গোপলার কথা - ১০৩
বাঙালি জীবনে কেক ও পেস্ট্রি
আজ ২৫ শে ডিসেম্বর একটু কেক খাব না, তা কি হয়?
কিন্তু ঠাকুমা তুমি জানো আজ কি? কেন আমরা কেক খাই?
কেন খাই, কি কারণ, কে প্রথম খাওয়া শুরু করেছিল ইত্যাদি নিয়ে তোরা এখন গবেষণা কর। আমাকে একটু কেক দে, খাই।
কেক খেতে খেতে ঠাকুমা বলে, জন্মদিন মানে কেক। তার উপরে পেস্ট্রি। আমাদের বাঙালি জীবনে তখন ছিল পায়েস। মোটা সরওয়ালা দুধের পায়েস। মা পায়েস করত কিন্তু নিজে খেত না। কেন না সন্তানের মঙ্গল কামনায় খেতে নাই।
এখনও এসব আছে। তবে সাথে কেক পেস্ট্রি। মোমবাতি। মাথায় লাল নীল রংবেরঙের টুপি। আজ আবার যীশুরও জন্মদিন। বাঙালিও মেতে উঠেছে এই খাবারে। বড় সুস্বাদু। পেট ভরে যায়।
ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া কোন উৎসব হয় না। মেলা জমায়েত আনন্দ উৎসব সবই ওই ধর্মীয় অবস্থানকে সামনে রেখে। তবু সেই ধর্মীয় বাতাবরণের বাইরে ভালোটুকু সবার মধ্যে ছড়িয়ে গেলে তা মানবিক হয়ে উঠে।
এসব মানুষের কল্যাণকর বার্তা। আর তাতে জীবন হয় সুন্দর সাবলীল। ২৫ শে ডিসেম্বর এমনই বড়দিন। তার উপর ভরা শীত। সন্ধ্যে থেকে কুয়াশা পড়ছে।
দেখলাম গির্জা সাজানো। আলোয় আলোময়। আলোর উপরে কিছু নাই। মানুষের জীবন আলোর এক উৎসধারা। শান্তির আনন্দ বার্তা। প্রভু যীশু সেই বার্তাই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাঙালি জীবনেও তার প্রত্যক্ষ ছাপ দেখি।
উদার ধর্মনীতি, নিরপেক্ষতা, মানুষকে আপন করার সরল অনুভূতি, আমরা মানুষ আমরা এক ও অদ্বিতীয় ইত্যাদি ইত্যাদি বিবিধ ভাবনা বাঙালির মননে চিরকালীন হয়ে রয়েছে। তাই সহজে এই ২৫ শে ডিসেম্বর বাঙালি জীবনে এক উদযাপনের অঙ্গ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে দোকানে দোকানে অলিতে গলিতে মলে মহল্লায় কেক বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।
একটুকরো তো কেক চাইই চাই। সে পিকনিক হোক বনভোজন হোক চড়ুইভাতি হোক। যেই গির্জায় ঘণ্টা বাজল তো সবার আগে কেক উদযাপন তারপরে অন্য সব। জন্মদিন বলে কথা। প্রভু যীশুর জন্মদিন বলে কথা। যত রকমের নির্ভেজাল আনন্দ হয় তা তো করব। বাঙালি জীবনের তের পার্বণের এ এক পার্বণ। মিশে গেছে। ছেয়ে গেছে।
হ্যাঁ যা বলছিলাম। ঠাকুরমার যুগ পেরিয়ে আমরা উত্তরণের যুগে চলে এসেছি। তবে বড়দিনের যে মজা তা কেক খাওয়া দিয়ে যেমন শুরু তেমনি প্রার্থনা গির্জার ঘণ্টা মোমবাতি জ্বালানো খ্রিস্টমাস ট্রি নানান প্রদর্শনী ও সেই সাথে পিকনিক। সারা বিশ্বে বেশির ভাগ জায়গায় ছুটি থাকে। সেই সাথে বাঙালি জীবনেও ছুটির মেজাজ।
বাঙালি জীবনে অনেকেই কেক বানাতে শিখে গেছে। বাড়িতে বানায়। ব্যবসা করে। শোরুম খুলে রেখেছে। কেন না শুধু বড়দিন বা ২৫ শে ডিসেম্বর নয়, জন্মদিন তো লেগেই আছে। আর জন্মদিনে কেক পেস্ট্রি চাইই চাই। কেক কেটে মোমবাতি জ্বেলে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশন চাইই চাই। বড়লোকদের বাড়িতে হয়। তবে আজকাল গরীবের বাড়িতেও হয়। পায়েসের সাথে।
