অন্ধকার সন্ধ্যায় লাল কৃষ্ণচূড়া
কিছু কিছু জায়গা থাকে যে জায়গাটা মানুষের খুব পছন্দের যেখানে গেলে অদ্ভুত ভাবেই মনটা ভালো হয়ে যায় , এই পাড়ায় তেমন একটা জায়গা হল এক তলা বাসার ছাদ। ছাদ টা ছোট কিন্তু ঝুলে পড়া কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়া এসে পরে , ফেব্রুয়ারি মাসে যখন কৃষ্ণচূড়া ফুলে গাছটা ভরে যায় তখন সামান্য বাতাসে ফুলের পাপড়ি এসে গাল ছুঁয়ে দেয় , আর কোকিলের গানে চারিদিক মোহিত হয়ে পরে ,
তখন নিজেকে অন্যান্য সাধারন আর দশটা মেয়ের মতই মনে হয় , মনে হয় আমিও খুব সাধারন একটা মেয়ে মনে হয় জীবনের খুব বড় কোন বিষাদ আমাকে ছুঁয়ে যায় নি , মনে হয় আমি এই পল্লীর কেউ নই ! মনে হয় যা যা ঘটে গেছে সব দুঃস্বপ্ন ছিল যা ঘুম কেটে ওঠার পর অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে ।
বেশি দিন আগের কথা না ২ বছর আগের কথা , কলেজ পাশ করে ঢাকায় আসি নরসিংদী থেকে , বাবা মা মরা এতিম কোন মেয়েকে মামা মামি ইন্টার পর্যন্ত পড়িয়েছেন এই বা কম কি ? চাকরির কথা যে বলে নিয়ে এসে ছিল সে নিত্তাতন্তই একজন খারাপ মানুষ ছিল ,
আমাকে নিয়ে আসে এক অজানা জায়গায় মাত্র ছয়হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় , য , আমার নামের আগে যুক্ত হয় এক পদবি যার নাম পতিতা , আমি ভুলে যেতে থাকি আমার নাম , আমার পরিচয় , আমার সব অস্তিত্ব ,
যে লোকটা আমাকে বেঁচে দিয়েছিল সেও কিন্তু আমাকে ছাড়ে নি !!! আমাকে বিক্রি করার আরেকটা শর্ত ছিল আমাকে ভোগ করা । ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম , একটা জীবনের যেখানে কোন বিষাদ থাকবে না । কিন্তু ঐ রাতে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিলো , আমি আমার জীবনের কঠিন মুহূর্ত পার করছিলাম , চিৎকার দিচ্ছিলাম কারো কানে হয়ত সেই চিৎকার পৌঁছায়নি ,
আমার কান্নার সাক্ষী হয়েছিল এই এক তলা বাড়ির দেয়াল ,
সময় যেতে লাগলো , নিজের দুর্ভাগ্য মেনে নিতে চেষ্টা করতে চাইলাম তবু কেন যেন মেনে নিতে পারছিলাম না , এই পাড়ার সর্দার ছিল আঙ্গুরি নামক এক মহিলা , আমি আমার জীবনে এত খারাপ মানুষ দেখিনি , সে আমার উপর দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়েছে , এক বারের বলায় কাস্টমারের কাছে যেতে না চাইলে বেত দিয়ে মারত , শিক গরম করে ছ্যাঁক দিতো পিঠে , আর থাকতো খাবার বন্ধ ,এতটাই খারাপ ছিল যে মাঝে মাঝে পানি পর্যন্ত বন্ধ করে দিত , এটা শুধু আমার কাহিনী না , এই পাড়ার প্রায় প্রত্যেকটা মেয়ের সাথে চলত এই এক কাহিনী । কেউ এই লাইনে সহজ ভাবে আসে নি । এক একটা মেয়ের গল্প এক এক রকম , কিন্তু এরা সবাই এক , সমাজ শুধু যাদের খারাপ দিকটা দেখে কিন্তু কেউ এদের জীবনের গল্পটা জানতে চায় না । কেউ চায় না এদের মুক্তি দিতে , সমাজের ভালো মুখোশ ধারী পুরুষেরা নিজের পরিবারের আড়ালে এদের কাছে না আসলে কি এদের ব্যবসা চলত ? এই সব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না । সব দোষ গিয়ে পরে মেয়ে গুলোর উপর ,
