একজন খুদে কবির গল্প
একজন খুদে কবির গল্প
______রহিমুল্লাহ শরীফ
আবুলের দুই ছেলে,
নাট আর বল্টু ৷
বাপ ছেলে তিন মিলে
একসাথে চলতো
আবুল টা চিপচিপে
ছেলে দু'টো মোটকা ৷
খেয়ে দেয়ে কাম নাই
পাদে শুধু ফটকা ৷
... সৌরব, ও সৌরব ! আযান হয়েছে উঠনা রে ৷ আব্বুর ডাক শুনে ঝটপট উঠে পড়লাম ৷ ইশ, কী মজার স্বপ্নটাই না ভেঙ্গে গেল ৷ আর কিছুক্ষণ রাত বাকি থাকলে বেশ বড় একটি ছড়া হয়ে যেত ৷ যখন তখন কি আর ছড়ার বানাবার মোড থাকে ! রাতে শুয়ে শুয়ে কতো চেষ্টা করলাম-একটি লাইনও হল না, অথচ স্বপ্নের মাঝে ছড়ার বাঁধ যখন ভাঙ্গল অমনি আব্বুর ডাক ৷
আমি ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাসে লাইক-কমেন্ট করি ৷ কখনো মন চাইলে সেলফি আপলোড দেই ৷ বন্ধুরা কমেন্টে কতো রকম যে প্রশংসা করে আর লাইকের কথা তো বললামই না ৷ আমিও লাইক-কমেন্টের রিপলেই দেই ৷ এই ছিল আমার এফবি'র গন্ডি ৷ একদিন এক বন্ধুর লেখা একটি ছড়া আমার ওয়ালে ভেসে উঠল ৷ পড়ে বেশ মজা পেলাম ৷ ছোটবেলায় স্কুলে পড়া ছড়াগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো ৷ বড় বড় কবিদের ছড়া—
ভোর হল,
দোর খোল,
খুকুমণি ওঠ রে।
ঐ ডাকে
জুঁই শাখে,
‘ফুল খুকী ছোট রে।
ওয়ালে ভেসে উঠা ছড়াটি ছোটবেলায় পড়া এই ছড়াগুলোর মতোই দাগ কাটলো মনে ৷ এরপর যতদিন যায় বন্ধুটি দারুণ দারুণ ছড়া লিখে পোস্ট করে আর আমি নিয়মিত তার ছড়ার পাঠক হয়ে যায় ৷ শুধু ছড়া না, মাঝে মাঝে গল্পও লিখে ৷ একসময় আমি ফেসবুক মানে বুঝতাম লাইক-কমেন্ট আর ছবি আপলোড করা ৷ এখন ওইসবের চেয়ে আমি এফবি-তে ভাল ভাল লেখকদের খুঁজে বেড়াই ৷ তাদের মনছোঁয়া লেখগুলো একটাও ছাড়ি না ৷ আমার বয়সের অনেককে লিখতে দেখি—ছড়া, কবিতা, গল্প আরো কত কী !
একসময় আমারও মনে ছড়া লেখার স্বাদ জাগে ৷ কিন্তু কীভাবে লিখব, কিছুতেই কিছু হয় না ৷ আমারও ছড়া লেখা হয় না ৷ একদিন একটি ছড়া লিখলাম,
আমি হব রাতজাগা পাখি ৷
আধা-রাতে ঘুম ভেঙ্গে সবাইকে ডাকি ৷
দূর এটা কি কোন ছড়া হল ! ভাল কবি তো ডাকবে না কেউই, ডাকবে কবি চোর ৷ এভাবে অনেক দিন গেল ৷ কোন ছড়া লিখতে না পারলেও ছড়া লেখার স্বাদটা আমাকে ছাড়ল না ৷
আমি হাল ছাড়লাম না ৷ কোন একটা বিষয় হাতে পেলে তা নিয়ে আমি ছড়া লেখার চেষ্টা করি ৷ একদিন শীতের সন্ধায় রাহাতদের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেয়ে সেদিনই আমি সত্যি সত্যি একটি ছড়া লিখে ফেললাম ৷
শীতের পিঠা শীতের পিঠা
ভারি মজা ভাই ৷
এসো এসো সবে মিলে
পেট টি ভরে খাই ৷
এফবি-তে পোস্ট করলে সবাই বিভিন্নভাবে কমেন্ট করল ৷ আমার ভাল লাগল ৷ ঐ দিন থেকে আমার মনে হল, একান্ত আবির-দের মতো না হোক পচা হলেও তো আমি পারি ৷ তারপর থেকে হাবিজাবি লিখতে থাকি ৷ তবে তা আমার মতোই-নিতান্ত সাদামাটা ৷
বোশেখ এলো
পান্তা খেলো
নগ্ন হলো রে ৷
মানুষ নামের
হায়েনারা
মাতাল হলো রে ৷
০৪/০২/২০১৫
....চলবে
______রহিমুল্লাহ শরীফ
আবুলের দুই ছেলে,
নাট আর বল্টু ৷
বাপ ছেলে তিন মিলে
একসাথে চলতো
আবুল টা চিপচিপে
ছেলে দু'টো মোটকা ৷
