সাদাকালো অনুভূতি
সময়ের কাছে সমর্পিত জীবন...
ব্যস্ততার হিজিবিজি মোড়কে ঘেরা অমূল্য ক্ষণ;
ফুরসতমেলে নাদুদণ্ড পাশে বসার,
সময়ের হাতে হাতকড়ি পরিয়ে খুলে বসা হয়না হৃদয়ের ঝাঁপি।
চটজলদি কাজের ফাঁকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া কম্পিউটার স্ক্রিনে...
চেনা চেনা মুখগুলো প্রতিনিয়ত সরে যায় দূর থেকে দূরে,
সাক্ষাতের দাবীদাওয়া চুকেবুকে গেছে বহুকাল।
শরীরী অনুপস্থিতিকে পুষিয়ে দিই অশরীরী আন্তরিক বার্তায়;
দিন শেষে স্ট্যাটাস পড়ে খোঁজ রাখি
ঠিকঠাক চলছে তো জীবনের চাকা!
মধ্যদুপুরে কাজের মাঝে মন খোঁজে একটুখানি ভার্চুয়াল ছোঁয়া...
ম্যাসেঞ্জারের অসীম খোলা প্রান্তরে অস্থির বেগে ছুটোছুটি করে চলে
হৃদয়ের অনন্ত আবেগ।
সবুজ আলো সংকেত দিয়ে যায় তোমার সতেজ উপস্থিতির।
টুংটাং শব্দে ঝঙ্কার বেজে ওঠে পাঁজর মোড়ানো সুরক্ষিত করিডোরে...
বোধেরা সব যেন আটকে গেছে বাহারী রঙের জাদু মায়ায়;
একুশ বলতে বুঝি সাদা-কালো, লাল-সবুজে দীপ্যমান বিজয়...
ভালোবাসা, সে তো টকটকে লাল!
নানা রঙের আবরণে ফুটিয়ে তুলি দেশপ্রেমের মাহাত্ম্য,
অন্তর্গত বোধগুলোকে যত্নে রাখি..ধুলো মুছে খুলে দেখি মাঝে মাঝে।
মা’র হাতের রেখাগুলো বড্ড প্রকট এখন
শত সহস্র আঁকিবুকি তাতে।
আলটপকা চোখ পড়ে যায় কখনো সখনো,
শীর্ণ হাতটুকু হাতড়িয়ে খুঁজে ফেরে প্রিয় সান্নিধ্য...
‘মা’ দিবসে নেট ঘেঁটে খুঁজে রাখি শ্রেষ্ঠ শব্দমালা, বিলিয়ে দিই আকাশ মাঝে।
হাঁপানি ক্লিষ্ট বাবা পড়ে থাকে পাশের ঘরে, জরাজীর্ণ আসবাবের মতো;
মাকড়সারা সানন্দে বসত গেড়েছে ও ঘরে।
সুবিশুদ্ধ আবেগে প্রার্থনা চেয়ে পাঠাই
ভার্চুয়াল বন্ধুদের কাছে, এখন ওরাই তো আশা ভরসা!
রক্তমাংসের মানুষটাকে খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না আজ।
সুতো কাটা পলাতক ঘুড়ির মতো
মানবীয় অনুভূতিগুলো সব পালিয়ে গেছে,
আকাশের সীমানা জুড়ে আছে কেবল
সাদা কালো অজস্র ডিজিটাল অনু্ভূতি।
ব্যস্ততার হিজিবিজি মোড়কে ঘেরা অমূল্য ক্ষণ;
ফুরসতমেলে নাদুদণ্ড পাশে বসার,
সময়ের হাতে হাতকড়ি পরিয়ে খুলে বসা হয়না হৃদয়ের ঝাঁপি।
চটজলদি কাজের ফাঁকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া কম্পিউটার স্ক্রিনে...
চেনা চেনা মুখগুলো প্রতিনিয়ত সরে যায় দূর থেকে দূরে,
সাক্ষাতের দাবীদাওয়া চুকেবুকে গেছে বহুকাল।
শরীরী অনুপস্থিতিকে পুষিয়ে দিই অশরীরী আন্তরিক বার্তায়;
দিন শেষে স্ট্যাটাস পড়ে খোঁজ রাখি
ঠিকঠাক চলছে তো জীবনের চাকা!
মধ্যদুপুরে কাজের মাঝে মন খোঁজে একটুখানি ভার্চুয়াল ছোঁয়া...
ম্যাসেঞ্জারের অসীম খোলা প্রান্তরে অস্থির বেগে ছুটোছুটি করে চলে
হৃদয়ের অনন্ত আবেগ।
সবুজ আলো সংকেত দিয়ে যায় তোমার সতেজ উপস্থিতির।
টুংটাং শব্দে ঝঙ্কার বেজে ওঠে পাঁজর মোড়ানো সুরক্ষিত করিডোরে...
বোধেরা সব যেন আটকে গেছে বাহারী রঙের জাদু মায়ায়;
একুশ বলতে বুঝি সাদা-কালো, লাল-সবুজে দীপ্যমান বিজয়...
ভালোবাসা, সে তো টকটকে লাল!
নানা রঙের আবরণে ফুটিয়ে তুলি দেশপ্রেমের মাহাত্ম্য,
অন্তর্গত বোধগুলোকে যত্নে রাখি..ধুলো মুছে খুলে দেখি মাঝে মাঝে।
মা’র হাতের রেখাগুলো বড্ড প্রকট এখন
শত সহস্র আঁকিবুকি তাতে।
আলটপকা চোখ পড়ে যায় কখনো সখনো,
শীর্ণ হাতটুকু হাতড়িয়ে খুঁজে ফেরে প্রিয় সান্নিধ্য...
‘মা’ দিবসে নেট ঘেঁটে খুঁজে রাখি শ্রেষ্ঠ শব্দমালা, বিলিয়ে দিই আকাশ মাঝে।
হাঁপানি ক্লিষ্ট বাবা পড়ে থাকে পাশের ঘরে, জরাজীর্ণ আসবাবের মতো;
মাকড়সারা সানন্দে বসত গেড়েছে ও ঘরে।
সুবিশুদ্ধ আবেগে প্রার্থনা চেয়ে পাঠাই
ভার্চুয়াল বন্ধুদের কাছে, এখন ওরাই তো আশা ভরসা!
রক্তমাংসের মানুষটাকে খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না আজ।
সুতো কাটা পলাতক ঘুড়ির মতো
মানবীয় অনুভূতিগুলো সব পালিয়ে গেছে,
আকাশের সীমানা জুড়ে আছে কেবল
সাদা কালো অজস্র ডিজিটাল অনু্ভূতি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৫/২০১৮আটপৌরে জীবনের কথা!
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৯/০৫/২০১৮অসাধারন।
অনন্য।
বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ।
খুব ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবিবন্ধুকে। -
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন ১৯/০৫/২০১৮শেষের অংশটুকু নিষ্ঠুর বাস্তবতা।