দাঁড়কাক
কা কা কা....!
কাকের স্বর এত কর্কশ এত অন্তর্ভেদী হতে পারে ? জীবনে শোনা হয়নি ।
মাদকতা ছড়ানো দাঁড়কাকের ডাক শুনতে শুনতে জিজ্ঞাসু চোখ মেলে ইহকাল ত্যাগ করলেন ফিরোজ সাহেব ।
মৃত্যুর সর্বশেষ সর্বগ্রাসী দীর্ঘশ্বাসটি ছাড়ার আগে তিনি কয়েকটা মুহূর্ত পেয়েছিলেন চিন্তা করার ।
অন্তিম চিন্তা । চিন্তাগুলো ভাসা ভাসা । খানিকটা স্বপ্নের মত ।
কাঁচবন্দি আইসিইউ রুমে কাক কোথা থেকে এল? পয়লা এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল ।
অথচ তিনি আরো স্পষ্টতর শুনতে পাচ্ছেন কা কা কা...!
কাক ডাকলে নাকি কপালে মন্দ ঘটে । বিপদ আসে এমনকি মানুষ মারা যেতে পারে । ধুর এতো কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের প্রলাপ ।
তার বিজ্ঞান মনস্কতা তখনো টনটনে ।
হঠাৎ তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে লাগল । অক্সিজেনের নল তার নাকেমুখে লাগানো ।
স্মৃতির নিউরনে জুড় ঘূর্ণিঝড় । করোনা
ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আগে হন্তদন্ত হয়ে বাজার করা । আক্রান্ত রোগীদের জন্য সংগৃহীত ফান্ড থেকে বিরাট অঙ্ক সরিয়ে ফেলা । এক হাজার টাকার দশটা বান্ডিল কাপড়ের আলমারির নিচে রাখা । একথা কেউ জানেনা ! এই ঘোরলাগা অন্তিমশয্যায় তার ঐ টাকাগুলোর জন্য চিন্তা হতে লাগল ।
হঠাৎ একটা তরুণের মুখ তার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল ।
অপজিশান পার্টির এই ছেলেটাকে মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিয়েছিল সে । কাজটি হয়েছিল অত্যন্ত নিখুঁতভাবে । এখনো তার পরিবার জানেনা । সে যে মারা গেছে ।
তার আগেপরে অবশ্য বেশকটা খুন করতে হয়েছে তাকে ।
সবি তো পার্টির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে !
আদাবরের ম্যাসআথেকে পুলিশের সহায়তায় যেদিন ছেলেটাকে ধরে নিয়ে আসা হয় সেদিন ছিল বেশ রাত ।
পৌষের রাত । প্রায় জনমানবহীন রাজপথ ।
গুলিটা অবশ্য ইনস্পেকটর সাহেবই করতে চেয়েছিল কিন্তু শেষতক ফিরোজই করল ।
কিন্তু ও তো বেঁচে নেই । নচ্ছার ছেলেটা এখানে এলো কি করে ?
দেখ বাবা আমি তোমাকে মারতে চায়নি । ওপর থেকে নির্দেশ ছিল । তোকে না খুন করলে আমার পদ-পদবী হাত ছাড়া হয়ে যেত ।
তুমি এখানে এলে কি করে ?
এই করিম, করিম । কই তুই শুয়োরের বাচ্চা !
এই ছেলেটাকে বের করে দে ।
স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পিএসকে ডাকে ।
গলার স্বরে ক্ষমতার দম্ভ আন্দাজ করা যায় ।
কিন্তু হায় অনেক চেষ্টা করেও সে নিশ্বাস নিতে পারল না ।
চোখ বড়বড় করে তাকি দেখে অক্সিজেনের মাস্কটা খুলে ফেলেছে ঐ ছেলেটা ।
মৃত্যুর পর তার চোখদুটোতে ছিল নিদারুণ বিস্ময় । যেন কোটর থেকে বের হয়ে যাবে....।
কাকের স্বর এত কর্কশ এত অন্তর্ভেদী হতে পারে ? জীবনে শোনা হয়নি ।
মাদকতা ছড়ানো দাঁড়কাকের ডাক শুনতে শুনতে জিজ্ঞাসু চোখ মেলে ইহকাল ত্যাগ করলেন ফিরোজ সাহেব ।
মৃত্যুর সর্বশেষ সর্বগ্রাসী দীর্ঘশ্বাসটি ছাড়ার আগে তিনি কয়েকটা মুহূর্ত পেয়েছিলেন চিন্তা করার ।
অন্তিম চিন্তা । চিন্তাগুলো ভাসা ভাসা । খানিকটা স্বপ্নের মত ।
কাঁচবন্দি আইসিইউ রুমে কাক কোথা থেকে এল? পয়লা এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল ।
অথচ তিনি আরো স্পষ্টতর শুনতে পাচ্ছেন কা কা কা...!
