গোপলার কথা - ৬১
ফেসবুক কেসবুক
---------------
ভাগ্যিস ফেসবুক ছিল, না হলে আমার যে কি হত? তোমার দেখা পেতাম না, আমাকে দেখাতে পারতাম না। তোমার লালটুস মার্কা আর আমার রিফ্রেশিং নানান মূহুর্ত তুলে ধরতে পারতাম না।
কি গো তোমাদের কচুর ঘণ্ট আমার পোলাওএর পাশে বসিয়ে এসে গেল জিভে জল। সেই জলের ফস্টি নস্টি, চল হানা দিই ইনবক্স। রসালো খেজুরে সারা হল কিন্তু টের পেল না কাক পক্ষীতেও।
তাও একদিন ডাক দিলাম। এসো গো, মিলিত হই। দেখা হতেই - আহা, কি সুন্দর লেখো গো?
বাংলিস, হিন্দিলিশ কত রকমের রোমান শিলালিপি। লিখে দিলেই লাইক কমেণ্টের গুনতি। দু একটা ছোনা পড়ে যায়। দুধটা একেবারে ছানা কাটা। তবে কিছু তো মাখন তুলতে জানে।
ও পাড়ার টেঁপি বৌদির ছবি দেখে চিনতেই পারি নি। কোনদিন কথা হয় নি। বাজারে রাস্তায় চোখাচোখি হয়। ঢলে পড়ে বলল কি? তোমরা আজকাল ফেসবুকে লিখছো খুব। দেশের সঙ্গে দেশের খুব সখ্যতা দেখলাম তোমার প্রোফাইলে। ভুলে যেও না ডিজিটাল খুঁজছে অন্ধকার।
প্রেম করে বিয়ের গল্প শুনলাম। কিছুতেই দুজনের সেই ট্যাপের পড়া ইনবক্স খুলছে না। বাবা বসে বসে চ্যাটের ঘ্যাঁট করছে তো ছেলে সেই একই পথের পথিক - নোটসের জন্য চ্যাট চাইই চাই। অধ্যয়ন নিজেই জপমালায় তপ করছে। ওদিকে ফ্রি নেট দুনিয়ায় স্বাধীন লেখ্য চাইছে ফেস টু ফেস।
মিট করেই ঘোঁট পেকে গেল - আমি কিন্তু সব ভাইরাল করে দেব। লাভটা কি হল? কি হল আবার, ইচ্ছের গোপন আমি তুমি ছেড়ে দুয়ারে দুয়ারে। নেশায় মগ্ন বারান্দা। ঘরের আলোতে সুন্দর দারুণ অসাধারণের প্রতিশব্দ।
চিনতে চাওয়া হাত বদলে বাসের মধ্যে কানে গোঁজা। চেক করে নিচ্ছে কেউ নতুন কিছু দিল না তো? আমিও বাদ যাই কেন? এখন আমি অমৃতসরে, চললাম গো সিমলার পথে, এই দেখো আরাকু ভ্যালি।
তবে এ সব দিন সময় আমরা তো কখনও গুছিয়ে রাখতে পারি নি। কিন্তু ফেসবুক তাকে সযত্নে লালিত পালিত করে। মনে করায়। তুলে ধরে। একেবারে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে।
এ রকম সময় কাটাতে কাটাতে আমার আর নিঃসঙ্গতা নেই। তাই কি? ওদিকে তবে ফেসবুকের কেস ডাইরিতে গোষ্ঠীরঙ্গ কেন? ধরা পড়ল দোষী। তাও বাড়ছে দোষীর দোষ প্রবণতা। তাতে কি? ভাল ভাল কথার ফুলঝুরি।
উপদেশের গলায় মালা পরিয়ে বিন্দাস ঘেঁটে দিচ্ছে দেশ দশ সমাজের চরিত্র। অন্ধকারকে সামনে এনে আলোর প্রতিফলনে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠছে ফেসের বুক। সেখানেই ছবির পরে ছবি ভরিয়ে এক একটা অ্যালবাম কেস সাজিয়ে রাখছি। মন্দ লাগে না, মাঝে মাঝে উল্টেপাল্টে সেসব দেখতে।
তাই সময়ে অসময়ে বা পূর্ণ সময়ে একটা মস্তবড় জায়গা জুড়ে রয়েছে আমাদের এই ভাগ্যিস না থাকলে কি হত অবস্থা। চব্বিশঘণ্টা দরজা খোলা।
---------------
ভাগ্যিস ফেসবুক ছিল, না হলে আমার যে কি হত? তোমার দেখা পেতাম না, আমাকে দেখাতে পারতাম না। তোমার লালটুস মার্কা আর আমার রিফ্রেশিং নানান মূহুর্ত তুলে ধরতে পারতাম না।
কি গো তোমাদের কচুর ঘণ্ট আমার পোলাওএর পাশে বসিয়ে এসে গেল জিভে জল। সেই জলের ফস্টি নস্টি, চল হানা দিই ইনবক্স। রসালো খেজুরে সারা হল কিন্তু টের পেল না কাক পক্ষীতেও।
তাও একদিন ডাক দিলাম। এসো গো, মিলিত হই। দেখা হতেই - আহা, কি সুন্দর লেখো গো?
