www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এক টুকরো জমি-৪

মাত্র ৫কাঠা। বড়পক্ষের ৩ভাই থেকে মেঝটার শেষ পর্যন্ত বাড়ির ভিটেও চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। অবশেষে স্ত্রীর টাকায় বেচে যায়। ছোটটারও অর্ধেকের বেশি হাতছাড়া হয়।ছোট চাচার আওয়াজ শুনে সম্বিত ফিরে রেজার। চাচা কি হলো রায় ? তোদের জমি কে নিবে।জোরে শ্বাস ফেললো রেজা। আবার কি হলোরে ? কিছু তো লাভ হলো না ওদের। আসলে কি চেয়েছিল বলতে পারো ?জমি ও তো পেল না। উল্টো হারালো,নিজেদের মামলা চালাতে। না রে খোকা আসল টার্গেট ছিল আমাদের কাউকে খুন করা। জমি দখল ছিল উপলক্ষ।কেন জানিস ? শোন ওদের জমি দখলের এত রেকর্ড আছে যে কোনটা বাবার দেয়া জমি বলতে পারবে না। নিখুতভাবে জাল দলিল করতে ওরা সিদ্ধহস্ত।যুদ্ধের সময় কত হিন্দুর জমি এভাবে নিয়েছে।নে চলতো আর ওসব ভাবতে হবে না।হেলো ! আমার একটু আবদার রাখবেন বাবা। ফিরে তাকালো চাচা ভাতিজা দুজনই। এক ছেড়াফাটা কাপড় গায়ে ফকির পাশের ফুটপাতে শুয়ে। কেউ তার কথায় ভ্রুক্ষেপও করছে না। এগিয়ে গেল রেজা । কি আবদার আমাকে বলা যাবে ? বাবা আমার সময় ঘনিয়ে এসেছে। জানিনা কখন মরে যাই। আমার কবরের জন্য একটু জমি দিবে মানে আমার তো কেউ নেই।রেজা বললো হ্যাঁ ।ফকিরটির মুখে খুশির ঝিলিক দেখা গেল। মাথাটা ডানদিকে ঢলে পড়লো তখনি।রেজা ওতার চাচা নিয়ে গেল সাথে । কবর দিলো নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে । দান করলো এক অসহায়কে এক টুকরো জমি। (শেষ)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৪৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩০/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast