট ।
>>রানওয়ে (চলচ্চিত্র):
গ্রামে নায়ক রুহুল মাদরাসায় পড়ত। রুহুলের বাপ এখন আরব দেশে।রুহুলের বাবা নিজের আশা নিয়ে অসহায় দিন যাপন করতে থাকে। পরিবার ঢাকায়। বোন ফাতেমা গার্মেন্টসে চাকুরি করে।পোশাক কারখানায় বোন শোষণের শিকার। গন্ডগোলের কারণে দুই মাস বেতন পায় না। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সংলগ্ন একচালা ঘরে রুহুল ও তার পরিবার বসবাস করে। তার মা রহিমা ক্ষুদ্র ঋণ সমিতির মাধ্যমে একটি গাভী কিনে দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। রুহুলের বোন ফাতেমা পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করে। এক মাস হলো তার বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির সন্ধানে গিয়ে নিরুদ্দেশ। বেকার, কিছুটা হতাশ অথচ আদর্শবাদী রুহুল চাকরি খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং উড়োজাহাজের ছায়ায় দিন কাটায়। মাঝেমধ্যে সে মামাকে সাইবার ক্যাফের ব্যবসায় সাহায্য করে এবং ইন্টারনেট শেখার চেষ্টা করে। সেখানে দৃঢ় অথচ শান্ত মেজাজের কম্পিউটার দক্ষ আরিফের সঙ্গে তার ক্রমশ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আরিফ উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে রুহুলকে উদ্বুদ্ধ করে। আফগানিস্তান-ফেরত মুজাহিদ দলনেতার জঙ্গি শিবিরে শরিক হয় সে।নতুন আদর্শে উজ্জীবিত রুহুল বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অবশেষে জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতা উপলব্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আরিফের স্কোয়াড। আরিফ আত্মঘাতি হামলায় আহত হয়ে মেডিকেলে ঢুকে। দ্বীন রক্ষার্থে গৃহত্যাগী রুহুল তখন নিজের বিবেকের সঙ্গে আরেক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নান্দনিক জীবনের কক্ষচ্যুত রুহুল মায়ের দুধ মাখা হাতের আশ্রয়ে চলে আসে।
আরিফের চরিত্রটি আগাগোড়াই মুগ্ধ করে দর্শকদের। দর্শক এখানে নির্মল আনন্দ পায় যমুনা বিহারের সময় জঙ্গি নেতার বিজ্ঞপনী মানসিকতা দেখে, বাংলাদেশের সনাতনী সিনেমায় নিম্নবর্গের দর্শকদের অংশগ্রহণ, রুহুলের মামার শুদ্ধ ইংরেজি বলার ধরণ, পাথরকে মাঝে রেখে রুহুলের প্রেমালাপ, উড়ন্ত বিমানকে মাটিতে ফেলে দেয়ার ক্রোধে গুলতি ছুড়ে মারার ইমেজগুলো।
গুলতি
>>উচ্চারণঃ গুল্তি । শব্দের অর্থঃ গুলিনিক্ষেপের ধনুবিশেষ; বাঁটুল। এটি একটি সরল যন্ত্র বিশেষ।
>>গুলতি [gulati] catapult.
