www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বন্ধী ঈশ্বর

আঠারো হাজার মাখলুকাত জন্ম দিয়ে নিরুদ্দেশ হন ঈশ্বর,
অতঃপর তার সৃষ্টির সকলে ঘুরে বেড়ায় নিজ নিজ কক্ষপথে
আপন গতিতে, তারা খায় দায় মুখস্থ বুলি আওড়ায়
সময় হলেই পৃথিবীতে ঝাঁপ দেয়।

তারপর ধীরে ধীরে জীবের হাত পা বড় হয়
বানের মৌসুমে যেমনি-ভাবে নদীতে জল বাড়ে
তেমনিভাবে তাদের গায়ে মাংস বাড়ে
বিগ ব্যাঙয়ে সৃষ্টি হয় মানুষের মগজ।
এ যেন ছাঁচে ফেলা কাঁদা মাটির খেলা,
এতে ঈশ্বরের কৃতিত্ব কোথায়?

নিরুদ্দেশ ঈশ্বরের সন্ধান কেউ জানে না।

ঈশ্বরের কাছ থেকে বৃষ্টি শিখেছিল
লোনা জল থেকে মিষ্টি পানি তৈরির কৌশল,
তার করুণায় আমরা মিষ্টি পানি পাই।

চাঁদ ও সূর্য মুখস্থ করেছিল তাদের টাইম টেবিল,
তাই ভোর হয়, হয় দুপুর বিকাল সন্ধ্যা ও রাত।

মাটির বুক থেকে ফসলগুলো
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবে
তাহলে তারা বড় হতে পারবে
ঈশ্বরই তাদের তা শিখিয়ে ছিলো,
তাই বীজ পতিত হলে তারা আকাশের দিকে ছুটে
শেকড় কেবল পাতাল সন্ধানে যায়।

পাশাপাশি চলা দুটো সাগর হলো ভাই বোন
তাদের একে অপরের সাথে মিশতে মানা
তাই তারা মিশেনা, একের জল অন্যে করেনা পান
ঈশ্বরই গড়ে দিয়েছেন এই ব্যবধান।

সপ্তম আকাশের উপর থেকে ঈশ্বর সরে গেছেন বহুআগে
এখন আর ঈশ্বর নেই, তাই আসেনা অলৌকিক মোজেজা
সনাতন মোজেজায় আধুনিক পুরুষ আর বিশ্বাসী নয়।

লোক সমাজেও এখন আর ঈশ্বর নেই,
নিরুদ্দেশ ঈশ্বর অবশেষে বন্ধী
ধর্মপসারনিদের হাতে,
তাকে নাকি টাকায় কিনতে পাওয়া যায়!

-১১/সেপ্ট/১৩
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ১০৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • এই কবিতা টির গূঢ় রহস্য খুবই গভীরে।কবি এখানে বিভিন্ন বর্ননার মাধ্যমে ঈশ্বরের রুপ উপস্থাপন করেছেন। তবে সর্বশেষে তিনি ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।সুন্দর হয়েছে।
 
Quantcast