গোপলার কথা-১০
তখন আমার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা । নিজের স্কুল থেকে অনেকটাই দূরে সেন্টার পড়েছে । আমাদের সেখানের এক মেস ঠিক করে থাকতে হত পরীক্ষার কটা দিন ।
যে রুমে আমার সিট পড়েছে সেই রুমে বেশি একটা ভাল ছেলে ছিল না । ফলে ইনভিজিলেটরও তাই বুঝে নিয়ে টুকটাক বলে দিত । তাতে সারা ক্লাসে একটা গুঞ্জন হত । ফলে আমার মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটত । নিজে লিখতে চাই কিন্তু প্রায়ই খেই হারিয়ে ফেলি । খারাপ ছাত্র ও ভাল ছাত্রের এই সমস্যা । রানিং গার্ড এলে তিনি জানিয়ে দিতেন । সবাই চুপ হয়ে যেত । আবার যেই কে সেই ।
প্রথম দিন এভাবে চলার পর দু দিন অন্য স্যার এলেন । ফলে ফিস ফাস হচ্ছিল কিন্তু অসুবিধা হয় নি ।
ইংলিশ পরীক্ষার দিন আবার সেই স্যার । সবাইয়ের আনন্দ । বলল - স্যার একটু বলে দেবেন । স্যার হাসলেন । আর আমার আসুবিধা শুরু হল ।
পরীক্ষা চলা কালীন বুঝলাম তিনি ইংরেজীর স্যার নন । পাশে জেনে এসে বেশ টুক টুক করে বলছেন । আমার যে গুলো লেখা হয়ে গেছে সে গুলো শুনে আবার দেখতে সময় যাচ্ছে । নম্বর আমারও চাই । দেখি ভুলও বলছেন । আমি দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি । সময় চলে যাচ্ছে শেষ করব কি ভাবে ?
এর মাঝে দু ঘণ্টার সময় পাশে ঘরে কাকে যেন এক্সফেল করা হয়েছে তাই নিয়ে তাই নিয়ে আমাদের ও পাশের দু স্যার আমার প্রায় সামনেটাই কথা বলতেই আছেন ।
আমি কিছুতেই লিখতে পারছি না । কিছু সময় দেখার পর আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম । বললাম - স্যার এভাবে কথা বললে লিখব কিভাবে ? দয়া করে একটু চুপ করবেন ।
আমার কথা শুনেই পাশের ঘরের স্যার চলে গেলেন আর আমাদের স্যার চুপ করে ঠায় বসে পড়লেন ।
আমার না কিছু হয় সেই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা । ভাল লিখতে পারি নি । তাই একটু পরে বললাম - স্যার । সরি ।
তিনি উঠে আমার পাশে এসে মাথায় হাত দিলেন । বসালেন ।
আমার পরীক্ষা ভাল হয়েছিল ।
তবে সেই স্যারকে আর পাই নি ।
-০-০-০-
যে রুমে আমার সিট পড়েছে সেই রুমে বেশি একটা ভাল ছেলে ছিল না । ফলে ইনভিজিলেটরও তাই বুঝে নিয়ে টুকটাক বলে দিত । তাতে সারা ক্লাসে একটা গুঞ্জন হত । ফলে আমার মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটত । নিজে লিখতে চাই কিন্তু প্রায়ই খেই হারিয়ে ফেলি । খারাপ ছাত্র ও ভাল ছাত্রের এই সমস্যা । রানিং গার্ড এলে তিনি জানিয়ে দিতেন । সবাই চুপ হয়ে যেত । আবার যেই কে সেই ।
প্রথম দিন এভাবে চলার পর দু দিন অন্য স্যার এলেন । ফলে ফিস ফাস হচ্ছিল কিন্তু অসুবিধা হয় নি ।
ইংলিশ পরীক্ষার দিন আবার সেই স্যার । সবাইয়ের আনন্দ । বলল - স্যার একটু বলে দেবেন । স্যার হাসলেন । আর আমার আসুবিধা শুরু হল ।
পরীক্ষা চলা কালীন বুঝলাম তিনি ইংরেজীর স্যার নন । পাশে জেনে এসে বেশ টুক টুক করে বলছেন । আমার যে গুলো লেখা হয়ে গেছে সে গুলো শুনে আবার দেখতে সময় যাচ্ছে । নম্বর আমারও চাই । দেখি ভুলও বলছেন । আমি দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি । সময় চলে যাচ্ছে শেষ করব কি ভাবে ?
এর মাঝে দু ঘণ্টার সময় পাশে ঘরে কাকে যেন এক্সফেল করা হয়েছে তাই নিয়ে তাই নিয়ে আমাদের ও পাশের দু স্যার আমার প্রায় সামনেটাই কথা বলতেই আছেন ।
আমি কিছুতেই লিখতে পারছি না । কিছু সময় দেখার পর আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম । বললাম - স্যার এভাবে কথা বললে লিখব কিভাবে ? দয়া করে একটু চুপ করবেন ।
আমার কথা শুনেই পাশের ঘরের স্যার চলে গেলেন আর আমাদের স্যার চুপ করে ঠায় বসে পড়লেন ।
আমার না কিছু হয় সেই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা । ভাল লিখতে পারি নি । তাই একটু পরে বললাম - স্যার । সরি ।
তিনি উঠে আমার পাশে এসে মাথায় হাত দিলেন । বসালেন ।
আমার পরীক্ষা ভাল হয়েছিল ।
তবে সেই স্যারকে আর পাই নি ।
-০-০-০-
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৬/০৫/২০১৪ভালো ভালো।