শৈশবের আনন্দ
শৈশবের আনন্দ
ছোট কালে অনেকে এমন কিছু খেলা খেলেছি যার কোন তুলানা হয় না। আর এই সব খেলায় এমন এমন সব নানা স্বাদের নানা ভঙ্গির ছড়া কবিতা বা গল্পের মত ছন্দ বদ্ধ কথা ব্যবহার করেছি বা অন্যদের কাছে শুনেছি আজ মনে পড়লে হাসি পায়। এই ছন্দ বদ্ধ কথা গুলি মনে হয় এখনো ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন খেলায় বিভিন্ন ভাবে। এগুলি কে কেমন করে তৈরি করেছে, কখন তৈরি হয়েছে এ এক আশ্চর্য।
যেমন কোন খেলায় কে চোর হবে বা কে অন্যদের খুজবে তাকে খুঁজে বের করতে নিচের এই বিশেষ ছন্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১। আকাশ হতে নেমে এল ছোট একটা প্লেন,
সেই প্লেনে বসে আছে লাল টুকটুকে মেন(MAN).
তাকে আমি জিঙ্গেস করলাম What is your name?
আমাকে সে উত্তর দিল
My name is Bobita.
২।ইংক পিংক সেপটি পিন ( ink pink sefti pin)
বাবু খায় ভিটামিন।
ভিটামিনে পোকা
ডাক্তার সাহেব বোকা।
৩। আমার নাম মিতা, চুলে বাঁধি ফিতা।
কানে পরি দুল, ভালবাসার ফুল।
৪।ঐ বাড়ির সেলিনা তাঁর সঙ্গে খেলিনা।
তাঁর বাড়ি দোতালা কাক ডাকে কা কা।
৫।মাগো তোমার পায়ে পড়ি
পুতুল নিয়ে খেলা করি।
পুতুলের মাথায় কোঁকড়া চুল
বেঁধে দেব গোলাপ ফুল।
গোলাপ ফুলে পোকা
জামায় বাবু বোকা।
(ছোট বেলা পুতুল বিয়েতে এই ছড়া কেটে কনে পক্ষ বর পক্ষকে খেপাত।)
৪। ইচিং বিচিং চিচিং চা
প্রজাপতি উড়ে যা।
৫। ঈশ বিষ ধানের শিষ
খালেদাজিয়ার পেটে বিষ।
৬।ইলিশ মাছের দাঁড়ি নাই
বোয়াল মাছের দাঁড়ি
খালেদা জিয়া ভিক্ষা করে
শেখ হাসিনার বাড়ি
অথবা
শেখ হাসিনা ভিক্ষা করে
খালেদাজিয়ার বাড়ি।
৭। এ বেনটি বাইসকুল
নাইন টেন টেঁসকুল,
সুলতানা বেবি আনা
সাহেব বাবু বৈঠক খানা
সাহেব বলছে যেতে
পান সুপরি খেতে।
পানের বাটা মরিচ আনা
ইসপ্রিনে চাবি আনা
তাঁর নাম রেনু মালা
তাকে দেব মুক্তর মালা।
৮। ওয়ান টু থ্রি
পাইলাম একটা বিড়ি।
বিড়িতে নাই আগুন
পাইলাম একটা বেগুন।
বেগুনে নাই বিচি
পাইলাম একটা কেচি।
কেচিতে নাই ধার
পাইলাম মাথার হার।
হাড়ে নাই লকেট
পাইলাম একটা পকেট।
পকেটে নাই টাকা
কেমনে যামু ঢাকা।
ঢাকায় নাই ভাত
...........................।
