শুধু নিশি
কাপের পর কাপ চা খেয়ে যাচ্ছে নিশি, এমন অভ্যাস তার আগে কখনোই ছিল না... কিন্তু ইদানিং চা খাওয়াটা এক ধরনের নেশায় পরিনত হয়েছে, কোন ভাবেই নেশা কমাতে পারছে না । মানুষের কত ধরনের নেশা থাকে , পানের নেশা সিগারেটের নেশা, নিশির হয়েছে চা এর নেশা...
হেডফোনে গান চলছে একটার পর একটা অবশ্য ট্রেনের ঝক ঝক শব্দে গানের সুর তেমন বোঝাও যাচ্ছে না... ট্রেনের ফাস্ট ক্লাস কামরায় তার সামনে আরেক টা লোক বসা যখনই লোকটার দিকে চোখ পড়ছে তখনই নিশি খেয়াল করছে লোকটা তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ... কি দেখছে এমন ? কি জানি... এই লোকটাকে সহ্য হচ্ছে না নিশির, ট্রেনে ওঠার পর থেকে নিশি যত বার জানালা খুলছে লোকটা ততবার বিনা শব্দে জানালা বন্ধ করছে লোকটা... পাগল নাকিরে বাবা? বাইরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে।। নিশির ইচ্ছা হচ্ছে জানালা দিয়ে মাথা বের করতে।। ইচ্ছা হচ্ছে বৃষ্টির স্পর্শ নিতে ... অথছ এই ছাগলটার জন্য পারছে না..ভাবতে ভাবতে চা খাওয়ায় মন দিল নিশি ...।।
Excuse me …
জি, আমাকে কিছু বলছেন ...?
আমার সামনে যেহেতু আর কেউ নেই অবশ্যই আপনাকে বলছি ...আপনার নামটা জানতে পারি ?
আমি নিশি ।
নিশি এটা কেমন নাম ? নিশি পিশি কিশি রিশি।। হা হা হা...।
হাসছেন কেন ? আমি নিশি, শুধু নিশি ...
ও আচ্ছা আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার নাম ‘’শুধু নিশি’’ হা হা হা হা...।
লোকটাকে বিরক্ত লাগার পরিমান টা আরও বেরে গেলো ।। এমন ঠা ঠা শব্দে কেউ হাসে ? আজিব মানুষ ...
আচ্ছা ‘শুধু নিশি’ আপনি কাপের পর কাপ চা খেয়ে যাচ্ছেন অথচ একবারও বললেন না আমাকে , চা খাবেন ?
ওহ সরি ।। চা খাবেন ?
হ্যাঁ অবশ্যই খাব।।
নিন
অওাক থু... এইটা কি চা নাকি করলার শরবত ?
এটা চা, আমি চিনি কম খাই, বেশি চিনি দেওয়া চা আমার কাছে শরবত মনে হয় .. একটানে কথা গুলো বলল নিশি
ও আচ্ছা আমি আবার চায়ে ৩ থেকে ৪ চামচ চিনি খাই ,
শুনুন MR আমি আমার জন্য চা বানিয়ে এনেছি, আপনার জন্য না ।।
আচ্ছা বাবা এত খেপছেন কেন ? আচ্ছা শুধু নিশি আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
সিলেট
আরে আমিও তো সিলেট যাচ্ছি। যদিও সিলেট জায়গা টা আমার মোটেও পছন্দ না,তবু যাচ্ছি।
কেন সিলেট এ আবার কি সমস্যা ? কেন পছন্দ না ?
এইযে দেখুন বৃষ্টি... সিলেটে অবিরত বৃষ্টি হয় তাই পছন্দ না...
কি বলেন ? বৃষ্টির মতো সুন্দর জিনিস পৃথিবীতে আছে নাকি ?
অবশ্যই আছে ...
নিশি কথা বাড়াল না... গানে মনোযোগ দিল
এ চানাচুরররররররররররর ......।।
ঝাল চানাচুরররররররররররর
এই যে চানাচুর আমাকে ৫০ টাকার চানাচুর দিন তো ...।
চানাচুর বিক্রেতা খুব খুশি মনে চানাচুর বানাতে থাকল।।
নিশি ভাবছে এই লোক কি সত্যি সত্যি ছাগল ? এক সাথে এত গুলো চানাচুর খাবে কিভাবে ? যাই হোক ছাগলে কিনা খায় ...
