ডাকবাক্সে বন্দী চিঠি-১
সুরঞ্জনা,
অনেক মানুষের ভীড়ে নিজেকে একা ভাবার নামই নিঃসঙ্গতা।আর হয়তো তাই বার বার আমি নিঃশ্বাস ফেলি তোমার ঘাড়ে,বার বার উঁকি দেই তোমার দ্বারে।আমার আমি বলতে শুধুই তুমি।চারপাশে এত কোলাহল।তা যেন কানে বাজে না।চারপাশে এতো ভীড়,কেউ তবু আমাকে বুঝে না।সকাল দুপুর রাতে ক্ষণে ক্ষণে তোমার প্রতীক্ষায় থাকতাম।তুমি আসলে তোমার একটা কথা শুনার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠতাম।তোমার একটা কথা আমাকে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিত।আবার মাঝে মাঝে তোমার নীরবতা আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত দূর পাথারে।আজ তুমি নেই। আমি তবু তোমার থাকব।হয়তো সকল সময় কালের গভীরে হারিয়ে যাবে,হয়তো সকল উচ্ছ্বাস ধুলো মাখা পথে মিশে যাবে।তবু আমার প্রতীক্ষার প্রহর ফুরোবে না।তুমি হয়তো বলবে বিশ্বাসের চেয়েও বড় হচ্ছে বাস্তবতা। আর আমি বলি বাস্তবতা হচ্ছে স্বপ্নের ভিত্তি। মানুষের চাহিদা হয়তো মুহূর্তেই বদলায়।মানুষের মনুযোগ হয়তো এক মানুষে বেশীক্ষণ থাকে না।তবে আমি এমন মানুষ হয়ে থাকতে চাই না।আমি অমানুষ হব।এই অমানুষের চিরকুটে লিখা থাকবে এক নাম। তোমার কাছে যেটা স্বাভাবিক, আমার কাছে তা স্বভাব সুলভ নয় সেটা আমি জানি।আর জানি বলেই আর বাঁধা দেই নি।তোমাকে উড়তে দিয়েছি অসীম আকাশে।তোমার পা দুটোও বেঁধে দেই নি।কিংবা তোমাকে ঘুড়ি বানিয়ে নাটাই ধরে আমি বসে থাকি নি।আমি শুধু তোমার সীমানাটা দেখতে চাই।আর অপেক্ষা করতে চাই যুগ যুগান্তর। আমি আমার সীমাবদ্ধতা জানি।তাই আমি সম্পর্ক নামক জটিল বিষয়কে হেসে উড়িয়ে দিতে পারি না।আর আমার কাছে ওটা মুহূর্তেই ভেঙে যাওয়ার মত কোনা কাঁচের জিনিসও না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না।আমি হয়তো কেবল তোমার ইচ্ছার শীর্ষবিন্দু ছুঁতে পারি নি।আর তোমার চলার ধরণের ধারনা আমার ছিল না।কিংবা আমি তা আঁচ করতে পারি নি।তাই দুজন দুজনকে হাজার বার ভালবাসি ভালবাসি বললেও ভালবাসার মিষ্টতা আমাদের সম্পর্ককে মধুর করতে পারে নি।আর সময়ে সময়ে কাছে থেকে আমরা পরষ্পর থেকে যোজন যোজন দূরে চলে গেছি।
একজন মানুষের ব্যক্তিগত কিছু কথা থাকতেই পারে।ব্যক্তিগত কিছু মুহুর্ত থাকতেই পারে।কিন্তু ওই ব্যাপারগুলোই সম্পর্কের মাঝখানে এক দেয়াল তৈরি করে।আর এটাই চরম বাস্তবতা।
তুমি তো শুধু বাস্তবতাই খুঁজো
কিন্তু বাস্তবতার চাদর মোড়ানো এক ঝাঁক ভালবাসার দলকে পরখ করে দেখ নি।মুদ্রার এপিঠ দেখেই তুমি খোলস বদলেছো।জানো তো আমি তখন দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেছিলাম।তোমার মুখ আর মুখোশের দ্বন্দ্বে।ক্ষণিকের জন্য আমার বিশ্বাসের কাটাটি হেলে গিয়েছিল।আর তাই তুমি যাবার অনুমতি পেয়েছিলে।নইলে শত ঝড় ঝঞ্জাটেও তোমাকে আঁকড়ে ধরতাম।হয়তো এটাই নিয়তি।।আর নিয়তির বিধানে আমরা আবদ্ধ।তবু আমি অপেক্ষার প্রহর গুনবো।আমি শেষেরও শেষ দেখতে চাই।এপারে না হোক।পরপারে তো হবে!!
