নির্জন রাত
সময়টা বর্ষাকাল।পাশের গ্রাম থেকে রিয়ালিটি শো দেখে আমি যখন বাড়ি ফিরছি,রাত তখন প্রায় ১২টা।নির্জন রাস্তায় আমি একা হেঁটে চলেছি।হঠাৎই প্রবল ঝড় আর বিদ্যুতের ঝলকানি শুরু হয়েছে।তবুও এই প্রতিকূল পরিবেশকে উপেক্ষা করে আমি হেঁটেই চললাম।কিছুক্ষন পর চাঁদের জ্যোৎস্নাও আমার সঙ্গ ছেড়ে দিয়ে আকাশে বিলীন হয়ে গেল।কিন্তু এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যেই আমি আমার গন্তব্যের দিকে পাড়িগ দিলাম।এইভাবে কিছুক্ষন চলার পর হঠাৎ আমার শরীরে এক অদৃশ্য শিহরন খেলে উঠল,আমি আঁতকে উঠলাম।আমার মনে হতে লাগল কে বা কারা যেন আমাকে অনুসরন করছে।পিছন ফিরে দেখার চেষ্টা করলাম তাদের কিন্তু এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছুই চক্ষুগোচর করতে পারলামনা।চতুর্দিকে অন্ধকার আর অন্ধকার প্রত্যক্ষ করলাম।ঠিক এমন সময় প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল এবং দূর্যোগটাকে অন্য এক মাএা এনে দিল।আমি বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম। বৃষ্টির এক-একটা ফোঁটা তীব্রগতিতে তিরের ফলার মত যেন আমার শরীরটাকে বিদ্ধ করে দিচ্ছিল।এই প্রবল দূর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ,একটা নিরাপদ আশ্রয় কামনা করতে শুরু করলাম।ঠিক্ পর মুহূর্তেই বিদ্যুতের তীব্র ঝলকানিতে আমি লক্ষ্য করলাম একটু দুরেই একটা বাড়ি,মনের মধ্যে একটা আশার সঞ্চার হল।দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে এগিয়ে চললাম।কিছুক্ষনের মধ্যে বাড়িটার সামনে এসে উপস্থিত হলাম।আমি আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে পড়লাম কারন এই দূর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার জন্য কাঙ্খিত নিরাপদ আশ্রয়ের দ্বার প্রান্তে আমি এখন দাঁড়িয়ে,শুধুমাএ প্রবেশের অপেক্ষা।আমি ভবিষৎ না ভেবে বাড়িটার ভিতরে প্রবেশ করলাম।সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতেই বাড়ির ঝুলগুলো,মাকড়সার জাল আমাকে আলিঙ্গন করতে শুরু করল।কোনক্রমে এগুলোকে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করলাম এবং সামনের দিকে আরও এগিয়ে গেলাম হঠাৎ একটা বস্তুু আমার পায়ের সঙ্গে ধাক্কা খেল।হাত দিয়ে অনুভব করলাম যে সেটি একটি চেয়ার।আমি ওটার উপর বসতেই,চেয়ারটা যেন আর্তনাদ করে উঠল্-"ক্যাঁ-আ-আ-চ"।ধ্বনিটা শুনেই আমি আঁতকে উঠলাম।ঠিক সেই মুহূর্তেই জানালা দরজাগুলো থেকে ঠক্ ঠক্ শব্দ ভেসে উঠল,বাড়ির মধ্যে ঝট্ পট্ শব্দ হতে শুরু করল।এই অবস্থায় আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।ঠিক্ সেই সময় লক্ষ্য করলাম ধবধবে সাদা শাড়ী পরিহিতা একজন মহিলা বাড়ির দরজা দিয়ে ঠিক্ আমাকে লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছেন।এই অবস্থায় ভয় ও আতঙ্কে মনে হতে লাগল আমার পায়ের তলা থেকে মাটি ধীরে ধীরে অপসারিত হচ্ছে এবং আমি যেন অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি।একমন সময় মহিলাটি ঠিক আমার সামনে এসে উপস্থিত হলেন,তখন আমার প্রান প্রায় ওষ্ঠাগত।হঠাৎ মহিলাটি আমার মুখের উপর আলোর বিচ্ছুরন ঘটিয়ে হালকা কণ্ঠে বলে উঠলেন -"আরে এপি তুই এখানে!তোকে তো তোর বাড়ির লোক হণ্যি হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে।চল আমার সাথে চল তোকে বাড়িতে রেখে আসি"।অতিপরিচিত কণ্ঠস্বরটা শুনে আমি স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেললাম।আমার বুঝতে বাকি রইলনা এই মহিলাটা আসলে অপুর মা।ধীরে ধীরে হারানো মাটি আবার পায়ের নীচে অনুভব করলাম।পরমূহুর্তে লক্ষ্য করলাম চাঁদের জ্যোৎস্না ফুটে উঠেছে।আমি মহিলাটির সাথে সাথে বাড়ি ফিরে এলাম ।বাড়ির উঠোনে পা রাখতেই আমি যেন স্বর্গ খুঁজে পেলাম।
রচনাকাল: ২২/১১/২০১৪
রচনাকাল: ২২/১১/২০১৪
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ২০/০১/২০১৬Dhonnobad।
-
তরীকুল ইসলাম সৈকত ১৭/০১/২০১৬ভাল লেগেছে। লেখার মান ভাল।
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১৬/০১/২০১৬ধন্যবাদ সাব্বির দাদা
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১৬/০১/২০১৬ধন্যবাদ শান্তনু দাদা
-
জে এস সাব্বির ১৪/০১/২০১৬২০১৪তে এই লেখাটির পর কন্টিনিউ করে থাকলে বর্তমান আপনার লেখার অনেক উন্নতি হয়েছে ।আপনি চালিয়ে যান ।শুভ কামনা রইল
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৪/০১/২০১৬আরো ভালোভাবে লেখার চেষ্টা করুন, আপনি পারবেন দাদা, পরে আরো ভালো হবে।
-
মনিরুজ্জামান জীবন ১৩/০১/২০১৬ভালই লিখেছেন, লেখনীর দিকে দৃষ্টি রাখবেন।
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১৩/০১/২০১৬Dhonnoban dhrubo rasel mohasoy
-
ধ্রুব রাসেল ১৩/০১/২০১৬ভাল লিখেছেন। তবে বানানের দিকে নজর রাখুন।
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১২/০১/২০১৬ধন্যবাদ দেবব্রত সান্যাল মহাশয় আপনাকে।
-
দেবব্রত সান্যাল ১২/০১/২০১৬বানান ঠিক করুন। নিজের ঠিকানা কেন দিয়েছেন ?
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১১/০১/২০১৬আমার গল্পটা প্রকাশ হয়েছে???