গোপলার কথা - ৩
বুঝে নেওয়া
======
আমরা সাধারণ জীবনযাত্রায় বেশিরভাগ সময় কিছু জিজ্ঞেস করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি, কিছুতেই ঠিকঠাক শুনে সব কিছু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি না।
ফলে সেই ব্যাপারে ঠিকমত বুঝে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেক কিছুই অজানা অচেনা অদেখা থেকে যায়। যা আমাদের জেনে নিলে, চিনে নিলে বা দেখে নিলে আরো ভালভাবে সেই বিষয়ে ভাবতে ভাবাতে পারতাম। আবার না জানলে না চিনলে না দেখলেও দিব্যি চলে যায়।
কিন্তু আমরা ভাবি এই তো বেশ জানা হয়ে গেল। এই তো সবকিছু চিনলাম। এই তো বেশ স্পষ্ট দেখছি।
স্কুলের ছাত্ররা ক্লাসে কোন কিছু না বলে কেবল শুনেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু না বলে অনেক অনেক বেশি জানতে শেখে, চিনতে শেখে, দেখতে শেখে। আর শিক্ষক প্রায় সব কথা আরো বেশি করে বোঝাতে পারে। এরপর বুঝতে কোন অসুবিধা হলে সব কিছু শোনার পরে চলে মত বিনিময়। ডাউড ক্লিয়ারেন্স Doubt clearance.
ধরুন ব্যাংকে গেলেন গিয়ে আপনি জানতে চাইলেন টাকার সুদ কেমন ? তিনি হয়তো in details বলতে চাইলেন, কিন্তু আপনি যেহেতু লাখ খানিক টাকা বছর দুই রাখবেন ঠিক করেই এসেছেন, সেই ব্যাপারটা বলে বসলেন। ব্যাঙ্ক কর্মীকে details বলতে দিলেন না। ব্যাস ব্যাংক আর আপনাকে বেশি কিছু জানাল না। আপনার এই টাকা আরো কোন পদ্ধতিতে আপনাকে বেশি লাভবান করে দিত। তা আপনি পুরো বিষয়টি শুনে বুঝতে চাইলেন না। ব্যাঙ্ককর্মী টাকা পয়সার ব্যাপারে নিশ্চয় বেশি জানে।
দোকানে গিয়ে যা নেবেন তাও বলে না বোঝার চেয়ে শুনে বুঝে নিলে মনে হয় বেশি লাভমান হওয়া যায়। কেন না জিনিসপথ কেনাবেচা আপনার চেয়ে দোকানদার বেশি জানে। তার বলার পরে সব শুনে সিধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আপনার। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ চলে না।
আর কথাতেই তো আছে যে বেশি শোনে সে-ই বেশি বুঝতে শেখে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আমরা বেশির ভাগ সময় জিজ্ঞেস করে বোঝার চেষ্টা করি।
সবাই সবকিছু বোঝে না এটা যেমন ঠিক, তেমনি সবকিছু ঠিকঠাক শুনলে বুঝতে পারবে না এটা ঠিক না। এ তো আর কোন তত্ত্ব কথা নয়। আমি সাধারণ জীবনযাত্রার কথা বলছি। সেখানে শুনলেই অনেক কিছু শেখা যায়।
যেমন বর্তমানে বাসে ট্রেনে রাস্তায় প্লাটফর্মে এমনকি ঘরে ও ঘর থেকে বেরিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে চলছে এ যুগের অধিকারীগণ। কি শুনছে? গান আর গান। অনেকের সাফাই বাসে ট্রেনে রাস্তায় যা ক্যায়স ভাল লাগে না। তাই গান শুনি। আরে বাবা, বাসে ট্রেনে রাস্তায় যা সব কথা হয় সাধারণ জনসাধারণের তা না শুনলে জীবন চিনবে কি করে? এই কথাবার্তায় আছে জীবনের উপলব্ধি।
======
