গোপলার কথা - ৮১
যে যা করে
-----------
যে লেখে সে লিখে যায়। যে বই পড়ে সে পড়ে যায়। যে গান করে সে গান গেয়ে যায়। যে গান শোনে সে শুনে যায়। যে নেশা করে সে নেশা করে যায়। যে বিরিয়ানি খায় সে খেয়ে যায়। যে পরোপকার করে যে করে যায়। যে পার্টিতে যায় সে পার্টি করে। যে পার্টিবাজি করে সে পার্টিবাজি করেই যায়। যে সন্ত্রাসবাদী সে সন্ত্রাস করে যায়। যে প্রেম করে কিংবা পরকীয়া সে এসব করেই যায়। এ রকম যার মনে হিংসা রাগ দ্বেষ ভয় লাজ স্ফূর্তি ইত্যাদি আছে তারাও এসব করে যায়। বাঁচানোর লোক বাঁচিয়ে যায়। খুনি খুন করেই যায়। করেই যায়। করেই যায়। সে যে কোন ঘটনা ঘটুক না কেন।
এই যে এত বড় মহামারী ঘটেই চলেছে, তারপর আমফান এল, কত মানুষ গৃহহারা হল, কত মানুষের কাজ নেই, কত মানুষ কাজ হারাবে, কত মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না, কত মানুষ পরিযায়ী হল, কত মানুষ কত উদ্ভটভাবে মারা যাচ্ছে, কত মানুষ শুধু দুবেলা দুমুঠো খেতে পাচ্ছে না। কিন্তু এদের কোন হেলদোল নেই। এরা একই ভাবে নিজেদের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়। এমন কি নিজেদের মধ্যে কিংবা নিজের আত্মীয়দের মধ্যে যদি কিছু হয়েও যায়, তবু এরা এদের কাজ করেই যায়। করেই যায়।
মাঝে মাঝে পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে ফেসবুকে নিজের পরিচিতের মধ্যে দু একবার শোক প্রকাশ করে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে আস্ফালন করে তারপরে সেই একই ভাবে নিজের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়।
তবে চিন্তার কিছু নেই। ভাল কাজ খারাপ কাজ লোক দেখানো কাজ নীরবে কাজ ইত্যাদি নিয়েই পৃথিবী। শুধু একটাই চিন্তার এই হেলদোল নেই লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বাড়ুক। কি আর করা যাবে? কিন্তু কিছু তো করতে হবে। হেলদোল নেই মানে এইসব মানুষেরা একলা একা। পৃথিবী গোল্লায় যাক আমার তাতে কি? আমি আমার কাজ করে যাব। তবে করো। কিন্তু এই একলা একা এক সময় নিজের বিষয়ে যখন আত্মমগ্নতার বাইরে বেরোবার চেষ্টা করে তখন আর কাওকে পায় না। কি করে পাবে? পাশের লোকটিও হেলদোল নেই এমন দলে চলে গেছে।
একথাও সত্যি যে, যে যা করে তাকে সেটুকু করতে দিতে হয়। তাতেই সে তার স্পেস খুঁজে পায়। বাঁচার নেশায় সে বাঁচতে থাকে। তা বলে কিছুটা হেলদোল থাকবে না?