>>গুলতি [gulati] বাঁটুল, ছোট পাথর, মাটির গুলি ইত্যাদি ছোড়ার প্রাচীন ও দেশীয় অস্ত্রবিশেষ।
>>A catapult is a device used to throw or hurl a projectile a great distance without the aid of explosive devices—particularly various types of ancient and medieval siege engines. Although the catapult has been used since ancient times, it has proven to be one of the most effective mechanisms during warfare. The word 'catapult' comes from the Latin 'catapulta', which in turn comes from the Greek καταπέλτης (katapeltēs), itself from (kata), "downwards" + πάλλω (pallō), "to toss, to hurl".Catapults were invented by the ancient Greeks. (Wikipedia)
>>ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাংলাদেশে হারিয়ে যাচ্ছে গুলতি<<
>>গুলতিঃ অঞ্চলভেদে “গুলতি”, “গুলই”, “ছটকা”, ”বাটুল” ইত্যাদি নামে পরিচিত। গ্রাম্য কিশোরদের গুলতি হাতে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো আর পাখি শিকারের নেশার কথা বর্ণনা আছে সাহিত্যের নানা জায়গায়। আবহমান বাংলায় কিশোর জীবনের বিভিন্ন ক্রীড়াসামগ্রী, অন্য অর্থে সম্পদের তালিকায় লাটিম-নাটাইয়ের পাশাপাশি গুলতির গুরুত্বও কম ছিল না। এখন তা বিলুপ্তির পথে। কেননা শহরের শিশুরা এখন গুলতির অভাবে বেছে নিয়েছে খেলনা পিস্তল-বন্দুক। এসব খেলনা নিয়েই তারা খেলতে বেশি পছন্দ করে। এখনকার অনেক শিশুই ঐতিহ্যবাহী গুলতি চেনে না।তা এখন কেবল মাত্র উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ও গ্রামের কিছু ছেলে পেলের মাঝে অত্যান্ত অবহেলায় টিকে আছে।
>>তৈরির প্রক্রিয়াঃ গাঁয়ের শিশু-কিশোররা কী অনায়াসে এই খেলনাটি তৈরি করতে পারে। পেয়ারা, জাম, বেল ইত্যাদি শক্ত গাছের চিকন এক টুকরা ডাল দিয়ে হাতল বা দোডালা তৈরি করা হয়।
ইংরেজি 'ওয়াই' (Y) অক্ষরের মতো দোডালার টুকরাটিকে ডালা বা বাট বা হাতল বলে। এর বাকল তুলে রোদে শুকিয়ে এই হাতলের Y এর দুই বাহুর সঙ্গে রাবারের ফিতা বা সাইকেলের টিউব বা ভয়েল টিউব সুতা দিয়ে বেঁধে গুলতি তৈরি করা হয়। নিচের প্রান্তটি ব্যবহার করা হয় হাতলের মতো, ধরার জন্য। রাবারের ফিতাকে বলা হয় ব্লক। ব্লক ২ টা করে ৪ টা পাট বা আরও বেশি ও কম করা হয় প্রয়োজন মত।
ব্লকের ঠিক মাঝখানে চামড়া বা রেক্সিন জাতীয় বস্তুর একটু চওড়া টুকরা রাবারের নলের সঙ্গে সুতা দিয়ে গিট দেওয়া হয়। এটা গুলির আধার বা রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
>> গোলাবারুদ/ গোলাঃ এই গুলতির প্রধান গোলাবারুদ হল পোড়া মাটির গোল মার্বেল। অতীতে মাটি কাদা করে মার্বেলের মতো গোল গোল করে পাকিয়ে রোদে শুকিয়ে উনুনে পুড়িয়ে গুলতির গুলি বানানো হতো। এর পরিবর্তে এখন কাঁচের মার্বেল নুড়িপাথর বা ইটের ছোট টুকরাও ব্যবহার করা হয়। গুলতির গুলি তৈরিও একসময় ছিল গ্রাম্য কিশোরদের নিত্য কাজ। সেসব গুলি প্যান্টের পকেটে পুরে তারা বেরিয়ে পড়ত মাঠে বা বনবাদাড়ে। শক্তির পরীক্ষা হতো দীঘি বা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে। যে সবচেয়ে বেশি দূরে গুলতির গুলি ছুড়তে পারত, সে-ই বিজয়ী হতো। পাখিসই খেলাটাও ছিল গুলতির আরেক খেলা। লক্ষ্য বা তাক করে গুলতি থেকে গুলি ছোড়াই হলো খেলোয়াড়ের মূল পারদর্শিতা। যেকোনো সংখ্যক প্রতিযোগী গুলতি খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। এখনকার শ্যুটিং খেলার মতো কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে তাক করেও গুলতির গুলি ছোড়া হয়। প্রত্যেকে পরপর পাঁচবার করে গুলতি থেকে গুলি ছুড়তে পারে। যে খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি বার গুলি লক্ষ্যবস্তুতে লাগাতে পারে, সে-ই খেলায় বিজয়ী হয়। চোখ ও হাতের নিশানা ঠিক রেখে গুলতি থেকে গুলি চালানোই এ খেলায় সাফল্যের মূল কৌশল। এ ছাড়া দড়ি দিয়েও একটা গুলতি বানানো যার নিরীখটা ঠিক হতনা তবে তিন ডবল দূরে ছোঁড়া যায় ৷ তবে শিশু-কিশোররা প্রতিযোগিতার চেয়ে গাছের পাকা ফল পাড়তে বা পাখি শিকার করতেই গুলতি বেশি ব্যবহার করে থাকে। গ্রামের মুদি দোকানগুলোতে এখনো গুলতি কিনতে পাওয়া যায়।
