গোপলার কথা - ৮৫
শাসন
স্কুলে শাসন থাকবে না তা কখনও হয়। স্কুল হচ্ছে মানুষ তৈরির কারিগর। শাসন ছাড়া কেউ কখনও মানুষ হয়? স্কুলে টহল দিতেন আমাদের প্রধান শিক্ষক রমাপতিবাবু। আমরা সবাই ভয়ে কাঁপতাম।
ভয়ে কাঁপতাম তিনি বকবেন বলে নয়, ভয়ে কাঁপতাম পড়া জিজ্ঞেস করলে পড়া পারব না তাই। ক্লাস চলাকালীন দুষ্টুমি করলে ঠিক চোখে পড়বে তাই। নিয়মিত স্কুলে আসি না তাই। মিথ্যে বাহানা ঠিক ধরে ফেলতেন তাই। পড়া বলা শুরু করলেই ঠিক বুঝতে পারতেন দায়সারা পড়ে এসেছি নাকি সত্যি সত্যি পড়ে এসেছি তাই।
যারা সত্যিকারের ছাত্রছাত্রী। নিয়মিত পড়া করত। পড়া বুঝত। নিয়মিত পড়াশুনা করত। তাদের কাছে শাসনের কোন ভয় ছিল না। কিংবা শাসনের জন্য আমরা অনেকেই ছাত্রছাত্রী হয়ে গিয়েছিলাম।
সুশীলবাবু গৌরবাবু অনিলবাবু সতীশবাবু মন্মথবাবু বিষ্ণুবাবু ব্যোমকেশবাবু সবাই যেমন শাসন করতেন তেমন চিনতেন কে ছাত্রছাত্রী আর কে ছাত্রছাত্রী নয়। তৃতীয় নয়ন দিয়ে ঠিক চিনতেন কে কে 'ছাত্রানাং অধ্যয়ন তপ' হিসেবে স্কুলে আসছে আর কে আসছে না।
তার জন্য সমস্ত শিক্ষক মহাশয় খুব শাসন করতেন তা কিন্তু নয়। বেত ছাড়াও যে পড়ানো যায়, শাস্তি দেওয়া যায়, সবাইকে শিক্ষার্থী বা সত্যিকারের ছাত্রছাত্রী বানানো যায় তা আমরা ব্যোমকেশবাবু, অনিলবাবু, গৌরবাবুর কাছ থেকে পেয়েছি। ক্লাসে উপস্থিত হওয়াটাই ছাত্রছাত্রীর কাছে অসীম পাওয়া। ছাত্রছাত্রী না হলে সেটাই শাস্তি, শাসন নয়। আর ছাত্রছাত্রী হলে সেটাই শাসন, শাস্তি নয়।
তুমি স্কুলে আসবে আর ওই তো একটু আধটু পড়লেই হল কিংবা না পড়লেই হল অথবা ছাড় তো পড়ে আর কি হবে এবং কত আর পড়ব পাশ করলেই তো হল বা ঠিক স্টেজে মেকাপ দিয়ে দেব কিংবা পড়ার জ্বালায় জীবনে আর থাকল কি, একটু স্ফূর্তি আনন্দ করতে পারলাম না এ রকম ভাবলে কিংবা মানলে চলবে না। জীবনের এই সময়টা শেখার সময় তাই স্কুলে আসতে হবে এবং রীতিমত পড়াশুনা করে আসতে হবে। 'ছাত্রানাং অধ্যয়ন তপ' হতেই হবে। এই ব্যাপারটা আমাদের শিক্ষক মহাশয় কড়া শাসনে বুঝিয়ে দিতেন।
কেন না এর জন্য রীতিমত ক্লাস নেওয়াটাও জরুরী। যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাস করাটাও জরুরী। আমরা ক্লাসে শিক্ষক নেই বসে আছি। এ রকম সাধারণত হত না। এগারোটা বাজলেই প্রতিটি ক্লাসে মাঝে মাঝে সমবেত কণ্ঠস্বর। বাইরে একজনও ছাত্রছাত্রী থাকছে না। কোনো স্যার সেদিন অনুপস্থিত হলে অন্য কোন না কোন স্যার সেই ক্লাস নিয়ে নিতেন। তাতে আরও বেশি মজা হত। পড়ার বাইরে কত কি পড়া হয়ে যেত। মনে হত পড়ার মধ্যেও এত রস।
শিক্ষক হিসেবে স্কুলের শাসনের সাথে সাথে সেই ভাবনাটিও শিক্ষক মহাশয়গণ পোষণ করতেন। তাই আমাদের কাছে শাসন ছিল মানুষ হওয়ার অবস্থান। আমরা বাড়িতে সেই শাসনের কথা বলতেই পারতাম না। কিংবা বললে আরো কড়া শাসনের ব্যবস্থা ছিল। কেন না স্কুলে শিখতে গিয়েছি। শাসন ছাড়া শিক্ষা হয় না।
