এ কেমন বাঙালি
চাপিলা।ছোট্ট একটি গ্রাম।অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর।মধ্যবিত্ত কিছু আছে।আর ধনী বলতে জমিদার গোষ্ঠীই।এই কৃষক পরিবার থেকে এক নব-দম্পতি বানিজ-সায়েরা।এদের বাপদাদার জন্ম অন্য কোথাও।কিন্তু এরা এখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছে।সময়টা একাত্তরের এপ্রিলের মাঝামাঝি।বিয়ের পর পূর্বপুরুষের পেশা শুরু করলো।দিন ভালই কাটছিল।সারা সপ্তাহ কাজ করে শুক্রবারে হাটবাজার।আর বিকেলবেলা সময় পেলে পাখি শিকারে বের হওয়া।বন্দুক ইয়ারগান কোথায় পাবে।নিজের হাতে তৈরি তীর-ধনুক।শিকার করা নেশা নয় শখে।শিকারে হাত ভালই।বক শালিক ময়না ঘুঘু আর জংলি কবুতর এগুলো শিকার করে।সবসময়ও না।আবার প্রতি সপ্তাহেও না।কাজের চাপে সময় হয় না।তবু একেবারে নিখুত নিশানা।এমনি একদিন শিকার শেষে বাড়ি ফিরে দুটি ঘুঘু নিয়ে।খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যায়।মধ্যরাতে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।তবে কিসের শব্দ বুঝতে পারে না।মানুষের মুখে শুনেছে দেশে নাকি যুদ্ধ শুরু হয়েছে।অন্যায়ভাবে মানুষ মারছে।দেশবাসি যার যা আছে তাই নিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।আগে শুধু ঢাকায়ই ছিল হত্যার এ ঘটনা।ধীরে ধীরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।গত পরশু দুইগ্রাম আগের গ্রামে নাকি এসে গেছে। (চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
אולי כולנו טועים ২৮/১২/২০১৩চলুক ...বেশ ভালো লাগলো প্রথম পর্ব।