দিন যেতে লাগলো এক সময় আমিও অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম , প্রত্যেকটা রাত কাটতে লাগলো ঘোরের মধ্যে , এক একটা রাতকে দুঃস্বপ্নের জায়গায় বসাতাম ভাবতাম আর তো অল্প কিছু সময় একটু পর সকাল হবে দুঃস্বপ্ন কেটে যাবে , নতুন সূর্য নতুন কিছু স্বপ্ন নিয়ে আসবে , কিন্তু দুঃস্বপ্ন শেষ হত না , আমার যখন মনে হতে লাগলো আমার দুঃস্বপ্ন হয়তো মৃত্যু অবধি চলতে থাকবে , ঠিক তখন আমি আমার মধ্যে নতুন প্রাণের অস্তিত্ব খুজে পেলাম , বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার ভেতর বেড়ে উঠছে , বুঝতে পারলাম আমার হৃদস্পন্দনের সাথে আর একটা ছোট্ট মানুষের হৃদস্পন্দিত হচ্ছে , আমি বুঝতে পারলাম কেউ একজন চাচ্ছে আমার জীবন বদলে দিতে , আমি আবার স্বপ্ন দেখবো তাকে নিয়ে , তাকে ঘিরে সাজাবো নতুন জীবন বেড়িয়ে আসব এই দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে । আমি জানতাম না এই ছোট্ট শিশুটির বাবা কে , জানার কথাও ছিল না জানি , জানার প্রয়োজনও মনে করি নি ,
কারন কি হবে পরিচয় জেনে ? যে পুরুষ এই শিশুটির পিতা সে কি ভালো মানুষ ? এই শিশুটি আমার অংশ , আর কারো না , কাউকে দরকার নেই তার , আমি তার মা , !
যখন মনে হল আমি তার মা , তখনই একটা শঙ্কা কাজ করতে থাকলো নিজের ভেতর , আমি বাঁচাতে পারবো তো তাকে ? আমার শেষ অবলম্বনটাকে ? কি জানি ?
আমি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম , স্বপ্ন গুলো ডাল পালা গজাতে শুরু করলো , নতুন নতুন দিন নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসতে শুরু করলো ,আমি অনুভব করতাম আমার ভেতর কেউ একজন তার আলতো হাতের ইশারায় আমাকে ডাকছে , আমি ধীরে ধীরে আমার অস্তিত্বটাকে তার মধ্যে বিলীন করতে শুরু করলাম , আমার আবারও দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম কিন্তু সেই দুঃস্বপ্ন গুলো ঘুম ভাঙ্গার পর আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দিত , আমি দেখতাম একটা ছোট্ট শিশু খেলতে খেলতে পড়ে যাচ্ছে , আমি দৌড়ে শিশুটির কাছে যেতেই সে আমাকে বলে উঠত মা আমি ব্যথা পাই নি তো , তার আধো আধো কথা শুনে আমার মুখের হাসি আমি স্পষ্ট বুঝতে পারতাম , আমি দেখতাম একটা বাচ্চা আমার চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমি ভাতের বাটি হাতে তার পেছন পেছন ছুটছি আর বলছি 'বাবাই এই তো শেষ আর মাত্র একটা , কিন্তু কে শোনে কার কথা !!
