দুঃস্বপ্নের তাড়না
কিছু একটার শব্দ পেয়ে চোখ খুলতেই সেই অস্পষ্ট চেহারাটা।কিছু বুঝে উঠার আগেই বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা।দু হাত বিছানায় চাপড়াতে চাপড়াতে কোন লাভ হচ্ছিল না।শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়েও বালিশ চাপা দেয়া ছেলেটাকে সরাতে পারছিল না। দম তিলে তিলে বন্ধ হয়ে আসছিল।।
ঠিক তখনই ঘুম ভেঙে গেল রানার।পুরা শরীর ঘামে ভিজে গেছে।থর থর কাপছে।বেড সুইচ থেকে লাইটটা অন করে ঘড়ির দিকে তাকাল।রাত দুইটা।বিছানার পাশে রাখা পানি ভর্তি গ্লাসটি টুলের উপর থেকে নিয়ে এক ঢুকে গিলে ফেলল রানা।মাথার উপরের ফ্যানটা যেন ঘুরছেই না মনে হচ্ছে।
আজ ও সেই একই স্বপ্ন।একই ছেলে।চেহারাটা বুঝা যায় না।অস্পষ্ট।বালিশ চেপে মেরে ফেলতে চায় তাকে।অনেক চেষ্টা করেও বাচতে পারে না।দম যখন বন্ধ হয়ে আসে আসে অবস্থা ঠিক তখনই আচমকা ঘুমটা ভেঙে যায়।
ছেলেটার বয়স বড় জোর দশ-বারো হবে।রোগা পাতলা।কে তাকে স্বপ্নে হানা দেয় সেটা জানার কতই না চেষ্টা করেছে রানা। একসময় সে তার পরিবারের কাছে বিষয়টা জানায়।পাশের গ্রামের এক হুজুর তাকে তাবিজও দেন।তার উপর জ্বীনের আছর আছে বলে প্রতি মাসে একবার তাকে ঝার ফুক করেন।কিছুতেই কাজ হয় না।
এমনিতে ভুত প্রেতে কখনই বিশ্বাস ছিল না তার।ছিল না কারো প্রতি ভয়।কিন্তু গত দুই মাস ধরে বদলে গেছে চিত্রপট।এমন কোন রাত নেই যে রাতে এই বীভৎস স্বপ্ন তাকে তাড়া করে নি।কেন এই একই স্বপ্ন!!কেনই বা ওই একই ছেলে!কেনই বা মারতে চায়।কে ই বা ছেলেটি!!
সপ্তাহখানেক আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ডাক্তার বলে মেনটাল কোন স্ট্রেস এর কারণে এমনটা হতে পারে।ঘুমের ঔষুধ ছাড়া আর দু একটা ট্যাবলেট দিলেও এখন পর্যন্ত কোন উন্নতি হয় নি।
এই অদ্ভুদ স্বপ্ন তাকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় যেন।মা বাবা বলে এগুলো মনের ভ্রম।এমনকি সাত বছরের প্রেমিকা দিয়াও বলে এগুলো নাকি তাকে এড়িয়ে যাওয়ার বাহানা।
কোন এক ভর দুপুরে দিয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েও বাধে বিপত্তি।পার্কে সবুজ ঘাসের উপর বসে প্রেম করছিল দুজন।হঠাৎ একটা পিচ্চি ছেলে বাদাম বিক্রি করতে করতে বাদাম লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করছিল।মনের অজান্তেই কোন কারণ ছাড়াই কষে এক চড় মেরে দিল রানা।কোন পিচ্চি ছেলেকে একদম সহ্য করতে পারে না যেন।পিচ্চি দেখলেই তার মাথায় চলে আসে স্বপ্নের ওই ঘাতক কিনা।ওই যে গতকালও অফিসের পিচ্চিটাকে বিদায় করে দিতে বসকে রিকুয়েস্ট করে এসেছে।চা টা বানায় ওই পিচ্চিটা।