লোকটা চানাচুর খাওয়া শুরু করলো সত্যি সত্যি ছাগলের মতো করেই খাচ্ছে ... যাকে নিশির বিরক্ত লাগে তার সব কর্ম কাণ্ডই বিরক্ত লাগে।।
আচ্ছা শুধু নিশি আপনি সিলেট কেন যাচ্ছেন ?
এমনি,
নিশির খুব বলতে ইচ্ছা হল , আমার পরশু বিয়ে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি, কিন্তু বলল না, কি হবে বলে ? এই ছাগল মার্কা লোকটা কি বিয়ের মর্ম বুঝবে ?
ছাগল তো চানাচুর খেয়েই চলেছে খেয়েই চলেছে...
খাক বেশি করে খাক কিন্তু প্যাঁচাল পেরে মাথাটা নষ্ট করছে ... ‘’শুধু নিশি এইটা’’ ‘’শুধু নিশি ঐটা’’ উফফফফফফফফফফ
এক কথায় পাগলের প্রলাপ ...
হটাত লোকটা উঠে দাঁড়ালো , আচ্ছা শুধু নিশি গেলাম,
গেলাম মানে ...
গেলাম মানে হচ্ছে গ একারে গে, ল আকারে লা,আর ম
আরে আমি বানান জিজ্ঞেস করছি না।। আমি জানতে চাচ্ছি আপনি তো বলেছিলেন সিলেট যাবেন ।। কিন্তু সিলেট তো আরও দুই এক ষ্টেশন পরে ।।
জানি। এখানে আমার এক বন্ধুর বাসা... তার কাছে যাচ্ছি একটা দরকার আছে।।
ও আচ্ছা
আচ্ছা বাই ... ভালো থাকবেন
নিশি লোকটার চলে যাওয়াটা ফ্যালফ্যাল করে দেখছে, হটাত লোকটা পিছু ফিরে বলল ‘’শুধু নিশি কিছু বলবেন ?
নিশি না সূচক মাথা নাড়ল ।।
ট্রেন আবার ছাড়ল, নিশির হটাত ই মনে হল আরে লোকটার নামটাই তো জানা হল না... থাক না জেনে আর কি হবে ? হয়ত আর কখনোই দেখা হবে না ...।।
তবু লোকটার আবোল তাবোল ছেলে মানুষী মার্কা কথা গুলো শুধুই মনে পড়ছিল নিশির .........।।
এক ঘণ্টা পর ট্রেন থামল , বাসায় পৌছাতে তেমন সময় লাগলো না।। বাসায় এসেই অবাক নিশি ... বাসা টা দেখে সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে এটা একটা বিয়ে বাড়ি ।। আর পরশু তার বিয়ে ... বাবা হটাত ই বিয়েটা ঠিক করলেন ...ফোন দিয়ে বললেন তোমার ৫ দিন পর বিয়ে ছেলের ছবি পাঠানো হয়েছে দেখে নিও,
নিশি ভাবল ছবি দেখে আর কি হবে ? বাসায় বাবার কথার উপর কথা বলার সাহস কারো নেই।। ছবি দেখলেই কি আর না দেখলেই কি, বিয়ে বাবা এই ছেলের সাথেই দিবেন ... থাক না অদেখা একটা মুখ... সারা জীবন তো তাকেই দেখতে হবে, থাক না রহস্য কিছুটা সময় ...
ছেলে ডাক্তার ।। নাম নাইম রহমান রোদ।। সিঙ্গাপুরে থাকে দেশে ছেলের তেমন কেউ নেই , বাবা মা কে নিয়ে দেশে এসেছে শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্য।।
আপা আপা ।। কি করছিস তুই এখন ? আর মাত্র দুই ঘণ্টা পর তোর বিয়ে আর তুই এখনো রেডি হস নি ? দুলাভাই তো চলে এসেছেন । বর যাত্রী মাত্র ৪ জন ... আজব বিষয় না আপা ? হুম আজব, কি আপা কিছু বলবি? হুম আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে আনবি ।। আচ্ছা যাচ্ছি । শোন রিমি চায়ে চিনি দিবি ৩ চামচ ।
৩ চামচ ? আপা তুই চায়ে এত চিনি খাওয়া কবে থেকে শুরু করলি ?
