গোপলার কথা - ৮৩
আমার ঈর্ষা
---------
আমার মনে খুব ঈর্ষা। আমি অন্যের ভাল দেখতে পারি না। বুকের ভেতরটা কেমন টনটন করে।
কোন কিছুতে অংশগ্রহণ করলে যদি কিছু না পাই। যদি পাঁচ সাত বার অংশগ্রহণ করে কিছু না পাই। যদি তিন বা পাঁচ বা দশের মধ্যে একজন না হতে পারি তাহলে আমার মধ্যে খুব ঈর্ষার জন্ম হয়। যদিও আমি ভাল করেই জানি এর চেয়ে ভালো আমি পারি না। যারা দশে বা তিনে এসেছে তারা যে আমার চেয়ে ভালো তাও আমি মানি।
তবু আমি যদি কোন পুরস্কার না পাই আমার মনে ঈর্ষার জন্ম নেয়। যদিও জানি এই ঈর্ষা আমাকে আরো ভালো আরো ভালো করার কোন অনুপ্রেরণা দেয় না। সে গান হোক কবিতা হোক খেলাধূলা হোক কিংবা কুইজ ইত্যাদি।
এখানে একটা ছোট্ট কথা বলে রাখি। আমি এগুলো কোন কিছুই পারি না। তবু এর ওর পেছনে পেছনে দৌড়ই। কবিতা লিখি প্রবন্ধ লিখি গল্প লিখি। আর কিছু আবোল তাবোল কাজ পারি।
কিন্তু ঈর্ষা থেকে বেরোতে পারি না। আমি গোপনে একে ওকে বলি - দাদা, আমাকে মিথ্যে করে একবার অন্তত ছোট একটা পুরস্কার দিন না।
তারা আবার এই নিয়ে আমাকে ট্রোল করে। আমার আরো বেশি ঈর্ষা আবার বেড়ে যায়। কি করব বলো। তখন তাদের ছেড়ে যাই। অথবা এটা ওটা করে লেগে থাকি।
এভাবে ঈর্ষার জন্ম থেকে সরে আসার জন্য আমি আর সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না। কি হবে করে? আমি জানি আমি পাব না। আমার সর্বোচ্চ দিয়েও আমি পারব না। সামনে আসব না। তবু মনের মধ্যে একটা তীব্র বাসনা জাগে। যদি পাই। যদি পেয়ে যাই। তাই আবার অংশগ্রহণ করি।
তারপর দেখি কি? আরে বাস! এখানেও গোঁজামিল। পুরস্কার আসলে একটা অবস্থান। চেনা জানা হলে তবেই শোনা হবে জানা হবে ভাবা হবে বোঝা হবে। না হলে উল্টেও দেখার কোন প্রয়োজন মনে করে না। ফলে যা হবার তাই হয়। আমি দেখি কে প্রথম কে দশম আর কে দুই তিন। এরা তো এই। তাহলে? কোথাও ঠাঁই পেতে দেখি না তো? তাতে কি পুরস্কার উন্মাদনা তাদের চোখে মুখে।
আর আমার ঈর্ষা। কিন্তু আমার ঈর্ষা শুধু আমার বুকেই লালিত পালিত। এর জন্য আমি কাওকে খুব একটা দোষারোপ করি না। চেষ্টার সর্বোচ্চ দিতে থাকি আর নিজে নিজেই জ্বলে পুড়ে মরি।
এগুলো হল এই সব ক্রিয়েটিভ ভাবনার কথা এবং তার ঈর্ষার রূপ। কিন্তু এর বাইরে যে জাগতিক যেমন গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সা ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমার কোন ঈর্ষা নেই। এসব কোন কিছু আমি শুধু আমারটাই দেখি। অন্যের কার কি আছে কেন আছে আমার কেন নেই এসবে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই না।
---------
আমার মনে খুব ঈর্ষা। আমি অন্যের ভাল দেখতে পারি না। বুকের ভেতরটা কেমন টনটন করে।
