গোপলার কথা -১৬
লাইন
===
লাইনে দাঁড়াতে সবারই কষ্ট হয়। কখন আমার পালা আসবে? তাই ভাবতে ভাবতে আমারে পায়ের কষ্ট বাড়তেই থাকে। তাও কিছু করার থাকে না। দরকার যখন আমার তখন অপেক্ষা করতেই হবে। ওই তো সামনে কয়েকজন তার পরেই আমি এসে যাব।
তার মাঝে কিছুজন ফোঁস করে ওঠে – আর কতক্ষণ? আমাদের কি মানুষ মনে করেন না? এদের কাছে আমরা গরু ছাগলের মত। বেশ ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে ভালই আছে।
কেউ কেউ তো আরও একটু জোরে গলা চড়ায় – আর বলবেন না মশাই; দুর্নীতি, সব জায়গায় দুর্নীতি। খোঁজ নিন ভেতরে ভেতরে মামা কাকাদের নানাভাবে পাইয়ে দেওয়ার ভোজ চলছে।
– তাই তো, আমাদের দেশে এই মামা কাকারা এত বেড়ে গেছে যে কি বলব? এদের জ্বালায় সাধারণের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিছু করার নেই দাদা। গলা তুললেই আপনার বিপদ হবে সবচেয়ে বেশি।
তবুও কিছু করার নেই। এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছি যদি আমারটা এসে যায়। আমিও পৌঁছে যাব লাইনের একেবারে প্রথমে। মজার বিষয় হল যেই আমি সামনে এসে যাব অথবা আমার হয়ে যাবে আমি বিন্দাস চলে যাব। পেছনের কথা বিলকুল ভুলে যাব।
আর মনে রেখেও বা করব কি? লাইনে তো দাঁড়াতে হবেই। অনেকেই যদি একই প্রাপ্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তো লাইনে একে একে আসতেই হবে? প্রাপ্তি যোগ যে সীমিত। জনগণও সেভাবেই আসতে চায়।
কিন্তু এই লাইনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে লাইনের দিকে যারা মুখ করে আছে। সেই মুখের দিকে আপামর জনসাধারণ তাকিয়ে। সেখানের ঠিক অবস্থান, স্বচ্ছ ভাবনার দিশা যত দিন না হবে ততদিন লাইন বাড়তেই থাকবে। কষ্টও বাড়বে আরো।
লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করেও যদি দেখি না-লাইনের ফায়দায় কত কি ঘটে যাচ্ছে তাহলে সেই কষ্ট অসন্তোষের চেহারা নেবে। সারা রাত ধরে খোলা ছাদের নীচে আপ্রাণ অপেক্ষার লাইনে কাঁচকলা জুটলে দেশের মঙ্গল হবে কি? যে পাঁচজন পাবে তারা যদি ঠিক পায় বণ্টন ব্যবস্থার সঠিক নয়ম অনুযায়ী তাহলে আমার এতক্ষণ দাঁড়ানোতে কোন কষ্ট থাকবে না। আমি তো জানলাম যাদের পাওয়ার তারাই পেল। বাহ! তাহলে পরবর্তীতে আমাকে আরো কষ্ট করতে হবে।
কিন্তু তা হচ্ছেই না। লাইন বাড়ছে। প্রাপ্তি ঘটছে বহু বে-লাইনের। তাই লাইনের দিকেই তাকিয়ে লাইন নিয়ন্ত্রিত হোক। লাইনের দিকে মুখটা যেন লাইনকে চিনতে শেখে। আর তাকে সঠিক ভাবে লাইন দেখতে শেখার পরিস্থিতি যেন গড়ে ওঠে।
তাহলে জীবনে সবার লাইন আরো সহজ হবে।
এই লাইনের সীমারেখায় আমি দন্ডায়মান।
===
লাইনে দাঁড়াতে সবারই কষ্ট হয়। কখন আমার পালা আসবে? তাই ভাবতে ভাবতে আমারে পায়ের কষ্ট বাড়তেই থাকে। তাও কিছু করার থাকে না। দরকার যখন আমার তখন অপেক্ষা করতেই হবে। ওই তো সামনে কয়েকজন তার পরেই আমি এসে যাব।