৯। প্রজাপতি ধরতে গিয়ে
নিভে গেল বাতি,
ভালবাসা করতে গিয়ে
হারিয়ে গেল সাথী।
১০। আকাশেতে উড়ে বেড়ায়
সাদা সাদা বক,
বকের পিঠে লিখা আছে
ঈদ মোবারক।
১১।পুকুরের চারপাশে
বাদামের চারা,
আমার এক খানি বোন আছে
আকাশেরই তারা।
১২। ডাক্তার মুন্সি হাইস্কুল
দেখতে বড় বিউটিফুল,
চারদিকে ইটের বেড়া
মাঝখানেতে প্রেমের খেলা।
১৩।ঘরের দুয়ারে মেহেদি গাছ
কত মেহেদি ধরে
বন্ধুর কথা মনে পড়লে
কলিজা ভেঙ্গে পড়ে।
১৪। পুকুরেতে পানি নাই
পদ্ম কেন ভাসে
যার সাথে দেখা নাই
সে কেন হাসে।
১৫।ফুল ফুল বেদনা
ফুল আমি দেবনা,
ফুল যদি দিতে হয়
ভাল বাসা নিতে হয়।
১৬। আমড়া পাতা খশ খশে
লাউ পাতা নরম,
আমার সাথে কথা বলতে
তোমার কিসের এত সরম।
১৭।চালের উপর কদু গাছ
লম্বা লম্বা কদু,
মেয়েদের বুকের উপর
ছেলেদের মধু।
১৮।ফুলকে ভাল বেসে
ফেলে দিওনা,
মানুষকে ভালবেসে
ভুলে যেও না।
১৯।জুতা যত দামি হক
থাকে পায়ের নিচে,
ছেলে যত ভাল হোক
ঘুরে মেয়ের পিছে।
২০। কলি থেকে ফুল হয়
ফুল থেকে মালা,
মালা থেকে প্রেম হয়
প্রেম থেকে জ্বালা।
২১। ফুল ফুল সুন্দর
ছেলেরা বান্দর,
আকাশের আলো
মেয়েরা ভাল।
আমার ষ্টক শেষ। অনেকে ছোট কালে এমন সব ছড়া কবিতার সঙ্গে পরিচিত। মনের আনন্দে খেলার সাথিদের হেয় করতে এমন কতই সুন্দর সুন্দর ছড়া কাটতো গ্রামের পিচ্চি পাচ্চারা। আমিও বেতিক্রম নই।
ছোট কালে অনেকে এমন কিছু খেলা খেলেছি যার কোন তুলানা হয় না। আর এই সব খেলায় এমন এমন সব নানা স্বাদের নানা ভঙ্গির ছড়া কবিতা বা গল্পের মত ছন্দ বদ্ধ কথা ব্যবহার করেছি বা অন্যদের কাছে শুনেছি আজ মনে পড়লে হাসি পায়। এই ছন্দ বদ্ধ কথা গুলি মনে হয় এখনো ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন খেলায় বিভিন্ন ভাবে। এগুলি কে কেমন করে তৈরি করেছে, কখন তৈরি হয়েছে এ এক আশ্চর্য।
যেমন কোন খেলায় কে চোর হবে বা কে অন্যদের খুজবে তাকে খুঁজে বের করতে নিচের এই বিশেষ ছন্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১। আকাশ হতে নেমে এল ছোট একটা প্লেন,
সেই প্লেনে বসে আছে লাল টুকটুকে মেন(MAN).
তাকে আমি জিঙ্গেস করলাম What is your name?
আমাকে সে উত্তর দিল
My name is Bobita.