ইতি
আমার আমি
অনেক মানুষের ভীড়ে নিজেকে একা ভাবার নামই নিঃসঙ্গতা।আর হয়তো তাই বার বার আমি নিঃশ্বাস ফেলি তোমার ঘাড়ে,বার বার উঁকি দেই তোমার দ্বারে।আমার আমি বলতে শুধুই তুমি।চারপাশে এত কোলাহল।তা যেন কানে বাজে না।চারপাশে এতো ভীড়,কেউ তবু আমাকে বুঝে না।সকাল দুপুর রাতে ক্ষণে ক্ষণে তোমার প্রতীক্ষায় থাকতাম।তুমি আসলে তোমার একটা কথা শুনার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠতাম।তোমার একটা কথা আমাকে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিত।আবার মাঝে মাঝে তোমার নীরবতা আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত দূর পাথারে।আজ তুমি নেই। আমি তবু তোমার থাকব।হয়তো সকল সময় কালের গভীরে হারিয়ে যাবে,হয়তো সকল উচ্ছ্বাস ধুলো মাখা পথে মিশে যাবে।তবু আমার প্রতীক্ষার প্রহর ফুরোবে না।তুমি হয়তো বলবে বিশ্বাসের চেয়েও বড় হচ্ছে বাস্তবতা। আর আমি বলি বাস্তবতা হচ্ছে স্বপ্নের ভিত্তি। মানুষের চাহিদা হয়তো মুহূর্তেই বদলায়।মানুষের মনুযোগ হয়তো এক মানুষে বেশীক্ষণ থাকে না।তবে আমি এমন মানুষ হয়ে থাকতে চাই না।আমি অমানুষ হব।এই অমানুষের চিরকুটে লিখা থাকবে এক নাম। তোমার কাছে যেটা স্বাভাবিক, আমার কাছে তা স্বভাব সুলভ নয় সেটা আমি জানি।আর জানি বলেই আর বাঁধা দেই নি।তোমাকে উড়তে দিয়েছি অসীম আকাশে।তোমার পা দুটোও বেঁধে দেই নি।কিংবা তোমাকে ঘুড়ি বানিয়ে নাটাই ধরে আমি বসে থাকি নি।আমি শুধু তোমার সীমানাটা দেখতে চাই।আর অপেক্ষা করতে চাই যুগ যুগান্তর। আমি আমার সীমাবদ্ধতা জানি।তাই আমি সম্পর্ক নামক জটিল বিষয়কে হেসে উড়িয়ে দিতে পারি না।আর আমার কাছে ওটা মুহূর্তেই ভেঙে যাওয়ার মত কোনা কাঁচের জিনিসও না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না।আমি হয়তো কেবল তোমার ইচ্ছার শীর্ষবিন্দু ছুঁতে পারি নি।আর তোমার চলার ধরণের ধারনা আমার ছিল না।কিংবা আমি তা আঁচ করতে পারি নি।তাই দুজন দুজনকে হাজার বার ভালবাসি ভালবাসি বললেও ভালবাসার মিষ্টতা আমাদের সম্পর্ককে মধুর করতে পারে নি।আর সময়ে সময়ে কাছে থেকে আমরা পরষ্পর থেকে যোজন যোজন দূরে চলে গেছি।
একজন মানুষের ব্যক্তিগত কিছু কথা থাকতেই পারে।ব্যক্তিগত কিছু মুহুর্ত থাকতেই পারে।কিন্তু ওই ব্যাপারগুলোই সম্পর্কের মাঝখানে এক দেয়াল তৈরি করে।আর এটাই চরম বাস্তবতা।
তুমি তো শুধু বাস্তবতাই খুঁজো
কিন্তু বাস্তবতার চাদর মোড়ানো এক ঝাঁক ভালবাসার দলকে পরখ করে দেখ নি।মুদ্রার এপিঠ দেখেই তুমি খোলস বদলেছো।জানো তো আমি তখন দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেছিলাম।তোমার মুখ আর মুখোশের দ্বন্দ্বে।ক্ষণিকের জন্য আমার বিশ্বাসের কাটাটি হেলে গিয়েছিল।আর তাই তুমি যাবার অনুমতি পেয়েছিলে।নইলে শত ঝড় ঝঞ্জাটেও তোমাকে আঁকড়ে ধরতাম।হয়তো এটাই নিয়তি।।আর নিয়তির বিধানে আমরা আবদ্ধ।তবু আমি অপেক্ষার প্রহর গুনবো।আমি শেষেরও শেষ দেখতে চাই।এপারে না হোক।পরপারে তো হবে!!
ইতি
আমার আমি
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ১০/১১/২০১৫ভাল হয়েছে অনেক
-
দেবব্রত সান্যাল ১০/১১/২০১৫পরপারে ? সুইসাইড নোট নাকি ?