বাবা দিবস
বাবা দিবস।
কয়েক মাস আগে চায়নাদের একটি মিউজিক ভিডি ও দেখেছিলাম ।ছোট্ট ফুটফুটে একটি বাচ্ছা মেয়ে স্যুট পরা একজন ভদ্র লোকের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে ।কিছুক্ষন পর দেখি ঐ লোকটি স্যুট টি পরিবর্তন করে বোঝা টানে ।আবার মেয়েটিকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় সে পরিপাটি ড্রেসআপ ।এভাবে একদিন মেয়েটি তার সে স্যুট পরা বাবাকে রাস্তায় ভ্যানগাড়ি টানতে দেখে নিজেকে নিজে বিশ্বাস করতে পারল না ।বাবা কত বড় মিথ্যেবাদী ।বাবা কত বড় অভিনেতা ।সত্যিই বাবারা মিথ্যেবাদী অভিনেতা হয় ।
সারাটা দিন অফিসে খেটে এক গাধা বাজার নিয়ে হাসিমুখে বাসায় ফিরে সুখী মানুষের ভাব ধরে ।হেঁটে অফিসে আসা যাওয়া করে ক্লান্ত শরীলে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলবে হাটতে ভালো লাগে বাবা ।
মিথ্যেবাদী বাবারা একজোড়া প্লাস্টিকের স্যান্ডেল দিয়ে শীত - গ্রীষ্ম - বর্ষাকাল দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়। স্যান্ডেলের রং জ্বলে যায়। বুড়ো আঙুলের কাছে ছিঁড়ে যায়। গোড়ালির দিকটা দেবে যায়। একটার পর একটা সেলাই পরে। স্যান্ডেলের বয়স বাড়ে। বাবাদের পথ চলা শেষ হয়না। নতুন স্যান্ডেল কেনা হয়না।বলে আমার স্যান্ডেল আছে নতুন লাগবেনা ।
প্রতিটি ঈদে সন্তানের জন্য নিত্যনতুন বাহারি রঙ্গের জামা ক্রয় করে নিজের বোতাম ছেঁড়া পাঞ্জাবিটা বোতাম লাগিয়ে আয়রণের চাপ দিয়ে পুরাতন পান্জাবিতে বছরের পর বছর হাসিমুখে তাদের ঈদ কেটে যায় ।
কৃপণ বাবাদের পুরাতন চশমার ফ্রেইমটা চেইঞ্জ করার পয়সা না হলে ও সন্তান কে রোদ চশমা কিনে দেওয়ার পয়সা হয় ।
মেরুদন্ডশক্ত করে বাবারা ছোটবেলায় সন্তান কে কাঁদে নিয়ে মাইলকে মাইল হাঁটতেপারে ।
হাঁটতে শেখার প্রথম দিনগুলোতে এ মানুষটার হাত ধরে ধীরে ধীরে হাঁটতে হয় ,চলা শিখতে হয় ।
সামান্য একটু জ্বর কিংবা কাশিতে সন্তানের জন্য হায় হুতাশ করা মানুষটি বছরের পর বছর অসুস্থ শরীলে সংসারের গানি টেনে যায় ।সন্তানের ভবিষৎ চাকা ঘুরাতে ঘুরাতে কোনো এক সময় নিজের জীবনের চাকা ক্ষয় হয়ে যায় ।তারপর ও বাবারা হাল ছেড়ে দেয় না ।
এ বট বৃক্ষগুলো তাদের ছায়ায় সন্তান কে রোদ বৃষ্টি ঝড় সব কিছুতে আগলে রাখলে ও বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষ গুলোকে মানুষ নামের কিছু অমানুষ বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে আসে ।
এ দেশে বিভিন্ন আইন হয় সংবিধান পরিবর্তন হয়।বাবা মায়ের অধিকার সংরক্ষণ নামে কি কোনো আইন হতে পারে না ?