এভাবেই কাটে রানার প্রতি দিন।দিন তো তাও কাটে।রাতগুলো কাটে আতংকের মাঝে।তবে কোন এক ছুটির দিনে মধ্য দুপুরে রহস্যের জট যেন খুলার দ্বারপ্রান্তে আসে।
বাথরুমে গোসল করছিল রানা।বাথরুমের আয়নায় তাকিয়ে শ্যাম্পু করা চুলগুলোকে হাত দিয়া নাড়াচাড়া করছিল।ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল তখন।অন্ধকার হয়ে গেল।রানা ঠায় দাড়িয়ে রইতে রইতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইলেক্ট্রিসিটি চলে আসতেই চমকে গেল সে।আলো আসতেই আয়নায় যেন সে তার চেহারার বদলে অন্য চেহারা দেখতে পেল। মুহুর্তেই যেন তার দিগবিদিক জ্ঞান কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোথায় হারিয়ে গেল।তড়িঘড়ি করে গোসল শেষ করে বেরিয়ে এল সে। রানার চোখ মুখ লাল হয়ে যেতে লাগলো।শরীরের প্রতিটি লোমকুপ দাড়িয়ে গেল শিহরণে।একি দেখল সে।চোখের নিমিষেই সে বাবলুর চেহারা কেন দেখল!!মনের ভ্রম তো নিশ্চয়ই।কিন্ত বাবলু কেন তবে।তাও কি ভয়ংকর চাহনি।।
হরর মুভি দেখার সাইড এফেক্ট তো অবশ্যই।এই ভেবে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাবলুর চেহারা কেন?তাও এত বছর পর!!রানা ভাবনায় খেই হারায়।
এইদিনই রাতের বেলা দুটো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যায় সে।দুপুরের ঘটনা ফোনে রিয়ার সাথে শেয়ার করলে রিয়াই এই পরামর্শ দেয় তাকে। কিন্তু আবার সেই স্বপ্ন।বালিশ চেপে মারার চেষ্টা।পিচ্চি ছেলে।দমটা তিলে তিলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তার।ঠিক মৃত্যুর কয়েক মিলি সেকেন্ড আগে এবার ওই ছেলেটার চেহারা দেখতে পায় সে।আর ঘুম ভেঙে লাফ দিয়ে ওঠে রানা। এ কি দেখল সে।প্রতি রাতে স্বপ্নে যে পিচ্চি ছেলেটা তাকে শ্বাস রুদ্ধ করে মারতে চায় সে আর কেউ নয়।বাবলু!!!! রহস্যের জট খুলে যায়।ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমের রাজ্যে হারায় সে।
পরদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে নাশতা করতে করতে টিভিতে নিউজ দেখছিল রানা।পাউরুটিতে একটা কামড় দিতেই সকল মনযোগ গেল টিভি সেটের দিকে।
"গত পরশু চুরির অপবাদে নির্মম ভাবে একটি তের বছরের শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কয়েকজন লোক।পিটানোর ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় হত্যাকারীর কোন একজন।এতে খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠে।ভিডিও টি দেখে ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।........................."
