সমন্বয় সীমা (শেষ পর্ব )
অবনী
কেমন আছো পিয়াস ...
ভালোই তুমি কেমন আছো ?
অনেক ভালো ... তোমাকে একটা কথা বলার জন্য ফোন করেছি ... আমি বিয়ে করছি আগামী মাসেই বিয়ে ।। সবুজের সাথে ।।
ও আচ্ছা ... তো সবুজ টা আবার কে ?
আরে বললাম না সবুজ , যার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল ...
ও আচ্ছা।। ভালো ...
ভালো মানে ?
ভালো মানে হচ্ছে গুড ।।
আমি কি ইংরেজি জানতে চেয়েছি ?
আচ্ছা বাদ দেও ...তা কবে বিয়ে তোমার ?
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ।।
ও আচ্ছা ... আচ্ছা অবনী ... তোমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল ।। দুই এক দিনের মধ্যে দেখা করতে পারবে ?
কি কথা ?
কথা গুলো দেখা হলেই বলি ?
আচ্ছা ঠিক আছে ? কবে কথায় কখন ...
কালকে আসতে পারবে ? আশুলিয়ায় ... বিকেল ৫ টায় ?
পারব ... ওকে আমি থাকবো তুমিও টাইম মতো চলে এসো .....
ফোন রেখেই অবনী খুশিতে আত্মহারা যত দিনই লাগুক পিয়াস তো বুঝতে পেরেছে অবনীকে সে ভালবাসে তাতেই সে খুশি...
মাটির দিকে তাকিয়ে বসে আছে পিয়াস ... খুব কষ্ট হচ্ছে তার... কষ্টটার কারন আজ স্পষ্ট তার কাছে ... নিজেকে পুতুল মনে হচ্ছে ... অবনীর খেলার পুতুল ... এত দিন খেলল অবনী তাকে নিয়ে আর বুঝতেই পাড়ল না পিয়াস ... আজ অবনী সবেচেয়ে বড় মিথ্যা বলে ধরা পরেছে ... হাহ অবনী কি জানে না ... অবনীর মা পিয়াস কে কতটা পছন্দ করে ... এত কিছু হলে কি পিয়াসের কানে কিছুই আসতো না? কেন এত মিথ্যা বলছে মেয়েটা ? তবুও কেন তাকেই ভালবাসতে ইচ্ছা হয় পিয়াসের ।। কেন ?
সকাল থেকে এই সেই করে সাজছে অবনী ... পিয়াসের দেওয়া নীল শাড়িটা পড়েছে সে,কপালে নীল টিপ ... চোখে পড়েছে গাড় নীল কাজল ... সব মিলিয়ে খুব মানিয়েছে অবনীকে ... যত বার আয়নার সামনে যাচ্ছে ততবারই নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে অবনী ... আজ যখন পিয়াস বলবে সে অবনীকে ভালবাসে তখন অবনী চিৎকার করে বলবে ... পিয়াস আমিও তোমাকে ভালোবাসি ... প্রচণ্ড ভালোবাসি ...
অবনী দাড়িয়ে আছে ... আজকের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না ... হটাতই পিছন থেকে পিয়াস বলল অবনী ......
কেমন আছো পিয়াস ?
ভালো ।। তুমি ?
অনেক ভালো ... এবার তাড়াতাড়ি বল কি বলবে ?
হুম বলব ... তোমাকে নুহার কথা বলছিলাম না?
হ্যাঁ বলেছিলে ... তো কি হয়েছে ?
নুহা আমাকে অনেক ভালোবাসে ... আমি চিন্তা করেছি তার ভালবাসার মূল্য দিব ... আমিও চেষ্টা করবো তাকে ভালবাসার ।। তাকে এখনো বলিনি ... ভাবলাম তোমাকে আগে বলি তারপর ।।
হাহাহাহাহা.........।
প্রচণ্ড শব্দে হাসি শুরু করলো অবনী ... তার হাসির প্রতিধ্বনি হচ্ছে ... এক অন্য রকম শব্দ ...
থামো অবনী ... হাসছ কেন ।।
অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিল অবনী ...
বলল পিয়াস আমার বিড়াল আমাকেই ম্যাও ... হাহাহাহা
আমার থেওরি আমার উপরেই এপ্লাই করছ পিয়াস ... আচ্ছা বাবা সরি ,
তুমি সরি বলছ কেন ? আর তোমার থেওরি না আমি নাটক করছি না আমি যা বলেছি সব সত্যি ...
হাহাহাহাহা আচ্ছা বুঝলাম মিস্টার আমিই প্রথম বলছি আপনার বলা লাগবে না , আমি আপনাকে ভালোবাসি ...
অবনী! ভালবাসা কি বুঝো ?
বুঝব না কেন ? না বুঝার কি আছে ?