আজ থেকে, আজ আমার বিয়ে তো তাই মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হচ্ছে ।।
তাহলে মিষ্টি এনে দি।।
চুপ একদম চুপ ।। যা বলেছি তাই কর ।।
রিমি কথা না বাড়িয়ে চা আনতে গেলো
কিছুতেই ট্রেনের সেই অপরিচিত লোকটাকে মাথা থেকে সরাতে পারছেনা নিশি।। প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে নিজের উপর ... কেন পাড়ল না নাম টা জিজ্ঞেস করতে ? কেন ?
দুই ঘণ্টা পর...।।
কাজি সাহেবের ‘’কবুল’ বলতে বলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পরপর তিনবার কবুল বলে ফেলল নিশি, যা করতেই হবে তাতে দেরি করে লাভ কি ?সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিশির দিকে ... যদিও এতে কিছু আসে যাচ্ছে না নিশির ......।।
যা হোক বিয়ে সম্পন্ন হল... একটা ফুল সজ্জিত ঘরে এনে রাখা হল নিশিকে ...
যদিও নিশি কোন অনুভূতি পাচ্ছে না... পৃথিবীর অন্য সব মেয়েদের মতো ভয় হচ্ছে না তার।। কেন এমন হচ্ছে নিশি নিজেও বুঝতে পারছে না... শুধুই মনে হচ্ছে ট্রেনের সেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকটার কথা...
কারো উপস্তিতি উপলব্ধি করলো নিশি ।। মনে হচ্ছে ডাক্তার সাহেব চলে এসেছেন...
এই যে শুধু নিশি... একটানে ঘোমটা টা ফেলে দিল নিশি এই পরিচিত কণ্ঠে কে ডাকে তাকে ?
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিশি ... আপনি ? আপনি এখানে কেন ?
আপনি কি রোদ ?
জি ম্যাডাম ,আমি ই রোদ,
নাইম রহমান রোদ ...।।
আর আপনি হলেন নিশি ।। আমার শুধু নিশি ...।।।
হেডফোনে গান চলছে একটার পর একটা অবশ্য ট্রেনের ঝক ঝক শব্দে গানের সুর তেমন বোঝাও যাচ্ছে না... ট্রেনের ফাস্ট ক্লাস কামরায় তার সামনে আরেক টা লোক বসা যখনই লোকটার দিকে চোখ পড়ছে তখনই নিশি খেয়াল করছে লোকটা তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ... কি দেখছে এমন ? কি জানি... এই লোকটাকে সহ্য হচ্ছে না নিশির, ট্রেনে ওঠার পর থেকে নিশি যত বার জানালা খুলছে লোকটা ততবার বিনা শব্দে জানালা বন্ধ করছে লোকটা... পাগল নাকিরে বাবা? বাইরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে।। নিশির ইচ্ছা হচ্ছে জানালা দিয়ে মাথা বের করতে।। ইচ্ছা হচ্ছে বৃষ্টির স্পর্শ নিতে ... অথছ এই ছাগলটার জন্য পারছে না..ভাবতে ভাবতে চা খাওয়ায় মন দিল নিশি ...।।
Excuse me …
জি, আমাকে কিছু বলছেন ...?
আমার সামনে যেহেতু আর কেউ নেই অবশ্যই আপনাকে বলছি ...আপনার নামটা জানতে পারি ?
আমি নিশি ।
নিশি এটা কেমন নাম ? নিশি পিশি কিশি রিশি।। হা হা হা...।
হাসছেন কেন ? আমি নিশি, শুধু নিশি ...
ও আচ্ছা আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার নাম ‘’শুধু নিশি’’ হা হা হা হা...।
লোকটাকে বিরক্ত লাগার পরিমান টা আরও বেরে গেলো ।। এমন ঠা ঠা শব্দে কেউ হাসে ? আজিব মানুষ ...
আচ্ছা ‘শুধু নিশি’ আপনি কাপের পর কাপ চা খেয়ে যাচ্ছেন অথচ একবারও বললেন না আমাকে , চা খাবেন ?
ওহ সরি ।। চা খাবেন ?
হ্যাঁ অবশ্যই খাব।।
নিন
অওাক থু... এইটা কি চা নাকি করলার শরবত ?
