ভালোবাসা উৎসরিত নৈতিকতা
অত্যন্ত সহজ ভাবে বললে, ভালো’কে ভালো এবং খারাপ’কে খারাপ বলতে পারা বা চিহ্নিত করতে পারাই নৈতিকতা। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়টা আপেক্ষিক। শুধু মাত্র আপাত ভালো’কে ভালো মানুষ আর খারাপ’কে খারাপ মানুষ বলাটা যথাযথ নৈতিকতার পরিচয় বহন করে না। দরকার মানুষকে বোঝা।
প্রত্যেকটা মানুষের সাথে জড়িয়ে আছে কিছু দায়িত্ব। সে দায়িত্ব ভালোর জন্য ভালোর, খারাপের জন্য ভালোর, ভালোর জন্য খারাপের এবং খারাপের জন্য খারাপের যে কোন রকম হতে পারে। এই দায়িত্ব বোধ ও আবার ভালো খারাপ দু’রকমই হতে পারে। অথবা হতে পারে দুইয়ের মিশ্রণ। মানুষের সব রকম কর্মকাণ্ড প্রকাশ্য নয়। প্রকাশ্যে ভালো মানুষ হতে পারে অন্তরালে খারাপ অথবা অন্তরালে ভালো কাজ করা একজন ও প্রকাশ্যে খারাপ হিসেবে পরিচিত হতে পারেন।
একজন মানুষ আসলে কতটা ভালো অথবা কতটা খারাপ তা তার নিজের চেয়ে ভালো কারো জানা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কোন মানুষের পক্ষেও খুবই রহস্যময় এবং জটিল বিষয় এটা বোঝা যে তিনি আসলে কতটা ভালো বা কতটা খারাপ। কারন ভালো বা খারাপ মানুষ মূল্যায়ণের আদর্শ মাপকাঠি যে আদর্শে তৈরি তা সব মানুষের কাছে আদর্শ নয় এবং কোন নির্দিষ্ট আদর্শ সব মানুষের কাছে সুনির্দিষ্টও নয়। আর তাই নৈতিকতার সংজ্ঞাও সব মানুষের কাছে এক নয়।
মানুষের ক্ষেত্র ব্যাতিত অন্য সকল বিষয়ের নৈতিকতাও মানুষের উপরেই নির্ভরশীল কেননা তা মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষ নিজেদের জন্য যথাযথ আদর্শ স্থির করতে না পারলেও পারিপার্শ্বিক সকল কিছুর মূল্যায়নের জন্য একাধিক বা বহুবিধ আদর্শ তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে যা তারা নিজেদের জন্য সুবিধাজনক ভাবে প্রয়োগ করতে সচেষ্ট।
এই ব্যক্তি আদর্শ এবং বস্তু বা বিষয়ের আদর্শের এই ব্যবধানই তৈরী করেছে মানুষের সাথে মানুষের বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব। তাই আদর্শের প্রকৃত অর্থে সর্বজন স্বীকৃত কোন আদর্শ মানদণ্ড নেই।
কিন্তু এ জগতে মাত্র একটাই বিষয় চিরন্তন আর তা হচ্ছে ভালোবাসা। কারন ভালোবাসা সর্বজন স্বীকৃতির মুখাপেক্ষী নয় বরং নিজেই সর্বজনীন। মানুষ ভালোবাসা ব্যতীত মৃত।
নৈতিকতার জন্ম হোক মানুষের প্রতি মানুষের এবং আপনজনের, পরিবারের, সমাজের, দেশের, পৃথিবীর তথা মহাবিশ্বের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থেকে।
ভালোবাসা উৎসরিত নৈতিকতাই শাশ্বত !
১ জুলাই, ২০১৭ ।
প্রত্যেকটা মানুষের সাথে জড়িয়ে আছে কিছু দায়িত্ব। সে দায়িত্ব ভালোর জন্য ভালোর, খারাপের জন্য ভালোর, ভালোর জন্য খারাপের এবং খারাপের জন্য খারাপের যে কোন রকম হতে পারে। এই দায়িত্ব বোধ ও আবার ভালো খারাপ দু’রকমই হতে পারে। অথবা হতে পারে দুইয়ের মিশ্রণ। মানুষের সব রকম কর্মকাণ্ড প্রকাশ্য নয়। প্রকাশ্যে ভালো মানুষ হতে পারে অন্তরালে খারাপ অথবা অন্তরালে ভালো কাজ করা একজন ও প্রকাশ্যে খারাপ হিসেবে পরিচিত হতে পারেন।
একজন মানুষ আসলে কতটা ভালো অথবা কতটা খারাপ তা তার নিজের চেয়ে ভালো কারো জানা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কোন মানুষের পক্ষেও খুবই রহস্যময় এবং জটিল বিষয় এটা বোঝা যে তিনি আসলে কতটা ভালো বা কতটা খারাপ। কারন ভালো বা খারাপ মানুষ মূল্যায়ণের আদর্শ মাপকাঠি যে আদর্শে তৈরি তা সব মানুষের কাছে আদর্শ নয় এবং কোন নির্দিষ্ট আদর্শ সব মানুষের কাছে সুনির্দিষ্টও নয়। আর তাই নৈতিকতার সংজ্ঞাও সব মানুষের কাছে এক নয়।
মানুষের ক্ষেত্র ব্যাতিত অন্য সকল বিষয়ের নৈতিকতাও মানুষের উপরেই নির্ভরশীল কেননা তা মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষ নিজেদের জন্য যথাযথ আদর্শ স্থির করতে না পারলেও পারিপার্শ্বিক সকল কিছুর মূল্যায়নের জন্য একাধিক বা বহুবিধ আদর্শ তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে যা তারা নিজেদের জন্য সুবিধাজনক ভাবে প্রয়োগ করতে সচেষ্ট।
এই ব্যক্তি আদর্শ এবং বস্তু বা বিষয়ের আদর্শের এই ব্যবধানই তৈরী করেছে মানুষের সাথে মানুষের বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব। তাই আদর্শের প্রকৃত অর্থে সর্বজন স্বীকৃত কোন আদর্শ মানদণ্ড নেই।
কিন্তু এ জগতে মাত্র একটাই বিষয় চিরন্তন আর তা হচ্ছে ভালোবাসা। কারন ভালোবাসা সর্বজন স্বীকৃতির মুখাপেক্ষী নয় বরং নিজেই সর্বজনীন। মানুষ ভালোবাসা ব্যতীত মৃত।
নৈতিকতার জন্ম হোক মানুষের প্রতি মানুষের এবং আপনজনের, পরিবারের, সমাজের, দেশের, পৃথিবীর তথা মহাবিশ্বের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থেকে।
ভালোবাসা উৎসরিত নৈতিকতাই শাশ্বত !
১ জুলাই, ২০১৭ ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরিফুল ইসলাম ০৪/০৭/২০১৭দারুণ লিখনী!!
-
সাঁঝের তারা ০৩/০৭/২০১৭অনবদ্য