বাবলু রানার বাসায় কাজ করতো।ওর মায়ের সাথে।বছর পাচেক আগে একবার রানার নানু বাড়িতে বেড়াতে যায় তার পরিবারের সবাই।শুধু সে ছিল।মানিব্যাগ থেকে বিশ টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে বাবলু।চুরির দায়ে সে বাবলুকে পিলারে বেধে বেধরক মারধর করে কাঠের টুকরো দিয়ে বাসার দারোয়ান।বাবলু পানি খেতে চাইলে পানি পর্যন্ত দেয় নি।খুন করার উদ্দেশ্য না থাকলেও অতিরিক্ত প্রহারের ফলে এক সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাবলু।মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। আর রানা তা চেয়ে চেয়ে দেখে।পরে দুজন মিলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়।বাবলুর মা ঘটনার সাক্ষী থাকলেও রানার বাবা মা পরবর্তীতে তাকে টাকা দিয়ে তার মুখ বন্ধ করিয়ে রাখেন। এরপর রানা অনেক অনুশোচনায় ভুগেছে।কিন্তু লুকায়িত এ কথা গুলো কাউকে বলতে পারে নি।অপরাধ বোধ কাজ করেছে কিন্তু প্রাণের মায়ায় চেপে গেছে সব।
রানা অফিসে বসে সব ভাবতে থাকে।ভাবতে থাকে।বাবলু।বাবলুকে নিয়ে দেখা স্বপ্নের কথা।স্বপ্ন থেকে বাচার উপায়ের কথা।বাস্তবে তো খুন করেও বেচে গেছে সে।আইনকে কিনে নিয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে জীবনকে রক্ষা করেছে।কিন্তু স্বপ্নে?? গত রাতে তো নিঃশ্বাস যায় যায় অবস্থায় বেচে গেছে।আজ রাতে কি হবে?স্বপ্ন আবার বাচতে দিবে তো??নাকি বালিশের চাপে দম বন্ধ হয়ে আসবে??
সময় গড়ায়।আবার রাত হয়।বাবলু আসে স্বপ্নে।বালিশ চাপা দিয়ে মারতে মারতে আবার বাচিয়ে দিয়ে যায়।প্রতি রাতে তার বিবেককে একবার নাড়া দিয়ে যায়,যে বিবেককে রানা চাপা দিয়েছিল বাবলুর কবরে।।
ঠিক তখনই ঘুম ভেঙে গেল রানার।পুরা শরীর ঘামে ভিজে গেছে।থর থর কাপছে।বেড সুইচ থেকে লাইটটা অন করে ঘড়ির দিকে তাকাল।রাত দুইটা।বিছানার পাশে রাখা পানি ভর্তি গ্লাসটি টুলের উপর থেকে নিয়ে এক ঢুকে গিলে ফেলল রানা।মাথার উপরের ফ্যানটা যেন ঘুরছেই না মনে হচ্ছে।
আজ ও সেই একই স্বপ্ন।একই ছেলে।চেহারাটা বুঝা যায় না।অস্পষ্ট।বালিশ চেপে মেরে ফেলতে চায় তাকে।অনেক চেষ্টা করেও বাচতে পারে না।দম যখন বন্ধ হয়ে আসে আসে অবস্থা ঠিক তখনই আচমকা ঘুমটা ভেঙে যায়।
ছেলেটার বয়স বড় জোর দশ-বারো হবে।রোগা পাতলা।কে তাকে স্বপ্নে হানা দেয় সেটা জানার কতই না চেষ্টা করেছে রানা। একসময় সে তার পরিবারের কাছে বিষয়টা জানায়।পাশের গ্রামের এক হুজুর তাকে তাবিজও দেন।তার উপর জ্বীনের আছর আছে বলে প্রতি মাসে একবার তাকে ঝার ফুক করেন।কিছুতেই কাজ হয় না।
এমনিতে ভুত প্রেতে কখনই বিশ্বাস ছিল না তার।ছিল না কারো প্রতি ভয়।কিন্তু গত দুই মাস ধরে বদলে গেছে চিত্রপট।এমন কোন রাত নেই যে রাতে এই বীভৎস স্বপ্ন তাকে তাড়া করে নি।কেন এই একই স্বপ্ন!!কেনই বা ওই একই ছেলে!কেনই বা মারতে চায়।কে ই বা ছেলেটি!!
