শিরোনামহীন অনুগল্প
'আমাকে একটা লাল গোলাপ এনে দিবা?' 'আরে
ধ্যত! নেকামী কর না তো! আমার ওসব ভাল্লাগে
না।আমার কাছে প্রতিদিন ই বিশেষ দিন॥'হাতের
টুকটুকে লাল গোলাপটির দিকে এক পলকে
তাকিয়ে আছে অর্নব।'এই কোন দুনিয়ায় হারিয়ে
গেলা তুমি!?' 'কই না তো! ফুলের জন্য থ্যাংক্স!চল
যাই।' 'আমাকে একটা ফুল কিনে দিবা না?' 'আরে
ধ্য...........নাহ্ দাঁড়াও এনে দিচ্ছি।' সাদা শাড়ী লাল পাড়।
খোপা বাঁধা চুলে গোলাপটা গুঁজে দিল অর্নব।
শাড়ীটা তারই দেয়া। 'শ্রাবণী তোমাকে খোলা
চুলে আরো সুন্দর লাগতো!' 'তো! এই গরমে?'
'নাহ এমনিতেই বললাম আর কি!' হাতে হাত রেখে
দুজন হাঁটে। চারপাশে উচ্ছ্বাস! বৈশাখী আয়োজন!
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে উদযাপন॥ চারপাশের
মানুষের দিকে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে অর্নব।
শ্রাবণীর দেয়া মেরুন রঙের পাঞ্জাবিটা পরে
আছে সে। পাঞ্জাবি টাঞ্জাবী তেমন একটা ভাল
লাগে না তার।তাও আবার এত গরমে!এত লোকের
ভীড়ে!শ্রাবণী মাঝে মাঝে কথা বলছে আর
অর্নব হা হু করে কথা শেষ করছে।তার দৃষ্টি
ক্যাম্পাসের নতুন মুখগুলোর দিকে।কোথাও যদি
পাওয়া যায় কোন পরিচিত মুখ!কতগুলো বৈশাখ
কেটেছে এ ক্যাম্পাসে।কত স্মৃতি॥ক্যাম্পাসটা ঠিক
আগের মতোই আছে; বদলেছে শুধু সময়।
বিয়ের পর একবারো ক্যাম্পাসে আসে নি অর্নব।
বিয়ের পর বছর দেড়েক কেটে গেছে।
শ্রাবণীকেও তাই এই প্রথম এখানে নিয়ে আসা।
হাঁটতে হাঁটতে একটা বড় গাছের নিচে বসলো
দুজন।ভীষণ ক্লান্ত।মনটাও অর্নবের কেন জানি
ভারী হয়ে আসছিল। 'জান ঠিক এইখানে অনেক
সুন্দর সময় পার করেছি একসময়॥' 'হুম জানি।যদিও তুমি
বল নি' মুচকি হাসি দিয়ে শ্রাবণী বলে। 'তাই?কি জান
বল দেখি?' কৌতুহলহীণ প্রশ্ন তার। 'জানি তুমি
নেকামো পছন্দ কর না।ভ্যালেন্টাইন
্স ডে, নিউ
ইয়ার,পহেলা ফাল্গুন,পহেলা বৈশাখ এসব তোমার ভাল
লাগে না।' শ্রাবণী অর্নবের অনেক না বলা কথা
বলতে থাকে আর অর্নব অস্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে
থাকে। 'দেখ অর্নব আমি তোমাকে দেড় বছর
খুব কাছ থেকে দেছেছি; চিনেছি;ভালবেসেছি;
তোমার অনেক ভালবাসাও পেয়েছি।স্ত্রী
হিসেবে আমাকে তোমার কেমন লাগে জানি না
তবে আমাকে খুশী করতে গিয়ে তোমার কষ্ট
হোক তা আমি চাই না।আমি জানি ভালবাসা প্রকাশে ফুল
বিনিময় তোমার পছন্দ না।তবু আজ তোমাকে ফুল
দিয়েছি; ফুল চেয়েছি।আই এম সরি॥' অর্নব চুপ।
পকেটে হাত ঢুকিয়ে মোবাইলটা বের করতে
চাইলো সে। 'ঠিক ই ধরেছো ত্রপা ফোন
দিয়েছিল।তুমি ওয়াশ রুমে ছিলে।' 'তুমি তাকে
চেনো?' কাঁপা গলায় বলে অর্নব। 'নাহ আজ চিনলাম।'
'আর কি বললো?' 'আর তেমন কিছু না।শেষে বলল
আমি যেন তোমাকে কখনো ভুল না বুঝি।আমি
তোমাকে কখনো কষ্ট দিব না।আমি তোমাকে
খুব ভালবাসি অর্নব।'
শ্রাবণী অর্নবের কাঁধে মাথা রাখে।অর্নব ফ্যাল
ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে সামনের দিকে।চোখ
দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে।আনন্দ অশ্রু।ভারী
নি:শ্বাস গুলো তার হালকা হতে থাকে॥
ধ্যত! নেকামী কর না তো! আমার ওসব ভাল্লাগে
না।আমার কাছে প্রতিদিন ই বিশেষ দিন॥'হাতের
টুকটুকে লাল গোলাপটির দিকে এক পলকে
তাকিয়ে আছে অর্নব।'এই কোন দুনিয়ায় হারিয়ে
গেলা তুমি!?' 'কই না তো! ফুলের জন্য থ্যাংক্স!চল
যাই।' 'আমাকে একটা ফুল কিনে দিবা না?' 'আরে
ধ্য...........নাহ্ দাঁড়াও এনে দিচ্ছি।' সাদা শাড়ী লাল পাড়।
খোপা বাঁধা চুলে গোলাপটা গুঁজে দিল অর্নব।
শাড়ীটা তারই দেয়া। 'শ্রাবণী তোমাকে খোলা
চুলে আরো সুন্দর লাগতো!' 'তো! এই গরমে?'
