স্মৃতিচারণ
তখনো আমার যৌবন শুরু হয়নি। নাবালক থেকে সাবালক হওয়ার জন্য যেন অনুমতি চাচ্ছিলাম উপরওয়ালার। হয়তোবা বাইরে যাওয়ার জন্য আম্মুর অনুমতি ঠিকই লাগতো কিন্তু উপরের ছিটকিনিটা খুলতে খুব একটা বেগ পেতে হতোনা। ঢ্যাংগা লম্বা শুটকির মত দেখতে লাগতো আমায়। যদিও তা নিয়ে কোনো আফসোস ছিলোনা আমার। এখনও নেই। তখন আমরা যে এলাকায় থাকতাম সেখানে কিছু বন্ধু ছিলো আমার। কিছু বান্ধবীও ছিলো বটে। তবে ওই বয়সটাতে দুটোই এক। আমরা প্রতিদিন মিট করতাম। হয়তো গুগুল মিটে বসে মাঝরাতে মুভি দেখতাম না একসাথে। আমরা মিট করতাম বিকেলে। সুন্দর বিকেলে টঙে বসে চা বিড়িও খেতাম না। কিন্তু ময়লা ড্রেন থেকে বল তুলে ওয়ালে তিন ড্রপ দেওয়াটা যেন নিকোটিন থেকে বেশি সুখকর ছিলো। আমার ওই সময়টাকে যে শৈশব বলা হয় সেটাও জানতাম না তখন। কারণ আমি যুবক হতে চাইতাম। শৈশবে আমি জাদুর শহর ঢাকায় থাকতাম না। কিন্তু ছোট্ট মফস্বল শহরটাতে সুখের অভাব ছিলোনা। সেই ছোট্ট সুখী শহরটা আজ অনেক উন্নত। উন্নতি ভালো এবং দুঃখজনক। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমাদের ওই এলাকাতে আমাদের বাড়িওয়ালাদের বিল্ডিংসহ মোট ৫ টা বিল্ডিং ৪ তলা ছিলো সর্বোচ্চ। আজ আমাদের বাড়িওয়ালাদের বিল্ডিংটাই একমাত্র ৪ তলা। বাকী সব গুনলে ৫ পার হবে ঠিকই। মূলত এইজন্যেই উন্নতি দুঃখজনক কিনা বলতে পারছিনা সঠিক। তবে একদিন বলে দিবো। আজ আমি স্মৃতিচারণ করতে সেখানে গিয়েছিলাম। আশ্চর্য কেও আমাকে চিনলোই না। তাদের দোষ দিয়েই বা লাভ কি। আমিও তো কাওকে চিনলাম না। অথচ একটা সময় ছিলো কিনা যখন এই এলাকায় লম্বু ফাহিম ব্যাপক পরিচিত ছিলো। কারণ আমার একটা ব্যাট আর একটা ৩ ডিয়ার এর ফুটবল ছিলো। সেগুলো আজকে নেই বলে আজ কেও চিনলোনা। নো নো নো, দিস ইজ নট ফেয়ার!!! কিভাবে এত বদলে যায় মানুষ, শহর, দুনিয়া। কিভাবে!!!!!!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৩/০৪/২০২১তাই হয়। সময়ের সাথে স্মৃতি হারিয়ে যায়।
-
Biswanath Banerjee ২২/১০/২০২০GOOD
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৮/১০/২০২০অনুপম