গোপলার কথা - ৪২
অনলাইন
----------
অনলাইন গেম কি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা বলার নয়? কিন্তু সেই সব গেম খেলা ছেলে মেয়ের জন্য সেই ফ্যামিলির কতজন অনলাইন ছেড়ে দিয়েছেন? একটু বলবেন কি?
আমার মনে হয় কেউ না। সবাই অনলাইনে আছেন। কেউ গেম খেলছে, কেউ খেলছে না। কিন্তু ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপস ইস্ট্রাগ্রাম ও অন্যান্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে ফিল্ম দেখা সবই চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ ছেলেমেয়েকে চোখ রাঙানি। এই, গেম খেলবি না? এও কি সম্ভব।
কেন? আমি তো কোন খারাপ কিছু করছি না। ছেলে মেয়ে কেন করবে? কিন্তু ছেলে মেয়ে তো ভাবছে, তুমি তোমার কাজ করছ আমি আমার কাজ করছি।
তোমার দিক থেকে খারাপ ভাবলেও তার দিক থেকে তো সে মনে করছে ঠিকই করছি। পড়া থেকে কিছু বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়া যাবে। কিন্তু এই বিশ্রামে অনলাইনগেম খেলা মাথাকে আরও হ্যাজার্ড করে দিচ্ছে।
আমরা ও ছেলেমেয়ে দুজনেই অনলাইনে। আমরা বিজনেস বা লাভজনকে ঘুরছি বন্ধু প্রীতি করছি।
ছেলেমেয়েও তার দিক থেকে তার মত ভেবে অন লাইনে আছে। অনলাইন গেম খেলছে। গান শুনছে। ছবি দেখছে। আপনার ক্ষেত্রে লাভও আছে লোকসানও আছে। ছেলের ক্ষেত্রেও তার দিক থেকে লাভ (এনজয় করলাম) আপনার দিক থেকে লোকসান। ছেলেমেয়ের ক্ষেত্রে এই লাভ লোকসান সে ভাবছেই না।
এখন দুরবস্থায় হায় হায় করছি। আবেগকে ধরে রেখে বাধ্য ছেলে মেয়েকে বাধ্য করাচ্ছে এই অনলাইন গেম।
তুমি অনলাইনে যা যা কর সেগুলো ছেড়ে দাও। দেখি কতটা কি হয়ে যায়? কিছু হবে না। হয়তো কিছু আর্থিক ক্ষতি হতে পারে এছাড়া আর কিছু নয়। আচ্ছা যদি এই আর্থিক দিকটা ধরি তাহলে অন্যদিকগুলো কি বন্ধ করে দিয়েছেন? তা না। অনলাইন ছাড়তে পারবে না বা পারার মানসিকতায় আপনি নেই।
ওমা, ফেসবুকে সে কি লিখল? কি ছবি দিল? কি শেয়ার করল? মেলটা খুব ইম্পর্টেণ্ট। হোয়াটস অ্যাপ্সে ম্যাসেজটা খুব দরকারী। যেন মনে হয় যুগ যুগ এই মেল ছিল। তার উপর রোজ দুইবেলা গুডমর্নিং আর গুডনাইট হোয়াসট অ্যাপ্সে আসছে। কি হয় এই ম্যাসেজে? না হলে কি ঘুম ভাঙে না, নাকি ঘুম আসে না।
আপনি অনলাইন থেকে সরছেন না আর ছেলেকে মেয়েকে আজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বলছেন - অনলাইন ছেড়ে দাও। কিংবা অনলাইন দিয়ে রেখেছেন কিন্তু ওয়াচ করছেন। পড়া ও পড়া সংক্রান্ত ছাড়া আর ব্যবহার করা যাবে না।
অথচ আপনি ছেড়ে দিলে ও ছাড়তে বাধ্য। সেই ভাবনাই এই টিন এজে ঘোরাফেরা করছে। যা সে বলতে পারছে না। তাই অনলাইনে থেকে আজ এই ভয়ঙ্কর ছেড়ে দিলেও অন্য ভয়ঙ্করে জড়িয়ে পড়বে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
আপনার অফিসে অনলাইন লাগে, ভাল কথা। মেবাইলে নেট রিচার্জ আছে তো?
হোয়াটস অ্যাপ্স থেকে কতজন শিক্ষা নিচ্ছে? ফেসবুকের কথা কতজনের কানে পৌঁচছে? উল্টে ফেসবুকে বিপ্লব চাইছে তাই লিখছে। এই লেখা থেকে ধ্বংসলীলা আরো স্পষ্ট।
ভাবুন তো কতজন ফেসবুক থেকে প্রেমে জড়িয়ে সুস্থ আছে আর কতজন আত্মহত্যা ও এ জাতীয় অবস্থানে জড়িয়ে পড়ছে। হিসেব বড্ড সরল কিন্তু মানছে ক'জন?