আর কোনো বাবামায়ের স্থান যেনো বৃদ্ধাশ্রম না হয় ,বাবার পিঠে ছড়ে হাত ধরে যেভাবে হাটঁতে শিখেছি বাবার বৃদ্ধবয়সে যেনো সে রকম বাবার হাতের লাঠি হতে পারি ,বাবার চোখে যেভাবে বিশ্ব দেখেছি বাবার বৃদ্ধ বয়সে যেনো সে রকম বাবার চোখের পাওয়ার হতে পারি ।
কয়েক মাস আগে চায়নাদের একটি মিউজিক ভিডি ও দেখেছিলাম ।ছোট্ট ফুটফুটে একটি বাচ্ছা মেয়ে স্যুট পরা একজন ভদ্র লোকের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে ।কিছুক্ষন পর দেখি ঐ লোকটি স্যুট টি পরিবর্তন করে বোঝা টানে ।আবার মেয়েটিকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় সে পরিপাটি ড্রেসআপ ।এভাবে একদিন মেয়েটি তার সে স্যুট পরা বাবাকে রাস্তায় ভ্যানগাড়ি টানতে দেখে নিজেকে নিজে বিশ্বাস করতে পারল না ।বাবা কত বড় মিথ্যেবাদী ।বাবা কত বড় অভিনেতা ।সত্যিই বাবারা মিথ্যেবাদী অভিনেতা হয় ।
সারাটা দিন অফিসে খেটে এক গাধা বাজার নিয়ে হাসিমুখে বাসায় ফিরে সুখী মানুষের ভাব ধরে ।হেঁটে অফিসে আসা যাওয়া করে ক্লান্ত শরীলে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলবে হাটতে ভালো লাগে বাবা ।
মিথ্যেবাদী বাবারা একজোড়া প্লাস্টিকের স্যান্ডেল দিয়ে শীত - গ্রীষ্ম - বর্ষাকাল দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়। স্যান্ডেলের রং জ্বলে যায়। বুড়ো আঙুলের কাছে ছিঁড়ে যায়। গোড়ালির দিকটা দেবে যায়। একটার পর একটা সেলাই পরে। স্যান্ডেলের বয়স বাড়ে। বাবাদের পথ চলা শেষ হয়না। নতুন স্যান্ডেল কেনা হয়না।বলে আমার স্যান্ডেল আছে নতুন লাগবেনা ।
প্রতিটি ঈদে সন্তানের জন্য নিত্যনতুন বাহারি রঙ্গের জামা ক্রয় করে নিজের বোতাম ছেঁড়া পাঞ্জাবিটা বোতাম লাগিয়ে আয়রণের চাপ দিয়ে পুরাতন পান্জাবিতে বছরের পর বছর হাসিমুখে তাদের ঈদ কেটে যায় ।
কৃপণ বাবাদের পুরাতন চশমার ফ্রেইমটা চেইঞ্জ করার পয়সা না হলে ও সন্তান কে রোদ চশমা কিনে দেওয়ার পয়সা হয় ।
মেরুদন্ডশক্ত করে বাবারা ছোটবেলায় সন্তান কে কাঁদে নিয়ে মাইলকে মাইল হাঁটতেপারে ।
হাঁটতে শেখার প্রথম দিনগুলোতে এ মানুষটার হাত ধরে ধীরে ধীরে হাঁটতে হয় ,চলা শিখতে হয় ।
সামান্য একটু জ্বর কিংবা কাশিতে সন্তানের জন্য হায় হুতাশ করা মানুষটি বছরের পর বছর অসুস্থ শরীলে সংসারের গানি টেনে যায় ।সন্তানের ভবিষৎ চাকা ঘুরাতে ঘুরাতে কোনো এক সময় নিজের জীবনের চাকা ক্ষয় হয়ে যায় ।তারপর ও বাবারা হাল ছেড়ে দেয় না ।
এ বট বৃক্ষগুলো তাদের ছায়ায় সন্তান কে রোদ বৃষ্টি ঝড় সব কিছুতে আগলে রাখলে ও বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষ গুলোকে মানুষ নামের কিছু অমানুষ বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে আসে ।
এ দেশে বিভিন্ন আইন হয় সংবিধান পরিবর্তন হয়।বাবা মায়ের অধিকার সংরক্ষণ নামে কি কোনো আইন হতে পারে না ?
আর কোনো বাবামায়ের স্থান যেনো বৃদ্ধাশ্রম না হয় ,বাবার পিঠে ছড়ে হাত ধরে যেভাবে হাটঁতে শিখেছি বাবার বৃদ্ধবয়সে যেনো সে রকম বাবার হাতের লাঠি হতে পারি ,বাবার চোখে যেভাবে বিশ্ব দেখেছি বাবার বৃদ্ধ বয়সে যেনো সে রকম বাবার চোখের পাওয়ার হতে পারি ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জহির রহমান ২০/০৭/২০১৮মিস ইউ বাবা
-
সেলিম রেজা সাগর ২১/০৬/২০১৮বাবা তুলনা শুধুই বাবা।
-
আব্দুল হক ২০/০৬/২০১৮সুন্দর, ধন্যবাদ!