উন্নয়ন চিত্র-২
আবার দ্বিগুণ ঋণ নিল।মানুষের কর্জ পরিশোধ করলো।কিন্তু কিস্তির পরিমাণ তো আগের চেয়ে বেশি। কি করবে ঋণের বোঝা কমাতে গিয়ে আরও কষ্ট বেড়ে গেল। কোনমত খেয়ে না খেয়ে কিস্তির টাকা শোধ করতে লাগলো। মনে মনে প্রতিঞ্জা করলো আর ওদের ঋণ নেবে না। যদি কোন হৃদয়বান সাহায্যের হাত বাড়ায় এই আশায় প্রতিক্ষার প্রহর গুণতে থাকলো। কারণ দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে ভালো হতে চায় তার জন্য কোন না কোন রাস্তা অবশ্যই খুলে যায়।হ্যাঁ সমস্যার কথা শুনে এগিয়ে আসলো একজন। তার সহযোগিতায় কিস্তি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা একবারে শোধ করলো। মাথা থেকে বড় এক বোঝা নেমে গেল। আর কিছু নেই, তাই অন্যের জমিতে মজুর হয়ে কাজ শুরু করলো।কিছু না হোক অন্তত দুবেলা খাবার জুটতেছে এখন।আর সপ্তাহ শেষে কিছু কিছু সাহায্যকারির টাকা শোধ করে। যদিও টাকা শোধ করার কোন নির্দিষ্ট সময় দেয়নি।বলেছে যখন সুযোগ হবে তখন শোধ করো। তবু সুদ তো দিতে হচ্ছে না বা চক্রবৃদ্ধি আকারে বাড়বেও না।যেটুকু দিতে পারবে তাই কমে যাবে কর্জ থেকে। শুধু এতটুকুই নয় গ্রামের কিছু মানুষ মিলে সমবায় সমিতি করেছে। সেখানে প্রতি সপ্তাহে জমা করে কিছু।এভাবে চলতে লাগলো দিন। শাবুদের দেখে আরও দু একজন ফিরে আসলো এন জি ও-দের জাল থেকে। কিন্তু কিছু এমন ছিল যারা এক ঋণ শোধ করে বড় ঋণ নিতে থাকলো।ওরা শাবুদের টিটকারি করতে লাগলো। (চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৭/১০/২০১৩চমৎকার শুরু।চালিয়ে যান।
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৫/১০/২০১৩কিছু সুবিধাভোগী মানুষ থাকবে যাদের উদাহরণ হিসেবে এনজিওগুলোর গুণগান গাইবে। তাদের কথায় কান না দিলেই হয়। খুব ভালো লাগছে চলুক
-
Înšigniã Āvî ০৪/১০/২০১৩বাকিটাও পড়ার অপেক্ষায়