সপ্তাহখানেক আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ডাক্তার বলে মেনটাল কোন স্ট্রেস এর কারণে এমনটা হতে পারে।ঘুমের ঔষুধ ছাড়া আর দু একটা ট্যাবলেট দিলেও এখন পর্যন্ত কোন উন্নতি হয় নি।
এই অদ্ভুদ স্বপ্ন তাকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় যেন।মা বাবা বলে এগুলো মনের ভ্রম।এমনকি সাত বছরের প্রেমিকা দিয়াও বলে এগুলো নাকি তাকে এড়িয়ে যাওয়ার বাহানা।
কোন এক ভর দুপুরে দিয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েও বাধে বিপত্তি।পার্কে সবুজ ঘাসের উপর বসে প্রেম করছিল দুজন।হঠাৎ একটা পিচ্চি ছেলে বাদাম বিক্রি করতে করতে বাদাম লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করছিল।মনের অজান্তেই কোন কারণ ছাড়াই কষে এক চড় মেরে দিল রানা।কোন পিচ্চি ছেলেকে একদম সহ্য করতে পারে না যেন।পিচ্চি দেখলেই তার মাথায় চলে আসে স্বপ্নের ওই ঘাতক কিনা।ওই যে গতকালও অফিসের পিচ্চিটাকে বিদায় করে দিতে বসকে রিকুয়েস্ট করে এসেছে।চা টা বানায় ওই পিচ্চিটা।
এভাবেই কাটে রানার প্রতি দিন।দিন তো তাও কাটে।রাতগুলো কাটে আতংকের মাঝে।তবে কোন এক ছুটির দিনে মধ্য দুপুরে রহস্যের জট যেন খুলার দ্বারপ্রান্তে আসে।
বাথরুমে গোসল করছিল রানা।বাথরুমের আয়নায় তাকিয়ে শ্যাম্পু করা চুলগুলোকে হাত দিয়া নাড়াচাড়া করছিল।ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল তখন।অন্ধকার হয়ে গেল।রানা ঠায় দাড়িয়ে রইতে রইতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইলেক্ট্রিসিটি চলে আসতেই চমকে গেল সে।আলো আসতেই আয়নায় যেন সে তার চেহারার বদলে অন্য চেহারা দেখতে পেল। মুহুর্তেই যেন তার দিগবিদিক জ্ঞান কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোথায় হারিয়ে গেল।তড়িঘড়ি করে গোসল শেষ করে বেরিয়ে এল সে। রানার চোখ মুখ লাল হয়ে যেতে লাগলো।শরীরের প্রতিটি লোমকুপ দাড়িয়ে গেল শিহরণে।একি দেখল সে।চোখের নিমিষেই সে বাবলুর চেহারা কেন দেখল!!মনের ভ্রম তো নিশ্চয়ই।কিন্ত বাবলু কেন তবে।তাও কি ভয়ংকর চাহনি।।
হরর মুভি দেখার সাইড এফেক্ট তো অবশ্যই।এই ভেবে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাবলুর চেহারা কেন?তাও এত বছর পর!!রানা ভাবনায় খেই হারায়।
এইদিনই রাতের বেলা দুটো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যায় সে।দুপুরের ঘটনা ফোনে রিয়ার সাথে শেয়ার করলে রিয়াই এই পরামর্শ দেয় তাকে। কিন্তু আবার সেই স্বপ্ন।বালিশ চেপে মারার চেষ্টা।পিচ্চি ছেলে।দমটা তিলে তিলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তার।ঠিক মৃত্যুর কয়েক মিলি সেকেন্ড আগে এবার ওই ছেলেটার চেহারা দেখতে পায় সে।আর ঘুম ভেঙে লাফ দিয়ে ওঠে রানা। এ কি দেখল সে।প্রতি রাতে স্বপ্নে যে পিচ্চি ছেলেটা তাকে শ্বাস রুদ্ধ করে মারতে চায় সে আর কেউ নয়।বাবলু!!!! রহস্যের জট খুলে যায়।ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমের রাজ্যে হারায় সে।
পরদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে নাশতা করতে করতে টিভিতে নিউজ দেখছিল রানা।পাউরুটিতে একটা কামড় দিতেই সকল মনযোগ গেল টিভি সেটের দিকে।
"গত পরশু চুরির অপবাদে নির্মম ভাবে একটি তের বছরের শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কয়েকজন লোক।পিটানোর ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় হত্যাকারীর কোন একজন।এতে খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠে।ভিডিও টি দেখে ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।........................."
