নিজস্ব ভালো থাকা
'কিছুটি ভালো লাগে না আর' বলেই রুরি ছুঁড়ে ফেলতে লাগল বইগুলো।পাশে রাখা ছিল কাঁচের গ্লাস। একটু আগে 'মা, জল দাও তো' বলে হুকুম করেছিল। বিনীতা জল দিয়ে গেছে। সেটাও পড়ে গেল। সারা মেঝে জলে জলময়। কাঁচের ভাঙা টুকরো।
আকাশ বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিনীতাও বেরিয়ে গেছে। সমস্ত খাবার রান্নাঘরে সাজান। এভাবে ছোট থেকে দেখে আসছে রুরি। বুঝে গেছে স্কুল না থাকলে একা বেড়ে খেতে হবে। আর একটু যখন ছোট ছিল তখন এই খাওয়ানো পরানো ভাত বেড়ে দেওয়ার লোক ছিল। এখন আর নাই।
রুরি নিজেই না বলেছে। নিজের মধ্যে বড় হওয়া জাগ্রত। একা থাকার এক প্রকার মজা লুটে নেওয়্র চেষ্টা করে। রুরির নিজের উপর ভরসায় বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে উঠছে। বিনীতা ও আকাশও সেই ভরসায় এগিয়ে চলেছে।
ফেলে দেওয়া লণ্ডভণ্ডের মধ্যে বইগুলো ভিজছে। তাও রুরি তুলছে না। ফোনের রিংটোন গায় কাঁটার মত ফুটছে। বড্ড টানছে। লুকিয়ে এগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু রুরি চায় না। কিন্তু কেউ কেন আটকাচ্ছে না। বকছে না। চেপে ধরছে না 'এই রুরি, কি করছিস? বাবা মা সম্মান সমাজ ভুলে গেলি?
'এরা আমাকে কি দিয়েছে? কিংবা যা দিয়েছে শুধু নিজের ভজন কীর্তন গাইতে। এই হও ওই হও এ করো না ও করো না এ হবে না ও হবে না। কেন বাপু? আমি একক জীবন সত্ত্বা। আমি আমার মত।'
এই আমার মত চলমানে কি বিপত্তি রুরি আস্তে আস্তে বুঝতে শিখছে। কেবল অন্ধকার আবছা টানছে। বন্ধু বান্ধব হারিয়ে যাওয়া মিলিয়ে নেওয়া দেখিয়ে দেওয়া যন্ত্র যন্ত্রানুপাত মিডিয়া সবই যে যার ধান্ধা সূচক।
তাই কিছুটি ভাল লাগে না। মনে হয় সংসার যা বলছে তাই শোনে। আবার মনে হয় কেন শুনব? আমি স্বাধীনচেতা। যে বুঝবে ভেবেছিল রুরি সেই বেথিয়াম কি চায় ক্রমশ প্রকাশ্য। পতন থেকে শুধু বার বার ছিটকে আসা।
রাতে বিনীতা ফিরে রুরিকে বুকে জড়িয়ে ধরে। আকাশ আরও হাসি মুখে রুরি মুখের হাসির জন্য তাকিয়ে থাকে। রুরি প্রশ্ন করে - আমাকে তোমরা একটুও বকছো না কেন?
'সারাদিন ধরে তুমি এই যে নিজেকে এত বকাঝকা করলে তার উপরে কি আর কিছু হয়? নিজের শান্তি তুমি নিজে খুঁজে নিয়েছো।'
আকাশ বলল - ভালো থেকো নিজস্বতায়।
আকাশ বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিনীতাও বেরিয়ে গেছে। সমস্ত খাবার রান্নাঘরে সাজান। এভাবে ছোট থেকে দেখে আসছে রুরি। বুঝে গেছে স্কুল না থাকলে একা বেড়ে খেতে হবে। আর একটু যখন ছোট ছিল তখন এই খাওয়ানো পরানো ভাত বেড়ে দেওয়ার লোক ছিল। এখন আর নাই।
রুরি নিজেই না বলেছে। নিজের মধ্যে বড় হওয়া জাগ্রত। একা থাকার এক প্রকার মজা লুটে নেওয়্র চেষ্টা করে। রুরির নিজের উপর ভরসায় বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে উঠছে। বিনীতা ও আকাশও সেই ভরসায় এগিয়ে চলেছে।
ফেলে দেওয়া লণ্ডভণ্ডের মধ্যে বইগুলো ভিজছে। তাও রুরি তুলছে না। ফোনের রিংটোন গায় কাঁটার মত ফুটছে। বড্ড টানছে। লুকিয়ে এগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু রুরি চায় না। কিন্তু কেউ কেন আটকাচ্ছে না। বকছে না। চেপে ধরছে না 'এই রুরি, কি করছিস? বাবা মা সম্মান সমাজ ভুলে গেলি?
'এরা আমাকে কি দিয়েছে? কিংবা যা দিয়েছে শুধু নিজের ভজন কীর্তন গাইতে। এই হও ওই হও এ করো না ও করো না এ হবে না ও হবে না। কেন বাপু? আমি একক জীবন সত্ত্বা। আমি আমার মত।'
এই আমার মত চলমানে কি বিপত্তি রুরি আস্তে আস্তে বুঝতে শিখছে। কেবল অন্ধকার আবছা টানছে। বন্ধু বান্ধব হারিয়ে যাওয়া মিলিয়ে নেওয়া দেখিয়ে দেওয়া যন্ত্র যন্ত্রানুপাত মিডিয়া সবই যে যার ধান্ধা সূচক।
তাই কিছুটি ভাল লাগে না। মনে হয় সংসার যা বলছে তাই শোনে। আবার মনে হয় কেন শুনব? আমি স্বাধীনচেতা। যে বুঝবে ভেবেছিল রুরি সেই বেথিয়াম কি চায় ক্রমশ প্রকাশ্য। পতন থেকে শুধু বার বার ছিটকে আসা।
রাতে বিনীতা ফিরে রুরিকে বুকে জড়িয়ে ধরে। আকাশ আরও হাসি মুখে রুরি মুখের হাসির জন্য তাকিয়ে থাকে। রুরি প্রশ্ন করে - আমাকে তোমরা একটুও বকছো না কেন?
'সারাদিন ধরে তুমি এই যে নিজেকে এত বকাঝকা করলে তার উপরে কি আর কিছু হয়? নিজের শান্তি তুমি নিজে খুঁজে নিয়েছো।'
আকাশ বলল - ভালো থেকো নিজস্বতায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোস্তাফিজার সুজন ২৮/১০/২০১৬বেশ ভালো
-
পরশ ১৯/১০/২০১৬সুন্দর
-
সুকান্ত ১৯/১০/২০১৬বেশ ভাল লাগলো।
-
ফয়জুল মহী ১৮/১০/২০১৬সুখ্যাতিপূর্ণ লেখনী
-
সোলাইমান ১৮/১০/২০১৬আমাদের আবেগের কারনে নিজেকে চিনতে ভূল করি।
-
শাহ আজিজ ১৭/১০/২০১৬এমন একটি বয়স যা ক্রমশ খারাপের দিকে ঠেলতে পারে এবং ভালোবাসায় সিক্ত হতেও পারে। সুবর্ণনা ।