আমার সকাল গুলো নতুন জীবন এনে দিত আমি চাইতাম আমার বাচ্চাটা বেড়ে উঠুক এই পৃথিবীর বুকে , এবং গর্ব করে বলুক তুমি আমার তুমি আমার '' মা '' ।
মাঝে মাঝেই নানা ধরনের বাহানা বানিয়ে নিজেকে আড়াল করতাম আঙ্গুরি নামক খারাপ মহিলার কাছ থেকে ,
হটাৎ বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামলো,গোধূলির রাঙা আলো বিলীন হতে লাগলো , সন্ধ্যার কালো ছায়া আমার উপর পড়লো । ঠিক কিছুক্ষণ পর আমার ডাক পড়লো কাস্টমারের কাছে , বেশ কিছুদিন যাবত এই সেই বাহানা ধরেছি , আঙ্গুরি আপাকে বলেছি মেয়েলি সমস্যা , কিন্তু এই ভাবে কত দিন ? এক দিন না এক দিন তো টের পেয়েই যাবে ,
অনেক সাহস করে আজও গেলাম তার কাছে , আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারলাম তার আমার কথা বিশ্বাস হয় নি ,
সে আমাকে টেনে নিয়ে গেলো বাথরুমে তারপর যা হবার তাই হল ,
অনেক গুলো থাপ্পড় খেলাম , আমাকে জোড় করে পাঠানো হল কাস্টমারের কাছে , আমি যেতে চাচ্ছিলাম না চিৎকার করছিলাম আমাকে নিয়ে যেও না আমার বাচ্চাটাকে মেরো না তোমরা , ওরা আমাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেলো , কেউ আমার কোন কথা শুনলো না , ঐ লোকটা আমার সাথে জোড়াজুড়ি করতে শুরু করলো , আমি মাথা ঘুরে পরে গেলাম ,
আমার শেষ মুহূর্তে মনে হল একটা ছোট্ট শিশু আমার দিকে এগিয়ে আসছে ,
ছোট্ট ছোট্ট পা দিয়ে ,
আমি দু হাত প্রশস্থ করে বসে আছি , আর বলছি
‘’বাবাই বলতো আমি তোমার কে ? সে তার মিষ্টি কণ্ঠে বলে উঠলো
তুমি আমার , তুমি আমার মা...’’ ।
তখন নিজেকে অন্যান্য সাধারন আর দশটা মেয়ের মতই মনে হয় , মনে হয় আমিও খুব সাধারন একটা মেয়ে মনে হয় জীবনের খুব বড় কোন বিষাদ আমাকে ছুঁয়ে যায় নি , মনে হয় আমি এই পল্লীর কেউ নই ! মনে হয় যা যা ঘটে গেছে সব দুঃস্বপ্ন ছিল যা ঘুম কেটে ওঠার পর অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে ।
বেশি দিন আগের কথা না ২ বছর আগের কথা , কলেজ পাশ করে ঢাকায় আসি নরসিংদী থেকে , বাবা মা মরা এতিম কোন মেয়েকে মামা মামি ইন্টার পর্যন্ত পড়িয়েছেন এই বা কম কি ? চাকরির কথা যে বলে নিয়ে এসে ছিল সে নিত্তাতন্তই একজন খারাপ মানুষ ছিল ,
আমাকে নিয়ে আসে এক অজানা জায়গায় মাত্র ছয়হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় , য , আমার নামের আগে যুক্ত হয় এক পদবি যার নাম পতিতা , আমি ভুলে যেতে থাকি আমার নাম , আমার পরিচয় , আমার সব অস্তিত্ব ,
যে লোকটা আমাকে বেঁচে দিয়েছিল সেও কিন্তু আমাকে ছাড়ে নি !!! আমাকে বিক্রি করার আরেকটা শর্ত ছিল আমাকে ভোগ করা । ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম , একটা জীবনের যেখানে কোন বিষাদ থাকবে না । কিন্তু ঐ রাতে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিলো , আমি আমার জীবনের কঠিন মুহূর্ত পার করছিলাম , চিৎকার দিচ্ছিলাম কারো কানে হয়ত সেই চিৎকার পৌঁছায়নি ,
