এই গল্পের কোন নাম নেই
এইত সেদিনের কথা ,
একটা লোক আমার সামনে বসে ছিল চোখে মোটা ফ্রেমের গ্লাস , গ্লাসের উপর দিয়ে দুই একবার আমাকে দেখতে চেষ্টা করলো ,
একবার তো চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো , প্রায় এক ঘণ্টার নীরবতা ভেঙে আমি বললাম আমরা কি শুধুই চুপ করে বসে থাকবো ?
নাকি কোন কথা বলবো ? সে একটু নার্ভাস হয়ে বলে বসলো আপনি চায়ে কয় চামচ চিনি খান ?
আমি বললাম বেশি না এক চামচ আর একটু !!!
ঐ কথাটাই ছিল শেষ কথা , আমি বুঝতে পারলাম লোকটা ভীষণ নার্ভাস !!!
বাসায় যাওয়া মাত্র মা আমাকে এসে বললেন ছেলের তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে । তোমার কেমন লাগলো ?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না , কি বলা উচিৎ বা কি উচিৎ না !!
বললাম তোমরা যা ভালো বোঝো তাই করো ।
আমার বিয়ে হয়ে গেলো সেই মোটা চশমার ফ্রেমের এক সাদাসিদে লোকের সাথে ,
যা ছিল আমার পছন্দের সম্পূর্ণ বিপরীত!!!
আমার পছন্দের কেউ একজন ছিল , ছন্নছাড়া একজন মানুষ কিন্তু আমার জন্য তার ছিল অপরিসীম ভালবাসা ,
আমিও তার জন্য পাগল ছিলাম বৈকি । সে চরম মাত্রায় কাপুরুষ একজন মানুষ , তার কাছে প্রেমিকার দায়ভার অনেক বেশি মনে হয়েছিলো ,
সে কোন বোতলের পানি হতে চায় নি বঙ্গোপসাগরের পানি হতে চেয়েছিল , প্রেম করতে চেয়েছিল কিন্তু বিয়ে বড্ড বেশি বেমানান শব্দ !!! যা তার অভিধানে নেই ।
তার জন্য পরিবারে এতটাই তুচ্ছ হয়ে পড়েছিলাম যে কারনে পরিবারের কেউ বিয়েতে আমার মতামত জানার প্রয়োজন মনে করে নি , জিজ্ঞেস করার জন্য জিজ্ঞেস করেছিলেন। এই যা ...
ঐ অপরিচিত লোকটার সাথে আমার জীবন শুরু হল ,
বাসর রাতেই আমি বুঝতে পারি লোকটা ভীষণ পরিমানে সাধারন ।
বিয়ের রাতে দুটি কথা যা হল সেই বলল আজকের রান্নায় ঝাল বেশি ছিল , তোমার খেতে সমস্যা হয় নি তো ?
আরেকটি হল আমি না লাইট নেভালে ঘুমাতে পারি না , লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালে তোমার কোন সমস্যা হবে না তো ?
আমি উত্তরে বললাম না কোন সমস্যা নাই আপনি ঘুমান !!!
বিয়ের প্রায় পাঁচ দিন পর সে আমার হাত ধরার অনুমুতি চাইল কিন্তু লজ্জায় হাতটাও ধরতে পারছিল না বেচারা ,
প্রথম দিনের মত আমি সেই দিন ও নিজ থেকেই তার হাতটি ধরলাম ,
সেই যে ধরলাম আজও ধরে আছি শক্ত করে , আঁটটি বছর ধরে , আমি ধরে আছি বললে ভুল হবে এই সাদাসিদে মানুষটি আমার হাত দুটি শক্ত করে ধরে রেখেছেন ,
আমার মনে পরে আমি তার বুকে মাথা রেখে একসময় অন্য কারো জন্য কাঁদতাম আমার কান্না যে তার জন্য না সেটা সে ভালো ভাবেই বুঝতে পারতো , কখনো কিছুই বলতো না উল্টো আমার মন ভালো করার জন্য সব রকম চেষ্টাই সে করতো । আমি একটা মায়ায় আবদ্ধ হতে শুরু করলাম আর বুঝতে শুরু করলাম শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট না ভালবাসার মানুষটির সবটুকু কষ্ট নিজের করে নেওয়ার মাঝেই সব কিছু নির্ভর করে।
রাত প্রায় তিনটা , আমার পাশের মানুষটি ঘুমোচ্ছে , লাইট জ্বালানো , আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে , বেচারা এখনো অন্ধকারে ঘুমাতে পারে না ,
হটাৎ পরম ভালবাসায় তার মাথায় হাত রাখলাম
ঠিক তখনই ঘুম ঘুম চোখে বলে উঠলো বউটা তুমি এখনো ঘুমোও নি ???
একটা লোক আমার সামনে বসে ছিল চোখে মোটা ফ্রেমের গ্লাস , গ্লাসের উপর দিয়ে দুই একবার আমাকে দেখতে চেষ্টা করলো ,
একবার তো চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো , প্রায় এক ঘণ্টার নীরবতা ভেঙে আমি বললাম আমরা কি শুধুই চুপ করে বসে থাকবো ?
নাকি কোন কথা বলবো ? সে একটু নার্ভাস হয়ে বলে বসলো আপনি চায়ে কয় চামচ চিনি খান ?
আমি বললাম বেশি না এক চামচ আর একটু !!!