বাংলিস, হিন্দিলিশ কত রকমের রোমান শিলালিপি। লিখে দিলেই লাইক কমেণ্টের গুনতি। দু একটা ছোনা পড়ে যায়। দুধটা একেবারে ছানা কাটা। তবে কিছু তো মাখন তুলতে জানে।
ও পাড়ার টেঁপি বৌদির ছবি দেখে চিনতেই পারি নি। কোনদিন কথা হয় নি। বাজারে রাস্তায় চোখাচোখি হয়। ঢলে পড়ে বলল কি? তোমরা আজকাল ফেসবুকে লিখছো খুব। দেশের সঙ্গে দেশের খুব সখ্যতা দেখলাম তোমার প্রোফাইলে। ভুলে যেও না ডিজিটাল খুঁজছে অন্ধকার।
প্রেম করে বিয়ের গল্প শুনলাম। কিছুতেই দুজনের সেই ট্যাপের পড়া ইনবক্স খুলছে না। বাবা বসে বসে চ্যাটের ঘ্যাঁট করছে তো ছেলে সেই একই পথের পথিক - নোটসের জন্য চ্যাট চাইই চাই। অধ্যয়ন নিজেই জপমালায় তপ করছে। ওদিকে ফ্রি নেট দুনিয়ায় স্বাধীন লেখ্য চাইছে ফেস টু ফেস।
মিট করেই ঘোঁট পেকে গেল - আমি কিন্তু সব ভাইরাল করে দেব। লাভটা কি হল? কি হল আবার, ইচ্ছের গোপন আমি তুমি ছেড়ে দুয়ারে দুয়ারে। নেশায় মগ্ন বারান্দা। ঘরের আলোতে সুন্দর দারুণ অসাধারণের প্রতিশব্দ।
চিনতে চাওয়া হাত বদলে বাসের মধ্যে কানে গোঁজা। চেক করে নিচ্ছে কেউ নতুন কিছু দিল না তো? আমিও বাদ যাই কেন? এখন আমি অমৃতসরে, চললাম গো সিমলার পথে, এই দেখো আরাকু ভ্যালি।
তবে এ সব দিন সময় আমরা তো কখনও গুছিয়ে রাখতে পারি নি। কিন্তু ফেসবুক তাকে সযত্নে লালিত পালিত করে। মনে করায়। তুলে ধরে। একেবারে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে।
এ রকম সময় কাটাতে কাটাতে আমার আর নিঃসঙ্গতা নেই। তাই কি? ওদিকে তবে ফেসবুকের কেস ডাইরিতে গোষ্ঠীরঙ্গ কেন? ধরা পড়ল দোষী। তাও বাড়ছে দোষীর দোষ প্রবণতা। তাতে কি? ভাল ভাল কথার ফুলঝুরি।
উপদেশের গলায় মালা পরিয়ে বিন্দাস ঘেঁটে দিচ্ছে দেশ দশ সমাজের চরিত্র। অন্ধকারকে সামনে এনে আলোর প্রতিফলনে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠছে ফেসের বুক। সেখানেই ছবির পরে ছবি ভরিয়ে এক একটা অ্যালবাম কেস সাজিয়ে রাখছি। মন্দ লাগে না, মাঝে মাঝে উল্টেপাল্টে সেসব দেখতে।
তাই সময়ে অসময়ে বা পূর্ণ সময়ে একটা মস্তবড় জায়গা জুড়ে রয়েছে আমাদের এই ভাগ্যিস না থাকলে কি হত অবস্থা। চব্বিশঘণ্টা দরজা খোলা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ০৩/০৬/২০১৮অসাধারণ।
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০৩/০৬/২০১৮খুব ভালো