নিভৃত ভালবাসার আর্ত শব্দাবলী
“তোমাকে মনে পড়ে চোখের পলকে;কিংবা
যখন অপলকে তাকিয়ে থাকি নির্জনতার দিকে;
তোমার মেহেদী রাঙা হাতে আলপনা আঁকি-
আমার মনের যত জলরং দিয়ে;
তুমি শুধু-
সকল তৃপ্ততায় ভরে দিও আমাকে।।”
না আর পারছি না নিজেকে সামলাতে।কখনো কবিতায়
কিংবা কখনো পুরোনো ছবির অ্যালবামে খোঁজে বেড়াই মেয়েটিকে।এত মানুষের ভীড়েও কখনো শুন্যতায় কিংবা জীবনের
অপূর্ণতার বেড়াজালে আটকে আছে আমার অনুভূতি; নিথর অনুভূতি…।।ছ’টি মাস কেটে গেছে বিবর্ণতার
মাঝে।বছর ঘুরে আবার এসেছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি।।
ভালবাসার দিন।।আমার হাতে আজ অফুরন্ত সময়।অথচ হয়তো আজ আটকে আছি আমি মেয়েটির ভাবনার অন্য দেয়ালে।আমি জীবনের রঙ চিনেছি তার দু’টো চোখের মাঝে।একটা সময় মনে হতো কিভাবে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এতো ভালবাসে!!অথচ সব এখন ধুসর স্মৃতি।হয়তো তাই আজ বিষণ্ণতা আর হীণমন্যতায় নিমগ্ন এই মন।অথচ গেল বছরের ভালবাসার দিনটিই আমার কাছে ছিল আট দশটা সাদাসিধা দিনগুলির মতো।কিন্তু মেয়েটির ছিল
আমাকে নিয়ে স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার
আকুলতা; সঙ্গে ছিল আমার ব্যস্ততা।এভাবে একেকটা বিশেষ বিশেষ দিনে তার কিছু না পাওয়া;আর আমার দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা-এ দুইয়ের মিলনে কখন যে ক্ষোভের বিস্ফোরন ঘটিয়ে সে হারিয়ে গেল; তা এখনো আমার বোধগম্যতার
বাইরে।।আমাদের বিশ্বাস ছিল শত প্রতিকুলতায়ও
আমাদের ভালবাসার বন্ধন থাকবে থাকবে অটুট; আর
সেই মাত্রারিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়তো বাড়িয়ে তোলেছিল অবহেলা আর তার প্রতি উদাসীনতা; আমার অজান্তেই।।তার সমস্ত ভালবাসা আর চাওয়া-পাওয়া ছিল আমাকে ঘিরেই।কিন্তু বাস্তববাদিতার অজুহাতে মূল্য দেই নি সেই সব আবেগকে।আর সেই
কঠোর বাস্তবতাই পরাজিত করেছিল তার আবেগকে।সাথে আমি পরাজিত হয়েছি আমার
আত্মবিশ্বাসের কাছে।অথচ তার প্রতি আমার ভালবাসার
কোন কমতি ছিল না।
আজ আমি অনুতপ্ত ক্ষমাপ্রার্থী; সে নিশ্চুপ।জানি
আজ আমার আবেগ ওর কাছে মূল্যহীণ।
চোখের সামনে দিয়ে যখন সে হেঁটে যায়,আমার ভিতরে শুরু হয় আবেগের
আন্দোলন;আর তার চোখ থাকে নির্জীব।আজ
একই ক্যাম্পাসে থেকেও আমাদের দুই পৃথিবী।
সে হয়তো সুন্দর বর্তমানকে জানিয়েছে
স্বাগত;আর আমি আজও পড়ে আছি স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে।আর মাসখানেক পর বিদায় জানাতে হবে চিরচেনা ক্যাম্পাসকে।আমার অশ্রুজলের অঝোর বর্ষণেও হয়তো ঐ প্রিয় মুখখানির দর্শন আর মিলবে না।বেদনার ভারে ক্লান্ত এ মনের শ্রান্তি তো হবে না তখন।কেবল নিভৃতে মরে যাবে আমার স্বপ্ন; কিংবা স্বপ্ন বুনার সাধ।তবু দু'জন
