সন্ধ্যায় ঢাকা পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র হুমকি ছাত্রাবাসে
ঢাকা: দু’দফা দাবিতে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভ, অবরোধ ও মানববন্ধন ঠেকাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র ও ছাত্রী নিবাস গুলোতে প্রবেশ করে সশস্ত্র হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিস্তারিতঃ এখানে
সরকার পুলিশ দিয়ে আন্দোলন ঠেকাতে না পেরে এখন ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছে পলিটেকনিক্ এর ছাত্রদের উপর।
গতবার ও আমাদের মান নামিয়ে দেওয়ার ঘোষনা এসেছিল। আমরা আগে থেকে খবর পেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তখন আমাদের বলা হয়েছে ভূয়া খবর এরকম কিছু করা হচ্ছেনা । আমাদের নামে বদনাম ছড়ানোর চেষ্টা ও বি এন পি, শিবির, জামাতের চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। আবার ও সরকার একই চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা আমাদের তৃতীয় শ্রেণীতে নামানোর চেষ্টা করছে আর তাদের সাথে আছে তাদের পা চাটা পত্রিকা। সেদিন প্রথম আলো পত্রিকায় দেখলাম আমাদের আন্দোলনকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেনো আমরা থার্ড ক্লাশ মানুষ অন্যায় দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তান্ডব চালাচ্ছি। প্রথম আলো সেদিন সিলেটের কথা কিছু লেখেনি। আমি অন্য এলাকার খবর জানিনা কিন্তু সিলেটের খবর জানি কারন আমি এখানকার ছাত্র। আমাদের ছাত্ররা যখন পরীক্ষা বর্জন কর্মশূচি শুরু করে পলিটেক্নিক এর সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় কিছুক্ষনের ভিতরে পুলিশ এসে কোন কথা ছাড়াই রাবার বুলেট আর টিয়ার শেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ এসে একবার বলেনি পর্যন্ত যে রাস্তা ছেড়ে দাও। পুলিশ সাধারনত গুলি খরচ করতে পারেনা। যদি করে তবে তাকে আত্মরক্ষার উপযুক্ত প্রমাণ সহ জবাবদিহি করতে হয়। তবে সেদিন কিভাবে এসেই লাটিপেটা শুরু করে আর এভাবে গুলি বর্ষন করে ছাত্রদের উপর!
আরো একটা ব্যাপার হচ্ছে এটি এমন একটি রাস্তা যেখানে যানবাহন চলাচল খুবই কম কারন এলাকাটা একটা গ্রাম। অথচ যখন গণজাগরণ মঞ্চের জন্য সিলেট শহরে সবচাইতে ব্যস্ত একটি রাস্তা চৌহাট্টা বন্ধ করে দীর্ঘদিন ব্যাপি অবস্থান নেয় কই তখন তো পুলিশ বাধা দেয়নি, বরঞ্চ তাদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম আলো সহ একই পন্থার অন্যান্য পত্রিকার কথা আর কি বলব। যখন পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্টরা দাবি আদায়ে ভাংচুর করে পুলিশের সাথে সঙ্ঘর্ষ হয় তখন নিউজ আসে দাবি আদায়ের কর্মশূচিতে পুলিশ বাঁধা দিয়েছে এই করেছে সেই করেছে। আর পলিটেকনিকের আন্দোলনে যখন পুলিশ গুলি বর্ষন করে তখন ছাত্ররা হামলা করেছে। যখন সাধারণ মানুষ সাপোর্ট দেওয়া শুরু করল তখন জামাত শিবির প্রভাবিত করেছে।
আমরা কি অন্যায় কিছু দাবী করেছি। আমাদের যা ন্যায্য অধিকার তাই ফিরে চাইছি। ৬ মাসের কোর্স করে টেকনিশিয়ান হয়; আমাদের ৪ বছরের কোর্স করিয়ে কেন টেকনিশিয়ান? আমাদের কি কিছু কম পড়ানো হয়? পরীক্ষায় কি টেক্নিশিয়ানদের প্রশ্ন দেওয়া হয়? অন্যান্য দেশে তো ডিপ্লোমা কোর্স আছে, শুধু বাংলাদেশেই আমাদের এই করুণ অবস্থার কারন কি?
সরকার আর কিছু পত্রিকা মিলে পলিটেকনিক ধংস করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ছে। দেশের মোট ছাত্র সঙ্খ্যার মাত্র ৪ শতাংশ হওয়ায় সহজ টার্গেট হিসাবে আমাদের বেছে নিয়েছে। আর এতে স্পষ্টত বিদেশি মদদ আছে যারা চায়না এ দেশের উন্নতি হোক।
আমাদের ন্যয্য দাবী আদায়ে অন্যান্য ভার্সিটির ছাত্রদের একাত্মতা প্রকাশ করা উচিৎ মনে করি। আজ আমাদের উপর খরগ নামাচ্ছে, কদিন পরে এরা যদি চান্স পায় ভার্সিটির উপর ও আঘাত হানার চেষ্টা করবে।
আমাদের ২ দফা দাবি মেনে নিন, আর আমাদের DIPLOMA IN TECHNICIAN এ পরিবর্তন না করে DIPLOMA IN ENGINEER এর মান ফিরিয়ে দিন। ঘরে ঘরে কারিগরী শিক্ষা পৌছে দিন।
এ বষয়ে আরেকটি লেখাঃ কারিগরি শিক্ষা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
אולי כולנו טועים ০৮/১০/২০১৩
সুন্দর লেখনি ll