www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

জবি শিক্ষার্থীদের উপহার পাওয়া বাসদুটি রুপান্তরিত হলো শিক্ষকবৃন্দের বাসে

মেঘনা গ্রুপের কাছে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপহার পাওয়া বাস দুটি এখন শিক্ষকদের চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড়মাস ক্যাম্পাসের শহিদ মিনারের সামনে পরে থাকা বাস দুটির সামনের গ্লাসে আজকে হঠাৎ করেই "শিক্ষকবৃন্দের বাস" লেখা কাগজ দেখা যায়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ছোট্ট একটা ক্যাম্পাসে অপর্যাপ্ত একাডেমীক ভবনে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা। হল না থাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন মেসে কিংবা হোস্টেলে থাকতে হয়। ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থাকা সত্বেও পর্যাপ্ত পরিমানের পরিবহন সুবিধা আছে, এমনকি বাস উদ্ধৃতও আছে। অথচ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের বাস সুবিধা তো নেই-ই, এমনকি ন্যূনতম ধরণের পরিবহন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডাবল শিফট/ট্রিপল শিফটের পরিবহণ ব্যবস্থা আছে, সেখানে জবিতে মাত্র এক শিফটের বাস চালু আছে, যাতে এক তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রীও পরিবহণ সুবিধা পাচ্ছেনা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ ব্যবস্থার এই হাল দেখে মেঘনা গ্রুপ শিক্ষকদের জন্য দুটি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বাস উপহার স্বরুপ প্রদান করে। জবি পরিবহন পুল সূ্ত্রে জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবহনে পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়কে দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি ৫৪ সিটের বড় বাস উপহার দেয় গত বছরের ২২ নভেম্বর। সেদিন জবি শহীদ মিনারের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে গাড়িগুলোর চাবি হস্তান্তর করেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার সহধর্মীনি। এসময় উপস্থিত থেকে গাড়ি দুটোর উদ্বোধন করেন জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

বাস হস্তান্তরের কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষকদের মাইক্রোবাস দুটি চালু করে জবি প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাস দুটি দেড়মাস পড়ে থাকার পর শিক্ষকদের ব্যানারে চালু হচ্ছে। যেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আছে শিক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণের বাস সুবিধা, সেখানে শিক্ষার্থীদের বাস দখল করে নিচ্ছে জবি প্রশাসন।



এইতো দুইদিন,আগেই, কারা গাড়িগুলো ব্যবহার করবে জানতে চাইলে জবি পরিবহন পুলের পরিচালক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না। তবে শিক্ষার্থীদের জন্যই থাকার কথা। আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানে আমি প্রস্তাব করেছি। কোন রুটে চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতদূর জানি গাড়ি গুলো আজিমপুর, নীলক্ষেত রুটে দেয়া হবে।

কষ্ট করুক ছাত্রছাত্রীরাই, শিক্ষকরা তো গুরুজন, মহান, শ্রদ্ধেয়। তাদের পর্যাপ্ত পরিবহণ সুবিধা আছে, তো থাকুক। শোডাউন করার জন্য হলেও আরো আরো বাস চাই। শিক্ষার্থীরা ঘন্টার পর ঘন্টা বাসে ঝুলে যাতায়াত করুক, চাই মরুক, তাতে ওনাদের কি, ওনারা ভদ্রজন, ঈশ্বরপল্লীর বাসিন্দা!
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯১৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • শাহজাহান সিরাজ ১০/০১/২০১৭
    লেখক বন্ধু লিখে যাওয়া। সুকামনা রইল।
 
Quantcast