গায়ক ভাবে গান করে পৃথিবীর মানুষকে জাগিয়ে তুলবে। লেখক ভাবে লিখেই মানুষের চেতনা ফেরাবে। আবৃত্তিকার ভাবে আমি ঠিক পরিবেশনে সবার কানে কথাটা তুলে দেব। কবি ভাবে সবাইকে ভাবুক করে তুলব। আবার পার্টির লোক ভাবে দেশেকে আমরাই ঠিক পথে নিয়ে যাব। খুনী ভাবে খুন করেই সব শত্রু শেষ। এরকম ধার্মিক পরোপকারী সবাই নিজের ধ্যান ধারণায় মগ্ন। ফলে যে যার কাজ করে যায়।
এই যে যার কাজের মধ্যে অন্যের ধ্যান ধারণা মিলেমিশে একাকার হচ্ছে কি না, মানুষের প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে আমি কত মানুষ সম্ভাবনা ইত্যাদি না ভাবলে নিজস্ব চর্চা বৃথা।
-----------
যে লেখে সে লিখে যায়। যে বই পড়ে সে পড়ে যায়। যে গান করে সে গান গেয়ে যায়। যে গান শোনে সে শুনে যায়। যে নেশা করে সে নেশা করে যায়। যে বিরিয়ানি খায় সে খেয়ে যায়। যে পরোপকার করে যে করে যায়। যে পার্টিতে যায় সে পার্টি করে। যে পার্টিবাজি করে সে পার্টিবাজি করেই যায়। যে সন্ত্রাসবাদী সে সন্ত্রাস করে যায়। যে প্রেম করে কিংবা পরকীয়া সে এসব করেই যায়। এ রকম যার মনে হিংসা রাগ দ্বেষ ভয় লাজ স্ফূর্তি ইত্যাদি আছে তারাও এসব করে যায়। বাঁচানোর লোক বাঁচিয়ে যায়। খুনি খুন করেই যায়। করেই যায়। করেই যায়। সে যে কোন ঘটনা ঘটুক না কেন।
এই যে এত বড় মহামারী ঘটেই চলেছে, তারপর আমফান এল, কত মানুষ গৃহহারা হল, কত মানুষের কাজ নেই, কত মানুষ কাজ হারাবে, কত মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না, কত মানুষ পরিযায়ী হল, কত মানুষ কত উদ্ভটভাবে মারা যাচ্ছে, কত মানুষ শুধু দুবেলা দুমুঠো খেতে পাচ্ছে না। কিন্তু এদের কোন হেলদোল নেই। এরা একই ভাবে নিজেদের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়। এমন কি নিজেদের মধ্যে কিংবা নিজের আত্মীয়দের মধ্যে যদি কিছু হয়েও যায়, তবু এরা এদের কাজ করেই যায়। করেই যায়।
মাঝে মাঝে পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে ফেসবুকে নিজের পরিচিতের মধ্যে দু একবার শোক প্রকাশ করে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে আস্ফালন করে তারপরে সেই একই ভাবে নিজের কাজ করেই যায় করেই যায় করেই যায়।
তবে চিন্তার কিছু নেই। ভাল কাজ খারাপ কাজ লোক দেখানো কাজ নীরবে কাজ ইত্যাদি নিয়েই পৃথিবী। শুধু একটাই চিন্তার এই হেলদোল নেই লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বাড়ুক। কি আর করা যাবে? কিন্তু কিছু তো করতে হবে। হেলদোল নেই মানে এইসব মানুষেরা একলা একা। পৃথিবী গোল্লায় যাক আমার তাতে কি? আমি আমার কাজ করে যাব। তবে করো। কিন্তু এই একলা একা এক সময় নিজের বিষয়ে যখন আত্মমগ্নতার বাইরে বেরোবার চেষ্টা করে তখন আর কাওকে পায় না। কি করে পাবে? পাশের লোকটিও হেলদোল নেই এমন দলে চলে গেছে।
একথাও সত্যি যে, যে যা করে তাকে সেটুকু করতে দিতে হয়। তাতেই সে তার স্পেস খুঁজে পায়। বাঁচার নেশায় সে বাঁচতে থাকে। তা বলে কিছুটা হেলদোল থাকবে না?
গায়ক ভাবে গান করে পৃথিবীর মানুষকে জাগিয়ে তুলবে। লেখক ভাবে লিখেই মানুষের চেতনা ফেরাবে। আবৃত্তিকার ভাবে আমি ঠিক পরিবেশনে সবার কানে কথাটা তুলে দেব। কবি ভাবে সবাইকে ভাবুক করে তুলব। আবার পার্টির লোক ভাবে দেশেকে আমরাই ঠিক পথে নিয়ে যাব। খুনী ভাবে খুন করেই সব শত্রু শেষ। এরকম ধার্মিক পরোপকারী সবাই নিজের ধ্যান ধারণায় মগ্ন। ফলে যে যার কাজ করে যায়।
এই যে যার কাজের মধ্যে অন্যের ধ্যান ধারণা মিলেমিশে একাকার হচ্ছে কি না, মানুষের প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে আমি কত মানুষ সম্ভাবনা ইত্যাদি না ভাবলে নিজস্ব চর্চা বৃথা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেদোয়ান আহমেদ ২১/০৬/২০২০বাহ্
-
জানবক্স খান ২০/০৬/২০২০যে লেখে তাকে আরো কিছু লিখতে দিন।
সমস্যা কিছু কমে যাবে। -
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৬/০৬/২০২০খারাপ না।
-
গোলাম কিবরিয়া সৌখিন ১৬/০৬/২০২০সঠিক অনুধাবন
-
ফয়জুল মহী ১৬/০৬/২০২০মনোমুদ্ধকর ।
-
অভিজিৎ জানা ১৬/০৬/২০২০যথার্থ বলেছেন, হেলদোল বিহীন লোকের সংখ্যা প্রতিদিন ই বেড়ে চলেছে।