একদিন দুদিন পড়া না করে গেলেই যে তোমাকে শাসন করবে তা কিন্তু নয়, পড়া করে গেলে কিন্তু তোমার বুদ্ধিতে অত ভাল পড়া বলতে পারলে না তার জন্য যে শাস্তি পাবে তা কিন্তু নয়, পড়াশুনার সাথে সাথে যদি তুমি দুষ্টুমি কর তাহলে দুষ্টুমির জন্য তুমি শাস্তি পাবে তা কিন্তু নয়।
কোন শিক্ষা সে পারিবারিক হোক বা সামাজিক হোক কিংবা বোধ বুদ্ধির অথবা খেলাধুলার সেখানে শাসন থাকা খুব জরুরী। মনে আছে 'দঙ্গল' ছবির কথা। বাবা যখন মেয়েদের চুল কেটে দিচ্ছে, মেয়েদের ভোর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে তুলছে, ছেলেদের সাথে কুস্তি করাচ্ছে তখন কিন্তু সেই বাবা জানত না তার মেয়ে দেশের হয়ে সোনার মেডেল আনবে। যদি মেয়েরা মেডেল আনতে না পারত তা হলে ঐ বাবা নিষ্ঠুর প্রমাণিত হত। শুরুতে সবাই তাই বলেছিল। বাঘা যতীন যখন একবার পুকুরের ঝাঁঝিতে পায়ে আটকে গিয়েছিল তখন পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে তার মা বলেছিল - তোমাকে নিজেকেই বিপদ কাটিয়ে উঠে আসতে হবে। বাঘা যতীন উঠে এসেছিল।
তবেই না তাঁরা বরেণ্য।
আমাদের ক্লাসে অলক ফার্স্ট হত। কিন্তু স্যাররা দুই তিন চার সাত আট রোল নম্বরের পার্থ নিমাই সঞ্জীব কিংবা সুরেশকে পছন্দ করত। কেন না স্যাররা জানতেন কার মধ্যে কি আছে। এবং সত্যি সত্যি পরবর্তীতে অলক পার্থ নিমাই অরূপ সাধন এরা কেউ বিজ্ঞানী কেউ ডাক্তার কেউ আধিকারিক। এই উপলব্ধি স্যারেদের মধ্যে ছিল বলেই না শাসন করা সারেদের খুব মানাত।
সেইসব দিন পেরিয়ে এসে, সেই সব শাসনের ভয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠা একজন শিক্ষার্থীও বলবে না যে সেদিনের সেই শাসন করা স্যার ভুল ছিল।
শাস্তি নয় শাসন। শাসন থাকা খুব জরুরী। শাসন না থাকলে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না।
আমাদের ক্লাসে বিনয় একেবারেই পড়া পারত না। অঙ্ক টুকটাক পারত কিন্তু ইংরেজিতে এক্কেবারে কাঁচা। স্যার বলতেন - তোর বাড়িতে ইংরেজির চাষ হয় যে নিজের মত ইংরেজি বলছিস?
তো সেই বিনয়কে কোন স্যার মারত না। বরং স্কুলের সব কাজে স্যারেরা বিনয়কে ডাকত। স্কুলের কোন অনুষ্ঠান চেয়ার বেঞ্চি বয়ে দেওয়া খাওয়ার এনে দেওয়া তদারকি করা সব কাজে বিনয়। এমন কি বেত এনে দেওয়াটাও বিনয় করে দিত। সেই বিনয় এখন বড় হোলসেল বিজনেস করে। আমাদের গ্রামের বেশ বর্ধিষ্ণু নাগরিক। বকাটে উচ্ছন্নের দলে নাম লেখায় নি। স্কুল থেকে শাসন উঠে গেল। শাসনের সেই চোখ রাঙানি চলে গেল। কত ভাল স্কুলে দিয়ে টাকা পয়সা খরচ করেও ফটাফট ইংরেজি বলা বিনয়ের ছেলে মেয়ে বকাটের দলে উচ্ছন্নের দলে ভিড়ে গেল। বিনয় দুঃখ করে।
স্কুলে শাসন থাকবে না তা কখনও হয়। স্কুল হচ্ছে মানুষ তৈরির কারিগর। শাসন ছাড়া কেউ কখনও মানুষ হয়? স্কুলে টহল দিতেন আমাদের প্রধান শিক্ষক রমাপতিবাবু। আমরা সবাই ভয়ে কাঁপতাম।
