শৈশব স্মৃতি -১
শৈশব স্মৃতি -১
শৈশবে সব কিছুই যেন অন্য রকম লাগত ৷ যেন রূপকথার পরাবাস্তব এক একটা মুহুর্ত !
নেকমরদ বড় মসজিদের টয়লেট ঘেঁষেই ইয়া বড় বড় দুইটা জাম গাছ ছিল। জামগুলো বেশ মিষ্টি ।
জাম কাছগুলো কাটারও বেশিদিন হয়নি । মাদরাসার দোতলা ভবনের ছাদে ওঠে অনায়াসে জামের নাগাল পাওয়া যেত ।
আমি খুব কম দিনেই গাছে ওঠতাম । বেশির ভাগ সময়ে সোহাগ কিংবা মাদরাসা বোর্ডিংয়ের কোন বন্ধু গোছের কেউ গাছে ওঠত । আমি শুধু কুড়াতাম । তাছাড়া ঐ গাছগুলোতে নাকি জিন আছে ! তখন জিনেদের আমি খুব ডরাইতাম ।
যখন জাম খেতে ইচ্ছে করত তখন গাছে ওঠার ঝক্কি না নিয়ে ইটের টুকরো দিয়ে আন্দাজে ঢিল ছুড়তাম ৷ অমনি টুপটাপ করে কাঁচা-পাকা জাম ঝরে পড়ত ।
এভাবেই যখন জাম খাওয়া যায়, তখন কেন পায়ে পরে জিনের বাড়িতে হানা দেয়া?
জাম গাছ ছাড়াও মাদরাসা মাঠের চারপাশ জুড়ে আছে বেশ কয়েকটা আম গাছ ।
একই কায়দায় আমও খেয়েছি অনেক ।
একদিন এমনি এক গ্রীষ্মের বিকেল ।
মাঠে ক্রিকেট খেলছি । সোর্ট পিচ । আমি ফিল্ডিং করছিলাম । আমার পাশেই দেখি একটা ইটের টুকরো । টুকরোটা বেশ বড়ই । হাতে নিয়ে ঝাঁ করে আম গাছ লক্ষ করে ছুড়েছি ইটের টুকরাটা । কিছুক্ষণ পর ইটের টুকরোটা পড়ল, কিন্তু আম পড়ল না । আমি আবার ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ দেই ।
কয়েক মুহূর্ত পর দেখি একটা ছেলে গাছ থেকে নেমে হাউ মাউ করে কাঁদছ । মাথায় মুখে রক্ত ! ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে দূর্বোধ্য ভাষায় কি যেন বলছে ৷ বুকটা ভয়ে ধুকপুক করতে আরম্ভ করল । ঘটনা বুঝে উঠতেই দিলাম ভোঁ দৌড় ! এক দৌড়ে বাসায় ৷ বাসা বাড়িতে তখন শুধু আমি একাই । আব্বু আম্মু ত গ্রামে । আপু আর ভাইয়া গেছে কোচিংয়ে । বাসায় এসেই মেইন গেট বন্ধ করে দিলাম । ঘরের দোর ভিজিয়ে খাটের তলায়! না জানি আজ কপালে কি আছে ? ভয়ে বুকটা দুরুদুরু করছে ৷ হঠাৎ দেখি মেইন গেটে কারা যেন ডাকাডাকি করছে ! যে ছেলেটার মাথা ফাটিয়েছি তার পরিবারের লোকজন এসে তর্জন গর্জন করছে ৷ এবার আমি ভয়ে আরো অস্থির হয়ে পড়ি ৷ কি করা যায়, কি করা যায় । কি মনে করে বাসার পিছন দিকের বেড়া ডিঙিয়ে রাতুলদের দিঘি পার হয়ে দিলাম দৌড় । দৌড় দৌড় দৌড়! অনেকটা পথ দৌড়েছি । পেট ব্যথা করছে ৷ দেখি কয়েকজন ছেলে ডাংগুলি খেলছে ৷ অনেকেই আমার পরিচিত । এদের মধ্যে আমার সহপাঠী আইজুলও আছে । কাছেই তার নানা বাড়ি (তৈয়েব চাচার বাড়ি)। আইজুলের নানার সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয় ছিল, সবাই আমাকে চিনত । আইজুলের সাথে ডাংগুলি খেলতে খেলতে রাত হয়ে এল,,,(অসমাপ্ত)
শৈশবে সব কিছুই যেন অন্য রকম লাগত ৷ যেন রূপকথার পরাবাস্তব এক একটা মুহুর্ত !