তার মাঝে কিছুজন ফোঁস করে ওঠে – আর কতক্ষণ? আমাদের কি মানুষ মনে করেন না? এদের কাছে আমরা গরু ছাগলের মত। বেশ ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে ভালই আছে।
কেউ কেউ তো আরও একটু জোরে গলা চড়ায় – আর বলবেন না মশাই; দুর্নীতি, সব জায়গায় দুর্নীতি। খোঁজ নিন ভেতরে ভেতরে মামা কাকাদের নানাভাবে পাইয়ে দেওয়ার ভোজ চলছে।
– তাই তো, আমাদের দেশে এই মামা কাকারা এত বেড়ে গেছে যে কি বলব? এদের জ্বালায় সাধারণের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিছু করার নেই দাদা। গলা তুললেই আপনার বিপদ হবে সবচেয়ে বেশি।
তবুও কিছু করার নেই। এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছি যদি আমারটা এসে যায়। আমিও পৌঁছে যাব লাইনের একেবারে প্রথমে। মজার বিষয় হল যেই আমি সামনে এসে যাব অথবা আমার হয়ে যাবে আমি বিন্দাস চলে যাব। পেছনের কথা বিলকুল ভুলে যাব।
আর মনে রেখেও বা করব কি? লাইনে তো দাঁড়াতে হবেই। অনেকেই যদি একই প্রাপ্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তো লাইনে একে একে আসতেই হবে? প্রাপ্তি যোগ যে সীমিত। জনগণও সেভাবেই আসতে চায়।
কিন্তু এই লাইনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে লাইনের দিকে যারা মুখ করে আছে। সেই মুখের দিকে আপামর জনসাধারণ তাকিয়ে। সেখানের ঠিক অবস্থান, স্বচ্ছ ভাবনার দিশা যত দিন না হবে ততদিন লাইন বাড়তেই থাকবে। কষ্টও বাড়বে আরো।
লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করেও যদি দেখি না-লাইনের ফায়দায় কত কি ঘটে যাচ্ছে তাহলে সেই কষ্ট অসন্তোষের চেহারা নেবে। সারা রাত ধরে খোলা ছাদের নীচে আপ্রাণ অপেক্ষার লাইনে কাঁচকলা জুটলে দেশের মঙ্গল হবে কি? যে পাঁচজন পাবে তারা যদি ঠিক পায় বণ্টন ব্যবস্থার সঠিক নয়ম অনুযায়ী তাহলে আমার এতক্ষণ দাঁড়ানোতে কোন কষ্ট থাকবে না। আমি তো জানলাম যাদের পাওয়ার তারাই পেল। বাহ! তাহলে পরবর্তীতে আমাকে আরো কষ্ট করতে হবে।
কিন্তু তা হচ্ছেই না। লাইন বাড়ছে। প্রাপ্তি ঘটছে বহু বে-লাইনের। তাই লাইনের দিকেই তাকিয়ে লাইন নিয়ন্ত্রিত হোক। লাইনের দিকে মুখটা যেন লাইনকে চিনতে শেখে। আর তাকে সঠিক ভাবে লাইন দেখতে শেখার পরিস্থিতি যেন গড়ে ওঠে।
তাহলে জীবনে সবার লাইন আরো সহজ হবে।
এই লাইনের সীমারেখায় আমি দন্ডায়মান।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুজন ০১/০১/২০১৫খুব ভালো লিখেছেন চেতনা শক্তি বাড়িয়ে দিলেন ধন্যবাদ আপনাকে
-
অগ্নিপক্ষ ২৮/১২/২০১৪কিপ রাইটিং!
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৫/১২/২০১৪সারমর্ম বলেন....................
-
সায়েম খান ২৪/১২/২০১৪অসাধারণ!
-
অ ২২/১২/২০১৪ভালো লাগল ।