ফেরা
(০১)
মাটিতে পোঁতা লম্বা বেঞ্চিতে এক
পা তুলে বসে আছে রিয়াদ ৷ চোখে-মুখে হতাশার
ছাপ ৷ কী যেন ভাবছে গভীর মনে ৷ কিছুক্ষণ পর
রায়হান, আদিল, সৌরভরা একে একে হাজির ৷
পাড়ার চৌরাস্তার মোড়ে জামিল চাচার চা‘র
দোকান ৷ প্রতিদিন দুপুর গডিয়ে পড়ার
সাথে সাথে এরা এসে জড়ো হয় সেখানে ৷ নিয়ম
করে ২০/২২ মিনিট গল্প গুজব করবে ৷ তার পর
সোজা ক্রিকেট খেলার মাঠ ৷
সবাইকে উৎফুল্ল দেখে রিয়াদ প্রশ্ন করল,
তোরা কি কিছু জানিস না?
: কিছু মানে? ক্লিয়ার কর, সৌরভ বলল ৷
: সাজু ভাইয়ের খবর জানিস না ?
: কেন, সাজু ভাইয়ের কী হয়েছে আবার?
: আব্বুর কাছে জানলাম, সকালে নাকি তাঁকে পুলিশ
ধরে নিয়ে গেছে ৷
এবার সবাই হুঁছট খেল ৷ আসলে এমন খবর শুনার
জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলনা ৷
: কেন, এমন কী করেছেন তিনি?
: তা জানি না ৷ রিয়াদ উত্তর দিল ৷
সবার মন খারাপ হয়ে গেল ৷
এমন ভাল মানুষকেও পুলিশের ধরতে হয় !
পাড়ার এই ছেলে গুলো সাজু ভাইকে যে কোন
প্রয়োজনে সবার আগে পায় ৷ তার সাথে এদের
বেশখাতির ৷ সেদিন যখন ক্রিকেট ব্যাট
টা ভেঙ্গে যায়, পরের দিন সাজু ভাই নতুন
একটা ব্যাট নিয়ে মাঠে উপস্থিত ৷
(০২)
সিরাজুল ইসলাম ৷ পাড়ার ছেলদেদের প্রিয় মুখ
একনামে ‘সাজু ভাই‘ ৷ খুবই আন্তরিক একজন মানুষ ৷ এই ক‘দিনে এখানকার
ছেলে -বুড়ো সবার তার গড়ে উঠেছে দারুণ
আন্তরিক সম্পর্ক ৷ অল্প দিনে প্রবেশিদের সাথে হয় উঠে নিভিড় বন্ধন ৷
এদেশের মাটিতে সে আত্মার পরম আত্মীয়দের
ঘ্রাণ খুজে পায় ৷
এখানে প্রতিটি নি:শ্বাসে সে নিজের অস্থিত্বের
সন্ধান অনুভব করে ৷ পাড়ার ছেলেদের যখন
মাঠে খেলতে দেখে, সে ফিরে যায় আঠারো বছর
আগে ফেলে যাওয়া তার স্মৃতি বিজড়িত কৈশরে ৷
উঠতি বয়সের ছেলে মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল খেলে ৷
সাজু ভাই মাঠে এক কোনে বসে তাদের
খেলা দেখে—দ্বীগুণ আনন্দ পায় ৷ সে তাদের
মাঝে নিজেকে খুজে ফিরে ৷ নিজের অজান্তে তার
দুই চোখ ভরে উঠে ৷
শৈশবে তার বাবা মারা যান ৷ একমাত্র বোনটিরও
বিয়ে হয়ে গেছে ৷ বাড়ীতে মা আর সে ৷ একটু বড়
হলেই দূর-সম্পর্কের এক মামার
ছেলে বনে পাড়ি জমায় সিঙ্গাপুর ৷ যাওয়া র দুই
বছেরর মাথায় যখন মায়েরও মৃত্যুর খবর পায়,
মনে হয়েছিল তার যেন পৃতিবীতে আর হারাবার
কিছুই বাকি নেই ৷ সেই থেকে আর
ফেরা হয়ে উঠেনি এই মাতৃভুমিতে ৷
গুনে গুনে আঠারো টি বসন্ত কেটেছে সেই অচিন
বিভুঁই সিঙ্গাপুরে ৷
এতো বছর পর কেন যেন, শিকড়ের মায়ায়
প্রাণে টান পড়ল তার ৷ মাতৃভুমির টান ৷
মাটিতে পোঁতা লম্বা বেঞ্চিতে এক
পা তুলে বসে আছে রিয়াদ ৷ চোখে-মুখে হতাশার
ছাপ ৷ কী যেন ভাবছে গভীর মনে ৷ কিছুক্ষণ পর
রায়হান, আদিল, সৌরভরা একে একে হাজির ৷
পাড়ার চৌরাস্তার মোড়ে জামিল চাচার চা‘র
দোকান ৷ প্রতিদিন দুপুর গডিয়ে পড়ার
সাথে সাথে এরা এসে জড়ো হয় সেখানে ৷ নিয়ম
করে ২০/২২ মিনিট গল্প গুজব করবে ৷ তার পর
সোজা ক্রিকেট খেলার মাঠ ৷
সবাইকে উৎফুল্ল দেখে রিয়াদ প্রশ্ন করল,
তোরা কি কিছু জানিস না?
