ফিরে এসো অনিকেত
অনিকেত, গত ৬ দিন ধরে ঢাকায় আছে, ঢাকায় আত্মীয় যারা ছিল তাদের সাথে যোগাযোগ একেবারে নেই, গ্রামের বাড়ীটা সস্তায় বিক্রি করে দিয়েছিল। বন্ধুদের সাথেও কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেনি গত বিশ বছর। ব্যবসার কাজে ২০ বছর পর ঢাকায় এসেছে, ইচ্ছে ছিল না একেবারেই কিন্তু ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি তাই নিজে আসতে হলো, আজ রাতের ফ্লাইটে কানাডা ফিরে যাবে, জন্ম যদিও বাংলাদেশে ২০ বছর আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কানাডায় বসবাস করে।
আজ সকালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে মনে পড়ে গেল গ্রামের পাশের গঞ্জে প্রতি বছর ১৭ই ফাল্গুন মেলা বসে, মেলায় কতো আনন্দ করতো সব বন্ধু মিলে, সে জানে না এখনও কি আর সেই বন্ধুদের পাওয়া যাবে, তবু মনে ইচ্ছে হলো মেলাটা ঘুরে দেখার কারও দেখা পেয়ে যেতেও পারে। রাতে ফিরবে এখনও অনেক সময় বাকী আছে ঘুরে আসবে ভেবে চললো গঞ্জের মেলায়।
কতোটা পরির্বতন হয়ে গেছে আগে এখানে কয়েকটা দোকান ছিল, আজ সুপার মার্কেট হয়ে গেছে বদলে গেছে সব কিছু পরিচিত কাউকে দেখতে পাচ্ছিল না, হয়তো কাউকে পাবোও না, এমন ভাবনার সময় পেছন থেকে কেউ কাঁধে হাত রাখল, পেছনে ফিরেই অনিকেত বলে উঠলো “তুমি? অনামিকা তুমি? ভাবতেও পারছিনা তোমাকে দেখতে পাব, ২০ বছর পর দেখা, কেমন আছো?”
অনামিকা বললো “হ্যাঁ আমি ভাল আছি, তোমার কি খবর তুমি কেমন আছ ভাল তো ?”
অনিকেত জবাবে “হ্যাঁ ভাল, চল ঐ ক্যান্টিনে চা সাথে কথা হবে, মেলা দেখতে এলে বুঝি, আমিতো ব্যবসায় কাজে ঢাকায় এলাম আজ রাতেই চলে যাচ্ছি, কানাডায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ভাল আছি। কি খাবে চা, কফি ?”
অনামিকা অনিহা সত্বেও বললো “ব্ল্যাক কপি ১ চামচ চিনি”।
অনিকেত আশ্চার্য হয়ে !! “তুমি ব্ল্যাক কপি কবে থেকে পান করা শুরু করলে, তোমার তো একে বারে ভাল লাগতো না, আমাকে অনেক বলতে ব্ল্যাক কপি কি ভাল লাগে! আজ তুমিই ব্ল্যাক কপি পান করছ”।
তখনই ১৮/১৯ বছর বয়সের একটি মেয়ে এসে হাজির, যেন ২০ বছর আগের অনামিকা! জিজ্ঞাসা করলো “কে উনি?”
অনামিকা জবাবে “উনি তোমার একজন আঙ্কেল,
সুন্দরী মেয়েটি অনিকেতকে “আঙ্কেল কেমন আছেন ?”
অনিকেত “ভাল তোমার নাম কি গো মা-মনি?
১৮/১৯ বছর বয়সের মেয়েটি “আনিশা, আমার নাম আনিশা”।
অনিকেত জবাবে “সুন্দর নাম তো মা রেখেছে নাকি বাবায় ?”
আনিশা বললো “মা-বাবা দুজনে মিলে রেখেছে”।
এই আড্ডায় আড্ডায় প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকেলের আগমন আগমন ভাব নিচ্ছে প্রকৃতি, অনিকেত বিদায় নিতে চাচ্ছে “অনামিকা অনেক সময় হয়ে গেল আমি চলি সন্ধ্যার আগে এয়ারপোর্টে পৌছতে হবে, রাস্তার যে অবস্থা ১ ঘণ্টার রাস্তা ৩ ঘণ্টা লাগে অনেক কিছুর পরির্বতন হয়েছে কিন্তু এই জ্যাম কমেনি একটুও, আজ চলে গেলে বেঁচে যাব এই সব ঝামেলা থেকে”।
এই বলে অনিকেত চলে গেল, অনামিকা পেছনে থেকে দেখে যাচ্ছে এই তো চোখের আড়াল হয়ে গেল ফের অনিকেত। আনিশা বলে উঠলো “খালামনি উনিই কি সেই অনিকেত? তুমি কখনো বলোনি তুমি কেন বিয়ে করনি। আম্মুও বলেনি, তোমার বান্ধবী পূজা আন্টি আমাকে সব বলেছে, আমার বাবার সাথে তোমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, শেষ সময়ে তুমি বিয়ে করবে না বলে জিদ করলে তাই আমার আম্মুর সাথে আব্বুর বিয়ে হয়।
এই অনিকেত আঙ্কেল এর জন্য তুমি প্রতি বছর ফাল্গুন মেলায় আস। বলেছ অনিকেত আঙ্কেলকে?”
