দুঃস্বপ্নের পায়রা
কোন ব্যাংক একাউন্টে তার লাখ লাখ টাকা জমানো নেই, জমানো থাকবে কিভাবে! তার যে ব্যাংক একাউন্টই নেই। তাই তাকে প্রতিদিনই পথে নামতে হয় জীবিকার তাগিদে। একসময় ইনকাম ভালোই ছিলো কিন্তু এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নামার কারণে ইনকামেও পড়েছে ভাটা। সংসারের দিকে তাকালে বিশ্রামের চিন্তাকে বহুদূরে পাঠিয়ে দিতে হয়। ঘরে অসুস্থ মা, দুটো ছোট বাচ্চা আর বউ মিলিয়ে পাঁচ জনের সুখী পরিবার। কিন্তু একদিন ঘর থেকে বের না হলেই সুখী পরিবারে আর সুখ থাকেনা। তাই কখনো কখনো অসুস্থতা নিয়ে হলেও তাকে ঘর থেকে বের হতে হয়। তার স্ত্রী যদিও অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যায় তবুও কয় টাকা আর পায়। সে সন্তান দুটোকে মানুষ করার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে তার সন্তান দুটো এই নিয়মতান্ত্রিক সুখী পরিবারটিতে নিয়ে আসবে রোজকার সুখ।
সে হরতালকে সমর্থন করেনা, যদিও হরতালের দিন আর ইনকাম অন্যদিনের চাইতে দু তিনগুণ বেশীই হয়। তবুও তার মনে কাজ করে ভয় এই বুঝি পিকেটাররা তাকে ধরে প্রিয় রিকশাটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার গায়ে আগুন লাগলে সে মানতে পারবে কিন্তু তার জীবিকার্জনের একমাত্র অবলম্বন রিকশাটিতে আগুনের ছোঁয়া লাগলে সেই হয়ত মারাই যাবে।
একটা সময় ছিলো যখন সে মহাজনের রিক্সা চালাত। প্রতিদিন মহাজনের পাওনা মিটিয়ে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে কিনে নিয়েছে এই রিক্সা। কিছু টাকা অবশ্য বউ তার উপার্জন থেকে স্বেচ্ছায় দিয়েছে। যদিও সে নিতে চাইনি, হয়ত বলেছে “আমি ভাদাইম্যা না যে বেট্যাইনের ট্যাহা দিয়া চলুম।”
কখনো কখনো এভাবেই ভয়াবহতা আসে। হয়ত সে নিজের কপালকে দোষ দিবে, বলবে কেন সে গরিব ঘরে গরিব হয়ে জন্ম নিল? কেন সে-ই সকল কষ্টের শিকার হবে? যে কি বুঝবে সব কেন-র উত্তর হয় না।
নিত্যকার সেই ভয় যে তার সামনে এমনি ভাবে চলে আসবে সে তা কখনোই ভাবেনি।
সে শুধু জেনেছিল আজ হরতাল। সে শুধু ভেবেছিলো আজ ইনকাম একটু বেশীই হবে।
আজ অবশ্য প্রতিদিনের চেয়ে তার একটু বেশীই ইনকাম হয়েছে। প্রতিদিন সে শুধু টাকাই উপার্জন করতো আর আজ উপার্জন করলো দুচোখের নোনা জলও।
সে হরতালকে সমর্থন করেনা, যদিও হরতালের দিন আর ইনকাম অন্যদিনের চাইতে দু তিনগুণ বেশীই হয়। তবুও তার মনে কাজ করে ভয় এই বুঝি পিকেটাররা তাকে ধরে প্রিয় রিকশাটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার গায়ে আগুন লাগলে সে মানতে পারবে কিন্তু তার জীবিকার্জনের একমাত্র অবলম্বন রিকশাটিতে আগুনের ছোঁয়া লাগলে সেই হয়ত মারাই যাবে।
একটা সময় ছিলো যখন সে মহাজনের রিক্সা চালাত। প্রতিদিন মহাজনের পাওনা মিটিয়ে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে কিনে নিয়েছে এই রিক্সা। কিছু টাকা অবশ্য বউ তার উপার্জন থেকে স্বেচ্ছায় দিয়েছে। যদিও সে নিতে চাইনি, হয়ত বলেছে “আমি ভাদাইম্যা না যে বেট্যাইনের ট্যাহা দিয়া চলুম।”
কখনো কখনো এভাবেই ভয়াবহতা আসে। হয়ত সে নিজের কপালকে দোষ দিবে, বলবে কেন সে গরিব ঘরে গরিব হয়ে জন্ম নিল? কেন সে-ই সকল কষ্টের শিকার হবে? যে কি বুঝবে সব কেন-র উত্তর হয় না।
নিত্যকার সেই ভয় যে তার সামনে এমনি ভাবে চলে আসবে সে তা কখনোই ভাবেনি।
সে শুধু জেনেছিল আজ হরতাল। সে শুধু ভেবেছিলো আজ ইনকাম একটু বেশীই হবে।
আজ অবশ্য প্রতিদিনের চেয়ে তার একটু বেশীই ইনকাম হয়েছে। প্রতিদিন সে শুধু টাকাই উপার্জন করতো আর আজ উপার্জন করলো দুচোখের নোনা জলও।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ০৪/১০/২০১৩অসাধারন !!! আমি আপ্লুত ...বিষয় ও লেখা আমাকে বিমোহিত করেছে ...
-
Înšigniã Āvî ৩০/০৯/২০১৩ভালো
-
ইব্রাহীম রাসেল ৩০/০৯/২০১৩--পড়লাম--