: কিছু মানে? ক্লিয়ার কর, সৌরভ বলল ৷
: সাজু ভাইয়ের খবর জানিস না ?
: কেন, সাজু ভাইয়ের কী হয়েছে আবার?
: আব্বুর কাছে জানলাম, সকালে নাকি তাঁকে পুলিশ
ধরে নিয়ে গেছে ৷
এবার সবাই হুঁছট খেল ৷ আসলে এমন খবর শুনার
জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলনা ৷
: কেন, এমন কী করেছেন তিনি?
: তা জানি না ৷ রিয়াদ উত্তর দিল ৷
সবার মন খারাপ হয়ে গেল ৷
এমন ভাল মানুষকেও পুলিশের ধরতে হয় !
পাড়ার এই ছেলে গুলো সাজু ভাইকে যে কোন
প্রয়োজনে সবার আগে পায় ৷ তার সাথে এদের
বেশখাতির ৷ সেদিন যখন ক্রিকেট ব্যাট
টা ভেঙ্গে যায়, পরের দিন সাজু ভাই নতুন
একটা ব্যাট নিয়ে মাঠে উপস্থিত ৷
(০২)
সিরাজুল ইসলাম ৷ পাড়ার ছেলদেদের প্রিয় মুখ
একনামে ‘সাজু ভাই‘ ৷ খুবই আন্তরিক একজন মানুষ ৷ এই ক‘দিনে এখানকার
ছেলে -বুড়ো সবার তার গড়ে উঠেছে দারুণ
আন্তরিক সম্পর্ক ৷ অল্প দিনে প্রবেশিদের সাথে হয় উঠে নিভিড় বন্ধন ৷
এদেশের মাটিতে সে আত্মার পরম আত্মীয়দের
ঘ্রাণ খুজে পায় ৷
এখানে প্রতিটি নি:শ্বাসে সে নিজের অস্থিত্বের
সন্ধান অনুভব করে ৷ পাড়ার ছেলেদের যখন
মাঠে খেলতে দেখে, সে ফিরে যায় আঠারো বছর
আগে ফেলে যাওয়া তার স্মৃতি বিজড়িত কৈশরে ৷
উঠতি বয়সের ছেলে মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল খেলে ৷
সাজু ভাই মাঠে এক কোনে বসে তাদের
খেলা দেখে—দ্বীগুণ আনন্দ পায় ৷ সে তাদের
মাঝে নিজেকে খুজে ফিরে ৷ নিজের অজান্তে তার
দুই চোখ ভরে উঠে ৷
শৈশবে তার বাবা মারা যান ৷ একমাত্র বোনটিরও
বিয়ে হয়ে গেছে ৷ বাড়ীতে মা আর সে ৷ একটু বড়
হলেই দূর-সম্পর্কের এক মামার
ছেলে বনে পাড়ি জমায় সিঙ্গাপুর ৷ যাওয়া র দুই
বছেরর মাথায় যখন মায়েরও মৃত্যুর খবর পায়,
মনে হয়েছিল তার যেন পৃতিবীতে আর হারাবার
কিছুই বাকি নেই ৷ সেই থেকে আর
ফেরা হয়ে উঠেনি এই মাতৃভুমিতে ৷
গুনে গুনে আঠারো টি বসন্ত কেটেছে সেই অচিন
বিভুঁই সিঙ্গাপুরে ৷
এতো বছর পর কেন যেন, শিকড়ের মায়ায়
প্রাণে টান পড়ল তার ৷ মাতৃভুমির টান ৷
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রহিমুল্লাহ শরিফ ১৪/১১/২০১৪
-
মাসুম মুনাওয়ার ১৪/১১/২০১৪অপুরব গাথনি
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১৩/১১/২০১৪ধারাবাহিক বলেই মনে হচ্ছে... কিন্তু প্রতিটি পর্বে এক একটি ভাব/নাটকীয়তার সমাপ্তি হলে ভালো লাগে... হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেলে আগাগোড়া বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে।। তাই প্রতিটি পর্বের ও একটা সমাপ্তি চাই তাতে পর্ব কিছুটা বড় হয় হোক না।।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১৩/১১/২০১৪কি ধারাবাহিক নাকি? বাট তাতে ও অসমাপ্ত মনে হল।
-
মোঃ আবদুল করিম ১৩/১১/২০১৪ভালো ,গল্পের শেষ অবধি নিশ্চই আরো ভালো লাগবে
-
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ১৩/১১/২০১৪খুবই দুঃখিত উপরের (০১) টি নজর এড়িয়ে গিয়েছিলো...
-
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ১৩/১১/২০১৪গল্পটি ভালই চলছিল কিন্তু শেষে অসমাপ্ত মনে হল ।
মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ৷
২য় পর্ব পোস্ট করেছি ৷ আশা করি সঙ্গে থাকবেন লেখক-পাঠক হয়ে নয় বরং একই পথে মুসাফির হয়ে ৷ ধন্যবাদ ৷