কিন্তু ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন এলেই এই শীতের মাঝে কেক খাওয়ার মজাই আলাদা। যীশু সান্তাক্লজ মা মেরি জোসেফ যেন বাঙালি জীবনের সাথে মিশে আছে। এই সময় বাংলায় যদিও দিন ছোটো থাকে। শীতকাল। কুয়াশা দেখা যায়। তবু বাঙালির হৃদয় অনেক বড়। উদার চিত্তে কেক এর পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জন্মদিনের কেক যেমন পেস্ট্রি দেওয়া। তেমনি সবসময় পাওয়া যায়। তাই দিয়ে অনেকে সকালের টিফিন বা অফিসে আদালতে বিশ্রামে একটু জলযোগে কেক বেশ উপাদেয় খাবার। পেট ভরে যায় মন ভরে যায়। আদরে আপ্যায়নে আমন্ত্রণে কেকের কোন জুড়ি নাই। ভেজ ননভেজ সুগার ফ্রি ইত্যাদি যেমনটি চাই তেমনি পাওয়া যায়। দিন দশ বারো রেখে রেখে বিন্দাস খাওয়া যায়। নষ্ট হয় না।
তাই বাঙালি জীবনে কেক ও পেস্ট্রি বেশ উপাদেয় ও সুস্বাদু খাবার। উৎসবে আনন্দে দৈনন্দিন জীবনে কেকের জুড়ি মেলা ভার।
কেক খান মিষ্টি মুখ করুন। মিষ্টি জীবন গড়ে তুলুন। মিষ্টতা চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। আপনার আমার সবার সারা পৃথিবী সেই মিষ্টতায় ভরে উঠুক।
আজ ২৫ শে ডিসেম্বর একটু কেক খাব না, তা কি হয়?
কিন্তু ঠাকুমা তুমি জানো আজ কি? কেন আমরা কেক খাই?
কেন খাই, কি কারণ, কে প্রথম খাওয়া শুরু করেছিল ইত্যাদি নিয়ে তোরা এখন গবেষণা কর। আমাকে একটু কেক দে, খাই।
কেক খেতে খেতে ঠাকুমা বলে, জন্মদিন মানে কেক। তার উপরে পেস্ট্রি। আমাদের বাঙালি জীবনে তখন ছিল পায়েস। মোটা সরওয়ালা দুধের পায়েস। মা পায়েস করত কিন্তু নিজে খেত না। কেন না সন্তানের মঙ্গল কামনায় খেতে নাই।
এখনও এসব আছে। তবে সাথে কেক পেস্ট্রি। মোমবাতি। মাথায় লাল নীল রংবেরঙের টুপি। আজ আবার যীশুরও জন্মদিন। বাঙালিও মেতে উঠেছে এই খাবারে। বড় সুস্বাদু। পেট ভরে যায়।
ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া কোন উৎসব হয় না। মেলা জমায়েত আনন্দ উৎসব সবই ওই ধর্মীয় অবস্থানকে সামনে রেখে। তবু সেই ধর্মীয় বাতাবরণের বাইরে ভালোটুকু সবার মধ্যে ছড়িয়ে গেলে তা মানবিক হয়ে উঠে।
এসব মানুষের কল্যাণকর বার্তা। আর তাতে জীবন হয় সুন্দর সাবলীল। ২৫ শে ডিসেম্বর এমনই বড়দিন। তার উপর ভরা শীত। সন্ধ্যে থেকে কুয়াশা পড়ছে।
দেখলাম গির্জা সাজানো। আলোয় আলোময়। আলোর উপরে কিছু নাই। মানুষের জীবন আলোর এক উৎসধারা। শান্তির আনন্দ বার্তা। প্রভু যীশু সেই বার্তাই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাঙালি জীবনেও তার প্রত্যক্ষ ছাপ দেখি।