কাক ডাকলে নাকি কপালে মন্দ ঘটে । বিপদ আসে এমনকি মানুষ মারা যেতে পারে । ধুর এতো কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের প্রলাপ ।
তার বিজ্ঞান মনস্কতা তখনো টনটনে ।
হঠাৎ তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে লাগল । অক্সিজেনের নল তার নাকেমুখে লাগানো ।
স্মৃতির নিউরনে জুড় ঘূর্ণিঝড় । করোনা
ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আগে হন্তদন্ত হয়ে বাজার করা । আক্রান্ত রোগীদের জন্য সংগৃহীত ফান্ড থেকে বিরাট অঙ্ক সরিয়ে ফেলা । এক হাজার টাকার দশটা বান্ডিল কাপড়ের আলমারির নিচে রাখা । একথা কেউ জানেনা ! এই ঘোরলাগা অন্তিমশয্যায় তার ঐ টাকাগুলোর জন্য চিন্তা হতে লাগল ।
হঠাৎ একটা তরুণের মুখ তার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল ।
অপজিশান পার্টির এই ছেলেটাকে মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিয়েছিল সে । কাজটি হয়েছিল অত্যন্ত নিখুঁতভাবে । এখনো তার পরিবার জানেনা । সে যে মারা গেছে ।
তার আগেপরে অবশ্য বেশকটা খুন করতে হয়েছে তাকে ।
সবি তো পার্টির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে !
আদাবরের ম্যাসআথেকে পুলিশের সহায়তায় যেদিন ছেলেটাকে ধরে নিয়ে আসা হয় সেদিন ছিল বেশ রাত ।
পৌষের রাত । প্রায় জনমানবহীন রাজপথ ।
গুলিটা অবশ্য ইনস্পেকটর সাহেবই করতে চেয়েছিল কিন্তু শেষতক ফিরোজই করল ।
কিন্তু ও তো বেঁচে নেই । নচ্ছার ছেলেটা এখানে এলো কি করে ?
দেখ বাবা আমি তোমাকে মারতে চায়নি । ওপর থেকে নির্দেশ ছিল । তোকে না খুন করলে আমার পদ-পদবী হাত ছাড়া হয়ে যেত ।
তুমি এখানে এলে কি করে ?
এই করিম, করিম । কই তুই শুয়োরের বাচ্চা !
এই ছেলেটাকে বের করে দে ।
স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পিএসকে ডাকে ।
গলার স্বরে ক্ষমতার দম্ভ আন্দাজ করা যায় ।
কিন্তু হায় অনেক চেষ্টা করেও সে নিশ্বাস নিতে পারল না ।
চোখ বড়বড় করে তাকি দেখে অক্সিজেনের মাস্কটা খুলে ফেলেছে ঐ ছেলেটা ।
মৃত্যুর পর তার চোখদুটোতে ছিল নিদারুণ বিস্ময় । যেন কোটর থেকে বের হয়ে যাবে....।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৮/০৪/২০২০চমৎকার।
-
শরিফুল ইসলাম (1990) ৩০/০৩/২০২০সুন্দর লিখেছেন
-
অধীতি ২৯/০৩/২০২০ভাল লিখেছেন।
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২৪/০৩/২০২০নিজ নিজ কর্মের ফল প্রত্যেককেই ভোগ করতে হবে।
-
পি পি আলী আকবর ২৪/০৩/২০২০বেশ
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৩/২০২০সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৩/০৩/২০২০বেশ।