আমার কান্নার সাক্ষী হয়েছিল এই এক তলা বাড়ির দেয়াল ,
সময় যেতে লাগলো , নিজের দুর্ভাগ্য মেনে নিতে চেষ্টা করতে চাইলাম তবু কেন যেন মেনে নিতে পারছিলাম না , এই পাড়ার সর্দার ছিল আঙ্গুরি নামক এক মহিলা , আমি আমার জীবনে এত খারাপ মানুষ দেখিনি , সে আমার উপর দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়েছে , এক বারের বলায় কাস্টমারের কাছে যেতে না চাইলে বেত দিয়ে মারত , শিক গরম করে ছ্যাঁক দিতো পিঠে , আর থাকতো খাবার বন্ধ ,এতটাই খারাপ ছিল যে মাঝে মাঝে পানি পর্যন্ত বন্ধ করে দিত , এটা শুধু আমার কাহিনী না , এই পাড়ার প্রায় প্রত্যেকটা মেয়ের সাথে চলত এই এক কাহিনী । কেউ এই লাইনে সহজ ভাবে আসে নি । এক একটা মেয়ের গল্প এক এক রকম , কিন্তু এরা সবাই এক , সমাজ শুধু যাদের খারাপ দিকটা দেখে কিন্তু কেউ এদের জীবনের গল্পটা জানতে চায় না । কেউ চায় না এদের মুক্তি দিতে , সমাজের ভালো মুখোশ ধারী পুরুষেরা নিজের পরিবারের আড়ালে এদের কাছে না আসলে কি এদের ব্যবসা চলত ? এই সব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না । সব দোষ গিয়ে পরে মেয়ে গুলোর উপর ,
দিন যেতে লাগলো এক সময় আমিও অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম , প্রত্যেকটা রাত কাটতে লাগলো ঘোরের মধ্যে , এক একটা রাতকে দুঃস্বপ্নের জায়গায় বসাতাম ভাবতাম আর তো অল্প কিছু সময় একটু পর সকাল হবে দুঃস্বপ্ন কেটে যাবে , নতুন সূর্য নতুন কিছু স্বপ্ন নিয়ে আসবে , কিন্তু দুঃস্বপ্ন শেষ হত না , আমার যখন মনে হতে লাগলো আমার দুঃস্বপ্ন হয়তো মৃত্যু অবধি চলতে থাকবে , ঠিক তখন আমি আমার মধ্যে নতুন প্রাণের অস্তিত্ব খুজে পেলাম , বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার ভেতর বেড়ে উঠছে , বুঝতে পারলাম আমার হৃদস্পন্দনের সাথে আর একটা ছোট্ট মানুষের হৃদস্পন্দিত হচ্ছে , আমি বুঝতে পারলাম কেউ একজন চাচ্ছে আমার জীবন বদলে দিতে , আমি আবার স্বপ্ন দেখবো তাকে নিয়ে , তাকে ঘিরে সাজাবো নতুন জীবন বেড়িয়ে আসব এই দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে । আমি জানতাম না এই ছোট্ট শিশুটির বাবা কে , জানার কথাও ছিল না জানি , জানার প্রয়োজনও মনে করি নি ,
কারন কি হবে পরিচয় জেনে ? যে পুরুষ এই শিশুটির পিতা সে কি ভালো মানুষ ? এই শিশুটি আমার অংশ , আর কারো না , কাউকে দরকার নেই তার , আমি তার মা , !
যখন মনে হল আমি তার মা , তখনই একটা শঙ্কা কাজ করতে থাকলো নিজের ভেতর , আমি বাঁচাতে পারবো তো তাকে ? আমার শেষ অবলম্বনটাকে ? কি জানি ?