কোন কিছুতে অংশগ্রহণ করলে যদি কিছু না পাই। যদি পাঁচ সাত বার অংশগ্রহণ করে কিছু না পাই। যদি তিন বা পাঁচ বা দশের মধ্যে একজন না হতে পারি তাহলে আমার মধ্যে খুব ঈর্ষার জন্ম হয়। যদিও আমি ভাল করেই জানি এর চেয়ে ভালো আমি পারি না। যারা দশে বা তিনে এসেছে তারা যে আমার চেয়ে ভালো তাও আমি মানি।
তবু আমি যদি কোন পুরস্কার না পাই আমার মনে ঈর্ষার জন্ম নেয়। যদিও জানি এই ঈর্ষা আমাকে আরো ভালো আরো ভালো করার কোন অনুপ্রেরণা দেয় না। সে গান হোক কবিতা হোক খেলাধূলা হোক কিংবা কুইজ ইত্যাদি।
এখানে একটা ছোট্ট কথা বলে রাখি। আমি এগুলো কোন কিছুই পারি না। তবু এর ওর পেছনে পেছনে দৌড়ই। কবিতা লিখি প্রবন্ধ লিখি গল্প লিখি। আর কিছু আবোল তাবোল কাজ পারি।
কিন্তু ঈর্ষা থেকে বেরোতে পারি না। আমি গোপনে একে ওকে বলি - দাদা, আমাকে মিথ্যে করে একবার অন্তত ছোট একটা পুরস্কার দিন না।
তারা আবার এই নিয়ে আমাকে ট্রোল করে। আমার আরো বেশি ঈর্ষা আবার বেড়ে যায়। কি করব বলো। তখন তাদের ছেড়ে যাই। অথবা এটা ওটা করে লেগে থাকি।
এভাবে ঈর্ষার জন্ম থেকে সরে আসার জন্য আমি আর সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না। কি হবে করে? আমি জানি আমি পাব না। আমার সর্বোচ্চ দিয়েও আমি পারব না। সামনে আসব না। তবু মনের মধ্যে একটা তীব্র বাসনা জাগে। যদি পাই। যদি পেয়ে যাই। তাই আবার অংশগ্রহণ করি।
তারপর দেখি কি? আরে বাস! এখানেও গোঁজামিল। পুরস্কার আসলে একটা অবস্থান। চেনা জানা হলে তবেই শোনা হবে জানা হবে ভাবা হবে বোঝা হবে। না হলে উল্টেও দেখার কোন প্রয়োজন মনে করে না। ফলে যা হবার তাই হয়। আমি দেখি কে প্রথম কে দশম আর কে দুই তিন। এরা তো এই। তাহলে? কোথাও ঠাঁই পেতে দেখি না তো? তাতে কি পুরস্কার উন্মাদনা তাদের চোখে মুখে।
আর আমার ঈর্ষা। কিন্তু আমার ঈর্ষা শুধু আমার বুকেই লালিত পালিত। এর জন্য আমি কাওকে খুব একটা দোষারোপ করি না। চেষ্টার সর্বোচ্চ দিতে থাকি আর নিজে নিজেই জ্বলে পুড়ে মরি।
এগুলো হল এই সব ক্রিয়েটিভ ভাবনার কথা এবং তার ঈর্ষার রূপ। কিন্তু এর বাইরে যে জাগতিক যেমন গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সা ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমার কোন ঈর্ষা নেই। এসব কোন কিছু আমি শুধু আমারটাই দেখি। অন্যের কার কি আছে কেন আছে আমার কেন নেই এসবে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জানবক্স খান ২২/০৮/২০২০গোপালার লেখা কবে আসবে তাই ভাবছি।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/০৮/২০২০শুভেচ্ছা
-
পুষ্পিতা পাল ১৮/০৭/২০২০ভালো
-
সাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ১৮/০৭/২০২০ভালো, আরও সুন্দর করতে হবে।
-
ফয়জুল মহী ১৭/০৭/২০২০অসাধারণ উপস্থাপন!