সাইবার কার্লপিট মোমো ও কিছুকথা
কারো সাথে রাগ বা অভিমান অথবা তীব্র অবসাদে টুইটার বা ফেইসবুকে পোস্ট করলেন--
''মরে যাব, বা বাঁচতে ইচ্ছা করেনা অথবা ভাল লাগেনা।,,
কয়েক মিনিট পর অচেনা নাম্বার থেকে বিভৎস ছবি লাগানো জিপিই থেকে যদি বলা হয় --
" হাই দিস ইজ মোমো ।"
" লেটস প্লে অ্যা গেমস উইথ ইউ ।"
তবে বুঝবেন আপনি প্রাণঘাতী গেম 'মোমো'র ফাঁদে পড়েছেন । শুধু-যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপরোক্ত পোস্ট দিলেই মোমোর প্রস্তাব পাবেন তা কিন্তু নয় । বরং সাইবার ক্রাইমের সমীক্ষা অনুযায়ী, যে সব মোবাইল নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেই নম্বরগুলিতেই বেশি হোয়াটসঅ্যাপে মোমোর ম্যাসেজ আসছে ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার জগতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই সুইসাইডাল গেম ।
সাইবার দুনিয়ার মৃত্যু ফাঁদখ্যাত 'ব্লু হোয়েল' আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই নেট দুনিয়াতে হাজির নতুন সুইসাইডাল গেম 'মোমো চ্যালেঞ্জে'।
বুয়েন্স আয়ার্স টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, আর্জেন্টিনায় এক কিশোরীর আত্মহত্যার পর সামনে এসেছে মোমো গেমসের বিষয়টি । কিশোরীটি মারা যাওয়ার আগে একটি ভিডিও ক্লিপে মা-বাবাকে মোমো থেকে সাবধানে থাকতে বলে গেছে । ১৮ বছরের একটি ছেলের সঙ্গে ওই কিশোরী হোয়াটসঅ্যাপে লিংক দেওয়া-নেওয়া করেছিল বলে পুলিশ জেনেছে ।
ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটা দেশে মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে । যদিও বাংলাদেশে এই গেমের প্রকোপ নিয়ে এ পর্যন্ত কোন খবর নেই । তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রীতিমত ভয় ছড়াচ্ছে মোমো ।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে । কার্শিয়ঙে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে ভারতে ।
পুলিস ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জি-নিউজ জানায়-- মণীশ সারকি নামে ওই কিশোর কার্শিয়ারের একটি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। গত ২০ অগাস্ট আত্মহত্যা করে ১৮ বছরের ওই কিশোর । মনে করা হচ্ছিল মারণ গেম মোমো খেলছিল ওই কিশোর । সেই গেমের শেষ ধাপে পৌঁছে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের ।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কবিতা রায়ের ফোনে একটি মেসেজ আসে । জানা যায়, সোমবার রাতে তার বোনের ঝগড়া হয় তার । বোনের সাথে কেন ঝগড়া করছে, সে জন্য মায়ের কাছে বকা খায় কবিতা । মা তাকে চড়ও মারে। এরপরই কবিতা নিজের ঘরে চলে যায়। মায়ের ওপর অভিমান করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দেয় ‘আমি মরে যাবো ।’
হোয়াটসঅ্যাপে এই স্টেটাস দেওয়ার ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই তার কাছে অদ্ভূত একটি নম্বর থেকে মেসেজ আসে । +1(251)999-5451 এই নং থেকে মেসেজ আসে । লেখা হয় ‘হাই আই অ্যাম মোমো ।’ছাত্রীটি তখন উত্তর দেয়, ‘হু’, এরপরই ওই নম্বর থেকে উত্তর আসে, ‘ইটস মাই নেম, স্যাল উই প্লে আ গেম ?’
আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও মোমো ফোবিয়া ছড়িয়েছে । তাই এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে ।
'মোমো' মূলত একটি মেয়ের ছবি ।
বড়বড় চোখ, ক্রঢ় দৃষ্টি । চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসছে । পা দু'টি পাখির মত নোখড় বিশিষ্ট । মাথা লম্বা । দেখতে কিম্ভূতকিমাকার ।
তবে মোমোর এই ছবিটির আঁকিয়ে একজন জাপানি শিল্পী । মিদোরি হায়াশি নাম্নী ঐ শিল্পী ২০১৬ সালের একটি এক্সিবিশনের জন্য ছবিটি এঁকেছিলেন ।
গেমস কর্তৃপক্ষের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই ।
এই গেম মূলত অবসাদগ্রস্থ কম বয়সীদের টার্গেট করে তাদের গেমটি খেলার আবেদন করে । ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে "যারা মরে যাব, বাঁচতে চাই না,, এ জাতীয় পোস্ট করে তাদেরকে হোয়াইট অ্যাপে গেম খেলার প্রস্তাব দিয়ে লিংক বা ফাইল পাঠায় ।
লিংকে ক্লিক বা ওপেন করলেই স্পাইওভার ডাউনলোড হয়ে যায় । ফলে যে ব্যাক্তি গেমটি খেলছে তার মোবাইলটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গেম কর্তৃপক্ষের কাছে ।
পরে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করতে থাকে তারা । প্রথমে হরর মুভি দেখতে হবে, হাত কেটে রক্ত দিয়ে মোমো লিখে পাঠাতে হবে ও সবশেষে আত্মহত্যা করতে হবে ।
মেক্সিকোর একটি পুলিশ ইউনিট যারা অনলাইন অপরাধ নিয়ে কাজ করে; তারা বলছে, এটা শুরু হয় ফেসবুকে । কেউ কেউ একে অন্যকে প্রলুব্ধ করে একটি অপরিচিত ফোন নম্বরে ‘কল’ করার জন্য। তবে সেখানে একটি সতর্ক বার্তা জুড়ে দেয়া ছিল।
কেন এই ‘গেম’ অত্যন্ত বিপজ্জনক? মেক্সিকোর পুলিশ বলছে ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি, হিংসা, এমনকি আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করে মোমো গেমস । তাছাড়া এর দ্বারা ব্যবহারকারী নানা রকমের হয়রানির শিকার হতে পারেন । হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যেতে পারে ।
ব্যবহারকারী মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তিনি উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও অনিদ্রাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ।
মোমো গেমের ফাঁদ থেকে বেঁচে থাকতে আমদের সতর্ক থাকা দরকার ।
সন্দেহজনক কিছু বুঝলেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও পোস্ট বুঝে করুন, আপনার ফোনে আসা যে কোনও অপরিচিত লিংক এড়িয়ে চলুন, মেল আইডি বা যে কোনও নিজের সোশ্যাল আইডি-র পাসওয়ার্ড বদলাতে থাকুন , অপরিচিত লিংক বা সন্দেহজনক লিংক দেখা মাত্রই সেটি কে ব্লক করুন, সময় নষ্ট না করে পুলিশের দ্বারস্থ হন , এরপর সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এই সতর্ক বার্তা ছড়িয়ে দিন ।
''মরে যাব, বা বাঁচতে ইচ্ছা করেনা অথবা ভাল লাগেনা।,,
কয়েক মিনিট পর অচেনা নাম্বার থেকে বিভৎস ছবি লাগানো জিপিই থেকে যদি বলা হয় --
" হাই দিস ইজ মোমো ।"
" লেটস প্লে অ্যা গেমস উইথ ইউ ।"
তবে বুঝবেন আপনি প্রাণঘাতী গেম 'মোমো'র ফাঁদে পড়েছেন । শুধু-যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপরোক্ত পোস্ট দিলেই মোমোর প্রস্তাব পাবেন তা কিন্তু নয় । বরং সাইবার ক্রাইমের সমীক্ষা অনুযায়ী, যে সব মোবাইল নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেই নম্বরগুলিতেই বেশি হোয়াটসঅ্যাপে মোমোর ম্যাসেজ আসছে ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার জগতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই সুইসাইডাল গেম ।
সাইবার দুনিয়ার মৃত্যু ফাঁদখ্যাত 'ব্লু হোয়েল' আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই নেট দুনিয়াতে হাজির নতুন সুইসাইডাল গেম 'মোমো চ্যালেঞ্জে'।
বুয়েন্স আয়ার্স টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, আর্জেন্টিনায় এক কিশোরীর আত্মহত্যার পর সামনে এসেছে মোমো গেমসের বিষয়টি । কিশোরীটি মারা যাওয়ার আগে একটি ভিডিও ক্লিপে মা-বাবাকে মোমো থেকে সাবধানে থাকতে বলে গেছে । ১৮ বছরের একটি ছেলের সঙ্গে ওই কিশোরী হোয়াটসঅ্যাপে লিংক দেওয়া-নেওয়া করেছিল বলে পুলিশ জেনেছে ।
ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটা দেশে মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে । যদিও বাংলাদেশে এই গেমের প্রকোপ নিয়ে এ পর্যন্ত কোন খবর নেই । তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রীতিমত ভয় ছড়াচ্ছে মোমো ।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে । কার্শিয়ঙে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে ভারতে ।
পুলিস ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জি-নিউজ জানায়-- মণীশ সারকি নামে ওই কিশোর কার্শিয়ারের একটি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। গত ২০ অগাস্ট আত্মহত্যা করে ১৮ বছরের ওই কিশোর । মনে করা হচ্ছিল মারণ গেম মোমো খেলছিল ওই কিশোর । সেই গেমের শেষ ধাপে পৌঁছে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের ।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কবিতা রায়ের ফোনে একটি মেসেজ আসে । জানা যায়, সোমবার রাতে তার বোনের ঝগড়া হয় তার । বোনের সাথে কেন ঝগড়া করছে, সে জন্য মায়ের কাছে বকা খায় কবিতা । মা তাকে চড়ও মারে। এরপরই কবিতা নিজের ঘরে চলে যায়। মায়ের ওপর অভিমান করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দেয় ‘আমি মরে যাবো ।’
হোয়াটসঅ্যাপে এই স্টেটাস দেওয়ার ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই তার কাছে অদ্ভূত একটি নম্বর থেকে মেসেজ আসে । +1(251)999-5451 এই নং থেকে মেসেজ আসে । লেখা হয় ‘হাই আই অ্যাম মোমো ।’ছাত্রীটি তখন উত্তর দেয়, ‘হু’, এরপরই ওই নম্বর থেকে উত্তর আসে, ‘ইটস মাই নেম, স্যাল উই প্লে আ গেম ?’
আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও মোমো ফোবিয়া ছড়িয়েছে । তাই এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে ।
'মোমো' মূলত একটি মেয়ের ছবি ।
বড়বড় চোখ, ক্রঢ় দৃষ্টি । চোখ যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসছে । পা দু'টি পাখির মত নোখড় বিশিষ্ট । মাথা লম্বা । দেখতে কিম্ভূতকিমাকার ।
তবে মোমোর এই ছবিটির আঁকিয়ে একজন জাপানি শিল্পী । মিদোরি হায়াশি নাম্নী ঐ শিল্পী ২০১৬ সালের একটি এক্সিবিশনের জন্য ছবিটি এঁকেছিলেন ।
গেমস কর্তৃপক্ষের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই ।
এই গেম মূলত অবসাদগ্রস্থ কম বয়সীদের টার্গেট করে তাদের গেমটি খেলার আবেদন করে । ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে "যারা মরে যাব, বাঁচতে চাই না,, এ জাতীয় পোস্ট করে তাদেরকে হোয়াইট অ্যাপে গেম খেলার প্রস্তাব দিয়ে লিংক বা ফাইল পাঠায় ।
লিংকে ক্লিক বা ওপেন করলেই স্পাইওভার ডাউনলোড হয়ে যায় । ফলে যে ব্যাক্তি গেমটি খেলছে তার মোবাইলটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গেম কর্তৃপক্ষের কাছে ।
পরে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করতে থাকে তারা । প্রথমে হরর মুভি দেখতে হবে, হাত কেটে রক্ত দিয়ে মোমো লিখে পাঠাতে হবে ও সবশেষে আত্মহত্যা করতে হবে ।
মেক্সিকোর একটি পুলিশ ইউনিট যারা অনলাইন অপরাধ নিয়ে কাজ করে; তারা বলছে, এটা শুরু হয় ফেসবুকে । কেউ কেউ একে অন্যকে প্রলুব্ধ করে একটি অপরিচিত ফোন নম্বরে ‘কল’ করার জন্য। তবে সেখানে একটি সতর্ক বার্তা জুড়ে দেয়া ছিল।
কেন এই ‘গেম’ অত্যন্ত বিপজ্জনক? মেক্সিকোর পুলিশ বলছে ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি, হিংসা, এমনকি আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করে মোমো গেমস । তাছাড়া এর দ্বারা ব্যবহারকারী নানা রকমের হয়রানির শিকার হতে পারেন । হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যেতে পারে ।
ব্যবহারকারী মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তিনি উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও অনিদ্রাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ।
মোমো গেমের ফাঁদ থেকে বেঁচে থাকতে আমদের সতর্ক থাকা দরকার ।
সন্দেহজনক কিছু বুঝলেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও পোস্ট বুঝে করুন, আপনার ফোনে আসা যে কোনও অপরিচিত লিংক এড়িয়ে চলুন, মেল আইডি বা যে কোনও নিজের সোশ্যাল আইডি-র পাসওয়ার্ড বদলাতে থাকুন , অপরিচিত লিংক বা সন্দেহজনক লিংক দেখা মাত্রই সেটি কে ব্লক করুন, সময় নষ্ট না করে পুলিশের দ্বারস্থ হন , এরপর সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এই সতর্ক বার্তা ছড়িয়ে দিন ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডঃ নাসিদুল ইসলাম ১০/০৯/২০১৮ভালো লাগলো
-
ইবনে মিজান ০৬/০৯/২০১৮আমি খেলি না
-
সেলিম রেজা সাগর ০৪/০৯/২০১৮মাই.....
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০১/০৯/২০১৮অনবদ্য
-
আব্দুল হক ৩১/০৮/২০১৮সাংঘাতিক!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩১/০৮/২০১৮এসব গেম খেলে কাজ নাই।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ৩১/০৮/২০১৮হায়রে মোমো এবার থামো।