গোপলার কথা - ২০
মুখের কথা
=====
বললাম, আর শুনেই চলে গেলে।
আরে ভাই, বলাটাই কি সব? এই বলার মাঝে না-বলাটুকুর কোন দাম নেই? কানে শুনছো ঠিকই। মানছি সেই শোনা তোমার কানকেও বিশ্বাস করাতে পারে নি। তবুও সেই বলার মধ্যে কত যে না-বলা আছে তুমি কি একবারও ভেবে দেখেছো?
তাই আরো কিছুটা সময় দাও। আরো কিছু অবস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যাও। আরো কিছু বিষয়কে বিষয়ী করে তোলো। আমি জানি, আমার মত তোমারও মন আছে। তাকে দুদণ্ড জিরিয়ে নিতে দাও। দেখবে আমার বলা ও না-বলাগুলো তোমার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
চলে যাওয়ার চেয়ে দুর্বলতা পৃথিবীতে আর কিছু নেই। অতি সহজ সরল এই না-বাচক পদক্ষেপ এই পৃথিবীর সেরা বুদ্ধিজীবী প্রাণী হিসেবে পরিচয় দিতে তোমাকে লজ্জাবোধ দেবে। তুমি তো মানুষ?
কানে শোনা কথাটুকুর ভরসায় কিংবা চোখে দেখা সাদা চোখের ভরসায় তুমি আরো অদেখা না-জানা অপারে পাড়ি দিলে? কথা সমুদ্রের দেখা না-দেখা নদীর একপার থেকে অন্যপারে ডিঙ্গি হয়ে যাতায়াত না করে সাঁতার না-জানা অবস্থানে ডুব দিয়ে তুমি আর কি পাবে? কি বলে যেতে পারবে? কতটুকুই বা বলা ও না-বলা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে?
নিজের লাভ ক্ষতি না হয় বাদই দিলাম, ভাবনাটুকুর অস্তিত্বের জন্য নিজের কাছে নূন্যতম কৈফিয়তের জায়গা কি থাকবে না? তা কি করে হয়? যে বলেছে তার অবস্থানে তোমার না-অবস্থান মিশে গিয়ে আরো কিছু অন্য অত্যাধুনিক সৃষ্টি কি করতে পারে না? তাহলে?
পৃথিবীতে কে আর কতটুকুই বলে? সবই তো না-বলা। সেই না-বলা গাছপালা পাহাড় নদী ফুল ফল আকাশ মাটি জল সবই তো ন-বলা। অথচ এরাই আমাদেরকে কত কি বলে। সে সব নিয়ে কবিরাও কত কি বলে যায়।
আর এদের সাথেই তো আমাদের পথচলা। পথ চলতে চলতে পাশে বসা। বসে কান পেতে কলতান শোনা। তারপর আবার পথ চলা। অবগাহন করা। লিপ্ত হওয়া। তৃপ্ত হওয়া। নিজের কাছে নিজেকে চেনা।
তাহলে এত তাড়া কেন? যে বলল আর শুনেই চলে যেতে হল। কি বলল? কেন বলল? এতবার কেন বলল? তার মধ্যে ন-বলা না শুনেই দৌড়ে পালিয়ে গেলে, একেবারে শেষ সীমানায়। জীবনের শেষ প্রান্তে। না ফেরা জলঙ্গীর ওপারে?
কিন্তু সত্যি কি শেষ? শেষের পরেও যে শুরু। আর পথ চলা। এই চলতে থাকা প্রাণ চিত্রে কোথাও পালিয়ে যাওয়া নেই। শুধু শোনার পরে কিংবা যে বলে তারও বলার পরে আরও অনেক না-বলা আছে, না শোনা আছে। সেই না-বলা না-বোঝা বুঝে নিতেই হয়। পরখ করে নিতে হয়। তবেই জীবন। তাই জীবন। জীবনের রঙ।
না-বলার সূত্র কিন্তু এত সহজ নয়। সেখানেই তোমার চরম পরীক্ষা। তুমি ভাই জীবনের পটভূমিকায় এখানে দাঁড়িয়ে। তার সঙ্গে হৃদয়ের লুকোচুরি জড়িয়ে। গভীরতা সেখানেই বার বার তোমাকে তুমি করে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। সেখানেই হাজারো না-বলা। সেখানে কোন ছক নেই, দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। কিছু নেই। শুধু জীবন আছে। নিজেকে বুঝে নেওয়ার অবকাশ আছে।
কিন্তু চলে যাওয়াতে কোন কিছু নেই। শুধু না আছে। না না আর না। এই না-য়ে কিছু নেই। শুধু না। আর তার জন্য তুমি কত কি না-বলা, না-শোনা না বুঝে না শুনে চলে গেলে।
=====
বললাম, আর শুনেই চলে গেলে।
আরে ভাই, বলাটাই কি সব? এই বলার মাঝে না-বলাটুকুর কোন দাম নেই? কানে শুনছো ঠিকই। মানছি সেই শোনা তোমার কানকেও বিশ্বাস করাতে পারে নি। তবুও সেই বলার মধ্যে কত যে না-বলা আছে তুমি কি একবারও ভেবে দেখেছো?
