www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সিল্কি চুলের গোপন রহস্য

প্রতিটি রমনির সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হলো তার চুল। চুল এমনি একটা জিনিস যা সারা জীবন থাকে না। তাইতো চুলের এত খাতির ।আর সেই চুল যদি সিল্কি হয় তাহলেত কথাই নেই । সিল্কি চুল কার না পছন্দ । অনেক মেয়েরই স্বপ্ন থাকে ঘনকালো সিল্কি চুলের । চাইলে আপনি ঘরে বসেই অতি অল্প সময়ে পেতে পারেন সেই আরাধ্য সিল্কি চুল। একটা সহজ উপায় হল, আপনি সাধারনত যে শ্যাম্পু ব্যাবহার করেন, সেই শ্যাম্পু দিয়ে প্রথমে আপনার মাথার চুল ধুয়ে নিন। এর পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস বা ভিনেগার ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুল ভেজা অবস্থাতেই সমস্ত চুলে সেই লেবুর পানি ধীরে ধীরে ঢালুন। আলতো করে চুলটা মুছে নিন। চুল শুকিয়ে এলেই তফাতটা দেখতে পারবেন। লেবু সব সময়ই বাজারে কম বেশি পাওয়া যায়। তাই কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই অনেক সহজেই আপনার চুল সিল্কি করতে পারেন।

**  চুলের যত্নে টকদই এর কোন বিকল্প নেই **

টকদই এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে মাথার খুশকি চলে যায় এবং আপনার চুল হয়ে উঠে সিল্কি ও প্রাণবন্ত। এককাপ টকদই এর সাথে একটি লেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার গোসলের আগে সমস্ত চুলে এবং চুলের গোড়ায় এই প্যাকটি ভালকরে ধীরে ধীরে লাগান। এভাবে প্যাকটি মেখে ৩০-৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে খুব ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকিয়ে এলে আপনি নিজেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই বার এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

বোনাস টিপসঃ

যারা চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য চুলে মেহেদী ব্যবহার করা জরুরী। মেহেদী ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুল তার পুষ্টি ফিরে পায়, খুশকি দূর হয়। সাথে সাথে চুলের ভাঙ্গন দূর হয়, চুল হয় স্বাস্থ্য-সবল ও প্রাণবন্ত। বাজারে এখন
কাচা মেহেদী পাতাও পাওয়া যায়। মেহেদীর সাথে হালকা একটু লেবুর রশ মিশিয়ে নিলে আরও ভালহয়। কারো যদি মেহেদী পাতা সংগ্রহ করতে সমস্যা হয় তবে প্যাকেট হারবাল মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। ভাল হারবাল মেহেদী প্রাকৃতিক মেহেদীর মতই কাজ করে এবং চুলের জন্যও বেশ উপকারি। গরম পানিতে মেহেদী প্যাকটি গুলিয়ে পরে ঠান্ডা করে মাথায় লাগাতে হবে।প্যাকটি চুলে এক ঘন্টা রাখবেন। আর যদি কেউ চুলে লাল লাল আভা আনতে চান তবে ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। প্রতি মাসে অন্তত দুই বার প্যাকটি ব্যাবহার করতে পরেন। তবে সাবধান ৫ মিনিটে লাল হয় এইরকম লেখা মেহেদী থেকে ১০০ হাত দুরে থাকবেন। এগুলোর মধ্যে ক্ষতিকর কেমিকেল ছাড়া আর কিছুই নেই।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ১০৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সায়েম খান ১১/১১/২০১৩
    ডাঃ সাহেব, টিপস কি ফ্রি দিলেন? নাকি ভিজিট দিতে হবে? সময় করে আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন।
    • ডাঃ শরীফ হাসান ১১/১১/২০১৩
      না ভাই আমি নতুন।
      এনার্জি এখনো ফুরায়নি।তাই ভিজিট ছাড়াই ভিজিট করছি।
      চাই আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা।
  • אולי כולנו טועים ১১/১১/২০১৩
    khub valo laglo .....
    meyeder khub kaje debe...
    arokom aro kichu likhun daktar shaheb ?

    valo thakun.
 
Quantcast