আমি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম , স্বপ্ন গুলো ডাল পালা গজাতে শুরু করলো , নতুন নতুন দিন নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসতে শুরু করলো ,আমি অনুভব করতাম আমার ভেতর কেউ একজন তার আলতো হাতের ইশারায় আমাকে ডাকছে , আমি ধীরে ধীরে আমার অস্তিত্বটাকে তার মধ্যে বিলীন করতে শুরু করলাম , আমার আবারও দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম কিন্তু সেই দুঃস্বপ্ন গুলো ঘুম ভাঙ্গার পর আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দিত , আমি দেখতাম একটা ছোট্ট শিশু খেলতে খেলতে পড়ে যাচ্ছে , আমি দৌড়ে শিশুটির কাছে যেতেই সে আমাকে বলে উঠত মা আমি ব্যথা পাই নি তো , তার আধো আধো কথা শুনে আমার মুখের হাসি আমি স্পষ্ট বুঝতে পারতাম , আমি দেখতাম একটা বাচ্চা আমার চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমি ভাতের বাটি হাতে তার পেছন পেছন ছুটছি আর বলছি 'বাবাই এই তো শেষ আর মাত্র একটা , কিন্তু কে শোনে কার কথা !!
আমার সকাল গুলো নতুন জীবন এনে দিত আমি চাইতাম আমার বাচ্চাটা বেড়ে উঠুক এই পৃথিবীর বুকে , এবং গর্ব করে বলুক তুমি আমার তুমি আমার '' মা '' ।
মাঝে মাঝেই নানা ধরনের বাহানা বানিয়ে নিজেকে আড়াল করতাম আঙ্গুরি নামক খারাপ মহিলার কাছ থেকে ,
হটাৎ বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামলো,গোধূলির রাঙা আলো বিলীন হতে লাগলো , সন্ধ্যার কালো ছায়া আমার উপর পড়লো । ঠিক কিছুক্ষণ পর আমার ডাক পড়লো কাস্টমারের কাছে , বেশ কিছুদিন যাবত এই সেই বাহানা ধরেছি , আঙ্গুরি আপাকে বলেছি মেয়েলি সমস্যা , কিন্তু এই ভাবে কত দিন ? এক দিন না এক দিন তো টের পেয়েই যাবে ,
অনেক সাহস করে আজও গেলাম তার কাছে , আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারলাম তার আমার কথা বিশ্বাস হয় নি ,
সে আমাকে টেনে নিয়ে গেলো বাথরুমে তারপর যা হবার তাই হল ,
অনেক গুলো থাপ্পড় খেলাম , আমাকে জোড় করে পাঠানো হল কাস্টমারের কাছে , আমি যেতে চাচ্ছিলাম না চিৎকার করছিলাম আমাকে নিয়ে যেও না আমার বাচ্চাটাকে মেরো না তোমরা , ওরা আমাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেলো , কেউ আমার কোন কথা শুনলো না , ঐ লোকটা আমার সাথে জোড়াজুড়ি করতে শুরু করলো , আমি মাথা ঘুরে পরে গেলাম ,
আমার শেষ মুহূর্তে মনে হল একটা ছোট্ট শিশু আমার দিকে এগিয়ে আসছে ,
ছোট্ট ছোট্ট পা দিয়ে ,
আমি দু হাত প্রশস্থ করে বসে আছি , আর বলছি
‘’বাবাই বলতো আমি তোমার কে ? সে তার মিষ্টি কণ্ঠে বলে উঠলো
তুমি আমার , তুমি আমার মা...’’ ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোবারক হোসেন ০৮/০৬/২০১৫
-
জাহিদুর রহমান ১১/০২/২০১৫বাস্তব প্রেক্ষাপটে অনেক ভাল লিখেছেন।
-
জয়শ্রী রায় ০৯/০২/২০১৫সমাজে নারীদের এক অংশের কথা তুলে ধরেছেন । বাস্তব প্রেক্ষাপটে চমৎকার লিখেছেন । শুভেচ্ছা রইল ।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৯/০২/২০১৫দারুণ ...।চমৎকার লিখা...।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৯/০২/২০১৫আপনার লেখা অনেক ভালো লাগতো। বাট আপনি যে এত বড় মাপের লেখা লিখতে পারেন তা জানতাম না। অনেক ভালো লাগলো।
-
অ ০৮/০২/২০১৫চমৎকার ।
ভালো লাগল পড়ে ।
সত্যি আপনি জেগে গেছেন।শুভ হোক আপনার পথ চলা।
ধন্যবাদ।