মিলে যে স্বপ্ন দেখতাম,সেই স্বপ্নের সূতো আমি আজও বুনছি।আর দিন গুনছি সেই দিনটির-যে দিনে আবার ফিরে পাব তাকে।সকল অপূর্ণতার সমাপ্তি হবে ঐ একটি প্রাপ্তিতে।।
প্রিয় মানুষটি আজ পাশে নেই;তবু ভালবেসে যাচ্ছি
নতুন উদ্যোমে।আর তার বিশ্বাসের কাটাগুলো সংশয়ে দুলে দুলে আমার প্রতি তার অগাধ ভালবাসা
পরিণত হয়েছে তিক্ততায়।নতুন কোন সম্ভাবনা হয়তো তাকে উঁকি দিয়ে ডাকছে।তাই সে
পুরোনো দিনের ব্যর্থতার ক্লান্তি ভুলে,অপার শান্তির সন্ধানে মগ্ন।।বাস্তবতা আর স্বপ্নের দ্বন্দ্বের মাঝখানে থেকে আমার প্রতিটি রন্ধ্বে
চলছে তীব্র হাহাকার।তবু আমি তাকে খোঁজে
বেড়াই আমার কবিতার মাঝে কিংবা ধূলোমাখা স্মৃতির আড়ালে।আর চলে আমার নিভৃত ভালবাসার স্মৃতিচ্চারণ...।।
ভালবাসার এই ভালবাসাময় দিনে আমার একটাই চাওয়া;যেখানে থাকুক না কেন সে যাতে অনেক ভাল থাকে,যে ভাল থাকাটা সে আমার কাছে
চেয়েছিল।
এই দোটানায় জীবনের গতি হয়তো থেমে থাকে না।তবু স্মৃতির মনিকোঠায় থেকে যায় তার নাম,
যে নামটা মনে আসলেই হৃদ্স্পন্দনটা মুহূর্তের
জন্য থমকে যায়; অতঃপর চলে দীর্ঘশ্বাসের মাঝে।।আর থেকে যায় আমার নিভৃত ভালবাসার আর্ত শব্দাবলী...!!
রচনাকালঃ ১৪/০২/২০১২
যখন অপলকে তাকিয়ে থাকি নির্জনতার দিকে;
তোমার মেহেদী রাঙা হাতে আলপনা আঁকি-
আমার মনের যত জলরং দিয়ে;
তুমি শুধু-
সকল তৃপ্ততায় ভরে দিও আমাকে।।”
না আর পারছি না নিজেকে সামলাতে।কখনো কবিতায়
কিংবা কখনো পুরোনো ছবির অ্যালবামে খোঁজে বেড়াই মেয়েটিকে।এত মানুষের ভীড়েও কখনো শুন্যতায় কিংবা জীবনের
অপূর্ণতার বেড়াজালে আটকে আছে আমার অনুভূতি; নিথর অনুভূতি…।।ছ’টি মাস কেটে গেছে বিবর্ণতার
মাঝে।বছর ঘুরে আবার এসেছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি।।
ভালবাসার দিন।।আমার হাতে আজ অফুরন্ত সময়।অথচ হয়তো আজ আটকে আছি আমি মেয়েটির ভাবনার অন্য দেয়ালে।আমি জীবনের রঙ চিনেছি তার দু’টো চোখের মাঝে।একটা সময় মনে হতো কিভাবে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে এতো ভালবাসে!!অথচ সব এখন ধুসর স্মৃতি।হয়তো তাই আজ বিষণ্ণতা আর হীণমন্যতায় নিমগ্ন এই মন।অথচ গেল বছরের ভালবাসার দিনটিই আমার কাছে ছিল আট দশটা সাদাসিধা দিনগুলির মতো।কিন্তু মেয়েটির ছিল
আমাকে নিয়ে স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার
আকুলতা; সঙ্গে ছিল আমার ব্যস্ততা।এভাবে একেকটা বিশেষ বিশেষ দিনে তার কিছু না পাওয়া;আর আমার দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা-এ দুইয়ের মিলনে কখন যে ক্ষোভের বিস্ফোরন ঘটিয়ে সে হারিয়ে গেল; তা এখনো আমার বোধগম্যতার
বাইরে।।আমাদের বিশ্বাস ছিল শত প্রতিকুলতায়ও