নাহ তুমি বুঝো না।। তোমার যেটা আছে সেটা ভালবাসা না ... ভালবাসা কি জানো ? ভালবাসা হচ্ছে সেটা যেটা নুহা আমাকে বাসে ... তোমারটা খেলা আর কিছু না...
না পিয়াস ঐভাবে বল না... আমি সত্যি ...
প্লিস অবনী ... সত্যি শব্দটা তোমার মুখে মানায় না... তুমি ভালো থাকো ।।
অবনী কথা বলতে পারছে না ... তার চোখ দুটো ঝলমল করছে ... যেকোনো সময় চোখের বৃষ্টি ঝরবে ...
অবনীর চোখের দিকে একবার তাকাল পিয়াস ... কিন্তু চোখ ধরে রাখতে পাড়ল না... ভালো থাকো বলেই হাটা শুরু করলো পিয়াস ...
অবনী পিয়াসের হাত ধরে আটকাতে চেয়েছিল কিন্তু কি মনে করে যেন হাতটা ধরতে পাড়ল না... তার মনে হতে লাগলো সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে সে......
পিয়াস হাঁটছে ... দূর থেকে দূর বিলীন হয়ে যাচ্ছে পিয়াসের অস্তিত্ব ।
অবনী তাকিয়ে আছে পিয়াসের একবার ফিরবার আশায় ... কোনদিন কি ফিরবে পিয়াস ............?
কেমন আছো পিয়াস ...
ভালোই তুমি কেমন আছো ?
অনেক ভালো ... তোমাকে একটা কথা বলার জন্য ফোন করেছি ... আমি বিয়ে করছি আগামী মাসেই বিয়ে ।। সবুজের সাথে ।।
ও আচ্ছা ... তো সবুজ টা আবার কে ?
আরে বললাম না সবুজ , যার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল ...
ও আচ্ছা।। ভালো ...
ভালো মানে ?
ভালো মানে হচ্ছে গুড ।।
আমি কি ইংরেজি জানতে চেয়েছি ?
আচ্ছা বাদ দেও ...তা কবে বিয়ে তোমার ?
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ।।
ও আচ্ছা ... আচ্ছা অবনী ... তোমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল ।। দুই এক দিনের মধ্যে দেখা করতে পারবে ?
কি কথা ?
কথা গুলো দেখা হলেই বলি ?
আচ্ছা ঠিক আছে ? কবে কথায় কখন ...
কালকে আসতে পারবে ? আশুলিয়ায় ... বিকেল ৫ টায় ?
পারব ... ওকে আমি থাকবো তুমিও টাইম মতো চলে এসো .....
ফোন রেখেই অবনী খুশিতে আত্মহারা যত দিনই লাগুক পিয়াস তো বুঝতে পেরেছে অবনীকে সে ভালবাসে তাতেই সে খুশি...
মাটির দিকে তাকিয়ে বসে আছে পিয়াস ... খুব কষ্ট হচ্ছে তার... কষ্টটার কারন আজ স্পষ্ট তার কাছে ... নিজেকে পুতুল মনে হচ্ছে ... অবনীর খেলার পুতুল ... এত দিন খেলল অবনী তাকে নিয়ে আর বুঝতেই পাড়ল না পিয়াস ... আজ অবনী সবেচেয়ে বড় মিথ্যা বলে ধরা পরেছে ... হাহ অবনী কি জানে না ... অবনীর মা পিয়াস কে কতটা পছন্দ করে ... এত কিছু হলে কি পিয়াসের কানে কিছুই আসতো না? কেন এত মিথ্যা বলছে মেয়েটা ? তবুও কেন তাকেই ভালবাসতে ইচ্ছা হয় পিয়াসের ।। কেন ?
সকাল থেকে এই সেই করে সাজছে অবনী ... পিয়াসের দেওয়া নীল শাড়িটা পড়েছে সে,কপালে নীল টিপ ... চোখে পড়েছে গাড় নীল কাজল ... সব মিলিয়ে খুব মানিয়েছে অবনীকে ... যত বার আয়নার সামনে যাচ্ছে ততবারই নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে অবনী ... আজ যখন পিয়াস বলবে সে অবনীকে ভালবাসে তখন অবনী চিৎকার করে বলবে ... পিয়াস আমিও তোমাকে ভালোবাসি ... প্রচণ্ড ভালোবাসি ...
অবনী দাড়িয়ে আছে ... আজকের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না ... হটাতই পিছন থেকে পিয়াস বলল অবনী ......
কেমন আছো পিয়াস ?
ভালো ।। তুমি ?
অনেক ভালো ... এবার তাড়াতাড়ি বল কি বলবে ?
হুম বলব ... তোমাকে নুহার কথা বলছিলাম না?