ভয়ে কাঁপতাম তিনি বকবেন বলে নয়, ভয়ে কাঁপতাম পড়া জিজ্ঞেস করলে পড়া পারব না তাই। ক্লাস চলাকালীন দুষ্টুমি করলে ঠিক চোখে পড়বে তাই। নিয়মিত স্কুলে আসি না তাই। মিথ্যে বাহানা ঠিক ধরে ফেলতেন তাই। পড়া বলা শুরু করলেই ঠিক বুঝতে পারতেন দায়সারা পড়ে এসেছি নাকি সত্যি সত্যি পড়ে এসেছি তাই।
যারা সত্যিকারের ছাত্রছাত্রী। নিয়মিত পড়া করত। পড়া বুঝত। নিয়মিত পড়াশুনা করত। তাদের কাছে শাসনের কোন ভয় ছিল না। কিংবা শাসনের জন্য আমরা অনেকেই ছাত্রছাত্রী হয়ে গিয়েছিলাম।
সুশীলবাবু গৌরবাবু অনিলবাবু সতীশবাবু মন্মথবাবু বিষ্ণুবাবু ব্যোমকেশবাবু সবাই যেমন শাসন করতেন তেমন চিনতেন কে ছাত্রছাত্রী আর কে ছাত্রছাত্রী নয়। তৃতীয় নয়ন দিয়ে ঠিক চিনতেন কে কে 'ছাত্রানাং অধ্যয়ন তপ' হিসেবে স্কুলে আসছে আর কে আসছে না।
তার জন্য সমস্ত শিক্ষক মহাশয় খুব শাসন করতেন তা কিন্তু নয়। বেত ছাড়াও যে পড়ানো যায়, শাস্তি দেওয়া যায়, সবাইকে শিক্ষার্থী বা সত্যিকারের ছাত্রছাত্রী বানানো যায় তা আমরা ব্যোমকেশবাবু, অনিলবাবু, গৌরবাবুর কাছ থেকে পেয়েছি। ক্লাসে উপস্থিত হওয়াটাই ছাত্রছাত্রীর কাছে অসীম পাওয়া। ছাত্রছাত্রী না হলে সেটাই শাস্তি, শাসন নয়। আর ছাত্রছাত্রী হলে সেটাই শাসন, শাস্তি নয়।
তুমি স্কুলে আসবে আর ওই তো একটু আধটু পড়লেই হল কিংবা না পড়লেই হল অথবা ছাড় তো পড়ে আর কি হবে এবং কত আর পড়ব পাশ করলেই তো হল বা ঠিক স্টেজে মেকাপ দিয়ে দেব কিংবা পড়ার জ্বালায় জীবনে আর থাকল কি, একটু স্ফূর্তি আনন্দ করতে পারলাম না এ রকম ভাবলে কিংবা মানলে চলবে না। জীবনের এই সময়টা শেখার সময় তাই স্কুলে আসতে হবে এবং রীতিমত পড়াশুনা করে আসতে হবে। 'ছাত্রানাং অধ্যয়ন তপ' হতেই হবে। এই ব্যাপারটা আমাদের শিক্ষক মহাশয় কড়া শাসনে বুঝিয়ে দিতেন।
কেন না এর জন্য রীতিমত ক্লাস নেওয়াটাও জরুরী। যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাস করাটাও জরুরী। আমরা ক্লাসে শিক্ষক নেই বসে আছি। এ রকম সাধারণত হত না। এগারোটা বাজলেই প্রতিটি ক্লাসে মাঝে মাঝে সমবেত কণ্ঠস্বর। বাইরে একজনও ছাত্রছাত্রী থাকছে না। কোনো স্যার সেদিন অনুপস্থিত হলে অন্য কোন না কোন স্যার সেই ক্লাস নিয়ে নিতেন। তাতে আরও বেশি মজা হত। পড়ার বাইরে কত কি পড়া হয়ে যেত। মনে হত পড়ার মধ্যেও এত রস।
শিক্ষক হিসেবে স্কুলের শাসনের সাথে সাথে সেই ভাবনাটিও শিক্ষক মহাশয়গণ পোষণ করতেন। তাই আমাদের কাছে শাসন ছিল মানুষ হওয়ার অবস্থান। আমরা বাড়িতে সেই শাসনের কথা বলতেই পারতাম না। কিংবা বললে আরো কড়া শাসনের ব্যবস্থা ছিল। কেন না স্কুলে শিখতে গিয়েছি। শাসন ছাড়া শিক্ষা হয় না।
একদিন দুদিন পড়া না করে গেলেই যে তোমাকে শাসন করবে তা কিন্তু নয়, পড়া করে গেলে কিন্তু তোমার বুদ্ধিতে অত ভাল পড়া বলতে পারলে না তার জন্য যে শাস্তি পাবে তা কিন্তু নয়, পড়াশুনার সাথে সাথে যদি তুমি দুষ্টুমি কর তাহলে দুষ্টুমির জন্য তুমি শাস্তি পাবে তা কিন্তু নয়।
