আসক্তি
২০৫০ সাল !
দাদু তোমার এই খারাপ নেশাটা ছাড় এবার ।
বয়স তো কম হল না । তোমার এক পা কবরে ।
নাতির নিত্য দিনের ক্যাঁচক্যাঁচানি আমলে না নিয়ে ছোট একটা কাঁচের বোতল থেকে তরল কিছু একটা বাম তালুতে ঢালে আজিম সাহেব । এবার ডান হাতের তর্জনী দিয়ে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতায় তরল পদার্থের প্রলেপ দেয় ।
দুই তালুতে তরল নিয়ে তেল চকচকে টাক মাথা মন্থন করেন ।
আহ কি শান্তিরে, দাদু ভাই ।
শান্তির ঠেলায় গুনগুনিয়ে গান গেয়ে ওঠে আজিম ।
নাতিকে শুনিয়ে বলে---
এই জিনিস আর আগের মত নাই রে দাদুভাই ।
দিন যায় ভাল, আসে দিন খারাপ
তখন ছিল কোরোনা নামক এক মারাত্মক ভাইরাসের দিন ।
দুনিয়া জুড়ে মানুষের লাশ আর লাশ । হাত জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য তখন আমি একেবারে দুই তিন ডজন নিয়া আসতাম এই জিনিস ।
দেখতে সমুদ্রের পানির মত ঈষৎ নীল রংয়ের ছিল ।
হাভাতের মত চোখ করে--- গদগদে গলায় কথাগুলো বলে সে । যেন চোখের সামনে ভাসছে লোভনীয় কোন খাবার ।
আর এটা দেখ, যেন ঘোড়ার মুত ।
কথা বলতে বলতে ভাবনায় ২০২০-এ ভ্রমণ করে আজিম ।
সবখানে মৃত্যুর খবর । কি এক মহামারি দুর্দিন ।
নিউরনে জুড়ে তুমুল মৃত্যুভয় তার । কেমন যেন বিগড়ে যেতে থাকে তার মাথা । মৃত্যুভয়ে ঘুমাতে পারে না ।
একদিন হাত ঘষতে ঘষতে সে খানিকটা মাথার তালুতে ঢালল ।
মাথার চমড়া ভেদ করে সারা শরীরে যেন ঢেউ খেলে গেল তার । কি প্রশান্তিময় ঠাণ্ডা ।
আহ আরাম, যেন স্বর্গীয় কিছু ।
সেই থেকে শুরু এখন প্রতি সপ্তাহে তার দেড় দুই লিটার ।
নাহলে তার মাথা গরম হয়ে যায়, আবোল তাবোল কথা বলে ।
কি আজব কিসিমের আসক্তি আজিমের । প্রত্যেক নেশা বা আসক্তিরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে ।
তাই আজিমের ঘনকালো মাথা ভর্তি চুলের জায়গায় তেল চকচকে টাক ।
----------------
আসক্তি
হুসাইন দিলাওয়া
[email protected]
দাদু তোমার এই খারাপ নেশাটা ছাড় এবার ।
বয়স তো কম হল না । তোমার এক পা কবরে ।
নাতির নিত্য দিনের ক্যাঁচক্যাঁচানি আমলে না নিয়ে ছোট একটা কাঁচের বোতল থেকে তরল কিছু একটা বাম তালুতে ঢালে আজিম সাহেব । এবার ডান হাতের তর্জনী দিয়ে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতায় তরল পদার্থের প্রলেপ দেয় ।
দুই তালুতে তরল নিয়ে তেল চকচকে টাক মাথা মন্থন করেন ।
আহ কি শান্তিরে, দাদু ভাই ।
শান্তির ঠেলায় গুনগুনিয়ে গান গেয়ে ওঠে আজিম ।
নাতিকে শুনিয়ে বলে---
এই জিনিস আর আগের মত নাই রে দাদুভাই ।
দিন যায় ভাল, আসে দিন খারাপ
তখন ছিল কোরোনা নামক এক মারাত্মক ভাইরাসের দিন ।
দুনিয়া জুড়ে মানুষের লাশ আর লাশ । হাত জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য তখন আমি একেবারে দুই তিন ডজন নিয়া আসতাম এই জিনিস ।
দেখতে সমুদ্রের পানির মত ঈষৎ নীল রংয়ের ছিল ।
হাভাতের মত চোখ করে--- গদগদে গলায় কথাগুলো বলে সে । যেন চোখের সামনে ভাসছে লোভনীয় কোন খাবার ।
আর এটা দেখ, যেন ঘোড়ার মুত ।
কথা বলতে বলতে ভাবনায় ২০২০-এ ভ্রমণ করে আজিম ।
সবখানে মৃত্যুর খবর । কি এক মহামারি দুর্দিন ।
নিউরনে জুড়ে তুমুল মৃত্যুভয় তার । কেমন যেন বিগড়ে যেতে থাকে তার মাথা । মৃত্যুভয়ে ঘুমাতে পারে না ।
একদিন হাত ঘষতে ঘষতে সে খানিকটা মাথার তালুতে ঢালল ।
মাথার চমড়া ভেদ করে সারা শরীরে যেন ঢেউ খেলে গেল তার । কি প্রশান্তিময় ঠাণ্ডা ।
আহ আরাম, যেন স্বর্গীয় কিছু ।
সেই থেকে শুরু এখন প্রতি সপ্তাহে তার দেড় দুই লিটার ।
নাহলে তার মাথা গরম হয়ে যায়, আবোল তাবোল কথা বলে ।
কি আজব কিসিমের আসক্তি আজিমের । প্রত্যেক নেশা বা আসক্তিরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে ।
তাই আজিমের ঘনকালো মাথা ভর্তি চুলের জায়গায় তেল চকচকে টাক ।
----------------
আসক্তি
হুসাইন দিলাওয়া
[email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৭/০৪/২০২০দারুন লিখেছেন...
-
ইবনে মিজান ২৩/০৪/২০২০শুভকামনা
-
কুমারেশ সরদার ২০/০৪/২০২০সুন্দর কথামালা
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২০/০৪/২০২০Darun legeche...
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৯/০৪/২০২০আজ থেকে ৩০ বছর পরে।
-
মিলন সরকার রাকিব ১৯/০৪/২০২০সুন্দর প্রকাশ।
-
ফয়জুল মহী ১৫/০৪/২০২০Fantastic