অদ্ভুদ পার্টস ওয়ালা যন্ত্র
ছেলেটার ঘাম ঝরে।ভারী ও ঘন নিঃশ্বাস ধীরে ধীরে হাল্কা হয়।ছেলেটা ওপাস ফিরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়।মেয়েটা ঠাঁয় শুয়ে রয় একই ভাবে।চোখে তার জল জমে।মুছে না।ডিম লাইটের মৃদু আলোতে গা ভাসায় মেয়েটা।দীর্ঘশ্বাস নেয় সে ঘন ঘন।স্বামীর কাছে প্রতিনিয়ত ধর্ষিতা হওয়ার কষ্ট যে সে ছাড়া নেহাত আর কেউ বুঝবে না।বুঝার চেষ্টা তো দূরের কথা বরং এ সমাজ লেপে দিবে কালিমার দাগ।বিয়ে হয়েছে বছর খানেক।আর এগুলো ভাবলে কি চলে??সত্যি এ সমাজ নিয়ম ছাড়া চলে না।আবার এ সমাজ চলার জন্যই অনেক নিয়ম ভাঙতেও হয়।আর এসব নিয়ম অনিয়মের বেড়াজালে আটকে পিষ্ট হয় কিছু জীবন।।
ছেলেটি হারায় ঘুমের রাজ্যে।কার্যসিদ্ধি হলেই ব্যস।আর পিছুটান থাকে না।
মেয়েটি বিছানা ছেড়ে ওঠে।অতি যত্নে লুকিয়ে রাখা একটা ডায়েরি তে চোখ বুলায়।কয়েকটি পাতায় খন্ড খন্ড কিছু লেখা।এক সময়ের ভাল লাগার মানুষটির লেখা।কিছু সোনালী সময়ের শেষ চিহ্ন এই ডায়েরিটা।মেয়েটি শেষ পাতায় যায়।
" অদ্ভুদ এক ভাল লাগা নিয়ে যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল,তা ঘুনে ধরতে ধরতে এক সময় কালের গভীরে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।কয়েক শত বিনিদ্র রাত,আর কয়েক লক্ষ দীর্ঘশ্বাসের পর আমি ক্লান্ত হয়ে শ্রান্তি খুজে পেয়েছিলাম একাকীত্বে।মাঝখানে জন্ম নিয়েছিল কিছু কবিতার কথা।ব্যস।।ঐ শেষ থেকে শুরু হয়েছিল আরেকটি শেষের পথের যাত্রা।যার শুরু আছে সেটার শেষ হবে সেটাই স্বাভাবিক।জীবন এমনই একটা গোলক ধাঁধা।নানান বাঁধা বিপত্তি আসলেও তা থমকে যায় না।আজ হঠাৎ এত কথার পেছনে একটা জিনিসই দায়ী।এক ফালি চাঁদ।চন্দ্রালোকে বিদ্ধস্ত হলেই জমে থাকা কথাগুলো মোমের মত গলে যায়।এ যেন অদ্ভুদ এক ব্যাপার।খোলা আকাশে তাকিয়ে তাকিয়ে টাইম মেশিনে ঘুরে এলাম ফেলে আসা দিনগুলো থেকে।ছোট্ট ভুল ভ্রান্তি থেকে কত সহজেই জীবনের মোড় বদলাতে বদলাতে আজ এই আমি।আমার আমি।। এই আছি।বেশ আছি।কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট পাল্টেছে শুধু।তবু মাঝে মাঝে এলোমেলো ভাবনা চলে আসে।মনের ভ্রমে জমে থাকা বরফগুলো ভেসে যায় ইচ্ছে নদীতে।"
ডায়েরি রেখে আবার বিছানায় আসে মেয়েটি। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।নিঃশব্দে।।দায়টা যে তারই।সেদিনের তিক্ততা আর অপারগতারই ফল হয়তো বর্তমানের একেকটা দুঃসহ দীর্ঘ রাত।
রাতের গভীরতায় একসময় মিশে যায় মেয়েটির সেই আর্তনাদ।আবার ভোর হয়।তবু যেন তার মুখে আলো ফুটে না।অন্ধকারের যন্ত্রণা মনে চেপে সে চালিয়া যায় সেই যন্ত্রটিকে।সংসার নামক যন্ত্র।পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুদ পার্টস ওয়ালা যন্ত্র।।
ছেলেটি হারায় ঘুমের রাজ্যে।কার্যসিদ্ধি হলেই ব্যস।আর পিছুটান থাকে না।
মেয়েটি বিছানা ছেড়ে ওঠে।অতি যত্নে লুকিয়ে রাখা একটা ডায়েরি তে চোখ বুলায়।কয়েকটি পাতায় খন্ড খন্ড কিছু লেখা।এক সময়ের ভাল লাগার মানুষটির লেখা।কিছু সোনালী সময়ের শেষ চিহ্ন এই ডায়েরিটা।মেয়েটি শেষ পাতায় যায়।
" অদ্ভুদ এক ভাল লাগা নিয়ে যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল,তা ঘুনে ধরতে ধরতে এক সময় কালের গভীরে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।কয়েক শত বিনিদ্র রাত,আর কয়েক লক্ষ দীর্ঘশ্বাসের পর আমি ক্লান্ত হয়ে শ্রান্তি খুজে পেয়েছিলাম একাকীত্বে।মাঝখানে জন্ম নিয়েছিল কিছু কবিতার কথা।ব্যস।।ঐ শেষ থেকে শুরু হয়েছিল আরেকটি শেষের পথের যাত্রা।যার শুরু আছে সেটার শেষ হবে সেটাই স্বাভাবিক।জীবন এমনই একটা গোলক ধাঁধা।নানান বাঁধা বিপত্তি আসলেও তা থমকে যায় না।আজ হঠাৎ এত কথার পেছনে একটা জিনিসই দায়ী।এক ফালি চাঁদ।চন্দ্রালোকে বিদ্ধস্ত হলেই জমে থাকা কথাগুলো মোমের মত গলে যায়।এ যেন অদ্ভুদ এক ব্যাপার।খোলা আকাশে তাকিয়ে তাকিয়ে টাইম মেশিনে ঘুরে এলাম ফেলে আসা দিনগুলো থেকে।ছোট্ট ভুল ভ্রান্তি থেকে কত সহজেই জীবনের মোড় বদলাতে বদলাতে আজ এই আমি।আমার আমি।। এই আছি।বেশ আছি।কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট পাল্টেছে শুধু।তবু মাঝে মাঝে এলোমেলো ভাবনা চলে আসে।মনের ভ্রমে জমে থাকা বরফগুলো ভেসে যায় ইচ্ছে নদীতে।"
ডায়েরি রেখে আবার বিছানায় আসে মেয়েটি। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।নিঃশব্দে।।দায়টা যে তারই।সেদিনের তিক্ততা আর অপারগতারই ফল হয়তো বর্তমানের একেকটা দুঃসহ দীর্ঘ রাত।
রাতের গভীরতায় একসময় মিশে যায় মেয়েটির সেই আর্তনাদ।আবার ভোর হয়।তবু যেন তার মুখে আলো ফুটে না।অন্ধকারের যন্ত্রণা মনে চেপে সে চালিয়া যায় সেই যন্ত্রটিকে।সংসার নামক যন্ত্র।পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুদ পার্টস ওয়ালা যন্ত্র।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হাসান কাবীর ২৬/১১/২০১৫ভালো হয়েছে,আরো লিখুন।