অনামিকা জবাবে “না বলা হয়নি কিছুই, উনি জলদী চলে যাচ্ছে তাই। রাতের ফ্লাইটেই কানাডা চলে যাচ্ছে”।
আনিশা বলে উঠলো “উঠো খালামনি, চল ঢাকায় চল, সন্ধ্যার আগেই আমাদের ঢাকায় পৌছতে হবে”।
আজ সকালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে মনে পড়ে গেল গ্রামের পাশের গঞ্জে প্রতি বছর ১৭ই ফাল্গুন মেলা বসে, মেলায় কতো আনন্দ করতো সব বন্ধু মিলে, সে জানে না এখনও কি আর সেই বন্ধুদের পাওয়া যাবে, তবু মনে ইচ্ছে হলো মেলাটা ঘুরে দেখার কারও দেখা পেয়ে যেতেও পারে। রাতে ফিরবে এখনও অনেক সময় বাকী আছে ঘুরে আসবে ভেবে চললো গঞ্জের মেলায়।
কতোটা পরির্বতন হয়ে গেছে আগে এখানে কয়েকটা দোকান ছিল, আজ সুপার মার্কেট হয়ে গেছে বদলে গেছে সব কিছু পরিচিত কাউকে দেখতে পাচ্ছিল না, হয়তো কাউকে পাবোও না, এমন ভাবনার সময় পেছন থেকে কেউ কাঁধে হাত রাখল, পেছনে ফিরেই অনিকেত বলে উঠলো “তুমি? অনামিকা তুমি? ভাবতেও পারছিনা তোমাকে দেখতে পাব, ২০ বছর পর দেখা, কেমন আছো?”
অনামিকা বললো “হ্যাঁ আমি ভাল আছি, তোমার কি খবর তুমি কেমন আছ ভাল তো ?”
অনিকেত জবাবে “হ্যাঁ ভাল, চল ঐ ক্যান্টিনে চা সাথে কথা হবে, মেলা দেখতে এলে বুঝি, আমিতো ব্যবসায় কাজে ঢাকায় এলাম আজ রাতেই চলে যাচ্ছি, কানাডায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ভাল আছি। কি খাবে চা, কফি ?”
অনামিকা অনিহা সত্বেও বললো “ব্ল্যাক কপি ১ চামচ চিনি”।
অনিকেত আশ্চার্য হয়ে !! “তুমি ব্ল্যাক কপি কবে থেকে পান করা শুরু করলে, তোমার তো একে বারে ভাল লাগতো না, আমাকে অনেক বলতে ব্ল্যাক কপি কি ভাল লাগে! আজ তুমিই ব্ল্যাক কপি পান করছ”।
তখনই ১৮/১৯ বছর বয়সের একটি মেয়ে এসে হাজির, যেন ২০ বছর আগের অনামিকা! জিজ্ঞাসা করলো “কে উনি?”
অনামিকা জবাবে “উনি তোমার একজন আঙ্কেল,
সুন্দরী মেয়েটি অনিকেতকে “আঙ্কেল কেমন আছেন ?”
অনিকেত “ভাল তোমার নাম কি গো মা-মনি?
১৮/১৯ বছর বয়সের মেয়েটি “আনিশা, আমার নাম আনিশা”।
অনিকেত জবাবে “সুন্দর নাম তো মা রেখেছে নাকি বাবায় ?”
আনিশা বললো “মা-বাবা দুজনে মিলে রেখেছে”।
এই আড্ডায় আড্ডায় প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকেলের আগমন আগমন ভাব নিচ্ছে প্রকৃতি, অনিকেত বিদায় নিতে চাচ্ছে “অনামিকা অনেক সময় হয়ে গেল আমি চলি সন্ধ্যার আগে এয়ারপোর্টে পৌছতে হবে, রাস্তার যে অবস্থা ১ ঘণ্টার রাস্তা ৩ ঘণ্টা লাগে অনেক কিছুর পরির্বতন হয়েছে কিন্তু এই জ্যাম কমেনি একটুও, আজ চলে গেলে বেঁচে যাব এই সব ঝামেলা থেকে”।
এই বলে অনিকেত চলে গেল, অনামিকা পেছনে থেকে দেখে যাচ্ছে এই তো চোখের আড়াল হয়ে গেল ফের অনিকেত। আনিশা বলে উঠলো “খালামনি উনিই কি সেই অনিকেত? তুমি কখনো বলোনি তুমি কেন বিয়ে করনি। আম্মুও বলেনি, তোমার বান্ধবী পূজা আন্টি আমাকে সব বলেছে, আমার বাবার সাথে তোমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, শেষ সময়ে তুমি বিয়ে করবে না বলে জিদ করলে তাই আমার আম্মুর সাথে আব্বুর বিয়ে হয়।
এই অনিকেত আঙ্কেল এর জন্য তুমি প্রতি বছর ফাল্গুন মেলায় আস। বলেছ অনিকেত আঙ্কেলকে?”
অনামিকা জবাবে “না বলা হয়নি কিছুই, উনি জলদী চলে যাচ্ছে তাই। রাতের ফ্লাইটেই কানাডা চলে যাচ্ছে”।
আনিশা বলে উঠলো “উঠো খালামনি, চল ঢাকায় চল, সন্ধ্যার আগেই আমাদের ঢাকায় পৌছতে হবে”।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কাব্যহীন কবি ২৪/০৬/২০১৬অনেক দিন পরে গল্প পড়লাম। ভাল লাগল
-
পরশ ২১/০৬/২০১৬সুন্দর
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২০/০৬/২০১৬ভালো লাগল রবি ।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২০/০৬/২০১৬Come back!!!!