বাবলু রানার বাসায় কাজ করতো।ওর মায়ের সাথে।বছর পাচেক আগে একবার রানার নানু বাড়িতে বেড়াতে যায় তার পরিবারের সবাই।শুধু সে ছিল।মানিব্যাগ থেকে বিশ টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে বাবলু।চুরির দায়ে সে বাবলুকে পিলারে বেধে বেধরক মারধর করে কাঠের টুকরো দিয়ে বাসার দারোয়ান।বাবলু পানি খেতে চাইলে পানি পর্যন্ত দেয় নি।খুন করার উদ্দেশ্য না থাকলেও অতিরিক্ত প্রহারের ফলে এক সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাবলু।মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। আর রানা তা চেয়ে চেয়ে দেখে।পরে দুজন মিলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়।বাবলুর মা ঘটনার সাক্ষী থাকলেও রানার বাবা মা পরবর্তীতে তাকে টাকা দিয়ে তার মুখ বন্ধ করিয়ে রাখেন। এরপর রানা অনেক অনুশোচনায় ভুগেছে।কিন্তু লুকায়িত এ কথা গুলো কাউকে বলতে পারে নি।অপরাধ বোধ কাজ করেছে কিন্তু প্রাণের মায়ায় চেপে গেছে সব।
রানা অফিসে বসে সব ভাবতে থাকে।ভাবতে থাকে।বাবলু।বাবলুকে নিয়ে দেখা স্বপ্নের কথা।স্বপ্ন থেকে বাচার উপায়ের কথা।বাস্তবে তো খুন করেও বেচে গেছে সে।আইনকে কিনে নিয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে জীবনকে রক্ষা করেছে।কিন্তু স্বপ্নে?? গত রাতে তো নিঃশ্বাস যায় যায় অবস্থায় বেচে গেছে।আজ রাতে কি হবে?স্বপ্ন আবার বাচতে দিবে তো??নাকি বালিশের চাপে দম বন্ধ হয়ে আসবে??
সময় গড়ায়।আবার রাত হয়।বাবলু আসে স্বপ্নে।বালিশ চাপা দিয়ে মারতে মারতে আবার বাচিয়ে দিয়ে যায়।প্রতি রাতে তার বিবেককে একবার নাড়া দিয়ে যায়,যে বিবেককে রানা চাপা দিয়েছিল বাবলুর কবরে।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ২৬/১১/২০১৫ভাল লাগল
-
আব্দুল মান্নান মল্লিক ২৫/১১/২০১৫গা ছমছমে করে,দারঅঅণ হয়েছে। আরও আশা করছি। ধন্যবাদ।
-
হাসান কাবীর ২১/১১/২০১৫ভাল লেগেছে
-
নির্ঝর ১১/১১/২০১৫শুধুই দুঃখ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ০৯/১১/২০১৫ভালো লাগল ভাই ।
-
দেবব্রত সান্যাল ০৯/১১/২০১৫গল্পটা একাধিক বার পড়লাম। কাহিনীতে বৈচিত্র বিশেষ নেই , কিন্তু আপনার বর্ণনা ভালো। যদিও শুরুতে পাঠক ভ্রমিত হতে পারে। স্বপ্ন দেখে শরীর ঘামে ভিজে গিয়েছে - ফ্যানটা চলছে না মনে হচ্ছে , কিন্তু হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
কিছু এডিট করুন। মেন্টাল স্ট্রেস। পিচ্চি কথাটির মানে কিন্তু বুঝিনি।
আরও জমাটি গল্প লিখুন। -
দেবাশীষ দিপন ০৭/১১/২০১৫চন্দ্রবিন্দু বিভ্রাট জনিত বানান ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।পরবর্তীতে নিশ্চয়ই ব্যাপারটা মাথায় রাখব।ধন্যবাদ।