আমরা সাধারণ জীবনযাত্রায় বেশিরভাগ সময় কিছু জিজ্ঞেস করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি, কিছুতেই ঠিকঠাক শুনে সব কিছু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি না।
ফলে সেই ব্যাপারে ঠিকমত বুঝে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেক কিছুই অজানা অচেনা অদেখা থেকে যায়। যা আমাদের জেনে নিলে, চিনে নিলে বা দেখে নিলে আরো ভালভাবে সেই বিষয়ে ভাবতে ভাবাতে পারতাম। আবার না জানলে না চিনলে না দেখলেও দিব্যি চলে যায়।
কিন্তু আমরা ভাবি এই তো বেশ জানা হয়ে গেল। এই তো সবকিছু চিনলাম। এই তো বেশ স্পষ্ট দেখছি।
স্কুলের ছাত্ররা ক্লাসে কোন কিছু না বলে কেবল শুনেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু না বলে অনেক অনেক বেশি জানতে শেখে, চিনতে শেখে, দেখতে শেখে। আর শিক্ষক প্রায় সব কথা আরো বেশি করে বোঝাতে পারে। এরপর বুঝতে কোন অসুবিধা হলে সব কিছু শোনার পরে চলে মত বিনিময়। ডাউড ক্লিয়ারেন্স Doubt clearance.
ধরুন ব্যাংকে গেলেন গিয়ে আপনি জানতে চাইলেন টাকার সুদ কেমন ? তিনি হয়তো in details বলতে চাইলেন, কিন্তু আপনি যেহেতু লাখ খানিক টাকা বছর দুই রাখবেন ঠিক করেই এসেছেন, সেই ব্যাপারটা বলে বসলেন। ব্যাঙ্ক কর্মীকে details বলতে দিলেন না। ব্যাস ব্যাংক আর আপনাকে বেশি কিছু জানাল না। আপনার এই টাকা আরো কোন পদ্ধতিতে আপনাকে বেশি লাভবান করে দিত। তা আপনি পুরো বিষয়টি শুনে বুঝতে চাইলেন না। ব্যাঙ্ককর্মী টাকা পয়সার ব্যাপারে নিশ্চয় বেশি জানে।
দোকানে গিয়ে যা নেবেন তাও বলে না বোঝার চেয়ে শুনে বুঝে নিলে মনে হয় বেশি লাভমান হওয়া যায়। কেন না জিনিসপথ কেনাবেচা আপনার চেয়ে দোকানদার বেশি জানে। তার বলার পরে সব শুনে সিধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আপনার। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ চলে না।
আর কথাতেই তো আছে যে বেশি শোনে সে-ই বেশি বুঝতে শেখে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আমরা বেশির ভাগ সময় জিজ্ঞেস করে বোঝার চেষ্টা করি।
সবাই সবকিছু বোঝে না এটা যেমন ঠিক, তেমনি সবকিছু ঠিকঠাক শুনলে বুঝতে পারবে না এটা ঠিক না। এ তো আর কোন তত্ত্ব কথা নয়। আমি সাধারণ জীবনযাত্রার কথা বলছি। সেখানে শুনলেই অনেক কিছু শেখা যায়।
যেমন বর্তমানে বাসে ট্রেনে রাস্তায় প্লাটফর্মে এমনকি ঘরে ও ঘর থেকে বেরিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে চলছে এ যুগের অধিকারীগণ। কি শুনছে? গান আর গান। অনেকের সাফাই বাসে ট্রেনে রাস্তায় যা ক্যায়স ভাল লাগে না। তাই গান শুনি। আরে বাবা, বাসে ট্রেনে রাস্তায় যা সব কথা হয় সাধারণ জনসাধারণের তা না শুনলে জীবন চিনবে কি করে? এই কথাবার্তায় আছে জীবনের উপলব্ধি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১৫/১২/২০১৩খুব ভাল লাগল দাদা