>> ব্যবহারঃ সেই প্রাচীন কাল হতে এটির অন্য একটি বড় রুপ যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে। এই যন্ত্র প্রথম আবিষ্কার করে গ্রিকরা। পড়ে বিভিন্ন যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী কোন দুর্গের মাঝে বড় বড় পাথর ও আগুনের গোলা ছুড়ে মারার জন্য ব্যবহার করত। নিচে ছবি গুলি একটু দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক, সাইট।
@@@@ এগুলি ফাওঃ যারা আরও একটু জানতে চান তারা যাবেন নিচে @@@
>>মগধ: মগধ প্রাচীণ ভারতে ষোলটি মহাজনপদ বা অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। ষোলটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই রাজ্য বর্তমানের বিহারের পাটনা, গয়া আর বাংলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। রাজগৃহ ছিল মগধের রাজধানী।রাজা বিম্বসার ছিলেন মগধ প্রথম ঐতিহাসিক রাজা। তিনি অঙ্গ দখল করেন।
রাজা বিম্বসারের পুত্র অজাতশত্রু হাতে মারা যান। অজাতশত্রু রাজা হলে কোশলের রাজা প্রসেনজিতের সংগে তার যুদ্ধ বেধে যায়। যুদ্ধে হেরে গিয়ে প্রসেনজিত মৈত্রী চুক্তি করে ও নিজের মেয়ে সংগে অজাতশত্রুর বিয়ে হয়। অজাতশত গঙ্গা ওপারে রাজ্য বিস্তার করার জন্য পাটলিপুত্রে রাজধানী স্থানারিত করেন। পাটলিপুত্রে তার নতুন দুর্গের সাহায্যে সহজেই লিছ্ছবি প্রজাতন্ত্র দখল করে ফেলেন। শোনা যায় অজাতশত্রু তার দুধরনের নতুন অস্ত্রের (গুলতি ও আচ্ছাদনযুক্ত রথ) সাথে সহজেই সব যুদ্ধে জিতে যান।
পঞ্চম এবং চতুর্থ খ্রীষ্টাব্দে মগধ শাসন করে নন্দ বংশ। শিশুনাংগ বংশের শেষ রাজা মহান্দীনের অবৈধ সন্তান মহাপদ্ম নন্দ নন্দ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সমস্ত ক্ষত্রিয় রাজাদের পরাজিত করে বিন্ধ্য পর্বত পর্যন্ত সামাজ্য বিস্তার করেন। তাঁকে ভারতের প্রথম সামাজ্য প্র্রতিষ্ঠাতাও বলা যায়। সামাজ্য বিস্তারের জন্য তিনি ২,০০,০০০ পদাতিক, ২০,০০০ অশ্বারোহী, ২,০০০ রথ ও ৩,০০০ হস্তীবিশিষ্ট সুবিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন। প্লুটার্কের মতে তাঁর বাহিনী আরো বড় ছিল। এই বংশের শেষ রাজা ছিলেন ধননন্দ।
>>তিসিবিওস: তিসিবিওস গ্রিক ভাষায়: Κτησίβιος, ইংরেজি ভাষায়: Ctesibius বা টেসিবিয়াস, অন্য উচ্চারন ক্তিসিবিওস) (২৮৫-২২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সক্রিয়) ছিলেন প্রাচীন মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বসবাসকারী একজন গ্রিক পদার্থবিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক। তাকে আলেকজান্দ্রিয়ার তিসিবিওস নামেও ডাকা হয়। তিনি প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত প্রকৌশল যুগের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন নাপিতের সন্তান। ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম বাতাসের স্থিতিস্থাপকতা আবিষ্কার করেন। এছাড়া তিনি ঘনীভূত বাতাস ব্যবহার করে বেশ কিছু যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। ঘনীভূত বাতাসের শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরের বিদ্যাকে Pneumatics বা বায়ুবিদ্যা বলা হয়। এজন্য অনেকে তাকে বায়ুবিদ্যার জনক বলেন। বাতাসের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি ফোর্স পাম্প এবং এক ধরণের গুলতি বানিয়েছিলেন।