আমাদের ভালবাসার বন্ধন থাকবে থাকবে অটুট; আর
সেই মাত্রারিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়তো বাড়িয়ে তোলেছিল অবহেলা আর তার প্রতি উদাসীনতা; আমার অজান্তেই।।তার সমস্ত ভালবাসা আর চাওয়া-পাওয়া ছিল আমাকে ঘিরেই।কিন্তু বাস্তববাদিতার অজুহাতে মূল্য দেই নি সেই সব আবেগকে।আর সেই
কঠোর বাস্তবতাই পরাজিত করেছিল তার আবেগকে।সাথে আমি পরাজিত হয়েছি আমার
আত্মবিশ্বাসের কাছে।অথচ তার প্রতি আমার ভালবাসার
কোন কমতি ছিল না।
আজ আমি অনুতপ্ত ক্ষমাপ্রার্থী; সে নিশ্চুপ।জানি
আজ আমার আবেগ ওর কাছে মূল্যহীণ।
চোখের সামনে দিয়ে যখন সে হেঁটে যায়,আমার ভিতরে শুরু হয় আবেগের
আন্দোলন;আর তার চোখ থাকে নির্জীব।আজ
একই ক্যাম্পাসে থেকেও আমাদের দুই পৃথিবী।
সে হয়তো সুন্দর বর্তমানকে জানিয়েছে
স্বাগত;আর আমি আজও পড়ে আছি স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে।আর মাসখানেক পর বিদায় জানাতে হবে চিরচেনা ক্যাম্পাসকে।আমার অশ্রুজলের অঝোর বর্ষণেও হয়তো ঐ প্রিয় মুখখানির দর্শন আর মিলবে না।বেদনার ভারে ক্লান্ত এ মনের শ্রান্তি তো হবে না তখন।কেবল নিভৃতে মরে যাবে আমার স্বপ্ন; কিংবা স্বপ্ন বুনার সাধ।তবু দু'জন
মিলে যে স্বপ্ন দেখতাম,সেই স্বপ্নের সূতো আমি আজও বুনছি।আর দিন গুনছি সেই দিনটির-যে দিনে আবার ফিরে পাব তাকে।সকল অপূর্ণতার সমাপ্তি হবে ঐ একটি প্রাপ্তিতে।।
প্রিয় মানুষটি আজ পাশে নেই;তবু ভালবেসে যাচ্ছি
নতুন উদ্যোমে।আর তার বিশ্বাসের কাটাগুলো সংশয়ে দুলে দুলে আমার প্রতি তার অগাধ ভালবাসা
পরিণত হয়েছে তিক্ততায়।নতুন কোন সম্ভাবনা হয়তো তাকে উঁকি দিয়ে ডাকছে।তাই সে
পুরোনো দিনের ব্যর্থতার ক্লান্তি ভুলে,অপার শান্তির সন্ধানে মগ্ন।।বাস্তবতা আর স্বপ্নের দ্বন্দ্বের মাঝখানে থেকে আমার প্রতিটি রন্ধ্বে
চলছে তীব্র হাহাকার।তবু আমি তাকে খোঁজে
বেড়াই আমার কবিতার মাঝে কিংবা ধূলোমাখা স্মৃতির আড়ালে।আর চলে আমার নিভৃত ভালবাসার স্মৃতিচ্চারণ...।।
ভালবাসার এই ভালবাসাময় দিনে আমার একটাই চাওয়া;যেখানে থাকুক না কেন সে যাতে অনেক ভাল থাকে,যে ভাল থাকাটা সে আমার কাছে
চেয়েছিল।
এই দোটানায় জীবনের গতি হয়তো থেমে থাকে না।তবু স্মৃতির মনিকোঠায় থেকে যায় তার নাম,
যে নামটা মনে আসলেই হৃদ্স্পন্দনটা মুহূর্তের
জন্য থমকে যায়; অতঃপর চলে দীর্ঘশ্বাসের মাঝে।।আর থেকে যায় আমার নিভৃত ভালবাসার আর্ত শব্দাবলী...!!
রচনাকালঃ ১৪/০২/২০১২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ২৯/১১/২০১৫বেশ ভালো লাগলো আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
-
আল মামুন ২৮/১১/২০১৫প্রেয়সীর তরে এতো কিছু হৃদয়ে এখনো বপন করে রেখেছেন? সত্যিই এ বড় স্বার্থক প্রেমিক!