২।ইংক পিংক সেপটি পিন ( ink pink sefti pin)
বাবু খায় ভিটামিন।
ভিটামিনে পোকা
ডাক্তার সাহেব বোকা।
৩। আমার নাম মিতা, চুলে বাঁধি ফিতা।
কানে পরি দুল, ভালবাসার ফুল।
৪।ঐ বাড়ির সেলিনা তাঁর সঙ্গে খেলিনা।
তাঁর বাড়ি দোতালা কাক ডাকে কা কা।
৫।মাগো তোমার পায়ে পড়ি
পুতুল নিয়ে খেলা করি।
পুতুলের মাথায় কোঁকড়া চুল
বেঁধে দেব গোলাপ ফুল।
গোলাপ ফুলে পোকা
জামায় বাবু বোকা।
(ছোট বেলা পুতুল বিয়েতে এই ছড়া কেটে কনে পক্ষ বর পক্ষকে খেপাত।)
৪। ইচিং বিচিং চিচিং চা
প্রজাপতি উড়ে যা।
৫। ঈশ বিষ ধানের শিষ
খালেদাজিয়ার পেটে বিষ।
৬।ইলিশ মাছের দাঁড়ি নাই
বোয়াল মাছের দাঁড়ি
খালেদা জিয়া ভিক্ষা করে
শেখ হাসিনার বাড়ি
অথবা
শেখ হাসিনা ভিক্ষা করে
খালেদাজিয়ার বাড়ি।
৭। এ বেনটি বাইসকুল
নাইন টেন টেঁসকুল,
সুলতানা বেবি আনা
সাহেব বাবু বৈঠক খানা
সাহেব বলছে যেতে
পান সুপরি খেতে।
পানের বাটা মরিচ আনা
ইসপ্রিনে চাবি আনা
তাঁর নাম রেনু মালা
তাকে দেব মুক্তর মালা।
৮। ওয়ান টু থ্রি
পাইলাম একটা বিড়ি।
বিড়িতে নাই আগুন
পাইলাম একটা বেগুন।
বেগুনে নাই বিচি
পাইলাম একটা কেচি।
কেচিতে নাই ধার
পাইলাম মাথার হার।
হাড়ে নাই লকেট
পাইলাম একটা পকেট।
পকেটে নাই টাকা
কেমনে যামু ঢাকা।
ঢাকায় নাই ভাত
...........................।
৯। প্রজাপতি ধরতে গিয়ে
নিভে গেল বাতি,
ভালবাসা করতে গিয়ে
হারিয়ে গেল সাথী।
১০। আকাশেতে উড়ে বেড়ায়
সাদা সাদা বক,
বকের পিঠে লিখা আছে
ঈদ মোবারক।
১১।পুকুরের চারপাশে
বাদামের চারা,
আমার এক খানি বোন আছে
আকাশেরই তারা।
১২। ডাক্তার মুন্সি হাইস্কুল
দেখতে বড় বিউটিফুল,
চারদিকে ইটের বেড়া
মাঝখানেতে প্রেমের খেলা।
১৩।ঘরের দুয়ারে মেহেদি গাছ
কত মেহেদি ধরে
বন্ধুর কথা মনে পড়লে
কলিজা ভেঙ্গে পড়ে।
১৪। পুকুরেতে পানি নাই
পদ্ম কেন ভাসে
যার সাথে দেখা নাই
সে কেন হাসে।
১৫।ফুল ফুল বেদনা
ফুল আমি দেবনা,
ফুল যদি দিতে হয়
ভাল বাসা নিতে হয়।
১৬। আমড়া পাতা খশ খশে
লাউ পাতা নরম,
আমার সাথে কথা বলতে
তোমার কিসের এত সরম।
১৭।চালের উপর কদু গাছ
লম্বা লম্বা কদু,
মেয়েদের বুকের উপর
ছেলেদের মধু।
১৮।ফুলকে ভাল বেসে
ফেলে দিওনা,
মানুষকে ভালবেসে
ভুলে যেও না।
১৯।জুতা যত দামি হক
থাকে পায়ের নিচে,
ছেলে যত ভাল হোক
ঘুরে মেয়ের পিছে।
২০। কলি থেকে ফুল হয়
ফুল থেকে মালা,
মালা থেকে প্রেম হয়
প্রেম থেকে জ্বালা।
২১। ফুল ফুল সুন্দর
ছেলেরা বান্দর,
আকাশের আলো
মেয়েরা ভাল।
আমার ষ্টক শেষ। অনেকে ছোট কালে এমন সব ছড়া কবিতার সঙ্গে পরিচিত। মনের আনন্দে খেলার সাথিদের হেয় করতে এমন কতই সুন্দর সুন্দর ছড়া কাটতো গ্রামের পিচ্চি পাচ্চারা। আমিও বেতিক্রম নই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহির রহমান ২৬/১১/২০১৩
-
জহির রহমান ২৬/১১/২০১৩
৮নং এর শেষ লাইনটা হবে-
"কেমনে যামু বাড়িত।"
ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।
থাকবেন কিন্তু আমাদের সাথে।