উদার ধর্মনীতি, নিরপেক্ষতা, মানুষকে আপন করার সরল অনুভূতি, আমরা মানুষ আমরা এক ও অদ্বিতীয় ইত্যাদি ইত্যাদি বিবিধ ভাবনা বাঙালির মননে চিরকালীন হয়ে রয়েছে। তাই সহজে এই ২৫ শে ডিসেম্বর বাঙালি জীবনে এক উদযাপনের অঙ্গ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে দোকানে দোকানে অলিতে গলিতে মলে মহল্লায় কেক বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।
একটুকরো তো কেক চাইই চাই। সে পিকনিক হোক বনভোজন হোক চড়ুইভাতি হোক। যেই গির্জায় ঘণ্টা বাজল তো সবার আগে কেক উদযাপন তারপরে অন্য সব। জন্মদিন বলে কথা। প্রভু যীশুর জন্মদিন বলে কথা। যত রকমের নির্ভেজাল আনন্দ হয় তা তো করব। বাঙালি জীবনের তের পার্বণের এ এক পার্বণ। মিশে গেছে। ছেয়ে গেছে।
হ্যাঁ যা বলছিলাম। ঠাকুরমার যুগ পেরিয়ে আমরা উত্তরণের যুগে চলে এসেছি। তবে বড়দিনের যে মজা তা কেক খাওয়া দিয়ে যেমন শুরু তেমনি প্রার্থনা গির্জার ঘণ্টা মোমবাতি জ্বালানো খ্রিস্টমাস ট্রি নানান প্রদর্শনী ও সেই সাথে পিকনিক। সারা বিশ্বে বেশির ভাগ জায়গায় ছুটি থাকে। সেই সাথে বাঙালি জীবনেও ছুটির মেজাজ।
বাঙালি জীবনে অনেকেই কেক বানাতে শিখে গেছে। বাড়িতে বানায়। ব্যবসা করে। শোরুম খুলে রেখেছে। কেন না শুধু বড়দিন বা ২৫ শে ডিসেম্বর নয়, জন্মদিন তো লেগেই আছে। আর জন্মদিনে কেক পেস্ট্রি চাইই চাই। কেক কেটে মোমবাতি জ্বেলে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশন চাইই চাই। বড়লোকদের বাড়িতে হয়। তবে আজকাল গরীবের বাড়িতেও হয়। পায়েসের সাথে।
কিন্তু ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন এলেই এই শীতের মাঝে কেক খাওয়ার মজাই আলাদা। যীশু সান্তাক্লজ মা মেরি জোসেফ যেন বাঙালি জীবনের সাথে মিশে আছে। এই সময় বাংলায় যদিও দিন ছোটো থাকে। শীতকাল। কুয়াশা দেখা যায়। তবু বাঙালির হৃদয় অনেক বড়। উদার চিত্তে কেক এর পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জন্মদিনের কেক যেমন পেস্ট্রি দেওয়া। তেমনি সবসময় পাওয়া যায়। তাই দিয়ে অনেকে সকালের টিফিন বা অফিসে আদালতে বিশ্রামে একটু জলযোগে কেক বেশ উপাদেয় খাবার। পেট ভরে যায় মন ভরে যায়। আদরে আপ্যায়নে আমন্ত্রণে কেকের কোন জুড়ি নাই। ভেজ ননভেজ সুগার ফ্রি ইত্যাদি যেমনটি চাই তেমনি পাওয়া যায়। দিন দশ বারো রেখে রেখে বিন্দাস খাওয়া যায়। নষ্ট হয় না।
তাই বাঙালি জীবনে কেক ও পেস্ট্রি বেশ উপাদেয় ও সুস্বাদু খাবার। উৎসবে আনন্দে দৈনন্দিন জীবনে কেকের জুড়ি মেলা ভার।
কেক খান মিষ্টি মুখ করুন। মিষ্টি জীবন গড়ে তুলুন। মিষ্টতা চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। আপনার আমার সবার সারা পৃথিবী সেই মিষ্টতায় ভরে উঠুক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১০/০৭/২০২৩ভালো লেখা
-
অভীক ২৮/০২/২০২৩ভালো
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ০৬/০২/২০২৩ভালো
-
ফয়জুল মহী ০৩/০২/২০২৩ভাবনাটি সুন্দর
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৩/০২/২০২৩নাইস