গোপলার কথা - ১৭
এ পক্ষ ও পক্ষ বা নিরপেক্ষ
কি বলব আর দুঃখের কথা। যেটুকু যতটুকু বুঝি তাতে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ওই দেখো, দুপক্ষই দাঁড়িয়ে আছে। বলছে – আমি ঠিক, আমি ঠিক। তাহলে বিচার্য বিষয়, কে ঠিক?
তাও বিচার করার জন্য আবার কয়েক পক্ষ। তাদেরও আবার ভিন্ন ভিন্ন মত। কে ঠিক তাহলে? আরে বাবা, অত কথার কি আছে? যারা ক্ষমতায়, যে পক্ষের দল ভারি, সে-ই ঠিক।
আরে মশাই, সে তো আপনি বলছেন। অন্য পক্ষের কথা শুনুন। তারও কি যেন সব যুক্তি আছে? তাহলে ন্যায় অন্যায় বিচার বুদ্ধি জ্ঞান এ সবের কি হবে?
ও সব কবে আর ছিল? গ্যালিলিওর কথা না শোনা লোকের সংখ্যাই বেশি ছিল। তা বলে কি গ্যালিলিও মিথ্যে ছিল? তা তো নয়?
সে-ই আপনি কতটা পেছনে চলে গেলেন? আর নিজেকে সবজান্তা ভেবে বেশ আছেন। কিন্তু আপনাকেও তো কোন না কোন পক্ষে যেতেই হবে?
কি বললেন? নিরপেক্ষ?
আরে মশাই, নিরপেক্ষ একটা নিদান মাত্র। তাতে কারো কিছু এসে যায় না। যে ওই মাঝামাঝি থাকে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে দু পক্ষই টানতে থাকে। মাঝখানে থেকে আরো বেশি কৈফিয়ত।
তার চেয়ে বলতেই পারি আমি মানবতার পক্ষে।
বাহ ভালই বলেছেন। সে ধরুন অনেক যুগ আগে থেকে ক্ষমতার জন্য লড়াই হত। সেই লড়াইয়ে মানুষ মানুষকেই মারত। এখনও ক্ষমতার জন্য এক পক্ষ মারে আর এক পক্ষ মার খায়। আবার উল্টো আবার উল্টো হতেই থাকে। কে ঠিক, কে ভুল, কে বিচার করবে? সেই বিচারে কি প্রহসন হবে তারও আবার লম্বা ফিরিস্তি। একেবারে সাধারণ হয়ে কোথায় দাঁড়াবেন? ভাবতে ভাবতে সময় কাবার। দেখবেন আপনি আছেন কিংবা নেই হয়তো।
দুঃখ আপনার সঙ্গি এটা নিশ্চিত। এখানে কোন পক্ষ নেই। মানবতা কিছু কথা বলে যায় আর বলেই যায় কিন্তু কোন পক্ষেই দাঁড়ায় না।
কি বলব আর দুঃখের কথা। যেটুকু যতটুকু বুঝি তাতে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ওই দেখো, দুপক্ষই দাঁড়িয়ে আছে। বলছে – আমি ঠিক, আমি ঠিক। তাহলে বিচার্য বিষয়, কে ঠিক?
তাও বিচার করার জন্য আবার কয়েক পক্ষ। তাদেরও আবার ভিন্ন ভিন্ন মত। কে ঠিক তাহলে? আরে বাবা, অত কথার কি আছে? যারা ক্ষমতায়, যে পক্ষের দল ভারি, সে-ই ঠিক।
আরে মশাই, সে তো আপনি বলছেন। অন্য পক্ষের কথা শুনুন। তারও কি যেন সব যুক্তি আছে? তাহলে ন্যায় অন্যায় বিচার বুদ্ধি জ্ঞান এ সবের কি হবে?
ও সব কবে আর ছিল? গ্যালিলিওর কথা না শোনা লোকের সংখ্যাই বেশি ছিল। তা বলে কি গ্যালিলিও মিথ্যে ছিল? তা তো নয়?
সে-ই আপনি কতটা পেছনে চলে গেলেন? আর নিজেকে সবজান্তা ভেবে বেশ আছেন। কিন্তু আপনাকেও তো কোন না কোন পক্ষে যেতেই হবে?
কি বললেন? নিরপেক্ষ?
আরে মশাই, নিরপেক্ষ একটা নিদান মাত্র। তাতে কারো কিছু এসে যায় না। যে ওই মাঝামাঝি থাকে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে দু পক্ষই টানতে থাকে। মাঝখানে থেকে আরো বেশি কৈফিয়ত।
তার চেয়ে বলতেই পারি আমি মানবতার পক্ষে।
বাহ ভালই বলেছেন। সে ধরুন অনেক যুগ আগে থেকে ক্ষমতার জন্য লড়াই হত। সেই লড়াইয়ে মানুষ মানুষকেই মারত। এখনও ক্ষমতার জন্য এক পক্ষ মারে আর এক পক্ষ মার খায়। আবার উল্টো আবার উল্টো হতেই থাকে। কে ঠিক, কে ভুল, কে বিচার করবে? সেই বিচারে কি প্রহসন হবে তারও আবার লম্বা ফিরিস্তি। একেবারে সাধারণ হয়ে কোথায় দাঁড়াবেন? ভাবতে ভাবতে সময় কাবার। দেখবেন আপনি আছেন কিংবা নেই হয়তো।
দুঃখ আপনার সঙ্গি এটা নিশ্চিত। এখানে কোন পক্ষ নেই। মানবতা কিছু কথা বলে যায় আর বলেই যায় কিন্তু কোন পক্ষেই দাঁড়ায় না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৫/০৮/২০১৫বেশ নতুন স্বাদের ভাল কথা।
-
অ ২৯/০৭/২০১৫দারুন লিখেছেন ...............।
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ১২/০৭/২০১৫বিশ্লেসণ ধরমি হতে হবে
-
মোবারক হোসেন ০৬/০৭/২০১৫যত টুকু আঁচ করতে শিখেছি তাতে মনে হয়,আজকের
সমাজে জ্ঞান বুদ্ধি ভিবেক সব ছাগলের পেটে।সেই কথাটিই
গল্পে সুপষ্ট ।ধন্যবাদ লেখক বন্ধু। -
জহরলাল মজুমদার ০৫/০৭/২০১৫সুন্দর চলুক
-
কিশোর কারুণিক ০৫/০৭/২০১৫নিরপেক্ষ কথাটা আরো বেশি বিশ্লেষণ হওয় দরকার।