কোন শিক্ষা সে পারিবারিক হোক বা সামাজিক হোক কিংবা বোধ বুদ্ধির অথবা খেলাধুলার সেখানে শাসন থাকা খুব জরুরী। মনে আছে 'দঙ্গল' ছবির কথা। বাবা যখন মেয়েদের চুল কেটে দিচ্ছে, মেয়েদের ভোর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে তুলছে, ছেলেদের সাথে কুস্তি করাচ্ছে তখন কিন্তু সেই বাবা জানত না তার মেয়ে দেশের হয়ে সোনার মেডেল আনবে। যদি মেয়েরা মেডেল আনতে না পারত তা হলে ঐ বাবা নিষ্ঠুর প্রমাণিত হত। শুরুতে সবাই তাই বলেছিল। বাঘা যতীন যখন একবার পুকুরের ঝাঁঝিতে পায়ে আটকে গিয়েছিল তখন পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে তার মা বলেছিল - তোমাকে নিজেকেই বিপদ কাটিয়ে উঠে আসতে হবে। বাঘা যতীন উঠে এসেছিল।
তবেই না তাঁরা বরেণ্য।
আমাদের ক্লাসে অলক ফার্স্ট হত। কিন্তু স্যাররা দুই তিন চার সাত আট রোল নম্বরের পার্থ নিমাই সঞ্জীব কিংবা সুরেশকে পছন্দ করত। কেন না স্যাররা জানতেন কার মধ্যে কি আছে। এবং সত্যি সত্যি পরবর্তীতে অলক পার্থ নিমাই অরূপ সাধন এরা কেউ বিজ্ঞানী কেউ ডাক্তার কেউ আধিকারিক। এই উপলব্ধি স্যারেদের মধ্যে ছিল বলেই না শাসন করা সারেদের খুব মানাত।
সেইসব দিন পেরিয়ে এসে, সেই সব শাসনের ভয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠা একজন শিক্ষার্থীও বলবে না যে সেদিনের সেই শাসন করা স্যার ভুল ছিল।
শাস্তি নয় শাসন। শাসন থাকা খুব জরুরী। শাসন না থাকলে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না।
আমাদের ক্লাসে বিনয় একেবারেই পড়া পারত না। অঙ্ক টুকটাক পারত কিন্তু ইংরেজিতে এক্কেবারে কাঁচা। স্যার বলতেন - তোর বাড়িতে ইংরেজির চাষ হয় যে নিজের মত ইংরেজি বলছিস?
তো সেই বিনয়কে কোন স্যার মারত না। বরং স্কুলের সব কাজে স্যারেরা বিনয়কে ডাকত। স্কুলের কোন অনুষ্ঠান চেয়ার বেঞ্চি বয়ে দেওয়া খাওয়ার এনে দেওয়া তদারকি করা সব কাজে বিনয়। এমন কি বেত এনে দেওয়াটাও বিনয় করে দিত। সেই বিনয় এখন বড় হোলসেল বিজনেস করে। আমাদের গ্রামের বেশ বর্ধিষ্ণু নাগরিক। বকাটে উচ্ছন্নের দলে নাম লেখায় নি। স্কুল থেকে শাসন উঠে গেল। শাসনের সেই চোখ রাঙানি চলে গেল। কত ভাল স্কুলে দিয়ে টাকা পয়সা খরচ করেও ফটাফট ইংরেজি বলা বিনয়ের ছেলে মেয়ে বকাটের দলে উচ্ছন্নের দলে ভিড়ে গেল। বিনয় দুঃখ করে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
চিরন্তন ২৯/০১/২০২১সুন্দর
-
জাকির হোসেন `বিপ্লব' ০৮/০৯/২০২০আমরা এখনো এমন ছাত্র হতে পারি নাই, যে স্কুলে বেত থাকবে না!! বেত তো আর বেত নয়, যে ছাত্র সে তো কখনো বেতকে ভয় নয় আর্শিবাদ হিসাবেই নেয়।। ভাল লাগলো!! শুভকামনা রইল চিরন্তন প্রিয় কবিজী।।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৭/০৯/২০২০অভিজ্ঞতা দারুন
-
Mousumi ০৬/০৯/২০২০Khub sathik katha
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৫/০৯/২০২০আসলেই একটু শাসন বড় দরকার।
-
ফয়জুল মহী ০৫/০৯/২০২০সৃষ্টিশীল লেখনী ।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৫/০৯/২০২০Very Good.