www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রাণের সম্মিলনী

মাঝে মাঝে খুব ভাল লাগে। ভারশূন্য লাগে।
কোন প্রেমিকা নেই। সংসার নেই। সমাজ নেই। অপেক্ষা নেই। আগমন নেই। দায় নেই। দায়িত্ব নেই। পেছনে কেন ছিলাম? সামনে কেন এগোব? কাল না থাকলে কি ক্ষতি হবে? এতদিন কতটুকুই বা কেনই বা এ পৃথিবীতে ছিলাম?
ভাবতে ভাবতে হাঁটা বাড়িয়ে দেয় শশীকান্ত।
সবে তো সন্ধ্যে। চাঁদ সেই একই রকম হাসে। রাস্তার স্টোনচিপ্স পায়ে খেলা করে। ভিড়ের মাঝে ঠেলা লাগে। মানুষের মত কতজন পিলপিল করে হেঁটে যায়।
গাছের পাতা ঝরে পড়া দেখতে মাথা তোলে শশীকান্ত। তার ছেলেটাও বড় হয়ে ওই দূরের উঁচু ব্লিডিংএ উঠে গেল। মেয়েটাও নিজের হাতের পোয়া বারো। আর মিসেস এখন প্রভাবশালী।
সামনের ফাঁকা মাঠ, মাঠের ঘাসগুলো সব কোথায় গেল?
এসব দেখে শশীকান্তও শিখে গেছে এখন ঘাসফুলে ফড়িং খোঁজা বারণ। একটু ঝুঁকে মূর্তি বানানো ঠিক না। উপকারের ফাণ্ডা পেতে হলে বা দিতে হলে পার্টি করো না হলে কেটে পড়ো। ফন্দি ফিকিরেই আকাশ দেখতে হয়। জল মাটি বাতাস পেতে হয়। দিতে হয়।
এখন শশীকান্ত তাই মাথা নাড়া শশীকান্ত। নির্বাক চলতে থাকা মাঝবয়সী মানুষের মত একজন। শত্রু মিত্র পবিত্র সর্বসিক্ত এরকম মিল খুঁজে পাওয়া দু চারটে শব্দ। কিংবা দু পাঁচটা উচ্চারণ মাত্র।
অফিসের চেয়ারে দেনা পাওনার হিসেবে খাওয়া জুটিয়ে নেয় শশীকান্ত। আর বাড়ি ফিরে সেই আর পাঁচটা সাংসারিক বাঙালির মত। সাধারণ।
ছাদে উঠে আকাশের দিকে শশীকান্ত তাকিয়ে ভাবে সেই আগের মত দায়িত্ব কর্তব্য প্রেমিকা অপেক্ষা আগমন ইত্যাদি সমস্ত কিছু আর কি ফিরে পেতে পারে না?
আর যে এই নাই নাই শশীকান্তকে শশীকান্ত সহ্য করতে পারছে না। প্রাণের সম্মিলনীতে মিশতে চায়।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৪৮৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩০/১০/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৩/১১/২০১৯
    আহা কি সুন্দর আঁকা হল "শশীকান্ত" ।
  • অসাধারণ বক্তব্য।
  • জাহিরুল মিলন ০৩/১১/২০১৯
    বেশ
  • আব্দুল হক ৩০/১০/২০১৯
    সুন্দর লিখেছেন।
  • ভালো লাগলো।
 
Quantcast