এটা চা, আমি চিনি কম খাই, বেশি চিনি দেওয়া চা আমার কাছে শরবত মনে হয় .. একটানে কথা গুলো বলল নিশি
ও আচ্ছা আমি আবার চায়ে ৩ থেকে ৪ চামচ চিনি খাই ,
শুনুন MR আমি আমার জন্য চা বানিয়ে এনেছি, আপনার জন্য না ।।
আচ্ছা বাবা এত খেপছেন কেন ? আচ্ছা শুধু নিশি আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
সিলেট
আরে আমিও তো সিলেট যাচ্ছি। যদিও সিলেট জায়গা টা আমার মোটেও পছন্দ না,তবু যাচ্ছি।
কেন সিলেট এ আবার কি সমস্যা ? কেন পছন্দ না ?
এইযে দেখুন বৃষ্টি... সিলেটে অবিরত বৃষ্টি হয় তাই পছন্দ না...
কি বলেন ? বৃষ্টির মতো সুন্দর জিনিস পৃথিবীতে আছে নাকি ?
অবশ্যই আছে ...
নিশি কথা বাড়াল না... গানে মনোযোগ দিল
এ চানাচুরররররররররররর ......।।
ঝাল চানাচুরররররররররররর
এই যে চানাচুর আমাকে ৫০ টাকার চানাচুর দিন তো ...।
চানাচুর বিক্রেতা খুব খুশি মনে চানাচুর বানাতে থাকল।।
নিশি ভাবছে এই লোক কি সত্যি সত্যি ছাগল ? এক সাথে এত গুলো চানাচুর খাবে কিভাবে ? যাই হোক ছাগলে কিনা খায় ...
লোকটা চানাচুর খাওয়া শুরু করলো সত্যি সত্যি ছাগলের মতো করেই খাচ্ছে ... যাকে নিশির বিরক্ত লাগে তার সব কর্ম কাণ্ডই বিরক্ত লাগে।।
আচ্ছা শুধু নিশি আপনি সিলেট কেন যাচ্ছেন ?
এমনি,
নিশির খুব বলতে ইচ্ছা হল , আমার পরশু বিয়ে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি, কিন্তু বলল না, কি হবে বলে ? এই ছাগল মার্কা লোকটা কি বিয়ের মর্ম বুঝবে ?
ছাগল তো চানাচুর খেয়েই চলেছে খেয়েই চলেছে...
খাক বেশি করে খাক কিন্তু প্যাঁচাল পেরে মাথাটা নষ্ট করছে ... ‘’শুধু নিশি এইটা’’ ‘’শুধু নিশি ঐটা’’ উফফফফফফফফফফ
এক কথায় পাগলের প্রলাপ ...
হটাত লোকটা উঠে দাঁড়ালো , আচ্ছা শুধু নিশি গেলাম,
গেলাম মানে ...
গেলাম মানে হচ্ছে গ একারে গে, ল আকারে লা,আর ম
আরে আমি বানান জিজ্ঞেস করছি না।। আমি জানতে চাচ্ছি আপনি তো বলেছিলেন সিলেট যাবেন ।। কিন্তু সিলেট তো আরও দুই এক ষ্টেশন পরে ।।
জানি। এখানে আমার এক বন্ধুর বাসা... তার কাছে যাচ্ছি একটা দরকার আছে।।
ও আচ্ছা
আচ্ছা বাই ... ভালো থাকবেন
নিশি লোকটার চলে যাওয়াটা ফ্যালফ্যাল করে দেখছে, হটাত লোকটা পিছু ফিরে বলল ‘’শুধু নিশি কিছু বলবেন ?
নিশি না সূচক মাথা নাড়ল ।।
ট্রেন আবার ছাড়ল, নিশির হটাত ই মনে হল আরে লোকটার নামটাই তো জানা হল না... থাক না জেনে আর কি হবে ? হয়ত আর কখনোই দেখা হবে না ...।।
তবু লোকটার আবোল তাবোল ছেলে মানুষী মার্কা কথা গুলো শুধুই মনে পড়ছিল নিশির .........।।
এক ঘণ্টা পর ট্রেন থামল , বাসায় পৌছাতে তেমন সময় লাগলো না।। বাসায় এসেই অবাক নিশি ... বাসা টা দেখে সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে এটা একটা বিয়ে বাড়ি ।। আর পরশু তার বিয়ে ... বাবা হটাত ই বিয়েটা ঠিক করলেন ...ফোন দিয়ে বললেন তোমার ৫ দিন পর বিয়ে ছেলের ছবি পাঠানো হয়েছে দেখে নিও,
নিশি ভাবল ছবি দেখে আর কি হবে ? বাসায় বাবার কথার উপর কথা বলার সাহস কারো নেই।। ছবি দেখলেই কি আর না দেখলেই কি, বিয়ে বাবা এই ছেলের সাথেই দিবেন ... থাক না অদেখা একটা মুখ... সারা জীবন তো তাকেই দেখতে হবে, থাক না রহস্য কিছুটা সময় ...