তাই আরো কিছুটা সময় দাও। আরো কিছু অবস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যাও। আরো কিছু বিষয়কে বিষয়ী করে তোলো। আমি জানি, আমার মত তোমারও মন আছে। তাকে দুদণ্ড জিরিয়ে নিতে দাও। দেখবে আমার বলা ও না-বলাগুলো তোমার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
চলে যাওয়ার চেয়ে দুর্বলতা পৃথিবীতে আর কিছু নেই। অতি সহজ সরল এই না-বাচক পদক্ষেপ এই পৃথিবীর সেরা বুদ্ধিজীবী প্রাণী হিসেবে পরিচয় দিতে তোমাকে লজ্জাবোধ দেবে। তুমি তো মানুষ?
কানে শোনা কথাটুকুর ভরসায় কিংবা চোখে দেখা সাদা চোখের ভরসায় তুমি আরো অদেখা না-জানা অপারে পাড়ি দিলে? কথা সমুদ্রের দেখা না-দেখা নদীর একপার থেকে অন্যপারে ডিঙ্গি হয়ে যাতায়াত না করে সাঁতার না-জানা অবস্থানে ডুব দিয়ে তুমি আর কি পাবে? কি বলে যেতে পারবে? কতটুকুই বা বলা ও না-বলা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে?
নিজের লাভ ক্ষতি না হয় বাদই দিলাম, ভাবনাটুকুর অস্তিত্বের জন্য নিজের কাছে নূন্যতম কৈফিয়তের জায়গা কি থাকবে না? তা কি করে হয়? যে বলেছে তার অবস্থানে তোমার না-অবস্থান মিশে গিয়ে আরো কিছু অন্য অত্যাধুনিক সৃষ্টি কি করতে পারে না? তাহলে?
পৃথিবীতে কে আর কতটুকুই বলে? সবই তো না-বলা। সেই না-বলা গাছপালা পাহাড় নদী ফুল ফল আকাশ মাটি জল সবই তো ন-বলা। অথচ এরাই আমাদেরকে কত কি বলে। সে সব নিয়ে কবিরাও কত কি বলে যায়।
আর এদের সাথেই তো আমাদের পথচলা। পথ চলতে চলতে পাশে বসা। বসে কান পেতে কলতান শোনা। তারপর আবার পথ চলা। অবগাহন করা। লিপ্ত হওয়া। তৃপ্ত হওয়া। নিজের কাছে নিজেকে চেনা।
তাহলে এত তাড়া কেন? যে বলল আর শুনেই চলে যেতে হল। কি বলল? কেন বলল? এতবার কেন বলল? তার মধ্যে ন-বলা না শুনেই দৌড়ে পালিয়ে গেলে, একেবারে শেষ সীমানায়। জীবনের শেষ প্রান্তে। না ফেরা জলঙ্গীর ওপারে?
কিন্তু সত্যি কি শেষ? শেষের পরেও যে শুরু। আর পথ চলা। এই চলতে থাকা প্রাণ চিত্রে কোথাও পালিয়ে যাওয়া নেই। শুধু শোনার পরে কিংবা যে বলে তারও বলার পরে আরও অনেক না-বলা আছে, না শোনা আছে। সেই না-বলা না-বোঝা বুঝে নিতেই হয়। পরখ করে নিতে হয়। তবেই জীবন। তাই জীবন। জীবনের রঙ।
না-বলার সূত্র কিন্তু এত সহজ নয়। সেখানেই তোমার চরম পরীক্ষা। তুমি ভাই জীবনের পটভূমিকায় এখানে দাঁড়িয়ে। তার সঙ্গে হৃদয়ের লুকোচুরি জড়িয়ে। গভীরতা সেখানেই বার বার তোমাকে তুমি করে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। সেখানেই হাজারো না-বলা। সেখানে কোন ছক নেই, দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। কিছু নেই। শুধু জীবন আছে। নিজেকে বুঝে নেওয়ার অবকাশ আছে।
কিন্তু চলে যাওয়াতে কোন কিছু নেই। শুধু না আছে। না না আর না। এই না-য়ে কিছু নেই। শুধু না। আর তার জন্য তুমি কত কি না-বলা, না-শোনা না বুঝে না শুনে চলে গেলে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সহিদুল হক ২২/১০/২০১৫সুন্দর উপস্থাপনা।
-
মৃণ্ময় আলম ২০/১০/২০১৫ভাল লেখেন,ভাল লিখেছেন দাদা
-
ইফতেখারুল বাঁধন ১০/১০/২০১৫ভীরতা সেখানেই বার বার তোমাকে তুমি করে
গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা । সেখানেই
হাজারো না-বলা । -
আহমাদ আবদুল কাইয়ুম ০৯/১০/২০১৫হুস
-
পরশ ০৭/১০/২০১৫অনেক ধন্যবাদ, ভালো লিখেছেন। চালিয়ে যান।
-
নির্ঝর ০৬/১০/২০১৫ধন্যবাদ
-
নির্ঝর ০৪/১০/২০১৫ভালো হয়েছে
-
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ারেশ (কাব্য) ২৭/০৯/২০১৫ভালো লাগল
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১২/০৯/২০১৫লেখকের অনেক কথা - জানা অজানা,
ভাল থেকো, পাশে আছি, যাছ্ছি বলে - ভাই চলে যেও না ।
খুব ভাল লেখা । ভাল থাকুন - শুভকামনা রইল । -
শান্ত ১১/০৯/২০১৫খুব ভাল বেরা ভাই
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ০৯/০৯/২০১৫বেশ লাগলো !! খুব ভালো। অনেক শুভেচ্ছা ।