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ জলঘড়ির উন্নতি সাধন। জলঘড়ি তিসিবিওসের অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। সবচেয়ে সাধারণ জলঘড়ি দুটি পাত্রের মাধ্যমে কাজ করে। একটি পানিপূর্ণ পাত্র আরেকটি শূন্য পাত্রের একটু উপরে রাখা হয়, পানিপূর্ণ পাত্রের নিচের দিকে একটি ছিদ্র থাকে যা দিয়ে নিচের পাত্রে পানি পড়ে। নিচের পাত্রে পানির স্তর কতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মাধ্যমে সময় গণনা করা হয়। কিন্তু সমস্যা ছিল, এটি কোন ধ্রুব সময় গণক নয়। কারণ উপরের পাত্রে পানি বেশি থাকলে চাপ বেশি হবে এবং সে কারণে পানির বেগও বেশি হবে। কিন্তু উপরের পাত্রের পানির স্তর যত কমতে থাকবে পানির বেগও তত কমতে থাকবে। এ কারণে জলঘড়ির পানিকে সময়ের পরিমাপক হিসেবে ব্যবহার করলে বলতে হবে, সময় শুরুর দিকে বেশি দ্রুত চলে। এখান থেকেই বোধহয় "সময় গড়িয়ে যাচ্ছে" বা "সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে" (running out of time) বাগধারার উদ্ভব। তো পানির মাধ্যমে ধ্রুব সময় পরিমাপের জন্য ক্তিসিবিওস উপরের পাত্রে পানির স্তর সর্বদা সমান রাখার কৌশল উদ্ভাবন করেন এবং এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর জলঘড়ি নির্মাণ করেন। নিচের পাত্রের গায়ে পানির স্তর নির্দেশক কাঁটা জুড়ে দিয়ে তিনি সময় (ঘণ্টা, দিন, মাস, বছর) প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করেন।
তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে, হাইড্রলিস বা জল-অর্গ্যান (জলবাদ্যযন্ত্র)। এই বাদ্যযন্ত্রে অনেকগুলো অর্গ্যান নল থাকে যার ভেতর পানির ওজনের উপর ভিত্তি করে বাতাস প্রবাহিত করা হয়। ক্তিসিবিওসের কোন রচনা আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তার কাজ সম্পর্কে জানা যায় কেবল অন্যদের, বিশেষ করে রোমান লেখক ভিত্রুভিয়ুস এবং আলেকজান্দ্রিয়ার হেরোনের লেখা পড়ে। কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তিনি প্রকৌশলের এমন একটি ধারার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন পরবর্তীতে যার চূড়ান্ত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে আলেকজান্দ্রিয়ার হেরোন এবং বিজান্তিওনের (বাইজান্টিয়াম বা বর্তমান ইস্তাম্বুল) ফিলোর মাধ্যমে।
>>কৌতুক
এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা ভাঙ্গার । তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল । এক বছর চিকিৎসার পর ডাক্তারের ধারনা হল রোগ মুক্তি হয়েছে, তাকে ছেড়ে দেয়া যায় । ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে তাকে ডাকা হল ।
ডাক্তার : স্যার , আমাদের ধারনা আপনি সম্পূর্ন আরোগ্য হয়েছেন । তাই আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে । এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি করবেন ?
পাগল : আমি ! সত্যি বলব ?
ডাক্তার : বলুন ।
পাগল : প্রথমে ভালো একটা স্যুট কিনব । তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে ।
ডাক্তার : গুড, নর্মাল ব্যাপার, তারপর ?
পাগল : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব যে, মে আই হ্যাভ এ ড্যান্স উইথ ইউ ?
ডাক্তার : গুড, নর্মাল, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াবো । মদ খাওয়াবো ।
ডাক্তার : ঠিক আছে, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে হোটেলের একটা রুমে নিয়ে আসব । নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো । স্লো মিউজিক চালিয়ে দেব ।
ডাক্তার : নর্মাল সবকিছু, তারপর ?
পাগল : তারপর ধীরে ধীরে শাড়ী খুলব, ব্লাউজ খুলব , ব্রা খুলব, পেটিকোটটা খুলে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে ।
ডাক্তার : নাথিং রং, তারপর ?