হ্যাঁ বলেছিলে ... তো কি হয়েছে ?
নুহা আমাকে অনেক ভালোবাসে ... আমি চিন্তা করেছি তার ভালবাসার মূল্য দিব ... আমিও চেষ্টা করবো তাকে ভালবাসার ।। তাকে এখনো বলিনি ... ভাবলাম তোমাকে আগে বলি তারপর ।।
হাহাহাহাহা.........।
প্রচণ্ড শব্দে হাসি শুরু করলো অবনী ... তার হাসির প্রতিধ্বনি হচ্ছে ... এক অন্য রকম শব্দ ...
থামো অবনী ... হাসছ কেন ।।
অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিল অবনী ...
বলল পিয়াস আমার বিড়াল আমাকেই ম্যাও ... হাহাহাহা
আমার থেওরি আমার উপরেই এপ্লাই করছ পিয়াস ... আচ্ছা বাবা সরি ,
তুমি সরি বলছ কেন ? আর তোমার থেওরি না আমি নাটক করছি না আমি যা বলেছি সব সত্যি ...
হাহাহাহাহা আচ্ছা বুঝলাম মিস্টার আমিই প্রথম বলছি আপনার বলা লাগবে না , আমি আপনাকে ভালোবাসি ...
অবনী! ভালবাসা কি বুঝো ?
বুঝব না কেন ? না বুঝার কি আছে ?
নাহ তুমি বুঝো না।। তোমার যেটা আছে সেটা ভালবাসা না ... ভালবাসা কি জানো ? ভালবাসা হচ্ছে সেটা যেটা নুহা আমাকে বাসে ... তোমারটা খেলা আর কিছু না...
না পিয়াস ঐভাবে বল না... আমি সত্যি ...
প্লিস অবনী ... সত্যি শব্দটা তোমার মুখে মানায় না... তুমি ভালো থাকো ।।
অবনী কথা বলতে পারছে না ... তার চোখ দুটো ঝলমল করছে ... যেকোনো সময় চোখের বৃষ্টি ঝরবে ...
অবনীর চোখের দিকে একবার তাকাল পিয়াস ... কিন্তু চোখ ধরে রাখতে পাড়ল না... ভালো থাকো বলেই হাটা শুরু করলো পিয়াস ...
অবনী পিয়াসের হাত ধরে আটকাতে চেয়েছিল কিন্তু কি মনে করে যেন হাতটা ধরতে পাড়ল না... তার মনে হতে লাগলো সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে সে......
পিয়াস হাঁটছে ... দূর থেকে দূর বিলীন হয়ে যাচ্ছে পিয়াসের অস্তিত্ব ।
অবনী তাকিয়ে আছে পিয়াসের একবার ফিরবার আশায় ... কোনদিন কি ফিরবে পিয়াস ............?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল্লাহ সাকি ০৭/১২/২০১৩
-
সহিদুল হক ২৬/১১/২০১৩দারুনভাবে শেষ করলে গল্পটা। যথার্থ গল্প এরকমই হওয়া উচিৎ।
একই প্যারায় বার বার একই নাম ব্যবহার করবে না, সর্বনাম(pronoun) বাবহার করবে।
"---অবনী খুশিতে আত্মহারা যত দিনই লাগুক পিয়াস তো বুঝতে পেরেছে অবনীকে সে ভালবাসে তাতেই সে খুশি--" > বক্তব্যটা পরিস্কার হয় নি, তাই না? এটা বোধ হয় লিখতে চেয়েছিলে "অবনী খুশিতে আত্মহারা। যতদিনই লাগুক, সে তো বুঝতে পেরেছে পিয়াসও তাকে ভালবাসে"।--আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও আর খু-উ-ব ভাল থেকো। -
জহির রহমান ২৫/১১/২০১৩পিয়াসদের জন্য শুভ কামনা আর অবনীদের জন্য 'র পরামর্শ থাকলো। গল্পের পিয়াস-নুহা 'রা হাসি-খুশি ভরা সুখে থাকুক।
এক কথায় দারুন লিখছেন ফাম্মী আপু। সত্যি দারুন লেগেছে গল্পটি। যেন গল্পের পুরো চিত্রটি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে।
শুভ কামনা আপু। আপনি এত সুন্দর গল্প লিখতে জানেন তা কিন্তু জেনে রাখলাম! আরো... আরো গল্প চাই। -
Înšigniã Āvî ২৫/১১/২০১৩দারুন ....
দুর্দান্ত ভাবে শেষ করলেন মনে হল কোনও সিনেমা দেখলাম,
অসাধারণ... খুব ভালো লাগলো,
আপনার কাছে আরো দারুন দারুন গল্পের প্রতীক্ষায় ।
আমার ব্লগে দাওয়াত।