গোপলা কথা - ২৮
ভাবনার অভ্যাস
========
ভাবার কোন সময় নেই। ভাবলেই হল। এগিয়ে যাওয়ার রাস্তায় আর একটু সোজা কিংবা আর একটু মোচড় নিয়ে এগোলে মনে হয় ভালো হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে। কিন্তু যদি আমি আদৌ না ভাবি তাহলে ভালো হবে কি হবে না পুরোটাই আন্দাজে থেকে যাবে। অন্য কেউ হয়তো এইভাবে এগিয়েছিল। আপনি তার উদাহরণ টেনে বললেন - ওই তো কত দেখলাম, রাখো তো। কি লাভ হল অহিনের?
কিন্তু নিজে যাওয়া এক জিনিস আর অন্যের উদাহরণ টেনে শুধু বাতেলা মারা অন্য জিনিস। একটা বিষয় জানি আর সেই বিষয় পরীক্ষার হলে উপস্থাপিত করা অত সহজ নয়। দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক।
তাই ভাবাতে হয়। আর ভাবানোর জন্য একটু মোচড় দিতে হয়। আমি সবসময় অন্যের কথা শুনি। শোনার জন্য মিশি। মেশার জন্য দু দণ্ড দাঁড়াই। দরকার নেই তাও সময় খরচ করি। খরচের পৃষ্ঠায় সেই পথে গিয়ে একটু মোচড় দিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করি।
এভাবে কত যে ভুল করেছি তার ইয়ত্তা নেই। এই ভুল করতে করতে লাভও যে কিছু পেয়েছি। তবে জীবনের বৈচিত্র্য ভাবনায় নিজের কাছে নিজের তৃপ্তি লাভ করেছি অনেক। সেটুকু আমার পাওনা। যদিও তা একেবারে নিজস্ব। তোমার হয়তো কোন কাজেই লাগবে না। তবু আমি ভাবি।
তাছাড়া এই ভাবনায় বড্ড ক্লান্তি। বিদ্ঘুটে নানান বদ এসে জুটে যায়। যা নয় তাই ইনিয়ে বিনিয়ে কামড়ায়। আমি নিজে নিজেই আৎকে উঠি। যদিও সাময়িক সে রহস্যের খোলসে হৃদয়ে এক অনাবিল এসে যায়।
ভাবতে শেখার আয়ত্ত্বে খুব একটা সুখ নেই। যেন মনে হয় এ কেন হল, কি হবে, কোথায় এলাম? কেন এলাম? কেন দিলাম? না এলে না দিলে বোধ হয় ভাল হত। কিন্তু কেন? ইত্যাদি।
একটু পরে, ধুর! বিন্দাস যাতায়াত। মন খালি প্রাণ খালি। ভাবনার এই অবকাশ সুদীর্ঘ যাত্রায় জীবনের যে মাত্রা প্রকাশ হয় তা অবশ্যই অনন্য। পেরিয়ে যাওয়া অমলিন কর্তব্যের ভেদবিন্দু আমাকে আমার কাছে আবিষ্কার করে।
ভাবতে শেখার মর্যাদায় তোমাকে আমিও ভাবি।
========
ভাবার কোন সময় নেই। ভাবলেই হল। এগিয়ে যাওয়ার রাস্তায় আর একটু সোজা কিংবা আর একটু মোচড় নিয়ে এগোলে মনে হয় ভালো হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে। কিন্তু যদি আমি আদৌ না ভাবি তাহলে ভালো হবে কি হবে না পুরোটাই আন্দাজে থেকে যাবে। অন্য কেউ হয়তো এইভাবে এগিয়েছিল। আপনি তার উদাহরণ টেনে বললেন - ওই তো কত দেখলাম, রাখো তো। কি লাভ হল অহিনের?
কিন্তু নিজে যাওয়া এক জিনিস আর অন্যের উদাহরণ টেনে শুধু বাতেলা মারা অন্য জিনিস। একটা বিষয় জানি আর সেই বিষয় পরীক্ষার হলে উপস্থাপিত করা অত সহজ নয়। দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক।
তাই ভাবাতে হয়। আর ভাবানোর জন্য একটু মোচড় দিতে হয়। আমি সবসময় অন্যের কথা শুনি। শোনার জন্য মিশি। মেশার জন্য দু দণ্ড দাঁড়াই। দরকার নেই তাও সময় খরচ করি। খরচের পৃষ্ঠায় সেই পথে গিয়ে একটু মোচড় দিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করি।
এভাবে কত যে ভুল করেছি তার ইয়ত্তা নেই। এই ভুল করতে করতে লাভও যে কিছু পেয়েছি। তবে জীবনের বৈচিত্র্য ভাবনায় নিজের কাছে নিজের তৃপ্তি লাভ করেছি অনেক। সেটুকু আমার পাওনা। যদিও তা একেবারে নিজস্ব। তোমার হয়তো কোন কাজেই লাগবে না। তবু আমি ভাবি।
তাছাড়া এই ভাবনায় বড্ড ক্লান্তি। বিদ্ঘুটে নানান বদ এসে জুটে যায়। যা নয় তাই ইনিয়ে বিনিয়ে কামড়ায়। আমি নিজে নিজেই আৎকে উঠি। যদিও সাময়িক সে রহস্যের খোলসে হৃদয়ে এক অনাবিল এসে যায়।
ভাবতে শেখার আয়ত্ত্বে খুব একটা সুখ নেই। যেন মনে হয় এ কেন হল, কি হবে, কোথায় এলাম? কেন এলাম? কেন দিলাম? না এলে না দিলে বোধ হয় ভাল হত। কিন্তু কেন? ইত্যাদি।
একটু পরে, ধুর! বিন্দাস যাতায়াত। মন খালি প্রাণ খালি। ভাবনার এই অবকাশ সুদীর্ঘ যাত্রায় জীবনের যে মাত্রা প্রকাশ হয় তা অবশ্যই অনন্য। পেরিয়ে যাওয়া অমলিন কর্তব্যের ভেদবিন্দু আমাকে আমার কাছে আবিষ্কার করে।
ভাবতে শেখার মর্যাদায় তোমাকে আমিও ভাবি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২১/০১/২০১৭ভালো লাগলো।
-
পরশ ১৯/০১/২০১৭শুভেচ্ছা রইল
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ১৮/০১/২০১৭ভালো লাগল। শুভেচ্ছা।