খেয়ে দেয়ে কাম নাই
পাদে শুধু ফটকা ৷
... সৌরব, ও সৌরব ! আযান হয়েছে উঠনা রে ৷ আব্বুর ডাক শুনে ঝটপট উঠে পড়লাম ৷ ইশ, কী মজার স্বপ্নটাই না ভেঙ্গে গেল ৷ আর কিছুক্ষণ রাত বাকি থাকলে বেশ বড় একটি ছড়া হয়ে যেত ৷ যখন তখন কি আর ছড়ার বানাবার মোড থাকে ! রাতে শুয়ে শুয়ে কতো চেষ্টা করলাম-একটি লাইনও হল না, অথচ স্বপ্নের মাঝে ছড়ার বাঁধ যখন ভাঙ্গল অমনি আব্বুর ডাক ৷
আমি ফেসবুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাসে লাইক-কমেন্ট করি ৷ কখনো মন চাইলে সেলফি আপলোড দেই ৷ বন্ধুরা কমেন্টে কতো রকম যে প্রশংসা করে আর লাইকের কথা তো বললামই না ৷ আমিও লাইক-কমেন্টের রিপলেই দেই ৷ এই ছিল আমার এফবি'র গন্ডি ৷ একদিন এক বন্ধুর লেখা একটি ছড়া আমার ওয়ালে ভেসে উঠল ৷ পড়ে বেশ মজা পেলাম ৷ ছোটবেলায় স্কুলে পড়া ছড়াগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো ৷ বড় বড় কবিদের ছড়া—
ভোর হল,
দোর খোল,
খুকুমণি ওঠ রে।
ঐ ডাকে
জুঁই শাখে,
‘ফুল খুকী ছোট রে।
ওয়ালে ভেসে উঠা ছড়াটি ছোটবেলায় পড়া এই ছড়াগুলোর মতোই দাগ কাটলো মনে ৷ এরপর যতদিন যায় বন্ধুটি দারুণ দারুণ ছড়া লিখে পোস্ট করে আর আমি নিয়মিত তার ছড়ার পাঠক হয়ে যায় ৷ শুধু ছড়া না, মাঝে মাঝে গল্পও লিখে ৷ একসময় আমি ফেসবুক মানে বুঝতাম লাইক-কমেন্ট আর ছবি আপলোড করা ৷ এখন ওইসবের চেয়ে আমি এফবি-তে ভাল ভাল লেখকদের খুঁজে বেড়াই ৷ তাদের মনছোঁয়া লেখগুলো একটাও ছাড়ি না ৷ আমার বয়সের অনেককে লিখতে দেখি—ছড়া, কবিতা, গল্প আরো কত কী !
একসময় আমারও মনে ছড়া লেখার স্বাদ জাগে ৷ কিন্তু কীভাবে লিখব, কিছুতেই কিছু হয় না ৷ আমারও ছড়া লেখা হয় না ৷ একদিন একটি ছড়া লিখলাম,
আমি হব রাতজাগা পাখি ৷
আধা-রাতে ঘুম ভেঙ্গে সবাইকে ডাকি ৷
দূর এটা কি কোন ছড়া হল ! ভাল কবি তো ডাকবে না কেউই, ডাকবে কবি চোর ৷ এভাবে অনেক দিন গেল ৷ কোন ছড়া লিখতে না পারলেও ছড়া লেখার স্বাদটা আমাকে ছাড়ল না ৷
আমি হাল ছাড়লাম না ৷ কোন একটা বিষয় হাতে পেলে তা নিয়ে আমি ছড়া লেখার চেষ্টা করি ৷ একদিন শীতের সন্ধায় রাহাতদের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেয়ে সেদিনই আমি সত্যি সত্যি একটি ছড়া লিখে ফেললাম ৷
শীতের পিঠা শীতের পিঠা
ভারি মজা ভাই ৷
এসো এসো সবে মিলে
পেট টি ভরে খাই ৷
এফবি-তে পোস্ট করলে সবাই বিভিন্নভাবে কমেন্ট করল ৷ আমার ভাল লাগল ৷ ঐ দিন থেকে আমার মনে হল, একান্ত আবির-দের মতো না হোক পচা হলেও তো আমি পারি ৷ তারপর থেকে হাবিজাবি লিখতে থাকি ৷ তবে তা আমার মতোই-নিতান্ত সাদামাটা ৷
বোশেখ এলো
পান্তা খেলো
নগ্ন হলো রে ৷
মানুষ নামের
হায়েনারা
মাতাল হলো রে ৷
০৪/০২/২০১৫
....চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহিদ সিদ্দিকী আলিফ ০৫/১১/২০১৭ছোট্ট কবিটির প্রতিভা বিকশিত হোক..!
-
সোলাইমান ২৮/১০/২০১৭খুব বেশি ভালো লাগলো কবি।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৭/১০/২০১৭কবির সুপ্ত প্রতিভা জেগে উঠুক
-
আজাদ আলী ২৭/১০/২০১৭Valo galpo