'নাহ এমনিতেই বললাম আর কি!' হাতে হাত রেখে
দুজন হাঁটে। চারপাশে উচ্ছ্বাস! বৈশাখী আয়োজন!
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে উদযাপন॥ চারপাশের
মানুষের দিকে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে অর্নব।
শ্রাবণীর দেয়া মেরুন রঙের পাঞ্জাবিটা পরে
আছে সে। পাঞ্জাবি টাঞ্জাবী তেমন একটা ভাল
লাগে না তার।তাও আবার এত গরমে!এত লোকের
ভীড়ে!শ্রাবণী মাঝে মাঝে কথা বলছে আর
অর্নব হা হু করে কথা শেষ করছে।তার দৃষ্টি
ক্যাম্পাসের নতুন মুখগুলোর দিকে।কোথাও যদি
পাওয়া যায় কোন পরিচিত মুখ!কতগুলো বৈশাখ
কেটেছে এ ক্যাম্পাসে।কত স্মৃতি॥ক্যাম্পাসটা ঠিক
আগের মতোই আছে; বদলেছে শুধু সময়।
বিয়ের পর একবারো ক্যাম্পাসে আসে নি অর্নব।
বিয়ের পর বছর দেড়েক কেটে গেছে।
শ্রাবণীকেও তাই এই প্রথম এখানে নিয়ে আসা।
হাঁটতে হাঁটতে একটা বড় গাছের নিচে বসলো
দুজন।ভীষণ ক্লান্ত।মনটাও অর্নবের কেন জানি
ভারী হয়ে আসছিল। 'জান ঠিক এইখানে অনেক
সুন্দর সময় পার করেছি একসময়॥' 'হুম জানি।যদিও তুমি
বল নি' মুচকি হাসি দিয়ে শ্রাবণী বলে। 'তাই?কি জান
বল দেখি?' কৌতুহলহীণ প্রশ্ন তার। 'জানি তুমি
নেকামো পছন্দ কর না।ভ্যালেন্টাইন
্স ডে, নিউ
ইয়ার,পহেলা ফাল্গুন,পহেলা বৈশাখ এসব তোমার ভাল
লাগে না।' শ্রাবণী অর্নবের অনেক না বলা কথা
বলতে থাকে আর অর্নব অস্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে
থাকে। 'দেখ অর্নব আমি তোমাকে দেড় বছর
খুব কাছ থেকে দেছেছি; চিনেছি;ভালবেসেছি;
তোমার অনেক ভালবাসাও পেয়েছি।স্ত্রী
হিসেবে আমাকে তোমার কেমন লাগে জানি না
তবে আমাকে খুশী করতে গিয়ে তোমার কষ্ট
হোক তা আমি চাই না।আমি জানি ভালবাসা প্রকাশে ফুল
বিনিময় তোমার পছন্দ না।তবু আজ তোমাকে ফুল
দিয়েছি; ফুল চেয়েছি।আই এম সরি॥' অর্নব চুপ।
পকেটে হাত ঢুকিয়ে মোবাইলটা বের করতে
চাইলো সে। 'ঠিক ই ধরেছো ত্রপা ফোন
দিয়েছিল।তুমি ওয়াশ রুমে ছিলে।' 'তুমি তাকে
চেনো?' কাঁপা গলায় বলে অর্নব। 'নাহ আজ চিনলাম।'
'আর কি বললো?' 'আর তেমন কিছু না।শেষে বলল
আমি যেন তোমাকে কখনো ভুল না বুঝি।আমি
তোমাকে কখনো কষ্ট দিব না।আমি তোমাকে
খুব ভালবাসি অর্নব।'
শ্রাবণী অর্নবের কাঁধে মাথা রাখে।অর্নব ফ্যাল
ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে সামনের দিকে।চোখ
দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে।আনন্দ অশ্রু।ভারী
নি:শ্বাস গুলো তার হালকা হতে থাকে॥
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৮/১২/২০১৫ভালো হয়েছে ,........................।।
-
আব্দুল মান্নান মল্লিক ২৫/১১/২০১৫দারুণ, ভালো লাগলো।
-
হাসান কাবীর ২০/১১/২০১৫ভালো লেগেছে।
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১৯/১১/২০১৫গল্প পাঠ করে ভাল লাগলো । শুভেচ্ছা জানাই ।
-
রুমিয়া দত্ত সিনহা ১৯/১১/২০১৫্শ্রাবণী র ভালবাসা খাঁটি, তাই সে নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে অর্ণবকে । ভালো লাগলো ।