ছেলে ডাক্তার ।। নাম নাইম রহমান রোদ।। সিঙ্গাপুরে থাকে দেশে ছেলের তেমন কেউ নেই , বাবা মা কে নিয়ে দেশে এসেছে শুধুমাত্র বিয়ে করার জন্য।।
আপা আপা ।। কি করছিস তুই এখন ? আর মাত্র দুই ঘণ্টা পর তোর বিয়ে আর তুই এখনো রেডি হস নি ? দুলাভাই তো চলে এসেছেন । বর যাত্রী মাত্র ৪ জন ... আজব বিষয় না আপা ? হুম আজব, কি আপা কিছু বলবি? হুম আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে আনবি ।। আচ্ছা যাচ্ছি । শোন রিমি চায়ে চিনি দিবি ৩ চামচ ।
৩ চামচ ? আপা তুই চায়ে এত চিনি খাওয়া কবে থেকে শুরু করলি ?
আজ থেকে, আজ আমার বিয়ে তো তাই মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হচ্ছে ।।
তাহলে মিষ্টি এনে দি।।
চুপ একদম চুপ ।। যা বলেছি তাই কর ।।
রিমি কথা না বাড়িয়ে চা আনতে গেলো
কিছুতেই ট্রেনের সেই অপরিচিত লোকটাকে মাথা থেকে সরাতে পারছেনা নিশি।। প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে নিজের উপর ... কেন পাড়ল না নাম টা জিজ্ঞেস করতে ? কেন ?
দুই ঘণ্টা পর...।।
কাজি সাহেবের ‘’কবুল’ বলতে বলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পরপর তিনবার কবুল বলে ফেলল নিশি, যা করতেই হবে তাতে দেরি করে লাভ কি ?সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিশির দিকে ... যদিও এতে কিছু আসে যাচ্ছে না নিশির ......।।
যা হোক বিয়ে সম্পন্ন হল... একটা ফুল সজ্জিত ঘরে এনে রাখা হল নিশিকে ...
যদিও নিশি কোন অনুভূতি পাচ্ছে না... পৃথিবীর অন্য সব মেয়েদের মতো ভয় হচ্ছে না তার।। কেন এমন হচ্ছে নিশি নিজেও বুঝতে পারছে না... শুধুই মনে হচ্ছে ট্রেনের সেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা লোকটার কথা...
কারো উপস্তিতি উপলব্ধি করলো নিশি ।। মনে হচ্ছে ডাক্তার সাহেব চলে এসেছেন...
এই যে শুধু নিশি... একটানে ঘোমটা টা ফেলে দিল নিশি এই পরিচিত কণ্ঠে কে ডাকে তাকে ?
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিশি ... আপনি ? আপনি এখানে কেন ?
আপনি কি রোদ ?
জি ম্যাডাম ,আমি ই রোদ,
নাইম রহমান রোদ ...।।
আর আপনি হলেন নিশি ।। আমার শুধু নিশি ...।।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হালিম ১৩/১১/২০১৩ভালোই তো লিখেছ।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৮/১১/২০১৩ভালো লাগলো। কেন জানি সিনেমা সিনেমা মনে হচ্ছিল। খুবই ক্লাইমেক্সে ছিল।
-
সায়েম খান ০৮/১১/২০১৩চমৎকার একটি গল্প। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। সেইসাথে আমার বাড়িতে(ব্লগে) আপনার দাওয়াত রইলো।
-
সহিদুল হক ০৮/১১/২০১৩খুব সুন্দর গল্প আর গল্প লেখার স্টাইল।পাঠককে একভাবে টেনে রাখে।বিশেষত রসবোধটা খুবই উপভোগ করলাম। শুদ কামনা।
-
জহির রহমান ০৮/১১/২০১৩অনেক সুন্দর একটা গল্প...
শুভ কামনা শাম্মী। -
Înšigniã Āvî ০৮/১১/২০১৩darun upostapona