www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ডি এ

কি বিনয়, কেমন আছো? সিদ্ধার্থের কথা শুনে বিনয় অবাক হয়ে তাকাল। বলল, কি ব্যাপার? আজ একদম টাইমে। খুব খুশি খুশি।
একটু জায়গা করে বিনয়ের পাশের সিটে বসে দৃপ্ত কণ্ঠে সিদ্ধার্থ বলল, রোজ রোজ তোর ঠেস মারা কথা আর আমার হীনমন্যতা থেকে এবার মুক্তি।
-বলিস কি? কবে? কই পেপারে খবরে কিছুই তো দেখলাম না। জানতেও পারলাম না?
সিদ্ধার্থর খুব রাগ হল। বলল, পেপারে কেন দেবে? রাস্তা করা ছিল। অনেকেই জানে। আমি সবে জানলাম। তাই তোর সমতুল্য হলাম।
দুবার মাথা ঝাঁকিয়ে বিনয় বলল, তার মানে ঘুষ। শেষ পর্যন্ত তুইও।
বেশ রাগত সুরে বিনয় বলল, দেখ, আমরা দুজনে একই ইয়ারে টেকনিক্যাল শেষ করে একই বছরে নিয়োগ হয়েছি। অফিসও একটা স্টেশন দূরে। অথচ তুই আশি, আমি চল্লিশ। তার মানে ওই বেশি চল্লিশ তুই ঘুষ নিস।
- তা কেন? আমাকে তো দেয়। ইটস মাই স্যালারী।
সিদ্ধার্থ বেশ কঠোর গলায় বলল - আরে বাবা, আমাকেও তো দেয়। কোষাগার তো একটাই। সরকারী। কেউ কারও ব্যক্তিগত পকেট থেকে দেয় না।
- আরে বাপরে! সিদ্ধার্থ। এ তো বড় ডেঞ্জারাস ব্যাপার। সবাই এ ভাবে ভাবলে কি অবস্থা হবে? ভেবে দেখ।
হো হো করে হাসল সিদ্ধার্থ। বলল, সরকার যেমন ভাবাবে। তেমন তো ভাবব। তাই না? আমার স্টেশন এসে গেছে। চললাম।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০৯/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মোনালিসা ০৬/০৯/২০১৭
    ভাল
 
Quantcast