পাগল : এবার মেয়েটির শরীরে বাকী আছে তার আন্ডারওয়ার । এখন ধীরে ধীরে সেই আন্ডারওয়ারটি খুলে নেব আমি ।
ডাক্তার : তারপর ?
পাগল : তারপর আন্ডারওয়ার থেকে ইলাস্টিকের দড়িটা খুলে নেব আমি । এই ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি বানাবো । আর সেই গুলতি দিয়ে শহরের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙ্গ চুরমার করে দিব আমি ।
ডাক্তার : নিয়ে যাও পেসেন্টকে । বন্ধ করে রাখ ওকে । হি ইজ এজ সিক এজ বিফোর । নো ইমপ্রুভমেন্ট ।
>>রানওয়ে (চলচ্চিত্র):
গ্রামে নায়ক রুহুল মাদরাসায় পড়ত। রুহুলের বাপ এখন আরব দেশে।রুহুলের বাবা নিজের আশা নিয়ে অসহায় দিন যাপন করতে থাকে। পরিবার ঢাকায়। বোন ফাতেমা গার্মেন্টসে চাকুরি করে।পোশাক কারখানায় বোন শোষণের শিকার। গন্ডগোলের কারণে দুই মাস বেতন পায় না। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সংলগ্ন একচালা ঘরে রুহুল ও তার পরিবার বসবাস করে। তার মা রহিমা ক্ষুদ্র ঋণ সমিতির মাধ্যমে একটি গাভী কিনে দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। রুহুলের বোন ফাতেমা পোশাক রপ্তানি কারখানায় কাজ করে। এক মাস হলো তার বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির সন্ধানে গিয়ে নিরুদ্দেশ। বেকার, কিছুটা হতাশ অথচ আদর্শবাদী রুহুল চাকরি খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং উড়োজাহাজের ছায়ায় দিন কাটায়। মাঝেমধ্যে সে মামাকে সাইবার ক্যাফের ব্যবসায় সাহায্য করে এবং ইন্টারনেট শেখার চেষ্টা করে। সেখানে দৃঢ় অথচ শান্ত মেজাজের কম্পিউটার দক্ষ আরিফের সঙ্গে তার ক্রমশ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আরিফ উগ্র ধর্মীয় রাজনীতির মধ্যে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে রুহুলকে উদ্বুদ্ধ করে। আফগানিস্তান-ফেরত মুজাহিদ দলনেতার জঙ্গি শিবিরে শরিক হয় সে।নতুন আদর্শে উজ্জীবিত রুহুল বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অবশেষে জীবনের গভীরতর অভিজ্ঞতা উপলব্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আরিফের স্কোয়াড। আরিফ আত্মঘাতি হামলায় আহত হয়ে মেডিকেলে ঢুকে। দ্বীন রক্ষার্থে গৃহত্যাগী রুহুল তখন নিজের বিবেকের সঙ্গে আরেক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নান্দনিক জীবনের কক্ষচ্যুত রুহুল মায়ের দুধ মাখা হাতের আশ্রয়ে চলে আসে।
আরিফের চরিত্রটি আগাগোড়াই মুগ্ধ করে দর্শকদের। দর্শক এখানে নির্মল আনন্দ পায় যমুনা বিহারের সময় জঙ্গি নেতার বিজ্ঞপনী মানসিকতা দেখে, বাংলাদেশের সনাতনী সিনেমায় নিম্নবর্গের দর্শকদের অংশগ্রহণ, রুহুলের মামার শুদ্ধ ইংরেজি বলার ধরণ, পাথরকে মাঝে রেখে রুহুলের প্রেমালাপ, উড়ন্ত বিমানকে মাটিতে ফেলে দেয়ার ক্রোধে গুলতি ছুড়ে মারার ইমেজগুলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ০৩/১২/২০১৩
আমাদের প্রত্যাশা থাকবে অতি শিঘ্রই আমাদের নেতৃবৃন্দের বোধদয় হবে । তারা এই কুত্তাদের (কর্মীদের) থ্রি নট থ্রি রাইফেল না দিলেও অন্তত একে ৪৭ দিয়ে মানুষ মারার কাজ সহজ করে দিবেন।