----------
অনলাইন গেম কি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা বলার নয়? কিন্তু সেই সব গেম খেলা ছেলে মেয়ের জন্য সেই ফ্যামিলির কতজন অনলাইন ছেড়ে দিয়েছেন? একটু বলবেন কি?
আমার মনে হয় কেউ না। সবাই অনলাইনে আছেন। কেউ গেম খেলছে, কেউ খেলছে না। কিন্তু ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপস ইস্ট্রাগ্রাম ও অন্যান্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে ফিল্ম দেখা সবই চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ ছেলেমেয়েকে চোখ রাঙানি। এই, গেম খেলবি না? এও কি সম্ভব।
কেন? আমি তো কোন খারাপ কিছু করছি না। ছেলে মেয়ে কেন করবে? কিন্তু ছেলে মেয়ে তো ভাবছে, তুমি তোমার কাজ করছ আমি আমার কাজ করছি।
তোমার দিক থেকে খারাপ ভাবলেও তার দিক থেকে তো সে মনে করছে ঠিকই করছি। পড়া থেকে কিছু বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়া যাবে। কিন্তু এই বিশ্রামে অনলাইনগেম খেলা মাথাকে আরও হ্যাজার্ড করে দিচ্ছে।
আমরা ও ছেলেমেয়ে দুজনেই অনলাইনে। আমরা বিজনেস বা লাভজনকে ঘুরছি বন্ধু প্রীতি করছি।
ছেলেমেয়েও তার দিক থেকে তার মত ভেবে অন লাইনে আছে। অনলাইন গেম খেলছে। গান শুনছে। ছবি দেখছে। আপনার ক্ষেত্রে লাভও আছে লোকসানও আছে। ছেলের ক্ষেত্রেও তার দিক থেকে লাভ (এনজয় করলাম) আপনার দিক থেকে লোকসান। ছেলেমেয়ের ক্ষেত্রে এই লাভ লোকসান সে ভাবছেই না।
এখন দুরবস্থায় হায় হায় করছি। আবেগকে ধরে রেখে বাধ্য ছেলে মেয়েকে বাধ্য করাচ্ছে এই অনলাইন গেম।
তুমি অনলাইনে যা যা কর সেগুলো ছেড়ে দাও। দেখি কতটা কি হয়ে যায়? কিছু হবে না। হয়তো কিছু আর্থিক ক্ষতি হতে পারে এছাড়া আর কিছু নয়। আচ্ছা যদি এই আর্থিক দিকটা ধরি তাহলে অন্যদিকগুলো কি বন্ধ করে দিয়েছেন? তা না। অনলাইন ছাড়তে পারবে না বা পারার মানসিকতায় আপনি নেই।
ওমা, ফেসবুকে সে কি লিখল? কি ছবি দিল? কি শেয়ার করল? মেলটা খুব ইম্পর্টেণ্ট। হোয়াটস অ্যাপ্সে ম্যাসেজটা খুব দরকারী। যেন মনে হয় যুগ যুগ এই মেল ছিল। তার উপর রোজ দুইবেলা গুডমর্নিং আর গুডনাইট হোয়াসট অ্যাপ্সে আসছে। কি হয় এই ম্যাসেজে? না হলে কি ঘুম ভাঙে না, নাকি ঘুম আসে না।
আপনি অনলাইন থেকে সরছেন না আর ছেলেকে মেয়েকে আজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বলছেন - অনলাইন ছেড়ে দাও। কিংবা অনলাইন দিয়ে রেখেছেন কিন্তু ওয়াচ করছেন। পড়া ও পড়া সংক্রান্ত ছাড়া আর ব্যবহার করা যাবে না।
অথচ আপনি ছেড়ে দিলে ও ছাড়তে বাধ্য। সেই ভাবনাই এই টিন এজে ঘোরাফেরা করছে। যা সে বলতে পারছে না। তাই অনলাইনে থেকে আজ এই ভয়ঙ্কর ছেড়ে দিলেও অন্য ভয়ঙ্করে জড়িয়ে পড়বে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
আপনার অফিসে অনলাইন লাগে, ভাল কথা। মেবাইলে নেট রিচার্জ আছে তো?
হোয়াটস অ্যাপ্স থেকে কতজন শিক্ষা নিচ্ছে? ফেসবুকের কথা কতজনের কানে পৌঁচছে? উল্টে ফেসবুকে বিপ্লব চাইছে তাই লিখছে। এই লেখা থেকে ধ্বংসলীলা আরো স্পষ্ট।
ভাবুন তো কতজন ফেসবুক থেকে প্রেমে জড়িয়ে সুস্থ আছে আর কতজন আত্মহত্যা ও এ জাতীয় অবস্থানে জড়িয়ে পড়ছে। হিসেব বড্ড সরল কিন্তু মানছে ক'জন?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ০৭/০৯/২০১৭ঠিক কথা ...
-
মোনালিসা ০৭/০৯/২০১৭