নেকমরদ বড় মসজিদের টয়লেট ঘেঁষেই ইয়া বড় বড় দুইটা জাম গাছ ছিল। জামগুলো বেশ মিষ্টি ।
জাম কাছগুলো কাটারও বেশিদিন হয়নি । মাদরাসার দোতলা ভবনের ছাদে ওঠে অনায়াসে জামের নাগাল পাওয়া যেত ।
আমি খুব কম দিনেই গাছে ওঠতাম । বেশির ভাগ সময়ে সোহাগ কিংবা মাদরাসা বোর্ডিংয়ের কোন বন্ধু গোছের কেউ গাছে ওঠত । আমি শুধু কুড়াতাম । তাছাড়া ঐ গাছগুলোতে নাকি জিন আছে ! তখন জিনেদের আমি খুব ডরাইতাম ।
যখন জাম খেতে ইচ্ছে করত তখন গাছে ওঠার ঝক্কি না নিয়ে ইটের টুকরো দিয়ে আন্দাজে ঢিল ছুড়তাম ৷ অমনি টুপটাপ করে কাঁচা-পাকা জাম ঝরে পড়ত ।
এভাবেই যখন জাম খাওয়া যায়, তখন কেন পায়ে পরে জিনের বাড়িতে হানা দেয়া?
জাম গাছ ছাড়াও মাদরাসা মাঠের চারপাশ জুড়ে আছে বেশ কয়েকটা আম গাছ ।
একই কায়দায় আমও খেয়েছি অনেক ।
একদিন এমনি এক গ্রীষ্মের বিকেল ।
মাঠে ক্রিকেট খেলছি । সোর্ট পিচ । আমি ফিল্ডিং করছিলাম । আমার পাশেই দেখি একটা ইটের টুকরো । টুকরোটা বেশ বড়ই । হাতে নিয়ে ঝাঁ করে আম গাছ লক্ষ করে ছুড়েছি ইটের টুকরাটা । কিছুক্ষণ পর ইটের টুকরোটা পড়ল, কিন্তু আম পড়ল না । আমি আবার ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ দেই ।
কয়েক মুহূর্ত পর দেখি একটা ছেলে গাছ থেকে নেমে হাউ মাউ করে কাঁদছ । মাথায় মুখে রক্ত ! ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে দূর্বোধ্য ভাষায় কি যেন বলছে ৷ বুকটা ভয়ে ধুকপুক করতে আরম্ভ করল । ঘটনা বুঝে উঠতেই দিলাম ভোঁ দৌড় ! এক দৌড়ে বাসায় ৷ বাসা বাড়িতে তখন শুধু আমি একাই । আব্বু আম্মু ত গ্রামে । আপু আর ভাইয়া গেছে কোচিংয়ে । বাসায় এসেই মেইন গেট বন্ধ করে দিলাম । ঘরের দোর ভিজিয়ে খাটের তলায়! না জানি আজ কপালে কি আছে ? ভয়ে বুকটা দুরুদুরু করছে ৷ হঠাৎ দেখি মেইন গেটে কারা যেন ডাকাডাকি করছে ! যে ছেলেটার মাথা ফাটিয়েছি তার পরিবারের লোকজন এসে তর্জন গর্জন করছে ৷ এবার আমি ভয়ে আরো অস্থির হয়ে পড়ি ৷ কি করা যায়, কি করা যায় । কি মনে করে বাসার পিছন দিকের বেড়া ডিঙিয়ে রাতুলদের দিঘি পার হয়ে দিলাম দৌড় । দৌড় দৌড় দৌড়! অনেকটা পথ দৌড়েছি । পেট ব্যথা করছে ৷ দেখি কয়েকজন ছেলে ডাংগুলি খেলছে ৷ অনেকেই আমার পরিচিত । এদের মধ্যে আমার সহপাঠী আইজুলও আছে । কাছেই তার নানা বাড়ি (তৈয়েব চাচার বাড়ি)। আইজুলের নানার সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয় ছিল, সবাই আমাকে চিনত । আইজুলের সাথে ডাংগুলি খেলতে খেলতে রাত হয়ে এল,,,(অসমাপ্ত)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১১/০৯/২০১৯সুন্দর শব্দে স্মৃতিচারণ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৬/২০১৯শৈশবস্মৃতি।