ঐ কথাটাই ছিল শেষ কথা , আমি বুঝতে পারলাম লোকটা ভীষণ নার্ভাস !!!
বাসায় যাওয়া মাত্র মা আমাকে এসে বললেন ছেলের তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে । তোমার কেমন লাগলো ?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না , কি বলা উচিৎ বা কি উচিৎ না !!
বললাম তোমরা যা ভালো বোঝো তাই করো ।
আমার বিয়ে হয়ে গেলো সেই মোটা চশমার ফ্রেমের এক সাদাসিদে লোকের সাথে ,
যা ছিল আমার পছন্দের সম্পূর্ণ বিপরীত!!!
আমার পছন্দের কেউ একজন ছিল , ছন্নছাড়া একজন মানুষ কিন্তু আমার জন্য তার ছিল অপরিসীম ভালবাসা ,
আমিও তার জন্য পাগল ছিলাম বৈকি । সে চরম মাত্রায় কাপুরুষ একজন মানুষ , তার কাছে প্রেমিকার দায়ভার অনেক বেশি মনে হয়েছিলো ,
সে কোন বোতলের পানি হতে চায় নি বঙ্গোপসাগরের পানি হতে চেয়েছিল , প্রেম করতে চেয়েছিল কিন্তু বিয়ে বড্ড বেশি বেমানান শব্দ !!! যা তার অভিধানে নেই ।
তার জন্য পরিবারে এতটাই তুচ্ছ হয়ে পড়েছিলাম যে কারনে পরিবারের কেউ বিয়েতে আমার মতামত জানার প্রয়োজন মনে করে নি , জিজ্ঞেস করার জন্য জিজ্ঞেস করেছিলেন। এই যা ...
ঐ অপরিচিত লোকটার সাথে আমার জীবন শুরু হল ,
বাসর রাতেই আমি বুঝতে পারি লোকটা ভীষণ পরিমানে সাধারন ।
বিয়ের রাতে দুটি কথা যা হল সেই বলল আজকের রান্নায় ঝাল বেশি ছিল , তোমার খেতে সমস্যা হয় নি তো ?
আরেকটি হল আমি না লাইট নেভালে ঘুমাতে পারি না , লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালে তোমার কোন সমস্যা হবে না তো ?
আমি উত্তরে বললাম না কোন সমস্যা নাই আপনি ঘুমান !!!
বিয়ের প্রায় পাঁচ দিন পর সে আমার হাত ধরার অনুমুতি চাইল কিন্তু লজ্জায় হাতটাও ধরতে পারছিল না বেচারা ,
প্রথম দিনের মত আমি সেই দিন ও নিজ থেকেই তার হাতটি ধরলাম ,
সেই যে ধরলাম আজও ধরে আছি শক্ত করে , আঁটটি বছর ধরে , আমি ধরে আছি বললে ভুল হবে এই সাদাসিদে মানুষটি আমার হাত দুটি শক্ত করে ধরে রেখেছেন ,
আমার মনে পরে আমি তার বুকে মাথা রেখে একসময় অন্য কারো জন্য কাঁদতাম আমার কান্না যে তার জন্য না সেটা সে ভালো ভাবেই বুঝতে পারতো , কখনো কিছুই বলতো না উল্টো আমার মন ভালো করার জন্য সব রকম চেষ্টাই সে করতো । আমি একটা মায়ায় আবদ্ধ হতে শুরু করলাম আর বুঝতে শুরু করলাম শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট না ভালবাসার মানুষটির সবটুকু কষ্ট নিজের করে নেওয়ার মাঝেই সব কিছু নির্ভর করে।
রাত প্রায় তিনটা , আমার পাশের মানুষটি ঘুমোচ্ছে , লাইট জ্বালানো , আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে , বেচারা এখনো অন্ধকারে ঘুমাতে পারে না ,
হটাৎ পরম ভালবাসায় তার মাথায় হাত রাখলাম
ঠিক তখনই ঘুম ঘুম চোখে বলে উঠলো বউটা তুমি এখনো ঘুমোও নি ???
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবিদ আল আহসান ১৭/০৩/২০১৫অসাধারণ
-
স্বপ্নীল মিহান ০৬/০৩/২০১৫ভালোলাগলো। ভালোবাসা ঘিরে নতুন জিবন পাক উনারা। স্মৃতি ত কেবল বিষাদ।
-
অভিজিৎ ব্ড়ুয়া ০৫/০৩/২০১৫বেশ ভাল।
-
মোহাম্মদ রফিক ০২/০৩/২০১৫ফেলে আসা দিন গুলো স্মৃতিতেই জমা থাক, যে ভালোবাসা অতীত হয়েছে তাকে আর কাছে না ডেকে যতটুকু ভালোবাসা আছে তা উজার করে দিন পাশে শোয়া মানুষটাকে।
-
সহিদুল ইসলাম ০২/০৩/২০১৫প্রতারনা, চড়ম প্রতারনা।
-
জহির রহমান ০১/০৩/২০১৫
-
সহিদুল হক ০১/০৩/২০১৫বোন ফাহমিদা, আগেও বলেছি তোমার গল্প লেখার হাত বেশ ভাল। তুমি 'গল্প-কবিতা ডট কমে' লিখলে পুরস্কার পেতে পারো।
-
অ ০১/০৩/২০১৫মিষ্টি ভালোবাসার গল্প ।
বেশ রোমান্টিক ।